রাজধানী
রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে এক দিনে ১ হাজার ৭০৯ মামলা
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের ঘটনায় ১ হাজার ৭০৯টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
শনিবার (১ নভেম্বর) দিনভর পরিচালিত অভিযানে এসব মামলা করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
ডিএমপির তথ্য অনুযায়ী- ট্রাফিক-মতিঝিল বিভাগে ৩৫টি বাস, ৪টি ট্রাক, ২৬টি কাভার্ডভ্যান, ৪৭টি সিএনজি ও ১৭৪টি মোটরসাইকেলসহ মোট ৩৫৪টি মামলা হয়েছে।
ট্রাফিক-ওয়ারী বিভাগে ৪৪টি বাস, ১টি ট্রাক, ১১টি কাভার্ডভ্যান, ১৪টি সিএনজি ও ২৯টি মোটরসাইকেলসহ মোট ১৩০টি মামলা হয়েছে।
ট্রাফিক-তেজগাঁও বিভাগে ১১টি বাস, ২টি ট্রাক, ১৩টি কাভার্ডভ্যান, ৪৩টি সিএনজি ও ১৫৬টি মোটরসাইকেলসহ মোট ২৬৭টি মামলা হয়েছে।
ট্রাফিক-মিরপুর বিভাগে ৬ টি বাস, ৮টি ট্রাক, ১৩টি কাভার্ডভ্যান, ১৬টি সিএনজি ও ১১০টি মোটরসাইকেলসহ মোট ১৯৫টি মামলা হয়েছে।
অন্যদিকে ট্রাফিক-গুলশান বিভাগে ৮১টি বাস, ৩টি ট্রাক, ৮টি কাভার্ডভ্যান, ২৯টি সিএনজি ও ৫০ টি মোটরসাইকেলসহ মোট ২৮২টি মামলা হয়েছে।
ট্রাফিক-উত্তরা বিভাগে ৪৩টি বাস, ১৩টি ট্রাক, ১৪টি কাভার্ডভ্যান, ৩৩টি সিএনজি ও ৭৮টি মোটরসাইকেলসহ মোট ২৫০টি মামলা হয়েছে।
ট্রাফিক-রমনা বিভাগে ৮টি বাস, ১০টি সিএনজি ও ৪৩টি মোটরসাইকেলসহ মোট ৯৩টি মামলা হয়েছে।
এছাড়াও ট্রাফিক-লালবাগ বিভাগে ৬টি বাস, ৮টি ট্রাক, ১টি কাভার্ডভ্যান, ২১টি সিএনজি ও ৬১টি মোটরসাইকেলসহ মোট ১৩৮টি মামলা হয়েছে। এছাড়াও অভিযানকালে মোট ৩০৫টি গাড়ি ডাম্পিং ও ১০৫ টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, রাজধানীতে ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
রাজধানী
ওসমান হাদির মৃত্যুর প্রতিবাদে উত্তাল শাহবাগ
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রাতভর আন্দোলন করেছেন ছাত্র-জনতা। আজ শুক্রবারও (১৯ ডিসেম্বর) চলছে এই আন্দোলন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শাহবাগে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের উপস্থিতি বাড়ছে। এসময় স্লোগানে উত্তাল রয়েছে শাহবাগ।
সরেজমিন দেখা গেছে, শাহবাগ মোড়ে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। মোড়েই অবস্থান নিয়েছেন ছাত্র-জনতা। উপস্থিত ছাত্র-জনতা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে স্লোগান দিচ্ছেন। আন্দোলনে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ যোগ দিয়েছেন।
রাজধানীর শান্তিনগর থেকে আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন শরিফুল হাসান। তিনি জানান, গত এক মাস আগেও এই শাহবাগে হাদী ভাইয়ের ডাকে আন্দোলন করেছি। আজ হাদী ভাই নেই, তার মৃত্যুর বিচারের দাবিতে আন্দোলন করতে হচ্ছে। এর চেয়ে দুঃখের বিষয় আর নেই।
এ সময় ‘এই মুহুর্তে দরকার, বিপ্লবী সরকার’ ‘এক দুই তিন চার, ইন্টেরিম গদি ছাড়’, ‘রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘গোলামি না আজাদী, আজাদী-আজাদী’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা-ঢাকা’, ‘ভারতের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘আমরা সবাই হাদি হবো, যুগে যুগে লড়ে যাবো’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা গেছে।
এমকে
রাজধানী
হাদি হত্যার প্রতিবাদে সাইন্সল্যাব মোড় অবরোধ শিক্ষার্থীদের
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদির হত্যার প্রতিবাদে রাজধানীর সাইন্সল্যাব মোড় অবরোধ করেছেন বিভিন্ন কলেজের উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আসপাশের প্রায় পাঁচটি সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সড়কে অবস্থান নেন। এ সময় সাইন্সল্যাব থেকে নীলক্ষেতগামী সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা কলেজ, আইডিয়াল কলেজ ও সিটি কলেজসহ আশপাশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সাইন্সল্যাব মোড়ে জড়ো হয়ে সড়ক অবরোধ করেন। এসময় প্রায় অর্ধশতাধবক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
অবরোধের ফলে সাইন্সল্যাব মোড় থেকে নীলক্ষেতগামী সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে ওই এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয় এবং সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
এসময় শিক্ষার্থীদের শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের বিচারের দাবি জানিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতেও দেখা গেছে।
এর আগে, গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে নির্বাচনী প্রচারণা শেষে ফেরার সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত হন ঢাকা-৮ আসনের স্বত্রন্ত্র প্রার্থী এবং রাজনৈতিক আন্দোলন ‘ইনকিলাব মঞ্চে’র মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়। সেখান থেকে পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ১৫ ডিসেম্বর ওসমান হাদিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুর জেনারেল হসপিটালে (এসজিএইচ) নেওয়া হয়।
ওসমান হাদি বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১০টার দিকে সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার মরদেহ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুর থেকে দেশে এসে পৌঁছাবে।
এমকে
রাজধানী
ট্রাভেল পাসের আবেদন করেছেন তারেক রহমান
দেশে ফিরতে অবশেষে বহুল আলোচিত ট্রাভেল পাসের জন্য আবেদন করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফেরার ঘোষণার পর থেকে কীভাবে তিনি ফিরবেন সেটা ছিল আলোচনার শীর্ষে।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় একট্রাভেল পাসেটি কূটনৈতিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করে।
সূত্র জানায়, ট্রাভেল পাসের জন্য ফরম পূরণ করে যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন ইউরোপের কো-অর্ডিনেটর কামাল উদ্দিনের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশ হাইকমিশনে পাঠিয়েছেন তারেক রহমান।
তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন/নেতাকর্মীদের ঢাকায় আনতে ৭ রুটে বিশেষ ট্রেন রিজার্ভ চায় বিএনপি
জানা যায়, তারেক রহমানের বাংলাদেশি পাসপোর্ট নেই। ব্রিটিশ পাসপোর্ট আছে কি না সেটাও জানা যায়নি। সেক্ষেত্রে তাকে দেশে ফিরতে হলে ট্রাভেল পাস ছাড়া বিকল্প ছিল না।
এই ট্রাভেল পাস নিয়ে এত আলোচনার কারণ হলো রাজনৈতিক কারণে লন্ডনে নির্বাসিত তারেক রহমান মেয়াদ ফুরানোর পর আর বাংলাদেশের পাসপোর্ট পাননি। সরকার পতনের পর সুযোগ থাকলেও তিনি পাসপোর্ট নবায়নের আবেদন করেননি। বর্তমান পরিস্থিতিতে এ কারণেই বাংলাদেশি হিসেবে তাকে দেশে ফিরতে হলে ট্রাভেল পাস নিয়েই আসতে হচ্ছে।
রাজধানী
ঢাকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর, শীর্ষে দিল্লি
বর্ষা মৌসুমে ঢাকার বাতাসের মান উন্নতির দিকে থাকলেও শীতকালে তাপমাত্রা কমায় বাতাসের মানে অবনতি হয়। রাজধানী ঢাকার বায়ুমান আজ ‘অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত প্রধান ১২৭ শহরের তালিকায় ঢাকা আজ অষ্টম স্থানে রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে আন্তর্জাতিক এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) অনুযায়ী, দূষণের মাত্রায় ঢাকার স্কোর ১৮২।
দূষণের এই তালিকায় ২৮৫ স্কোর নিয়ে প্রথম স্থানে রয়েছে ভারতের রাজধানী দিল্লি। দ্বিতীয় স্থানে থাকা চীনের উহানের স্কোর ২৫১। অন্যদিকে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারতের কলকাতার স্কোর ২২৭। এছাড়া ২০৫ স্কোর নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে চীনের হ্যাংজু ও ২০১ স্কোর নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে চীনের অন্য শহর বেইজিং।
একিউআই মান অনুযায়ী, ৫০ থেকে ১০০ স্কোর থাকলে তখন বায়ুর গুণমানকে ‘মাঝারি’ বলে বিবেচনা করা হয়। একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এ ছাড়া ৩০১ এর বেশি হলে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শীতকালে তাপমাত্রা কমায় ও বায়ুতে আর্দ্রতার পরিমাণ বাড়ায় দূষিত কণাগুলো নিচের দিকে আটকে থাকে। ফলে এই সময়ে সাধারণত ঢাকার বাতাস আরও বেশি দূষিত হয়। বায়ু দূষণের কারণে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর (শিশু, বয়স্ক এবং শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা থাকা ব্যক্তি) নাগরিকদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। এই অবস্থায় সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এমকে
রাজধানী
পুরান ঢাকায় ভয়াবহ আগুন
পুরান ঢাকার লালবাগ এলাকায় একটি প্লাস্টিক কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে আগুনের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস।
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রোজিনা আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে চারটি ইউনিট পাঠানো হয়েছে।
তবে প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও হতাহতের কোনো খবর জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।
এমকে




