পুঁজিবাজার
মেঘনা পেট্রোলিয়ামের পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। আগামী ০৬ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় কোম্পানিটির পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, আলোচিত সভায় ৩০ জুন,২০২৫ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ এ প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি।
এসএম
পুঁজিবাজার
কে অ্যান্ড কিউর পরিশোধিত মূলধন বাড়ানোর প্রস্তাবে বিএসইসির অসম্মতি
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান কে অ্যান্ড কিউ বাংলাদেশ লিমিটেডের পর্ষদ তাদের পরিশোধিত মূলধন বাড়াতে ৬ শতাংশ স্টক লভ্যাংশের ঘোষণা করেছিল। গত ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তিতে করে এ লভ্যাংশের ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে, কোম্পানিটির সংরক্ষিত মুনাফা তহবিলে পর্যাপ্ত মূলধন না থাকায় এ লভ্যাংশে অসম্মতি জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। তবে, কোম্পানিটি বিএসইসির কাছে বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার জন্য আবেদন জানাবে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৬ শতাংশ স্টকের পাশাপাশি আরো ৪ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের ঘোষণা দিয়েছে কে অ্যান্ড কিউ বাংলাদেশ। আলোচ্য অর্থবছরে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৯ টাকা ৪৯ পয়সা। আগের অর্থবছরে যা হয়েছিল ৬৭ পয়সা। গত ৩০ জুন শেষে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১০১ টাকা ৭২ পয়সা।
এদিকে, বিএসইসির এই অসম্মতির সিদ্ধান্তে কোম্পানিটির শেয়ারদর আজ ৮ টাকা ৮০ পয়সা কমে ৩৭২ টাকা ১০ পয়সায় নেমেছে। গত এক বছরে শেয়ারটির দর ১৮২ টাকা ১০ পয়সা থেকে ৪৯৮ টাকা ২০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করেছে।
এমকে
পুঁজিবাজার
একমির এজিএমে ৩৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান দি একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের ৪৯ বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়। শেয়ারহোল্ডারগণ ২০২৪-২০২৫ আর্থিক বছরের জন্য ৩৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন করেছেন। চেয়ারম্যান নাগিনা আফজাল সিনহা কোম্পানির ৪৯ বার্ষিক সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
সভায় উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. জাবিলুর রহমান সিনহা, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহানারা মিজান সিনহা, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাসনিম সিনহা, পরিচালক তানভীর সিনহা, পরিচালক সাবরিনা জুনেদ, পরিচালক ফাহিম সিনহা, স্বতন্ত্র পরিচালক দাস দেবা প্রসাদ (নিরীক্ষা কমিটি ও নমিনেশন এণ্ড রেমুনারেশন কমিটির চেয়ারম্যান), স্বতন্ত্র পরিচালক এহসান উল ফাত্তাহ, স্বতন্ত্র পরিচালক কাজী ছানাউল হক, মনোনীত পরিচালক নিরঞ্জন চন্দ্র দেবনাথ, অতিরিক্ত উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও হেড অব ইন্টারনাল অডিট এন্ড কম্পায়েন্স মো. হাসিবুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক ও প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ বদরুদ্দিন, সিনিয়র জি.এম. মো. আরশাদুল কবির এবং কোম্পানি সচিব মো. মাসুদুর রহমান ভূঁইয়া এফসিএস উপস্থিত ছিলেন। সভায় বিপুল সংখ্যক শেয়ারহোল্ডার যোগদান করেন।
সভায় কোম্পানির ২০২৪-২০২৫ আর্থিক বছরের উল্লেখযোগ্য সকল কার্যক্রম, বার্ষিক প্রতিবেদন, পরিচালনা পর্ষদের প্রতিবেদন, নিরীক্ষা প্রতিবেদন, আর্থিক প্রতিবেদন, ৩৫% নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা, পরিচালকগণের অবসর ও পুনঃনিয়োগ, নিরীক্ষক নিয়োগ ও সম্মানী নির্ধারণ, কম্পায়েন্স নিরীক্ষক নিয়োগ ও সম্মানী নির্ধারণ এবং ভবিষ্যতের উল্লেখযোগ্য কর্মপরিকল্পনা শেয়ারহোল্ডারদের নিকট উপস্থাপিত ও অনুমোদিত হয়।
অনুষ্ঠানে যোগদান করে ৪৯ বার্ষিক সাধারণ সভাকে সাফল্যমন্ডিত করায় কোম্পানির চেয়ারম্যান সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এমকে
পুঁজিবাজার
পরিচালন লোকসানেও পরিচালক-চেয়ারম্যানের ভাতা বাড়ালো ডিএসই
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) গত ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল ব্যবসায় বড় লোকসান করেছে। লেনদেন খরায় ডিএসইর পরিচালন লোকসান হয়েছে ৪৯ কোটি টাকা। এক্সচেঞ্জটির রাজস্ব আয় কমেছে। এমন মন্দা অবস্থায় পরিচালনা পর্ষদ পরিচালক ও চেয়ারম্যানের যেকোনো সভায় উপস্থিতির ভাতা বাড়িয়েছে ডিএসই। যা অযৌক্তিক ও অবিবেচিত সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, গত ৩০ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখে ডিএসইর ১১০২তম পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মনোনয়ন ও পারিশ্রমিক কমিটির (এনআরসি) সুপারিশের ভিত্তিতে ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ সভায় এবং বোর্ড কর্তৃক গঠিত যেকোনো কমিটির সভায় উপস্থিত প্রতিটি পরিচালকের জন্য সম্মানী ভাতা ২০ হাজার টাকা (ভ্যাট এবং কর বাদে) করার সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানের জন্য মাসিক সম্মানী ভাতা ৫০ হাজার টাকা (ভ্যাট এবং কর বাদে) করার সিদ্ধান্ত নেয়।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা বলছে, নিয়মিত পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। তাদের হাহাকার বাড়ছে। প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইর লেনদেন খরায় পরিচালন লোকসান হয়েছে ৪৯ কোটি টাকা। বছরের ব্যবধানে ডিএসইর লেনদেন কমেছে প্রায় ২৬ শতাংশ। এক্সচেঞ্জটির রাজস্ব আয় কমেছে প্রায় ২১ শতাংশ। ব্যবসা মন্দা চরমে থাকা অবস্থায় ডিএসইর পরিচালক ও চেয়ারম্যানের ভাতা বাড়ানোর অযৌক্তিক ও অবিবেচিত সিদ্ধান্ত।
এদিকে গত ২ নভেম্বর ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের সভায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করা হয়েছে। এতে দেখা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১ লাখ ১১ হাজার কোটি টাকা। আগের অর্থবছরে দেড় লাখ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছিল। সেই হিসাবে বছরের ব্যবধানে ডিএসইর লেনদেন কমেছে প্রায় ২৬ শতাংশ। আলোচিত অর্থবছরে এক্সচেঞ্জটিতে প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ৪৭২ কোটি টাকা। আগের অর্থবছরে যা হয়েছিল ৬২২ কোটি টাকা। সর্বশেষ সমাপ্ত অর্থবছরে ডিএসইতে একদিনের সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ১০ কোটি টাকা এবং সর্বনিম্ন লেনদেন হয়েছে ১৫৯ কোটি টাকা।
এছাড়াও, আলোচ্য হিসাববছরে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমেছে ডিএসইর রাজস্ব আয়। লেনদেনে বড় ভাটা পড়ায় আলোচ্য অর্থবছরে এক্সচেঞ্জটির রাজস্ব আয় কমেছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ডিএসইর মোট রাজস্ব আয় হয়েছে মাত্র ১০০ কোটি টাকা। আগের অর্থবছরে যা হয়েছিল ১২৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে এক্সচেঞ্জটির রাজস্ব আয় কমেছে ২৭ কোটি টাকা বা প্রায় ২১ শতাংশ।
আলোচিত অর্থবছরে ডিএসইর পরিচালন লোকসান হয়েছে ৪৯ কোটি টাকা। আগের অর্থবছরে এক্সচেঞ্জটির পরিচালন লোকসান হয়েছিল ২১ কোটি টাকা কম। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে ডিএসইর পরিচালন লোকসান বেড়েছে ২৮ কোটি টাকা বা ১৩৩ শতাংশ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ডিএসইর অপরিচালন খাত থেকে আয় হয়েছে প্রায় ১১০ কোটি টাকা। এর মধ্যে এফডিআরের সুদ ও বন্ডের বিনিয়োগ থেকে প্রায় ১০০ কোটি টাকা এবং ভবন ভাড়া দিয়ে আরও ১০ কোটি টাকা আয় হয়েছে। এই আয়ের সুবাদে আলোচিত অর্থবছরে এক্সচেঞ্জটি ৩৩ কোটি টাকা নিট মুনাফা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। আগের অর্থবছরে যেখানে ডিএসইর নিট মুনাফা হয়েছিল ৬১ কোটি ৩০ লাখ টাকা। সে হিসাবে বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির মুনাফা কমেছে ৪৭ শতাংশ।
২০২১-২২ অর্থবছরের পর থেকেই ধারাবাহিকভাবে কমছে ডিএসইর মুনাফা। করোনাকালীন মহামারির পরিস্থিতির মধ্যেও এক্সচেঞ্জটির ১২৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা নিট মুনাফা হয়েছিল। পরের অর্থবছরে এই মুনাফা কমে ৮০ কোটি ৬০ লাখ হয়। সর্বশেষ দুই অর্থবছরে ডিএসইর মুনাফা আরও কমলো।
এদিকে, সামান্য মুনাফা করায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের ঘোষণা দিয়েছে ডিএসই। এ হিসাবে এক্সচেঞ্জটির মোট ১৮০ কোটি ৩৮ লাখ শেয়ারের বিপরীতে ৩৬ কোটি ৮ লাখ টাকা নগদ লভ্যাংশ হিসেবে বণ্টন করতে হবে।
এসএম
পুঁজিবাজার
শ্যামপুর সুগারের সর্বোচ্চ দরপতন
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন শেষে দরপতনের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে শ্যামপুর সুগার মিলস লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সোমবার (২২ ডিসেম্বর) কোম্পানিটির শেয়ার দর ১৪ টাকা ৬০ পয়সা বা ৮.৪০ শতাংশ কমেছে।
দরপতনের এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল নূরানী ডায়িং। কোম্পানিটির শেয়ার দর ৫ শতাংশ কমেছে। আর তৃতীয় স্থানে থাকা নর্দার্ণ জুটের শেয়ার দর ৩.৬৭ শতাংশ কমেছে।
এছাড়াও, ডিএসইতে দরপতনের শীর্ষ দশে থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- আল আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক, ইয়াকিন পলিমার, ইবিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, জুট স্পিনার্স, আইসিবি ইমপ্লয়ি প্রভিডেন্ড এমএফ ওয়ান: স্কিম ওয়ান, জিলবাংলা সুগার মিল এবং মার্কেন্টাইল ইসলামী ইন্স্যুরেন্স পিএলসি।
এসএম
পুঁজিবাজার
দর বৃদ্ধির শীর্ষে মুন্নু এগ্রো
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) শেয়ার দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে মুন্নু এগ্রো অ্যান্ড মেশিনারি লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সোমবার (২২ ডিসেম্বর) কোম্পানিটির শেয়ার দর বৃদ্ধি পেয়েছে ২৯ টাকা ৭০ পয়সা বা ৮ দমমিক ৭৪ শতাংশ।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা রহিম টেক্সটাইলের শেয়ার দর বৃদ্ধি পেয়েছে ৮ দশমিক ৭১ শতাংশ। আর তৃতীয় স্থানে থাকা আইসিবি এএমসিএল সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ডের দর বৃদ্ধি পেয়েছে ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
দর বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে থাকা থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলো হলো- চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স, শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, সায়হাম কটন, জেমিনি সি ফুড, খান ব্রাদার্স, নিটল ইন্স্যুরেন্স এবং মনোস্পুল বাংলাদেশ পিএলসি।
এসএম




