পুঁজিবাজার
ডিএসইর বাজার মূলধন বাড়লো ৭ হাজার ৮২০ কোটি টাকা
বিদায়ী সপ্তাহে (১৬ নভেম্বর থেকে ২০ নভেম্বর) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই)সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন হয়েছে। এতে সপ্তাহ ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ৭ হাজার ৮২০ কোটি টাকা।
পুঁজিবাজারের সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
চলতি সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৮১ হাজার ৭৯৪ কোটি টাকা। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে এই মূলধন ছিল ৬ লাখ ৭৩ হাজার ৯৭৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহ ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ১.১৬ শতাংশ বা ৭ হাজার ৮২০ কোটি টাকা।
চলতি সপ্তাহে বেড়েছে ডিএসইর সব কয়টি সূচকও। প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৬৬.৩২ পয়েন্ট বা ৩.৫৪ শতাংশ। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক বেড়েছে ২৬.৫১ পয়েন্ট বা ১.৪৩ শতাংশ। আর ডিএসইএস সূচক বেড়েছে ৪১.৩৩ পয়েন্ট বা ৪.২৩ শতাংশ।
সূচকের উত্থানের পাশাপাশি ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণও। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৯৮৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৭৭১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। এক সপ্তাহে লেনদেন বেড়েছে ২১৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
আর প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ৪৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা বা ২৬.৮৫ শতাংশ। চলতি সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩৯৭ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছিল ৩৫৪ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ৩৬৯টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৪৭টি কোম্পানির, কমেছে ১৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এসএম
পুঁজিবাজার
ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টসের লভ্যাংশ ঘোষণা
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস ব্লেন্ডার্স পিএলসি গত ৩০ জুন,২০২৫ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কোম্পানিটি আলোচিত বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে। এর মধ্যে ৮০ শতাংশ নগদ ও বাকি ৫০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানি পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সর্বশেষ বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ৪৩ টাকা ১৮ পয়সা আয় হয়েছে। আগের বছর শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ২৪ টাকা ৮২ পয়সা।
সমপ্ত বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো হয়েছে মাইনাস ৬৭ টাকা ৮৩ পয়সা। গত বছর প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ৫ টাকা ৬৩ পয়সা।
গত ৩০ জুন, ২০২৫ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ২০৯ টাকা ৩৫ পয়সা।
আগামী ৩১ জানুয়ারি, সকাল ১১ টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২২ ডিসেম্বর।
এসএম
পুঁজিবাজার
ইউনাইটেড পাওয়ারের আয় কমেছে ৩১ শতাংশ
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড গত ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় কমেছে ৩০.৭১ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্যমতে, চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই’২৪-সেপ্টেম্বর’২৪) সমন্বিতভাবে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ৪ টাকা ৯৪ পয়সা আয় হয়েছে। গতবছর প্রথম প্রান্তিকে সমন্বিত শেয়ার প্রতি ৭ টাকা ১৩ পয়সা আয় হয়েছিল।
আলোচিত প্রান্তিকে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো ছিল ৬ টাকা ৬২ পয়সা, যা গত বছর একই সময়ে ১ টাকা ৮৫ পয়সা ছিল। গত ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ৭৮ টাকা ৮৩ পয়সা।
এমকে
পুঁজিবাজার
ফু-ওয়াং সিরামিকের আয় কমেছে ৫৭ শতাংশ
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ফু-ওয়াং সিরামিক ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড গত ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে সমাপ্ত চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় কমেছে ৫৭ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে আলোচিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয় হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই’২৫-সেপ্টেম্বর’২৫) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ৩ পয়সা আয় হয়েছে। গতবছর প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি ৭ পয়সা আয় হয়েছিল।
আলোচিত প্রান্তিকে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো ছিল ১২ পয়সা, যা গত বছর একই সময়ে ৪৪ পয়সা ছিল।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ১২ টাকা ৩ পয়সা।
এমকে
পুঁজিবাজার
শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দেবে না কোয়েস্ট বিডিসি
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি কোয়েস্ট বিডিসি লিমিটেড (সাবেক প্রদ্মা প্রিন্টার্স অ্যান্ড কালারস) গত ৩০ জুন, ২০২৫ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোম্পানিটি আলোচিত বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দেবে না। আলোচিত বছরে কোম্পানিটি মুনাফা করলেও পুঁঞ্জিভুত লোকসান থাকায় পর্ষদ লভ্যাংশ ঘোষণা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সর্বশেষ বছরে কোম্পানিটি সমন্বিতভাবে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ৩৪ পয়সা আয় করেছে। আগের বছর শেয়ার প্রতি ১৫ পয়সা আয় হয়েছিল। গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ২৩ টাকা ১১ পয়সা।
আগামী ৩১ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ ডিসেম্বর।
এমকে
পুঁজিবাজার
দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগে আশানুরূপ সাড়া নেই পুঁজিবাজারে: আমির খসরু
ব্যাংকগুলো স্বল্পমেয়াদী ঋণ নিয়ে দীর্ঘ মেয়াদী ঋণ দেয়া পরিচালনা করে। অথচ পুঁজিবাজার দীর্ঘ মেয়াদী বিনিয়োগের ক্ষেত্র হলেও এতে আশানুরূপ সাড়া মেলেনি বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) ঢাকায় হোটেল শেরাটনে চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসির (সিএসই) “ ডিসকাশন অন লঞ্চিং কমোডিটি এক্সচেঞ্জ ইন বাংলাদেশ” শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এতে বাংলাদেশের প্রথম সারির ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং চেয়ারম্যানগন অংশগ্রহণ করেন।
আমির খসরু বলেন, আমাদের পুঁজিবাজার তার অভীষ্ট গন্তব্যে পৌঁছতে পারেনি। অর্থনৈতিক গতিশীলতার জন্য মার্কেটে প্রোডাক্ট ডাইভারসিফিকেশন আনতে হবে। সেজন্য আমাদের আত্মবিশ্বাসী হতে হবে এবং নতুন নতুন প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করতে হবে। ফ্রন্টিয়ার মার্কেট থেকে এমাজিং মার্কেটে যাওয়ার পথটা সুগম করতে হবে। বন্ড, কমোডিটিসহ নতুন প্রোডাক্ট যত দ্রুত চালু হবে তত দ্রুত অর্থনীতি সুগঠিত হবে।
তিনি আরও বলেন, আপনারা যারা বিভিন্ন ব্যাংক থেকে এসেছেন আপানাদেরকেই ভুমিকা নিতে হবে, সিএসইর এই নতুন মার্কেট স্থাপনে আপানদের সক্রিয় অংশগ্রহন করতে হবে, এখানে যে ইনভেস্ট করবেন সেই ইনভেস্টমেন্ট হবে আপনার ব্যালেন্স শিটের একটি নিউ উইন্ডো। দেশের বাইরে থাকা বাংলাদেশি ভাইয়েরা এই দেশে বিনিয়োগ করতে চায়, নতুন যে কোন ভাল উদ্যোগে তারা আসতে আগ্রহী। আমাদের সেজন্য কাজ করতে হবে এবং নতুন ইনভেস্টমেন্ট এর জন্য উদ্যোগী হতে হবে। ডেরিভেটিভস মার্কেট একটি বিশাল সম্ভাবনার বাজার যা অর্থনীতিকে গতিশীল করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে। আর পুঁজিবাজারের উন্নয়নে সিএসইর এই কমোডিটি মার্কেট স্থাপনের উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই এবং আসুন সবাই মিলে একে সফল করি।
উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিএসইর সাবেক প্রেসিডেন্ট, এমকেএম মহিউদ্দিন। এছাড়া সিএসইর চেয়ারম্যান একেএম হাবিবুর রহমান, পরিচালক প্রফেসর ড মো. সাইফুল ইসলাম, ড মাহমুদ হাসান, এম জুলফিকার হোসেন, মেজর (অবঃ) এমদাদুল ইসলাম এবং মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের মূল প্রতিপাদ্য উপস্থাপনা করেন সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. সাইফুর রহমান মজুমদার। এ সময় সিএসইর সকল ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিএসইর চেয়ারম্যান একেএম হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, কমোডিটি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের জন্য সম্পূর্ণ নতুন ধারণা এবং পুঁজিবাজারের জন্য নতুন অ্যাসেট ক্লাস। বাংলাদেশের কমোডিটি ইকোসিস্টেমে অবকাঠামোগত উন্নয়ন সাধনের মাধ্যমে উন্নত বাজার-ব্যবস্থা গঠন সহজতর হবে। ফলে সুনিয়ন্ত্রিত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক কমোডিটি ডেরিভেটিভস মার্কেট গঠনের মাধ্যমে প্রাইস ডিসকভারি ও হেজিং সুবিধার পাশাপাশি সৃষ্টি হবে নতুন বিনিয়োগ, যা প্রাতিষ্ঠানিক ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। সিএসইর দেশে প্রথম কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠা গর্বের বিষয়। তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন ।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে মেজর (অবঃ) এমদাদুল ইসলাম সিএসইর প্রতিষ্ঠায় এবং পুঁজিবাজারের উন্নয়নে আমির খসরুর সাবেক গতিশীল ভূমিকা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, আজকের মতবিনিময় সভা এক ধরণের সচেতনতামূলক সভা। সিএসই বাংলাদেশে প্রথমবারের মত কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছে এবং আপনাদের সকলের সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা সফল হব বলে আশা করছি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এমকেএম মহিউদ্দিন বলেন, সিএসই টিমের প্রস্তুতি এবং দৃঢ়তা প্রশংসনীয়। অর্থাৎ আজকের উপস্থাপনা এবং প্রশ্নোত্তর পর্বে রেসপন্স দেখে আমরা বুঝতে পারছি ইতিমধ্যে সিএসই কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠার জন্য সব ধরনের প্রস্ততি সম্পন্ন করেছে এবং তাদের আত্মবিশ্বাস দৃশ্যমান। যেহেতু কমোডিটি এক্সচেঞ্জ ধারনাটি আমাদের সবার কাছে নতুন, তাই সবাইকে অনেক জানতে হবে, শিখতে হবে। সেজন্য শুরু করাটা জরুরী। এখানে উল্লেখ্য, সিএসইর উদ্যোগগুলো সব সময় প্রশংসনীয়। অতীতের মত অটোমেশন, ইন্টারনেট ট্রেড, সেফ, সিডিবিএল ইত্যাদি স্থাপনের মত উদ্যোগ প্রথমে সিএসই নিয়েছে, তেমনি এই কমোডিটি মার্কেট শুরুর উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে আহবান করেন সংশ্লিষ্ট সকলকে বিশেষ করে ব্যাংকগুলোকে পিভটাল অংশগ্রহণকারী হিসেবে এগিয়ে আসতে।
তিনি আরও বলেন ,একটি নতুন আসেট ক্লাসকে আরও জানতে হবে, বুঝতে হবে এবং সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে।
আগত ব্যাংকগুলো প্রতিনিধিদের মধ্য থেকে ঢাকা ব্যাংকের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই সরকার বলেন, অনেক আগে একবার উদ্যোগ নেয়া হলেও কমোডিটি মার্কেট স্থাপিত হয় নি। আজকে সিএসইর এই সাহসী উদ্যোগকে আমাদের স্বাগত জানাতে হবে এবং সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে। একদিনে আমরা সব বুঝতে পারবো না, শুরু হলে ধীরে ধীরে বিষয়গুলো আমরা সবাই বাস্তবিকভাবে বুঝতে পারবো। সারা বিশ্বজুড়ে এই মার্কেট বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখছে। আশা করছি, আমাদের দেশেও এই নতুন মার্কেট অর্থনীতির সামগ্রিক উন্নয়নে অবদান রাখবে।
সভায় উপস্থিত অংশীজন ও আলোচকগণ কমোডিটি ডেরিভেটিভস এক্সচেঞ্জ প্লাটফর্মের সম্ভাব্য ব্যবসায়িক সুযোগ-সুবিধা বিষয়ে বিশদ আলোচনা করেন এবং তারা বৈশ্বিক অভিজ্ঞতা, পরিচালন কাঠামো ও অর্থনৈতিক প্রভাব তুলে ধরেন। তাঁরা ডেরিভেটিভ মার্কেট গঠনে স্বচ্ছতা, কাঠামোবদ্ধতা ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করেন যা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। অংশগ্রহণকারীগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে মতবিনিময় সভাতে তাঁদে্র মতামত শেয়ার করেন। এছাড়া বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে এই নতুন অ্যাসেট ক্লাসের সাথে, যার মাধ্যমে অর্থনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক সূচিত হতে যাচ্ছে তাঁরা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের প্রত্যয় এবং শুভ কামনা ব্যক্ত করেন।
সিএসইর পরিচালক মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন চৌধুরী বলেন, কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠার জন্য ব্যাংকগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। তাদের সাবসিডিয়ারি স্টক ব্রোকারদের সহযোগিতার পাশাপাশি ব্যবসার সম্প্রসারণ ও ডাইভারফিকেশন-এর জন্যও কমোডিটি মার্কেট স্থাপনে ভূমিকা রাখতে হবে।
সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. সাইফুর রহমান মজুমদার, জেনারেল ম্যানেজার মো. মেজবাহ উদ্দিন, মো. মর্তুজা আলম এবং এজিএম ফয়সাল হুদা প্রশ্ন-উত্তর পর্বে অংশ নেন। এ পর্যায়ে সিএসইর চেয়ারম্যান একেএম হাবিবুর রহমান উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে মতবিনিময় সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
অর্থসংবাদ/কাফি



