রাজধানী
দিনে ঢাকায় মিছিল, রাতে বাড়িতে আসতেই ছাত্রলীগের ৩ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
রাজধানীর উত্তরায় দিনে ময়মনসিংহ জেলা নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ব্যানারে মিছিলের পর রাতেই জেলায় অভিযানে নামে পুলিশ। অভিযানে জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি নূর হামীম রুশোসহ তিন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আজ শনিবার (১ নভেম্বর) বিকালে গ্রেপ্তার ৩ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করেছে ঈশ্বরগঞ্জ থানা পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার রাতে ঈশ্বরগঞ্জ পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে শুক্রবার সকালে রাজধানীতে ময়মনসিংহ জেলা নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ব্যানারে মিছিলটি হয়।
গ্রেপ্তার ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা হলেন ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি নূর হামীম রুশো (২০), ছাত্রলীগ কর্মী আলিফ জাহান পার্থ (২০), মো. মারুফ মিয়া (২৫)। তারা সবাই ঈশ্বরগঞ্জ পৌর শহরের বাসিন্দা।
পুলিশ সূত্র জানায়, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ছাত্রলীগ নেতা নূর হামীম রুশো রাজধানীর উত্তরার মিছিলে অংশগ্রহণের কথা স্বীকার করেছেন।
এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, বিশেষ অভিযান চালিয়ে ছাত্রলীগের তিন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদেরকে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের স্বার্থে পুলিশের এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
রাজধানী
আন্দোলনের নামে সড়ক অবরোধে রাজধানীতে যানজট
দাবি-দাওয়া আদায়ের লক্ষ্যে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি সংগঠন একযোগে কর্মসূচি শুরু করেছে। ফলে গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে যান চলাচল বিঘ্নিত হওয়ায় ঢাকায় ব্যাপক জনভোগান্তি ও তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিএমপি।
রবিবার (২ নভেম্বর) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য জানান।
তালেবুর রহমান বলেন, বিভিন্ন দাবি-দাওয়া আদায়ের লক্ষ্যে রোববার (২ নভেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি সংগঠন ও গোষ্ঠী একযোগে কর্মসূচি শুরু করে। এতে করে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কে যান চলাচল বিঘ্নিত হওয়ায় রাজধানীর কোথাও কোথাও ব্যাপক জনভোগান্তি ও তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, এমপিওভুক্তির দাবিতে ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষক ঐক্যজোট, প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়সমূহের স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্তিকরণ, স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সব নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সমূহ এমপিওভুক্তিকরণের দাবিতে প্রেস ক্লাবের সামনে বেশ কয়েকটি সংগঠন অবস্থান করছে। এছাড়া চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট ও ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নন-ক্যাডারে নিয়োগ দেওয়ার জন্য সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন চলছে। ফলে যানবাহন স্বাভাবিক গতিতে চলতে পারছে না।
শত বাধা ও প্রতিকূলতার মধ্যেও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি। একই সঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত কারণে যানজট বৃদ্ধির ফলে যে জনভোগান্তি তৈরি হয়েছে সেজন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ আন্তরিকভাবে দুঃখপ্রকাশও করেন তিনি।
রাজধানী
রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে এক দিনে ১ হাজার ৭০৯ মামলা
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের ঘটনায় ১ হাজার ৭০৯টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
শনিবার (১ নভেম্বর) দিনভর পরিচালিত অভিযানে এসব মামলা করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
ডিএমপির তথ্য অনুযায়ী- ট্রাফিক-মতিঝিল বিভাগে ৩৫টি বাস, ৪টি ট্রাক, ২৬টি কাভার্ডভ্যান, ৪৭টি সিএনজি ও ১৭৪টি মোটরসাইকেলসহ মোট ৩৫৪টি মামলা হয়েছে।
ট্রাফিক-ওয়ারী বিভাগে ৪৪টি বাস, ১টি ট্রাক, ১১টি কাভার্ডভ্যান, ১৪টি সিএনজি ও ২৯টি মোটরসাইকেলসহ মোট ১৩০টি মামলা হয়েছে।
ট্রাফিক-তেজগাঁও বিভাগে ১১টি বাস, ২টি ট্রাক, ১৩টি কাভার্ডভ্যান, ৪৩টি সিএনজি ও ১৫৬টি মোটরসাইকেলসহ মোট ২৬৭টি মামলা হয়েছে।
ট্রাফিক-মিরপুর বিভাগে ৬ টি বাস, ৮টি ট্রাক, ১৩টি কাভার্ডভ্যান, ১৬টি সিএনজি ও ১১০টি মোটরসাইকেলসহ মোট ১৯৫টি মামলা হয়েছে।
অন্যদিকে ট্রাফিক-গুলশান বিভাগে ৮১টি বাস, ৩টি ট্রাক, ৮টি কাভার্ডভ্যান, ২৯টি সিএনজি ও ৫০ টি মোটরসাইকেলসহ মোট ২৮২টি মামলা হয়েছে।
ট্রাফিক-উত্তরা বিভাগে ৪৩টি বাস, ১৩টি ট্রাক, ১৪টি কাভার্ডভ্যান, ৩৩টি সিএনজি ও ৭৮টি মোটরসাইকেলসহ মোট ২৫০টি মামলা হয়েছে।
ট্রাফিক-রমনা বিভাগে ৮টি বাস, ১০টি সিএনজি ও ৪৩টি মোটরসাইকেলসহ মোট ৯৩টি মামলা হয়েছে।
এছাড়াও ট্রাফিক-লালবাগ বিভাগে ৬টি বাস, ৮টি ট্রাক, ১টি কাভার্ডভ্যান, ২১টি সিএনজি ও ৬১টি মোটরসাইকেলসহ মোট ১৩৮টি মামলা হয়েছে। এছাড়াও অভিযানকালে মোট ৩০৫টি গাড়ি ডাম্পিং ও ১০৫ টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, রাজধানীতে ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
রাজধানী
মেট্রোরেলে ঝাঁকুনি, কারওয়ান বাজার-আগারগাঁও চলাচল বন্ধ
কারিগরি ত্রুটির কারণে শাহবাগ থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ আছে। আজ বুধবার রাত ৯টা ১০ মিনিটে মেট্রো চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
মেট্রোরেল এমআরটি-৬ এর উপপরিচালক (জনসংযোগ) আহসানউল্লাহ শরীফি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বিজয় সরণি-ফার্মগেট সেকশনে একটা ঝাঁকুনি হওয়ায় মেট্রোরেল চলাচল স্থগিত রাখা হয়েছে। তবে, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারেননি তিনি।
মেট্রো পরিচালনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মীরা জানান, রাত ৯টা ১০ মিনিটে একটা ঝাঁকুনি হয়।
তবে, উত্তরা-আগারগাঁও এবং শাহবাগ-মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রো চলাচল অব্যাহত আছে বলে তারা জানিয়েছেন।
রাত ১০টায় এ প্রতিবেদন তৈরি করা পর্যন্ত ওই অংশে মেট্রো চলাচল বন্ধ ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মেট্রো স্টেশন থেকে ফিরে যাওয়া যাত্রীরা এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন। এদিকে রাতে বৃষ্টি হওয়ায় বাসে প্রচুর ভিড় থাকায় দুর্ভোগের মাত্রা দ্বিগুণ হয়ে দাঁড়ায়।
কারওয়ান বাজারে স্টেশনে অপেক্ষারত এক যাত্রী জানান, স্টেশনে হঠাৎ মেট্রো থেকে বলা হয়, কারিগরি ত্রুটির কারণে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রো চলাচল বন্ধ।
রাজধানী
পুরো রুটে চালু হলো মেট্রোরেল
ফার্মগেট এলাকার কাছে মেট্রোরেল লাইনের পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড পড়ে যাওয়ার সাড়ে ২৩ ঘণ্টা পর পুরো রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের উপ-প্রকল্প পরিচালক (গণসংযোগ) মো. আহসান উল্লাহ শরিফী বলেন, আমার ১১টা থেকে পুরো রুটে অপারেশন শুরু করেছি।
গতকাল দুপুরে মেট্রোরেলের ৪৩৩ নম্বর পিলার থেকে একটি বিয়ারিং প্যাড নিচে পড়ে একজন পথচারী নিহত ও দুজন আহত হন। এরপর নিরাপত্তার জন্য পুরো পথে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
বিকেল ৩টার দিকে আগারগাঁও-উত্তরা সেকশনে এবং সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে মতিঝিল-শাহবাগ সেকশনে মেট্রো ট্রেন চলাচল শুরু হয়। তবে শাহবাগ-আগারগাঁও সেকশনে মেট্রো ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে।
গতকালের দুর্ঘটনার প্রায় সাড়ে ২৩ ঘণ্টা পর ৪৩৩ নম্বর পিলারে বিয়ারিং প্যাড বসানোর কাজ শেষ করে পুরো রুটে মেট্রো ট্রেন চালানো শুরু করলো ডিএমটিসিএল।
রাজধানী
মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে এক ব্যক্তির মৃত্যু, মেট্রো চলাচল বন্ধ
রাজধানীর ফার্মগেটে মেট্রোরেলের একটি পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড (স্প্রিং) ছিটকে পড়ে এক পথচারীর মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের সামনে, ফার্মগেট মেট্রো স্টেশনসংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত তরুণের বয়স আনুমানিক ৩৫ থেকে ৪০ বছর। তবে তাঁর পরিচয় এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনাস্থলের পাশ দিয়ে হাঁটার সময় ওপর থেকে ভারী ধাতব বস্তুটি নিচে পড়ে ওই পথচারীর মাথায় আঘাত হানে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, মেট্রোরেল চলাচলের সময় পিলারের কম্পন নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে যায়।



