রাজনীতি
ভারতের কনসার্ন নিয়ে ক্ষমতায় যেতে চাই না: হাসনাত
মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করার মধ্য দিয়ে, ব্যুরোক্রেসিকে নিয়ন্ত্রণ করার মধ্য দিয়ে, মিলিটারিকে নিয়ন্ত্রণ করার মধ্য দিয়ে, পাশের দেশ ভারতের কনসার্ন নিয়ে আমরা কোনো ক্ষমতায় যেতে চাই না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) গত বছরের গণঅভ্যুত্থানে প্রথম শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলায় সাক্ষীর জবানবন্দি দেওয়ার পর ট্রাইব্যুনালের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ক্ষমতায় যেতে চাই। আমরা জনগণকে নিয়ে ক্ষমতায় যেতে চাই। কোন আনহোলি নেক্সাসকে, ম্যানেজ করে আমরা কোনো কন্ট্রোলডভাবে ক্ষমতায় যেতে চাই না।
তিনি আরও বলেন, আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে জনগণ যদি আমাদেরকে ম্যান্ডেট দেয়, জনগণকে যদি মনে করে আমরা ক্ষমতায় যাওয়ার উপযোগী, আমরা যেতে চাই।
এমকে
রাজনীতি
ইউনূস স্যারকে দিয়ে হাতিয়ার ব্লকবাঁধের জন্য ২১শ কোটি টাকা বরাদ্দ করিয়েছি: হান্নান মাসউদ
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্যারকে দিয়ে হাতিয়ার ব্লকবাঁধের জন্য ২১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করিয়েছেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে শাপলা প্রতীকে নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে মনোনয়ন পেয়ে হাতিয়ার আফাজিয়া বাজারে পথসভায় তিনি এ কথা জানান।
আব্দুল হান্নান মাসউদ বলেন, অনেকে বলে ক্ষমতায় আসলে এই করবে সেই করবে, ব্লকবাঁধ করবে। মোহাম্মদ আলী (আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি) করে নাই, তার আগে কেউ করে নাই। কেন আফাজিয়া বাজার থেকে ১৫ কিলোমিটার ভাঙতে হলো। সব দোষ মোহাম্মদ আলীর। স্পিডবোট ভাড়া ৪০০-৫০০ টাকা মোহাম্মদ আলীর আগেও ছিল। তখন এত টাকা কারা খাইসে। তেলের দাম ৬৫ টাকা ছিল, কিন্তু আমাদের থেকে ৪০০-৫০০ টাকা করে কারা নিছে।
তিনি আরও বলেন, বড় বড় গলাবাজি যারা করে তাদের বইলেন আপনারা কারা তা দেখেছি। আপনাদের সামনে একটা জিনিস দেখাতে চাচ্ছি। ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্যারের সাথে দেখা করে পুরো হাতিয়ার জন্য সাড়ে ২১ কিলোমিটারের স্থায়ী ব্লকবাঁধ ও বেড়িবাঁধের প্রজেক্ট রেডি করেছি। সুখচর থেকে বাংলা বাজার পর্যন্ত সাড়ে ১১ কিলোমিটার ব্লক এবং তার ১০০ মিটার উপরে স্থায়ী বেড়িবাঁধের জন্য ৮০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। আমাদের বলেছে ৮০০ কোটি টাকায় কাজ করতে হবে। আমি ইউনুস স্যারকে বলেছি ২১০০ কোটি টাকা লাগবে। সেই টাকার প্রথম ধাপে সাড়ে ১১ কিলোমিটার কাজ হবে ইনশাআল্লাহ। আপনারা ক্ষমতায় আসার পর যদি করতে হয়, তাহলে হান্নান মাসউদের রিভিউ করা কাজ করতে হবে।
সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে হান্নান মাসউদ বলেন, বিএনপি-জামায়াত-এনসিপি-গণঅধিকারসহ যত দল আছে এবং যারা হাতিয়াতে আছে তাদের সবাইকে বলছি আপনারা ঐক্যবদ্ধ হন। আর আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে দ্বীপ হাতিয়াকে বাঁচাই। আমরা হাতিয়ার লোকজন সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ দ্বীপকে ভূমিদস্যু থেকে বাঁচাবো, জলদস্যু থেকে বাঁচাবো, নদী ভাঙন থেকে বাঁচাবো। তাই আমি দলমত নির্বিশেষে সকলকে আহ্বান করব আসেন আমরা সবাই মিলে যায়, সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে হাতিয়াকে বদলাই।
তিনি আরও বলেন, হাতিয়াকে বাঁচাতে হলে দলে দলে লড়াই করা যাবে না, মারামারি হানাহানি করা যাবে না। হাতিয়ার মানুষ যদি নিজেদের মধ্যে আরেকবার সংঘাতে জড়ায় তাহলে আর হাতিয়ার মানুষের মুক্তি মিলবে না।
হান্নান মাসউদ বলেন, আমি আজ এখানে কোনো নির্বাচনী জনসভা করতে আসিনি। যদিও আমাকে আমার দল থেকে নির্বাচন করার জন্য মনোনয়ন দিয়ে শাপলা কলি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমি বলব হাতিয়ার মানুষ না চাইলে আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব না। হাতিয়ার মানুষ চাইলে আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো। হাতিয়ার উন্নয়নের স্বার্থে আমরা কোনো দলের বিরুদ্ধে বলবো না, তাই দলবল নির্বিশেষে আমরা সবাইকে নিয়ে নতুন একটি হাতিয়া গড়তে চাই।
এদিকে পথসভাকে কেন্দ্র করে দুপুর থেকে দ্বীপের বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল নিয়ে আফাজিয়া ঘাটে আসতে থাকে লোকজন।
এ সময় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) হাতিয়া উপজেলার প্রধান সমন্বয়কারী শামছুল তিব্রিজ, হাতিয়া উপজেলা যুবশক্তির আহ্বায়ক মো. ইউসুফ রেজা, হাতিয়া উপজেলার ছাত্রশসক্তির আহ্বায়ক নেয়ামত উল্লাহ নিরবসহ এনসিপির কেন্দ্রীয় ও উপজেলা কমিটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
রাজনীতি
অভ্যুত্থান-পরবর্তী ক্যাম্পাসে প্রথম লাশ উপহার দিলো ছাত্রদল: ছাত্রশিবির
অভ্যুত্থান-পরবর্তী পরিস্থিতিতে দেশের ক্যাম্পাসগুলোতে উত্তেজনা বাড়তে থাকায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনার জন্য ছাত্রদলকে দায়ী করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির। তেজগাঁও কলেজ ছাত্রাবাসে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত হয়ে উচ্চমাধ্যমিক ২০২৪–২৫ সেশনের শিক্ষার্থী সাকিবুল হাসান রানা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
বুধবার এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম এই ঘটনাকে ‘ছাত্রদলের উপহার দেওয়া লাশ’ বলে মন্তব্য করেন এবং দায়ীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা অনুযায়ী ৭ ডিসেম্বর তেজগাঁও কলেজ ছাত্রাবাসে মাদকসেবনকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। দীর্ঘদিন ধরে ওই দুই গ্রুপ ছাত্রাবাসে মাদক বিক্রি ও সেবনের মাধ্যমে আবাসিক পরিবেশকে অস্থির করে তুলছিল বলে ছাত্রদের অভিযোগ। সংঘর্ষের সময় সাকিবসহ বেশ কয়েকজন সাধারণ শিক্ষার্থীও আক্রান্ত হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাকিবের মৃত্যু হয়।
ছাত্রশিবির নেতারা বলেন, ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনা কোনোভাবেই সাধারণ নয়—এটি একটি সুস্পষ্ট হত্যাকাণ্ড। তাদের দাবি, এ ঘটনা ছাত্রদলের ‘ধারাবাহিক সহিংস রাজনীতির’ প্রতিফলন এবং হলের অভ্যন্তরে আধিপত্য বিস্তারের চর্চা এর মূল কারণ। একইসঙ্গে ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হওয়ায় প্রশাসনের ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ বলে মন্তব্য করেন তারা।
শিবিরের বিবৃতিতে বলা হয়, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ছাত্রদল বিভিন্ন ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস ও আধিপত্যের রাজনীতি চালিয়ে আসছে। ফ্যাসিবাদী আমলে নিজেদের চরিত্র লুকিয়ে রাখলেও অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে তাদের ‘হিংস্র রূপ’ আবারও প্রকাশ পেয়েছে বলে অভিযোগ সংগঠনটির।
ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানায় ছাত্রশিবির। পাশাপাশি ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানিয়ে সংগঠনটি নিহত সাকিবুল হাসান রানার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানায়।
রাজনীতি
নতুন বাংলাদেশে আর কোনো ফ্যাসিবাদের আবির্ভাব হতে দেয়া যাবে না: ড. হেলাল উদ্দিন
জামায়াতে ইসলামী শুধু একটি রাজনৈতিক দল নয় মানবিক সংগঠন বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নায়েবে আমির (ঢাকা-৮ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী) অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন।
তিনি বলেন, অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মতো জামায়াতে ইসলামী কেবল গতানুগাতিক রাজনীতি করে না। জামায়াতে ইসলামী মানুষের কল্যাণে মানবিক দায়িত্ব পালন করে আসছে। যেখানে মানুষের দুর্ভোগ, দুর্দশা সেখানে ছুটে যায় জামায়াতে ইসলামী।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে মতিঝিল দক্ষিণ থানা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ পূর্বক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, নতুন বাংলাদেশে আর কোনো ফ্যাসিবাদের আবির্ভাবে হতে দেওয়া যাবে না। ৫ আগস্ট পরবর্তী যারা সারাদেশে খুন, ধর্ষন, লুটপাট, সন্ত্রাসী আর চাঁদাবাজি করছে তারা এদেশে নব্য ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে চায়। তারা নিজেদেরকে দেশের মালিক মনে করতে শুরু করেছে। চাঁদার টাকা ভাগবাটোয়ারা নিয়ে যারা নিজেরা নিজেদের ২ শতাধিক নেতাকর্মীকে খুন করেছে তাদের কাছে দেশ ও জাতি কখনো নিরাপদ নয়। তাদেরকে ভোটের মাধ্যমেই বয়কট করতে হবে।
তিনি বলেন, ঢাকা-৮ আসনে এক প্রার্থী নিজের জন্ম এখানে; বাবার জন্ম এখানে বলে মানুষের কাছে ভোট চাচ্ছে। ঐ প্রার্থীকে জনগণ অতীতে নির্বাচিত করলেও তিনি নিজের উন্নতি ছাড়া জনগণের জন্য কিছু্ই করেননি। বাপ-দাদার জন্ম এখানে বলার সঙ্গে সঙ্গে বাপ-দাদার পরিচয় এবং কর্ম কী ছিল সেটিও জনগণের সামনে তুলে ধরতে তিনি তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর প্রতি আহ্বান জানান।
ঢাকা-৮ আসনের জনসাধারণের উদ্দেশ্যে ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, যারাই ভোট চাইতে যাবে তাদের কাছ থেকে জানতে হবে অতীতে তারা জনগণের জন্য কী করেছে। কীভাবে ব্যাংকের মালিক হয়েছে কীভাবে স্কুল-কলেজসহ অসংখ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক হয়েছে সেই জবাব নিয়ে আগামীতে ভোট দিতে তিনি ঢাকা-৮ আসনের ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানান।
মতিঝিল দক্ষিণ থানা জামায়াত আমির মাওলানা মোতাছিম বিল্লাহ’র সভাপতিত্বে এবং থানা সেক্রেটারি মো. ইমাম হোসেনের পরিচালনায় ঢাকা জেলা ক্রীড়া সংস্থা মিলনায়তনে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে থানার বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
রাজনীতি
এনসিপিতে স্থান না পেয়ে গণঅধিকার পরিষদে যোগদানের চেষ্টা আসিফের, এখানেও বিরোধ
কাঙ্ক্ষিত পদ না পাওয়ায় নিজের প্রতিষ্ঠিত দল জাতীয় নাগরিক পার্টিতে (এনসিপি) যোগ দিতে পারছেন না সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। ফলে এবার তিনি ফের আশ্রয় খুঁজছেন তার পূর্বের রাজনৈতিক ঠিকানা গণঅধিকার পরিষদে। তবে সেখানে গিয়েও সাধারণ সম্পাদক পদ চাওয়ায় দলটির ভেতরে নানামুখী অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সরকারের উপদেষ্টা পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন আসিফ। পদত্যাগের ঘোষণার পর থেকেই বিভিন্ন মহলে আলোচনা চলছে তার গন্তব্য নিয়ে।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, দলটিতে আসিফের চাহিদার পদ ছিল মুখ্য সমন্বয়ক। কিন্তু বর্তমানে সেই পদে থাকা নাসিরদ্দীন পাটোয়ারী পদটি ছাড়তে রাজী নন। এ নিয়ে বিরোধের জেরে এনসিপিতে যাচ্ছেন না আসিফ মাহমুদ। বুধবার দুপুরে ঘোষিত এনসিপির প্রার্থী তালিকায়ও রাখা হয়নি গণঅভ্যুত্থানের এই অগ্র সৈনিককে।
এদিকে গণঅধিকার পরিষদের একটি বিশ্বস্ত সূত্র বলছে, নিজেদের গড়া দল এনিসিপিতে জায়গা না পেয়ে এখন গণঅধিকার পরিষদে যোগ দিতে চাইছেন আসিফ মাহমুদ। এরইমধ্যে দলটির সভাপতি ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূরের সঙ্গে তার ফলপ্রসু আলোচনাও হয়েছে। কিন্তু আসিফ গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পদ চাইছেন। এই নিয়ে দলটির নেতা-কর্মীদের বড় একটি অংশের মাঝেও চাপা ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এ ক্ষোভ যেকোনো সময় বড় বিরোধে রূপ নিতে পারে বলেও অনেকে শঙ্কা করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গণঅধিকার পরিষদের একজন উচ্চতর পরিষদ সদস্য জানান, ‘আসিফ আগে একসময় গণঅধিকার পরিষদে ছিলেন। কিন্তু তিনিতো দল ত্যাগ করে আরেকটি দল প্রতিষ্ঠাও করেছেন। এখান সেখানে জায়গা না পেয়ে এখানে আসছেন। তাকে গণঅধিকার পরিষদে নিতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু সেক্রেটারি পদ ছাড়তে গেলে দলে বড় ভাঙন সৃষ্টি হওয়ার শঙ্কা ১০০%। কিন্তু নূর ভাই কি বুঝে তাকে লাই দিচ্ছে আমরা বুঝতে পারছি না।’
এবিষয়ে জানতে চাইলে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন বলেন, আসিফ মাহমুদ আগেও আমাদের সাথে ছিলেন। এখন তিনি আবার আমাদের দলে আসতে চাইছেন। আমরা এটাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছি। আলোচনা চলমান আছে, কিন্তু এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে বিরোধের বিষয়ে জানতে চাইলে রাশেদ বলেন, তাকে আমরা আমাদের দলে স্বাগত জানাই। সে এলে তাকে সন্মানজনক পদ দেওয়া হবে।
রাজনীতি
ভোটারদের আকৃষ্ট করতে ‘জনতার ইশতেহার’ চূড়ান্ত করছে জামায়াত
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ইশতেহার চূড়ান্ত করছে জামায়াতে ইসলামী। দলীয় ফোরাম ছাড়াও বিশেষজ্ঞ বিভিন্ন মহলের প্রস্তাবের আলোকে প্রস্তুত করা হচ্ছে ইশতেহারটি। এতে নেওয়া হবে সাধারণ জনগণের মতামতও। এজন্য শিগগিরই প্রকাশ করা হবে ‘অ্যাপস’। জাতীয় ও এলাকাভিত্তিক নানা বিষয়ে মতামত প্রদানের জন্য সপ্তাহখানেক সময় দেওয়া হবে। সব মিলিয়ে নির্বাচনি মাঠে ভোটারদের আকৃষ্ট করতে ‘জনতার ইশতেহার’ শিরোনামে ইশতেহারটিতে ব্যাপক চমক দেখাতে চায় জামায়াত।
ইশতেহারে জনগণের মতামত নেওয়ার বিষয়টি প্রকাশ করেছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। গতকাল মঙ্গলবার তিনি নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া স্ট্যাটাসে লিখেছেন—‘আপনার একটি সুন্দর পরামর্শ বদলে দিতে পারে বাংলাদেশের আগামী। তাই, আপনার মতামতকে সঙ্গে নিয়েই তৈরি হবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহার, ইনশাআল্লাহ।’ স্ট্যাটাসটির সঙ্গে ইশতেহার বিষয়ে মতামত পাঠানোর আহ্বানসম্বলিত একটি ফটোকার্ডও জুড়ে দেওয়া হয়। এতে বলা হয়েছে— আসছে…জনতার ইশতেহার।
নোবেল পুরস্কার গ্রহণে মাচাদোর উপস্থিতি অনিশ্চিত, অসলোয় উত্তেজনানোবেল পুরস্কার গ্রহণে মাচাদোর উপস্থিতি অনিশ্চিত, অসলোয় উত্তেজনা
এদিকে জামায়াত আমিরের স্ট্যাটাসের কমেন্ট অপশনে ইশতেহার বিষয়ে মতামত দিয়ে অসংখ্য পোস্ট করা হয়েছে। এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন অনেকে।
ফাহিমা আকতার সুমি তার কমেন্টে লিখেছেন—সবার আগে সব মানুষের মনকে সংস্কার করতে হবে। প্রতিহিংসা, অহমিকা, রেষারেষি সবকিছুকে পিছনে ফেলে সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশ ও দশের জন্য এগিয়ে যেতে হবে।
মমিন নামে একজন আনঅফিসিয়াল পেজ থেকে বলেছেন—আপাতত দাবি একটাই চাঁদাবাজ আর দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ চাই, ডা. শফিকুর রহমান লিডার। এ কাজটা সবচেয়ে কষ্টসাধ্য হবে, তবুও করতে হবে তাওয়াক্কালতু আলাল্লাহী।
মাসুম বিল্লাহ লিখেছেন—বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশিদের রেমিট্যান্স বৈধ পথে প্রেরণে উৎসাহিত করা ও তাদের বিনিয়োগের জন্য বিশেষ সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
আবুল হাসনাত সেলিম বলেছেন—স্বল্পমেয়াদি (মিশন) এবং দীর্ঘমেয়াদি (ভিশন) ইশতেহার দুই ভাগে প্রণয়ন করা উচিত। এক্ষেত্রে বেশকিছু প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।
তবে ফেসবুকের এসব কমেন্ট আমলে নেওয়ার সম্ভাবনা নেই জানিয়ে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেছেন, ইশতেহার বিষয়ে মতামত নেওয়ার বিষয়ে জামায়াত আমির প্রাথমিক ঘোষণা দিয়েছেন। এ বিষয়ে কয়েকদিনের মধ্যে আনুষ্ঠানিক ব্রিফিং করে একটি অ্যাপস উদ্বোধন করা হবে। সেখানে মতামত দিতে সপ্তাহখানেক সময় দেওয়া হবে। নির্ধারিত বিভিন্ন বিষয়ে জাতীয় ও এলাকাভিত্তিক মতামত প্রদান করা যাবে।
তিনি আরো জানান, আমাদের দলীয় ইশতেহার তৈরির প্রাথমিক পর্ব শেষে দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ চলছে। জনগণের মতামত নিয়ে তা শিগগিরই চূড়ান্ত করা হবে। এক্ষেত্রে দলীয় প্রার্থী এবং স্থানীয় ভোটারদের মতামত সংগ্রহ করে তা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। সব মতামত সংরক্ষণে আর্কাইভ থাকবে। সামর্থ্য অনুযায়ী তা বাস্তবায়নের টাইমলাইন তথা স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি বিষয়গুলো সাজানো হবে।
ইশতেহারের নাম ‘জনতার ইশতেহার’ দেওয়ার কারণ প্রসঙ্গে অ্যাডভোকেট জুবায়ের বলেন, ইশতেহার তো জনগণের জন্য। তাদের পরামর্শ নিয়েই এটা করা হবে। তাই এটা জনতার ইশতেহার।
তিনি জানান, ইশতেহার দ্রুত চূড়ান্ত করা হলেও তা প্রকাশ করা হবে তফসিল ঘোষণার পর নির্ধারিত একটি সময়ে। আমরা নির্বাচন কমিশনে দাবি জানিয়েছি যে, সব দল যেন একই তারিখে ইশতেহার ঘোষণা করে। এ বিষয়ে ইসি সিদ্ধান্ত জানাবে। সে অনুযায়ীই আমাদের ইশতেহার প্রকাশ করা হবে। সব মিলিয়ে এবারের ইশতেহার খুব আকর্ষণীয়, বুদ্ধিদীপ্ত ও বিচক্ষণতার সঙ্গে প্রস্তুত করা হচ্ছে বলেও জানান এই নেতা।




