জাতীয়
শুরু প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন, জেনে নিন কোন দেশে কখন
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ডাকযোগে ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দিতে ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ নামের একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়েছে।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন অ্যাপটি উদ্বোধন করেন। দেশের ইতিহাসে এই প্রথম প্রবাসীরা পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, অ্যাপে নিবন্ধনের পর প্রবাসী ভোটারদের কাছে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে। সেখানে টিক বা ক্রস চিহ্ন দিয়ে ভোট দিতে পারবেন তারা। ব্যালটে ‘না’ ভোটেরও সুযোগ থাকবে; তবে শুধু সেই আসনে যেখানে একজন প্রার্থী আছেন, সেখানকার ভোটাররাই ‘না’ ভোট দিতে পারবেন।
ইসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ধাপে ধাপে বিভিন্ন দেশের প্রবাসীরা ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধনের সুযোগ পাবেন। বিভিন্ন অঞ্চলের জন্য পাঁচ দিন করে নিবন্ধনের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ বুধবার থেকে পূর্ব এশিয়া, আফ্রিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকার প্রবাসীদের নিবন্ধনের মাধ্যমে এই কার্যক্রম শুরু হচ্ছে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন (ইসি) মোট ১৪৮টি নির্দিষ্ট দেশে পোস্টাল ভোটিং নিবন্ধনের সময়সূচি ঘোষণা করেছে। অঞ্চলভিত্তিক ধাপে ধাপে সম্পন্ন হবে এই নিবন্ধন কার্যক্রম।
পূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ আমেরিকা ও আফ্রিকার ৫২ দেশে ১৯ থেকে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধন চলবে।
উত্তর আমেরিকার ১৪ দেশ ও ওশেনিয়ার দুটি দেশে নিবন্ধন চলবে ২৪ থেকে ২৮ নভেম্বর।
ইউরোপের ৪২ দেশে ২৯ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বরের মধ্যে নিবন্ধন করতে হবে।
সৌদি আরবে নিবন্ধন শুরু হবে ৪ ডিসেম্বর, চলবে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
ব্যালট পাঠানোর খামের সঙ্গে একটি ঘোষণাপত্র দেওয়া হবে, যেখানে ভোটারকে স্বাক্ষর করতে হবে। ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর না থাকলে সেই ভোট বাতিল বলে গণ্য হবে।
প্রবাসীদের পাশাপাশি নির্বাচনি দায়িত্বে থাকা সরকারি কর্মকর্তা এবং দেশের ৭১টি কারাগারের বন্দি ও কয়েদিরাও এবার পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেবেন। তাদের জন্যও আলাদা নিবন্ধন পদ্ধতি থাকবে।
ইসি সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৫০ লাখ প্রবাসী ভোটারকে এবারের নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগের আওতায় আনার লক্ষ্য রয়েছে নির্বাচন কমিশনের।
ইসির অতিরিক্ত সচিব ও প্রবাসী ভোটার প্রকল্পের পরিচালক কে এম আলী নেওয়াজ জানান, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হলে অ্যাপে প্রতিটি আসনের প্রার্থী ও প্রতীক দেখা যাবে। এরপর ভোটাররা ১১৯টি প্রতীকের মধ্যে পছন্দেরটিতে টিক বা ক্রস দিতে পারবেন।
প্রকল্পের টিম লিডার সালীম আহমাদ খান বলেন, ভোট দেওয়ার পর ব্যালট রিটার্ন খামে ভরে নিকটস্থ পোস্ট অফিসে জমা দিলেই হবে। ডাকমাশুল আগে থেকেই পরিশোধ করা থাকবে, ফলে ব্যালট নিরাপদে বাংলাদেশে পৌঁছে যাবে।
এমকে
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ গ্রেপ্তার
ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) যৌথ টিম। ১৮৯ কোটি টাকার ঋণ কেলেঙ্কারি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) তার নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তদন্ত কর্মকর্তা উপ-সহকারী পরিচালক মো. শাহজালালের নেতৃত্বে দুদকের একটি টিম আজই তাকে আদালতে হাজির করবেন বলে সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।
ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ ২০২৫ সালের ১৬ জুলাই ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান থেকে পদত্যাগ করেন। এর আগে তিনি রূপালি ব্যাংকের এমডি ও অগ্রণী ব্যাংকসহ কয়েকটি ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর অগ্রণী ব্যাংকের চট্টগ্রামের আছাদগঞ্জ শাখা থেকে নিয়ম ভেঙে ঋণ নেওয়ার মাধ্যমে ১৮৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ব্যাংকটির সাবেক এমডি সৈয়দ আব্দুল হামিদ, নুরজাহান গ্রুপের পরিচালক ও ওবায়েদ উল্লাহসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
মামলার আসামিরা হলেন- অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সৈয়দ আব্দুল হামিদ, অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড আছাদগঞ্জ শাখার সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার ও মহাব্যবস্থাপক মোস্তাক আহমেদ, সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক মো. আবুল হোসেন তালুকদার, সাবেক মহাব্যবস্থাপক (ঢাকা সার্কেল-২) মো. ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ, সাবেক মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শামস উল ইসলাম, সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক তাজরীনা ফেরদৌসী ও সাবেক মহাব্যবস্থাপক মো. মোফাজ্জল হোসেন।
এছাড়া মেসার্স মিজান ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মো. মিজানুর রহমান, জাসমীর ভেজিটেবল ওয়েল লিমিটেডের এমডি জহির আহমেদ, ওই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক টিপু সুলতান ও ফরহাদ মনোয়ারকেও আসামি করা হয়েছে।
দুদক সূত্রে জানা যায়, মেসার্স মিজান ট্রেডার্সের নামে ছোলা ও গম আমদানির জন্য ঋণ মঞ্জুর করা হলেও প্রকৃত সুবিধাভোগী ছিল নুরজাহান গ্রুপ ও তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠান জাসমীর ভেজিটেবল ওয়েল লিমিটেড। বেতনভোগী কর্মকর্তা মিজানুর রহমানকে ব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে ঋণ অনুমোদন ও উত্তোলন করে। নুরজাহান গ্রুপের একটি বেনামি প্রতিষ্ঠানের নামে শাখায় হিসাব খোলা থেকে শুরু করে হিসাব পরিচালনার জন্য নুরজাহান গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান জাসমীর ভেজিটেবল অয়েলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহির আহমেদকে হিসাব পরিচালনার জন্য দেওয়া হয়। নতুন এই প্রতিষ্ঠানকে বিপুল অঙ্কের ঋণ মঞ্জুরি এবং পরে ঋণ মঞ্জুরিপত্রের শর্তাবলি যথাযথভাবে পরিপালন নিশ্চিত না করে সু-পরিকল্পিতভাবে ব্যাংকের ৫১ কোটি টাকা (বর্তমানে সুদে-আসলে ১৮৯.৮০ কোটি টাকা) আত্মসাৎ করে আসামিরা।
এমকে
জাতীয়
নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে সেনাবাহিনীর সহায়তা প্রয়োজন: প্রধান উপদেষ্টা
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ, উৎসবমুখর ও আনন্দময় করতে সেনাবাহিনীর সহায়তা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে মিরপুর সেনানিবাসের ডিফেন্স সার্ভিস কমান্ড ও স্টাফ কলেজ (ডিএসসিএসসি) অডিটোরিয়ামে আয়োজিত কোর্স-২০২৫ গ্র্যাজুয়েশন সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দিতে গিয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।
ড. ইউনূস বলেন, দেশবাসীর দীর্ঘদিনের কাঙ্ক্ষিত এই নির্বাচনকে সত্যিকার অর্থে একটি শান্তিপূর্ণ উৎসব এবং আনন্দমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত করতে আমাদের সেনাবাহিনীর সহায়তা একান্তভাবে কামনা করছি।
এর আগে, তিনি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সেনাবাহিনীর ভূমিকা স্মরণ করে বলেন, সেনাবাহিনী সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এবং এই কারণে আমি তাদের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করি।
এবারের কোর্সে বাংলাদেশ, চীন, ভারত, তুরস্ক ও পাকিস্তানসহ বিশ্বের ২৪টি দেশের ৩১১ জন তরুণ সামরিক অফিসার অংশগ্রহণ করেন। কোর্স সম্পন্নকারী অফিসাররা তাদের অর্জিত জ্ঞান ব্যক্তি ও পেশাগত জীবনে কাজে লাগিয়ে দেশের যে কোনো সংকটময় মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবেন বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
কোর্সে অংশ নেওয়া এক বাংলাদেশি অফিসার বলেন, ডিএসসিএসসি-তে এই কোর্সে আমরা যে নেতৃত্ব, কৌশল এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করেছি, তা আমাদের দেশের এবং এর বাইরে যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত করবে। বিশেষ করে যে কোনো জাতীয় সংকটে আমরা আমাদের অর্জিত জ্ঞান প্রয়োগ করতে প্রস্তুত।
চীনের এক অফিসার বলেন, বাংলাদেশের এই সামরিক প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে চলেছে। ২৩টি দেশের সহকর্মীদের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ পাওয়ায় আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ক এবং বোঝাপড়া আরও শক্তিশালী হয়েছে। আমরা আশা করি, এই জ্ঞান ভবিষ্যতে আমাদের নিজ নিজ দেশকে নিরাপত্তা দিতে কাজে লাগবে।
বাংলাদেশি আরেক অফিসার বলেন, আমাদের প্রধান উপদেষ্টা যে কথাগুলো বলেছেন, তা অত্যন্ত সময়োপযোগী। আমরা আশা করি, আমরা যারা এই কোর্স সম্পন্ন করলাম, তারা দেশ রক্ষায় এবং প্রয়োজনে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজে, যেমন: একটি সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়ায়, আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখতে প্রস্তুত থাকব।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশসহ ২৪টি দেশের সামরিক বাহিনীর তরুণ অফিসারদের মধ্যে সনদ তুলে দেন প্রধান উপদেষ্টা।
এমকে
জাতীয়
বাংলাদেশ ফুটবল দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে ভারতের বিরুদ্ধে ১-০ গোলের জয় পাওয়ায় বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস অভিনন্দন জানিয়েছেন।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক অভিনন্দন বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, এই জয় প্রতিটি বাংলাদেশিকে গর্বিত করেছে। এটি কেবল একটি ফুটবল ম্যাচের জয় নয়; এটি লক্ষ লক্ষ তরুণ-তরুণী, যারা খেলাধুলাকে ইতিবাচক শক্তির উৎস হিসেবে দেখে, তাদের জন্য অনুপ্রেরণা। জাতি গঠনে খেলাধুলার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ভারতের মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে এমন একটি জয় এক্ষেত্রে একটি তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতি।
অভিনন্দন বার্তায় তিনি আরও বলেন, এই জয় বাংলাদেশের ফুটবলের গৌরবময় দিনগুলো ফিরে পেতে সহায়তা করবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ২০২৪ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ফুটবলকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়ে আসছে এবং আশা রাখি আগামী দিনের সরকারগুলো এই ধারা অব্যাহত রাখবে।
এর আগে, মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) ঢাকায় ফুটবলপ্রেমী দর্শকে পরিপূর্ণ স্টেডিয়ামে অর্জিত এই জয়টি ২২ বছর পর ভারতের বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে বাংলাদেশের প্রথম জয়।
এমকে
জাতীয়
বিজয় দিবসে এবারও হচ্ছে না প্যারেড: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
গতবারের মতো এবারও মহান বিজয় দিবসে প্যারেড হবে না বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে মহান বিজয় দিবস-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তা সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।
শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়ার পর কিছুটা রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। এক্ষেত্রে বিজয় দিবস উপলক্ষে কোনো নাশকতার আশঙ্কা কিংবা অন্য কোনো সমস্যা আছে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, রায়ের পরে কোনো ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি হয়নি। বিজয় দিবসেও কোনো অস্থিরতার সম্ভাবনা নেই।
তিনি বলেন, আগেও যেভাবে বিজয় দিবস হয়েছে, এবারও একইভাবে হবে। আগের থেকে আরও বেশি হবে। তবে, গতবারও প্যারেড হয়নি, এবারও প্যারেড হচ্ছে না।
এদিকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়া কাউকে উঠিয়ে নেওয়া ঠিক না হলেও গতকাল রাতে একজন সাংবাদিককে ডিবি পরিচয়ে বাসা থেকে তুলে নেওয়া হয় এবং সকালে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এই জিনিসটা আপনার কাছে প্রথম শুনলাম, ইনভেস্টিগেশন করার পর হয়তো আমি জানতে পারবো।
এক্ষেত্রে পুলিশের অপরাধ হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগে আমি দেখবো।
এমকে
জাতীয়
সুষ্ঠু নির্বাচন করতে ইসি ওয়াদাবদ্ধ: সিইসি
আসন্ন নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার জন্য সব রাজনৈতিক দলের প্রতি সহযোগিতা ও আচরণবিধি কঠোরভাবে মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, একটি সুন্দর নির্বাচন জাতির কাছে সব দলেরই ওয়াদা এবং নির্বাচন কমিশন (ইসি) দেশের মানুষের কাছে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে ওয়াদাবদ্ধ।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সংলাপে এ কথা বলেন সিইসি।
সিইসি নাসির উদ্দিন জোর দিয়ে বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কমিশনের প্রত্যাশা, সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনী আচরণবিধি পরিপালনে তাদের প্রতিশ্রুতি বজায় রাখবে। তিনি উল্লেখ করেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা জরুরি, যার প্রধান শর্ত আচরণবিধি মেনে চলা।
নির্বাচন সফল করার ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চেয়েও রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকাকেই সবচেয়ে বড় বলে আখ্যায়িত করেন সিইসি। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চেয়েও ভোটে বড় ভূমিকা রাজনৈতিক দলগুলোর। দলগুলো আন্তরিকভাবে কাজ করলে নির্বাচন কমিশনকে বাড়তি চাপ নিতে হয় না।
তিনি ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়ানোর ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা কামনা করেন। সব দল নিজ নিজ কর্মীদের মাধ্যমে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসার জন্য উৎসাহিত করবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সিইসি বলেন, শপথ গ্রহণের পর থেকেই রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলাপ-আলোচনা চললেও, সংস্কার কমিশনের (ইআরএসসি) কাজের কারণে নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে পূর্ণাঙ্গ আলোচনা শুরু করতে কিছুটা দেরি হয়েছে। গত বছরের ২৪ নভেম্বর শপথ গ্রহণের পর থেকেই রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা শুরু হয়। তবে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের কাজ চলমান থাকায় এবং জাতীয় নেতৃবৃন্দ অনেকেই সেই আলোচনায় ব্যস্ত থাকায়, ইসি সমান্তরালভাবে আরেকটি আলোচনা চালাতে চায়নি। কমিশনের কার্যক্রম শেষ হওয়ার পরই এই আলোচনা শুরু করা হয়েছে।
সিইসি জানান, শুধু নির্বাচন কমিশনই নয়, সব রাজনৈতিক দলই জাতির কাছে একটি সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য ওয়াদাবদ্ধ। সবাই কিন্তু একটা সুন্দর গ্রহণযোগ্য একটা নির্বাচনের জন্য জাতির কাছে ওয়াদা দিয়েছেন।
সংস্কার কমিশনের অনেক সুপারিশ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংস্থার লিখিত মতামত পর্যালোচনা করে আচরণবিধি চূড়ান্ত করা হয়েছে। সিইসি জোর দিয়ে বলেন, আচরণ বিধি প্রস্তুত করাটা বড় কাজ নয়। আচরণ বিধি পরিপালনটাই হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, গত ১০-১৫ বছরে ভোটারদের মধ্যে এক ধরনের ভোট-বিমুখতা সৃষ্টি হয়েছিল। এজন্য আপনারা, জাতীয় নেতৃবৃন্দ, পলিটিক্যাল লিডাররা…সরাসরি তৃণমূলের সাথে যাদের সম্পর্ক…আপনারা জনগণকে একটু উদ্বুদ্ধ করে একটু ভূমিকা রাখবেন। আমরা আশা করি যাতে মানুষ ভোট কেন্দ্রে আসে এবং ব্যাপক সংখ্যায় আসে।
রাজনৈতিক দলের গুরুত্ব তুলে ধরে সিইসি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চাইতেও বড় ভূমিকা রাখে রাজনৈতিক দল এবং তাদের প্রার্থীরা। অতীতে এমন নজির দেখা গেছে। দলগুলো আচরণবিধি পরিপালনে তাদের প্রত্যাশিত ভূমিকা রাখবে।
তিনি আরও বলেন, কিভাবে আমরা সবাই মিলে রাজনৈতিক দল এবং দেশের ভোটার এবং নির্বাচন কমিশন আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সবাই মিলে কিভাবে আমরা একটা সুন্দর নির্বাচন জাতিকে উপহার দিতে পারি সেই লক্ষ্যে আমরা একসাথে কাজ করব।
এমকে



