সারাদেশ
বিদ্যুৎ উৎপাদনে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের রেকর্ড
জাতীয় পর্যায়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে রেকর্ড করেছে বাংলাদেশ ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল) মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট। নভেম্বর মাসে ৭০০ মিলিয়ন ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। যা বাংলাদেশের যে কোনো বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চেয়ে সর্বোচ্চ মাসিক উৎপাদন।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে বিআইএফপিসিএল’র উপমহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান।
তিনি আরও জানান, মাসব্যাপী বাংলাদেশের মোট বিদ্যুৎ চাহিদার ১১.৫ শতাংশ অবদান রেখে ধারাবাহিকভাবে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। এটা প্ল্যান্টের উচ্চ শিল্প ক্ষমতা, দক্ষ কয়লা ও সম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং আর্থিক কর্ম পরিকল্পনার ফল। ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
এর আগে আগস্ট মাসে কেন্দ্রটি ৭৭১.৭০ মিলিয়ন ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছে, যা ৭৮.৫৮% প্ল্যান্ট লোড ফ্যাক্টর (পিএলই) অর্জিত হয়েছে। এটি দেশের মোট ১০ হাজার ১০০ মিলিয়ন ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৭.১৫% অবদান।
সারাদেশ
সাবেক ইউএনওর বিরুদ্ধে এতিমের গোশত আত্মসাতের অভিযোগ
ময়মনসিংহ-৫ (মুক্তাগাছা) আসনের এনসিপি মনোনীত প্রার্থী মিয়াজ মেহরাব তালুকদার মুক্তাগাছার সদ্য সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বিরুদ্ধে এতিমদের জন্য বরাদ্দকৃত গোশত আত্মসাতের গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন।
নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক পোস্টে মিয়াজ মেহরাব তালুকদার লিখেছেন, “এতিমের গোশত চুরি মুক্তাগাছা উপজেলা ইউএনওর।” তিনি দাবি করেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পর থেকে মুক্তাগাছাবাসী উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দুর্নীতি সম্পর্কে তাঁকে নিয়মিত অবহিত করে আসছেন। তবে এলাকার পরিস্থিতি ও দলীয় নেতাকর্মীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে তিনি প্রকাশ্যে কোনো পদক্ষেপ নেননি।
মেহরাব তালুকদারের বক্তব্য অনুযায়ী, সৌদি আরব থেকে প্রতিবছর যে উট ও দুম্বার গোশত এতিমদের জন্য বাংলাদেশে পাঠানো হয়, তা উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে স্থানীয় এতিমখানায় বিতরণ করার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু মুক্তাগাছার ইউএনও সেই গোশত বিতরণের পরিবর্তে নিজেরা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি আরও দাবি করেন, ইউএনও এবং তাঁর অধীন কয়েকজন কর্মকর্তা এতিমদের গোশত নিজেরা খেয়েছেন।
ইউএনও নাকি ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্যও গোশত নিয়ে গেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আরও বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ স্থানীয়দের কাছ থেকে তিনি পেয়েছেন।
এমনকি ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি পাওয়ার অভিযোগও স্থানীয়দের কেউ কেউ তুলেছেন। মেহরাব তালুকদার বলেন, “শত শত এতিমের হক নষ্টের ঘটনা শুনে আর চুপ থাকা গেল না। এতিমের হক নষ্টের মতো নিকৃষ্ট পাপ আর কিছু হতে পারে না।”
অভিযোগ প্রকাশের পর মুক্তাগাছার বহু মানুষ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বলে জানান মেহরাব তালুকদার। তিনি বলেন, স্থানীয়রা যেকোনো মূল্যে এই ঘটনার বিচার চান এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার দাবি তুলেছেন। তিনি এই বিষয়ে সরকারিভাবে অবিলম্বে তদন্ত দাবি করে বলেন, “এতিমের হক আত্মসাৎকারী কাউকে রাষ্ট্রের দায়িত্বে রাখা যায় না। জনগণের সম্পত্তি আত্মসাৎকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।”
এছাড়া ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের সহযোদ্ধা ও জুলাই বিপ্লবের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, মুক্তাগাছার এসব এতিমের অধিকার রক্ষায় যেন দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হয়। পোস্টের শেষে তিনি পবিত্র কোরআনের উদ্ধৃতি দিয়ে এতিমের সম্পদ আত্মসাতের কঠিন শাস্তির কথাও উল্লেখ করেন। অভিযোগের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সাবেক ইউএনও বা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এমকে
সারাদেশ
সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল শুরু, তিন জাহাজে যাচ্ছেন ১১০০ পর্যটক
দীর্ঘ নয় মাস বন্ধ থাকার পর ১ ডিসেম্বর থেকে পুনরায় চালু হয়েছে কক্সবাজার–সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল। মৌসুমের প্রথম দিন সোমবার সকাল ৭টায় নুনিয়ারছড়া বিআইডব্লিউটিএ জেটিঘাট থেকে ১,১০০ পর্যটক নিয়ে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে রওনা দেয় এমভি বার আউলিয়া, এমভি কর্ণফুলী ও কেয়ারি সিন্দাবাদ।
জেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর ও ট্যুরিস্ট পুলিশের কঠোর তদারকিতে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ন্ত্রণ ও প্লাস্টিক ব্যবহারে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। সচেতনতার অংশ হিসেবে প্রথম দিন যাত্রীদের হাতে অ্যালুমিনিয়ামের পানির বোতল তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক এম এ মান্নান।
সকালে ঘাটে এসে পর্যটকদের স্বাগত জানান জেলা প্রশাসকসহ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহিদুল আলম, কক্সবাজার সদরের ইউএনও নীলুফা ইয়াসমিন চৌধুরী এবং ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ। তারা সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়ন তদারকি করেন।
সরকার ঘোষিত ১২ দফা নির্দেশনা মেনে সোমবার (১ ডিসেম্বর) থেকে আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত পর্যটকদের জন্য সেন্টমার্টিনে রাত্রিযাপনের সুযোগ থাকছে। জাহাজ কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রথম দিনের সব টিকিট আগেই বিক্রি হয়েছিল এবং তিনটি জাহাজে মোট ১,১০০ যাত্রী দ্বীপের উদ্দেশে রওনা হন।
‘সি ক্রুজ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’ (স্কোয়াব)-এর সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, মৌসুমের প্রথম যাত্রার সব প্রস্তুতি আগে থেকেই সম্পন্ন ছিল। প্রশাসনের সহযোগিতায় পরিচ্ছন্ন ও নিরাপদ পরিবেশে যাত্রা শুরু করা গেছে। আগামী মৌসুমে কমপক্ষে চার মাস রাত্রিযাপনের সুযোগ মিললে জাহাজ মালিকরা ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
গত ১ নভেম্বর থেকে সেন্টমার্টিনে পর্যটক প্রবেশ উন্মুক্ত হলেও রাত্রিযাপন নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে এতদিন কোনো জাহাজ চলাচল করেনি। এবারও নুনিয়ারছড়া জেটি থেকে চারটি জাহাজ চলাচলের অনুমতি পেয়েছে। প্রতিদিন সর্বোচ্চ দুই হাজার পর্যটক বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে সেন্টমার্টিন যেতে পারবেন।
প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিদিন সকাল ৭টায় জাহাজ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে ছাড়বে এবং পরদিন দুপুর ৩টায় কক্সবাজারে ফিরবে। টিকিট সংগ্রহ বাধ্যতামূলকভাবে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের অনুমোদিত অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে করতে হবে। প্রতিটি টিকিটে ট্রাভেল পাস ও কিউআর কোড থাকবে, যা ছাড়া কোনো টিকিট বৈধ হিসেবে গণ্য হবে না। জেটিঘাটে টিকিট যাচাইয়ে ২০ জন ভলান্টিয়ার দায়িত্ব পালন করছেন; একইভাবে ভলান্টিয়ার থাকবেন সেন্টমার্টিনেও।
দীর্ঘ বিরতির পর পর্যটকদের আগমনে সেন্টমার্টিনে আবারও প্রাণচাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। তবে জেটিঘাটের নির্মাণকাজ এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি বলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এসএস রহমান ইন্টারন্যাশনালের প্রতিনিধি আলী হায়দার জানান।
দ্বীপের ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান ফয়েজুল ইসলাম জানান, গত এক দশক ধরে পর্যটনই স্থানীয়দের প্রধান জীবিকা। যেকোনো সংকট সত্ত্বেও পর্যটকদের আতিথেয়তায় ঘাটতি রাখা হবে না।
সেন্টমার্টিনের নাজুক প্রতিবেশ ব্যবস্থা রক্ষায় ঘোষিত ১২ দফা নির্দেশনা এবার কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হবে। এর মধ্যে রয়েছে—রাতে সৈকতে আলো জ্বালানো নিষেধ, উচ্চ শব্দে অনুষ্ঠান-বারবিকিউ নিষিদ্ধ, কেয়াবনে প্রবেশ বা কেয়াফল সংগ্রহ নিষিদ্ধ, কাছিম–পাখি–রাজকাঁকড়া–প্রবালসহ যেকোনো জীববৈচিত্র্য ক্ষতিগ্রস্ত করে এমন সকল কার্যক্রম বন্ধ, মোটরচালিত যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ এবং প্লাস্টিকমুক্ত দ্বীপ উদ্যোগের অংশ হিসেবে একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক কঠোরভাবে নিরুৎসাহিত। পরিবেশ অধিদপ্তর পর্যটকদের বিনামূল্যে অ্যালুমিনিয়াম বোতল সরবরাহ করছে।
পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের উপপরিচালক খন্দকার মাহমুদ পাশা বলেন, প্লাস্টিক দূষণ কমাতে অ্যালুমিনিয়াম বোতল ব্যবহারে কঠোরতা আনা হয়েছে। এটি সফলভাবে কার্যকর হলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক এম এ মান্নান বলেন, “সেন্টমার্টিন আমাদের জাতীয় সম্পদ। পরিবেশ রক্ষা ও দায়িত্বশীল পর্যটনের স্বার্থে নির্দেশনা মেনে চলা সবার দায়িত্ব।” প্রশাসন, জাহাজ মালিক ও সংশ্লিষ্টদের সমন্বিত তদারকির মধ্য দিয়ে দ্বীপের জীববৈচিত্র্য রক্ষা নিশ্চিত করা হবে বলেও তিনি জানান।
এমকে
সারাদেশ
পাবনায় লুট হওয়া জামায়াতের ৯ মোটরসাইকেল বিএনপি নেতার বাড়ি থেকে উদ্ধার
পাবনার ঈশ্বরদীতে জামায়াতের নির্বাচনী প্রচারণাকালে বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলার লুট হওয়া মোটরসাইকেলগুলোর মধ্যে ৯টি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রবিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের চরগড়গড়ি এলাকার মক্কেল মৃধার বাড়ির আঙ্গিনাধীন বাঁশঝাড় থেকে এসব মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। অভিযানে অংশ নেন ঈশ্বরদী থানা পুলিশ ও পাকশী ও রূপপুর ফাঁড়ির সদস্যরা। বৃহস্পতিবার বিএনপি নেতা মক্কেল মৃধার নেতৃত্বে জামায়াত নেতাকর্মীদের ওপর ওই হামলার ঘটনা ঘটে।
মোটরসাইকেল উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রণব কুমার সরকার বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মোটরসাইকেলগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। পরে সেগুলো ঈশ্বরদী থানায় রাখা হয়েছে।’
অভিযানের নেতৃত্বে থাকা পাকশী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এবিএম মনিরুল ইসলাম জানান, ‘সাহাপুর ইউনিয়ন কৃষকদলের আহ্বায়ক এবং জামায়াতের দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি মক্কেল মৃধার বাড়ির পাশ থেকে মোটরসাইকেলগুলো পাওয়া গেছে। বাকি মোটরসাইকেলগুলো উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
এর আগে গত বৃহস্পতিবার সাহাপুর ইউনিয়নের চরগড়গড়িতে নির্বাচনী প্রচারণার সময় বিএনপি নেতা মক্কেল মৃধার নেতৃত্বে জামায়াত নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ হামলায় অর্ধশতাধিক জামায়াত নেতাকর্মী আহত হন। হামলার সময় ১০টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয় এবং প্রায় ৪০টি মোটরসাইকেল লুট করা হয় বলে দাবি করে জামায়াত।
ঈশ্বরদী উপজেলা জামায়াতের আমির ড. নুরুজ্জামান প্রামাণিক বলেন, ‘এখনও বহু মোটরসাইকেল উদ্ধার হয়নি। দ্রুত বাকিগুলো উদ্ধারে প্রশাসনের কার্যকর ভূমিকা প্রয়োজন।’
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের অভিযানে উদ্ধার হওয়া ৯টি মোটরসাইকেল বর্তমানে ঈশ্বরদী থানায় রাখা হয়েছে।
এমকে
সারাদেশ
সোমবার টানা ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়
সিলেটে ট্রান্সফরমারের জরুরি মেরামত ও সংরক্ষণ কাজের জন্য এবং গাছ-পালার শাখা প্রশাখা কাটার জন্য সিলেট নগরীর কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সোমবার টানা ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
রবিবার (৩০ নভেম্বর) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিলেট নগরীর বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবদুর রাজ্জাক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২ সিলেট থেকে জানানো হয়, জরুরি মেরামত ও সংরক্ষণ এবং উন্নয়ন প্রকল্পের কাজের জন্য সোমবার (১ ডিসেম্বর) সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত টানা ১০ ঘণ্টা ১১ কেভি স্প্রিং টাওয়ার ফিডারের লাইন বন্ধ থাকবে। এই লাইনের আওতাধীন উপশহর ডি ব্লক মেইন রোড, ই ব্লক পয়েন্ট এবং আশপাশের এলাকা সমূহে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নির্ধারিত সময়ের আগেই কাজ শেষ হলে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরায় চালু করা হবে বলে।
এ বিষয়ে সিলেট বিউবো বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী সাময়িক এ অসুবিধার জন্য নগরীর গ্রাহকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং উন্নত সেবা নিশ্চিতে সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন।
সারাদেশ
নকল ওষুধ বিক্রির অভিযোগে লাজফার্মাকে জরিমানা
টাঙ্গাইলে জার্মানির ওষুধ বলে নকল ওষুধ বিক্রি করার অভিযোগে লাজফার্মাকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ রবিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে শহরের আকুরটাকুর পাড়া এলাকার লাজফার্মাকে এ জরিমানা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রোমেল। এসময় অভিযানে সহযোগিতা করেন সেনাবাহিনী, পুলিশ ও ড্রাগ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রোমেল জানান, শফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি গত বৃহস্পতিবার রাতে নকল ওষুধ বিক্রির অভিযোগ করেন। অভিযোগ পাওয়ার পর ওই দিন রাতেই লাজফার্মায় অভিযান চালিয়ে সন্দেহজনক বেশ কিছু ওষুধ জব্দ করা হয়। পরবর্তীতে তদন্ত শেষে ওষুধগুলো নকল প্রমাণিত হওয়ায় ভোক্তা অধিদপ্তর আইন অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটিকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রোমেল বলেন, জনস্বাস্থ্যের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত হওয়ায় নকল ওষুধের বিষয়ে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। অভিযোগ পাওয়ার পরপরই অভিযান পরিচালনা করে ওষুধ জব্দ করা হয় এবং ল্যাব পরীক্ষায় নকল প্রমাণিত হওয়ায় জরিমানা করা হয়েছে। জেলার বিভিন্ন ফার্মেসীতে নিয়মিত নজরদারি অব্যাহত থাকবে।
এ দিকে জরিমানা করা হলে লাজফার্মার পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাদের সাথে সাপ্লাইকারী প্রতিনিধি প্রতারণা করেছে।



