জাতীয়
দুই দিনের সফরে আজ পাবনা যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শনিবার (৮ নভেম্বর) দুই দিনের সরকারি সফরে নিজ জেলা পাবনায় আসছেন। সোমবার (৩ নভেম্বর) রাষ্ট্রপতির প্রটোকল অফিসার আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান স্বাক্ষরিত সংশোধিত এক সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে জানানো হয়েছিল, রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন গত বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) চার দিনের সফরে প্রায় দেড় বছর পর নিজ জেলা পাবনায় আসবেন। তবে সংশোধিত সূচি অনুযায়ী তার সফরের সময়সীমা কমিয়ে দুই দিন করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন শনিবার সকালে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকা থেকে পাবনার উদ্দেশে রওনা হবেন। পৌঁছে জেলা সার্কিট হাউসে গার্ড অব অনার গ্রহণ করবেন তিনি। এরপর কেন্দ্রীয় কবরস্থান আরিফপুরে গিয়ে তার মা-বাবার কবর জিয়ারত করবেন।
সাড়ে ১১টার দিকে রাষ্ট্রপতি কালাচাঁদপাড়ার জুবলীট্যাঙ্কস্থ নিজ বাসভবনে যাবেন। দুপুরের পর আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে সময় কাটাবেন ও সাক্ষাৎ করবেন। এ ছাড়া সন্ধ্যা ও রাতে সার্কিট হাউসে নিকটাত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করবেন রাষ্ট্রপতি। রাতে পাবনা সার্কিট হাউসেই অবস্থান করবেন তিনি।
সফরের শেষ দিন রোববার (৯ নভেম্বর) সকালে সার্কিট হাউসে গার্ড অব অনার গ্রহণ শেষে রাষ্ট্রপতি হেলিকপ্টারযোগে ঢাকার উদ্দেশে ফিরে যাবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, রাষ্ট্রপতির সফরকে ঘিরে জেলায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি জেলা প্রশাসককে প্রশাসনিক কার্যক্রম সমন্বয় ও প্রয়োজনীয় যানবাহনের ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
জাতীয়
কানাডা গেলেন সাবেক পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিন
নিয়োগের প্রায় পাঁচ মাস পর অবশেষে কানাডায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার হিসেবে যোগ দিয়েছেন সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন। গত ২২ মে থেকে তিনি ছুটিতে ছিলেন। বেশ কিছু প্রচলিত প্রথা না মেনে অনেকটা নীরবে তিনি কানাডা গেলেন বলে মনে করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, গত শুক্রবার (১ নভেম্বর) তিনি টরন্টো পৌঁছান এবং পরে অটোয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে যোগ দেন।
সূত্র জানায়, যাওয়ার আগে তিনি সাক্ষাৎ পাননি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূসের। এমনকি পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গেও তার আনুষ্ঠানিক কোনো বৈঠক হয়নি। শুধু নতুন পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আলম সিয়ামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আনুষ্ঠানিকতা সেরেছেন।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে দেশের ২৭তম পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে দায়িত্ব নেন বিসিএস (পররাষ্ট্র ক্যাডার) ১৩তম ব্যাচের কর্মকর্তা মো. জসীম উদ্দিন। দায়িত্ব নেওয়ার আট মাসের মাথায় অন্তর্বর্তী সরকার তাকে পদ থেকে সরিয়ে ছুটিতে পাঠায়। তার আচমকা পদত্যাগ বা সরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে সরকার এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা দেয়নি।
জাতীয়
শাহবাগে শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ
রাজধানীর শাহবাগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কলম সমর্পণ কর্মসূচিতে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। এতে ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন শিক্ষকরা।
শনিবার (৮ নভেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নারীসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক নেতারা। তবে তাৎক্ষণিক তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ গণমাধ্যমকে জানান, পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আমরা কলম সমর্পণ কর্মসূচি করতে শাহবাগে অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করি। শাহবাগ মোড়ে যাওয়ার আগেই রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে পুলিশ শিক্ষকদের আটকে দেয়। সেখানে অবস্থান নিয়ে শিক্ষকরা দাবি আদায়ে স্লোগান দিচ্ছিলেন। হঠাৎ পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে। এতে আমাদের কয়েকজন শিক্ষিকাসহ অনেকে আহত হয়েছেন।
এর আগে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শাহবাগ অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনরত সহকারী শিক্ষকরা।
জানা যায়, দশম গ্রেডে বেতন-ভাতা দেওয়াসহ তিন দফা দাবির পূর্বঘোষণা অনুযায়ী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাগাতর অবস্থান কর্মসূচি করছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। শনিবার সকাল ৯টা থেকে তারা শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়েছেন। দাবি পূরণ না করা পর্যন্ত তারা ঘরে ফিরবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
সহকারী শিক্ষকদের ৩ দফা দাবিগুলো হলো- দশম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ, ১০ বছর ও ১৬ বছরপূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড সমস্যার সমাধান ও শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা সাড়ে ৬৫ হাজারের বেশি। এসব বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক সংখ্যা তিন লাখ ৮৪ হাজার। গত ২৪ এপ্রিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১১তম থেকে দশম গ্রেডে এবং ১৩তম গ্রেডে থাকা শিক্ষকদের বেতন ১২তম গ্রেডে উন্নীত করার উদ্যোগ নেয়। তবে এ পদক্ষেপে সন্তুষ্ট নন সহকারী শিক্ষকরা।
জাতীয়
শিক্ষকদের আন্দোলনে পড়াশোনার ক্ষতি হলে কঠোর ব্যবস্থা: গণশিক্ষা উপদেষ্টা
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের গ্রেড ১৩ থেকে এক লাফে ১০-এ উন্নীত করার কোনও যৌক্তিকতা নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। একইসঙ্গে এই দাবি আদায়ে শিক্ষকরা যে আন্দোলনে নেমেছেন, তাতে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার ক্ষতি হলে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নিবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার (৮ নভেম্বর) সকালে খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের সামনে এসব কথা বলেন গণশিক্ষা উপদেষ্টা। সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাটের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের নিয়ে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের একবারে ১৩ থেকে দশম গ্রেডে আসার কোনো যুক্তিই নেই। তাদের এই মুহূর্তে আন্দোলনে যাওয়াও যৌক্তিক নয়। যদি বিদ্যালয়ে পড়াশোনা বিঘ্নিত হয়, সেক্ষেত্রে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে শিক্ষকদের কথা বলার সুযোগ আছে জানিয়ে তিনি বলেন, বেশিরভাগ শিক্ষক মনে করেন দশম গ্রেডের এই দাবি যৌক্তিক নয়। প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেডে উন্নীত করা হয়েছে। সাধারণ শিক্ষকদের সংখ্যা অনেক বেশি, এটি সম্ভব নয়। একবারে ১৩ থেকে দশম গ্রেডে আসার কোনো যুক্তিই নেই। তারা যেন ১১তম গ্রেড পেতে পারেন সেজন্য আমরা কাজ করছি। তাদের এই মুহূর্তে আন্দোলনে যাওয়াও যৌক্তিক নয়।
গণশিক্ষা উপদেষ্টা আরও বলেন, পদোন্নতির বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বলেছে সরকারের নীতি শতভাগ না দিয়ে ৮০ পার্সেন্ট দেওয়া, ২০ পার্সেন্ট নতুন নিয়োগের জন্য রাখা হয়েছে।
এর আগে, সকালে প্রাথমিক শিক্ষার গুনগতমান উন্নয়নে শিক্ষা সংশ্লিষ্ট অংশীজনের ভূমিকা বিষয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় মন্ত্রণালয়, বিভাগীয় প্রশাসন, জেলা প্রশাসন, শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় শিক্ষকদের নৈতিক, ব্যবহারিক, সহশিক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়।
জাতীয়
চলতি মৌসুমে সব মাহফিল স্থগিত করলেন আজহারী
ইসলামী আলোচক মিজানুর রহমান আজহারী উন্মুক্ত মাঠে অনুষ্ঠিতব্য চলতি বছর সব তাফসির মাহফিল স্থগিত করেছেন। শনিবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ ঘোষণা দেন।
মূল পোস্টে তিনি লেখেন, ‘উন্মুক্ত মাঠে অনুষ্ঠিত আমার এ বছরের বিভাগীয় সকল তাফসির মাহফিল স্থগিত ঘোষণা করা হলো।’
এরপর ফেসবুক পোস্টের কমেন্টে আজহারী লেখেন, গত বছর দেশব্যাপী আটটি বিভাগে তাফসিরুল কুরআন মাহফিলে অংশগ্রহণ করেছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ, প্রতিটি প্রোগ্রাম বেশ শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে। পবিত্র কুরআনের দুর্বার আকর্ষণে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসা জনতার উপচে-পড়া ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রশংসা করে তিনি বলেন, লাখো মানুষের এসব জমায়েত সামাল দিতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বেশ হিমশিম খেতে হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী, পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনী মাঠপর্যায়ে যে পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েছেন, তা সত্যিকার অর্থেই প্রশংসার দাবিদার।
তিনি লেখেন, বর্তমানে সারাদেশে নির্বাচনকেন্দ্রিক একটি আমেজ তৈরি হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভাষ্যমতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার কথা। নানা কারণে আসন্ন নির্বাচন আমাদের জাতীয় জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ইতোমধ্যে প্রায় সব রাজনৈতিক দল খুব জোরেশোরে তাদের সভা-সমাবেশ ও প্রচারণা কর্মসূচি শুরু করে দিয়েছে।
ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে তাদের মহা সমাবেশগুলো অনুষ্ঠিত হবে। জননিরাপত্তা নিশ্চিত করার স্বার্থে এসব মহা সমাবেশগুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করতে হবে বলে মনে করছেন তিনি।
আজহারী বলেন, এমতাবস্থায়, আমাদের পক্ষ থেকে নতুন কোনো প্রোগ্রামের আয়োজন তাদের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করতে পারে। আর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতা ছাড়া একেকটা তাফসির মাহফিলের বিশাল জনস্রোত সামলানো মুশকিলের বিষয় হয়ে দাঁড়াবে। জাতীয় স্বার্থে নির্বাচনের ঠিক আগমুহূর্তে আমাকে ঘিরে এ-ধরনের বড় তাফসির প্রোগ্রাম আয়োজন যুক্তিযুক্ত হবে বলে মনে করছি না।
স্থিতিশীল পরিবেশে তাফসিরুল কুরআনের মাহফিল করার আশ্বাস দিয়ে তিনি লিখেন, তাই, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায়— উন্মুক্ত মাঠে অনুষ্ঠিত আমার এ বছরের বিভাগীয় সকল তাফসির মাহফিল স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নির্বাচন-পরবর্তী স্থিতিশীল পরিবেশে তাফসিরুল কুরআনের ঐতিহাসিক প্রোগ্রামগুলোতে আমরা আবারও মিলিত হবো ইনশাআল্লাহ।
নিজের গড়া ফাউন্ডেশনের কথা তুলে ধরতে গিয়ে তিনি বলেন, আর ইতোমধ্যে অনেকেই হয়তো ‘হাসানাহ ফাউন্ডেশন’-এর কার্যক্রম সম্পর্কে জেনেছেন। শিক্ষাখাতে জাতীয় পর্যায়ে ভূমিকা রাখতে এ বছরই যাত্রা শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠাতা-চেয়ারম্যান হিসেবে সদ্য গড়ে তোলা ফাউন্ডেশনের কার্যক্রমে অধিক সম্পৃক্ত হওয়া এ মুহূর্তে অপরিহার্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই, বর্তমানে ফাউন্ডেশনের কাজেই পুরোপুরি আত্মনিয়োগ করতে হচ্ছে। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। হাসানাহ ফাউন্ডেশন-এর জন্য সকলের আন্তরিক দোআ প্রত্যাশা করছি।
এমকে
জাতীয়
টিটিপাড়ায় ৬ লেনের রেলওয়ে আন্ডারপাস চালু
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে রাজধানীর টিটিপাড়া আন্ডারপাস সাধারণ যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। শনিবার (০৮ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে এটি সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয় বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
সকালে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের নিয়োজিত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. শেখ মইনউদ্দিন পরিদর্শনে গিয়ে আন্ডারপাসটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালুর নির্দেশ দেন।
অতীশ দীপঙ্কর রোড ও কমলাপুর আউটার সার্কুলার রোডকে সংযুক্ত করেছে এই টিটিপাড়া আন্ডারপাস। আগে এখানে ছিল ব্যস্ত লেভেল ক্রসিং, যেখানে সড়ক ও রেলপথের যানবাহন একে অপরের জন্য অপেক্ষায় থাকত, ফলে নিয়মিত সৃষ্টি হতো যানজট। নির্বিঘ্ন চলাচল নিশ্চিত করতে লেভেল ক্রসিংটি সরিয়ে নির্মাণ করা হয় আধুনিক এই আন্ডারপাস, যা দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার কারণে রাজধানীবাসীকে ভোগান্তিতে ফেলেছিল।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় প্রায় দুই বছরের নির্মাণকাজ শেষে তৈরি হয়েছে ছয় লেনের এই আন্ডারপাস। এর মধ্যে চার লেন নির্ধারিত হয়েছে যান্ত্রিক যানবাহনের জন্য, আর দুই পাশে রিকশা ও সাইকেলের জন্য আলাদা লেন রাখা হয়েছে। পথচারীদের জন্যও রাখা হয়েছে প্রশস্ত ফুটপাত।
প্যাডেলচালিত যানবাহনের সুবিধার্থে দুই পাশের লেন কিছুটা উঁচু করা হয়েছে, যাতে ঢাল কম থাকে। ফলে এখন ট্রেন উপরের ট্র্যাকে চলবে আর নিচ দিয়ে সড়কপথের যানবাহন নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবে।
সড়কটির সৌন্দর্য বাড়াতে ডিভাইডারে ফুলের গাছ রোপণ করা হয়েছে, দুই পাশে বসানো হয়েছে ল্যাম্পপোস্ট এবং করা হয়েছে রোড মার্কিং। সব মিলিয়ে টিটিপাড়া আন্ডারপাস এখন আধুনিক ও নান্দনিক রূপে রাজধানীর নতুন সংযোগপথ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।



