জাতীয়
তফসিলের আগে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে ইসি
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার আগে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন এএমএম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী ১০ ডিসেম্বর সাক্ষাতের সময় চেয়ে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) একজন নির্বাচন কমিশনার এ তথ্য জানিয়েছেন। আগামী ৭ ডিসেম্বর তফসিল নিয়ে কমিশনের সভা রয়েছে।
ওই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর মহামান্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে। এর দুয়েক দিনের মধ্যে তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে।’ প্রথা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তফসিল ঘোষণার আগে দেখা করে তফসিল চূড়ান্ত করা হয়।
জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ জানান, আরপিও’র সবশেষ সংশোধনীও অনুমোদন হয়েছে। সব ধরনের প্রস্তুতি গুছিয়ে আনা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পর তফসিল ঘোষণা করা হবে।
জাতীয়
ব্যান্সডকে নতুন ডিজি, অতিরিক্ত সচিবকে ওএসডি
বাংলাদেশ জাতীয় বিজ্ঞান ও কারিগরি তথ্য সংগ্রহ ও বিতরণ কেন্দ্রে (ব্যান্সডক) মহাপরিচালক (ডিজি) হয়েছেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মিজ মুনিমা হাফিজ।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, ব্যান্সডকের বর্তমান ডিজি কাজী আনোয়ার হোসেনকে স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব পদে বদলি করে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এ ছাড়া, আরেক প্রজ্ঞাপনে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. আখতারুজ্জামানকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) করা হয়েছে।
জাতীয়
ম্যানগ্রোভ বন কেটে চিংড়িঘের তৈরি বন্ধের আহ্বান উপদেষ্টার
ম্যানগ্রোভ বন কেটে চিংড়িঘের তৈরি না করার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, উপকূলীয় পরিবেশ সুরক্ষায় ম্যানগ্রোভ বন অপরিহার্য।
গতকাল বুধবার রাতে হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএফএফইএ) এবং পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআরআই) আয়োজিত ‘ট্রান্সফর্মিং পলিসি সাপোর্ট ফর রিভাইভিং বাংলাদেশ’স শ্রিম্প সেক্টর’ শীর্ষক এক নীতি সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, চিংড়িতে জেলি ব্যবহারসহ নানা অভিযোগের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে আমাদের রপ্তানি সংকুচিত হয়েছে, যা দেশের জন্য বড় ক্ষতি।
মাঠপর্যায়ে বাস্তব তথ্য সংগ্রহের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, মাঠের বাস্তবতা না শুনে সঠিক নীতি নির্ধারণ সম্ভব নয়।
সামুদ্রিক মাছের মজুত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে উপদেষ্টা বলেন, অবৈধ, অনিয়ন্ত্রিত ও অতিরিক্ত আহরণের ফলে গত সাত বছরে সাগরে মাছের মজুত ৭৮ শতাংশ কমেছে, যা অত্যন্ত ভয়াবহ। জলবায়ু পরিবর্তন ও দূষণও বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে।
মৎস্য খাতের বিদ্যুৎ বিল বৈষম্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, খাদ্য উৎপাদনকারী মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতকে শিল্প শ্রেণির মতো বিদ্যুৎ বিল দিতে হয়, যা বৈষম্য। এক বছর ধরে এ সমস্যার সমাধানে কাজ করছি। আশা করছি, শিগগিরই বিদ্যুৎ বিলে ২০ শতাংশ ছাড় মিলবে।
সুদের হার কমানো ও বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয়ে উপদেষ্টা ফরিদা আখতার জানান, একটি বিশেষায়িত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ ব্যাংক স্থাপনের প্রস্তাব বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে দেওয়া হয়েছে। প্রযুক্তি, দক্ষতা বৃদ্ধি ও পরিবেশবান্ধব চাষাবাদে জোর দিলে বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যাবে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদকে পূর্ণাঙ্গ স্বতন্ত্র সেক্টর হিসেবে স্বীকৃতির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে তিনি বলেন, এটি সাব-সেক্টর নয়, পূর্ণাঙ্গ সেক্টর। আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈষম্য দূরীকরণে ইতোমধ্যে অগ্রগতি হয়েছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, এ খাতে অর্থায়নই একমাত্র সমাধান নয়। উৎপাদনশীলতা কম হওয়াই বড় সমস্যা। প্রকৃত উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, নব্বইয়ের দশকে চিংড়ি খাত দেশের অন্যতম রপ্তানি খাত হলেও এখন তা অনেকটা পিছিয়ে পড়েছে। এ খাতের পুনরুত্থানে শিল্পখাতের মতো প্রণোদনা দাবি করে রপ্তানিকারকেরা বিদ্যুৎ বিলে ২০ শতাংশ ছাড়, নগদ অর্থ সহায়তা ও তহবিল গঠনের আহ্বান জানান।
বিএফএফইএ’র প্রেসিডেন্ট মো. শাহজাহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট মো. তারিকুল ইসলাম জহির। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পিআরআই’র গবেষণা পরিচালক ড. বজলুল হক খন্দকার। আলোচনা শেষে সিমার্ক (বিডি) লিমিটেড-এর চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইকবাল আহমেদ সার্বিক আলোচনার সংক্ষিপ্তসার তুলে ধরেন।
জাতীয়
নির্বাচনে পুলিশকে নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালনের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুলিশ কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ৬৪ জেলার পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ নির্দেশ দেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হবে এবং এই নির্বাচন ইতিহাসে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। নির্বাচনী চ্যালেঞ্জ গ্রহণের জন্য মানসিক প্রস্তুতি নিতে হবে। এটি সাধারণ নির্বাচন নয়, গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তী নির্বাচন। শহীদদের আকাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ গড়ার এই নির্বাচনে পুলিশকে সেভাবেই দায়িত্ব পালন করতে হবে।
তিনি বলেন, এবারের নির্বাচন এমন নির্বাচন হবে, বিদেশি পর্যবেক্ষকরা স্মরণ রাখবে। তারা এটা দৃষ্টান্ত হিসেবে নিয়ে বারবার বলবে—এ নির্বাচনের মতো নির্বাচন আমরা আর কখনো দেখিনি।
তিনি আরও বলেন, গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের স্বপ্ন আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে এই নির্বাচনের মাধ্যমে। যে স্বপ্ন নিয়ে শহীদরা আত্মত্যাগ করেছিল, তাদের সেই স্বপ্নটার বাস্তবায়ন আমরা এই নির্বাচনের মাধ্যমে করে যাব।
গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী ঐতিহাসিক নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের জন্য দৈবচয়নের মাধ্যমে ৬৪ জেলার পুলিশ কর্মকর্তা নির্বাচন করা হয়েছে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমাদের লক্ষ্য কোনো ধরনের পক্ষপাতিত্ব যেন না হয়। নিজের ওপর ছেড়ে দিলে অনেক সময় শত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও পক্ষপাতিত্ব ঢুকে পড়ে।
তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হবে, তাই ধাত্রীর দায়িত্ব পালন করতে হবে পুলিশকে।
জাতীয়
ডিএমপির সব থানার ওসি রদবদল
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ৫০ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পদে রদবদল করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) ডিএমপি কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলীর সই করা এক আদেশে এ রদবদল করা হয়।
আদেশ বলা হয়, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, ঢাকায় কর্মরত নিম্নবর্ণিত নিরস্ত্র পুলিশ পরিদর্শক-গণকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জনস্বার্থে তাদের নামের পার্শ্বে বর্ণিত স্থানে বদলী/ পদায়ন করা হলো।
জনস্বার্থে এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।
একইদিন ডিএমপি কমিশনারের আরও দুটি আদেশে ১৪ জন উপ-পুলিশ কমিশনারের রদবদল করা হয়েছে।
জাতীয়
১০ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ ইসির
আগামী ১০ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছে এ এম এম নাসির উদ্দিন নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রথা অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের আগে আগামী ৭ ডিসেম্বর তফসিল নিয়ে নির্বাচন কমিশন নিজেরা সভায় বসবে। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) এক নির্বাচন কমিশনার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ১০ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে। এর দুয়েকদিনের মধ্যে তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে।
এর আগে নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার জানান, কমিশন সভায় তফসিলের সময়সূচি নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে এবং রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তা চূড়ান্ত করা হবে। তিনি ইতোমধ্যে জানিয়েছেন, রোববারের (৭ ডিসেম্বর) বৈঠকের পর সেই সপ্তাহের যেকোনো দিন তফসিল ঘোষণা করা হবে।
ইসি সূত্র জানায়, ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে (৮ ডিসেম্বর, ৯ ডিসেম্বর, ১০ ডিসেম্বর কিংবা ১১ ডিসেম্বর) সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে। আর ভোটগ্রহণ হবে ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে (৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি মধ্যে যেকোনো একদিন)।
এমকে



