অর্থনীতি
একলাফে সাড়ে ১০ হাজার টাকা কমলো স্বর্ণের দাম
একদিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে সোনার দাম আরও কমানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম কমানো হয়েছে ১০ হাজার ৪৭৪ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম এক লাখ ৯৩ হাজার ৮০৯ টাকা হয়েছে।
স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পাকা সোনা) দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম কমানো হয়েছে। বুধবার (২৯ অক্টোবর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠকে করে এই দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে গতকাল দাম কমানোর ঘোষণা দিয়ে আজ থেকে সোনার নতুন দাম কার্যকর করা হয়। ভালো মানের এক ভরি দাম কমানো হয় ৩ হাজার ৬৭৪ টাকা। তার আগে ২৭ অক্টোবর ১ হাজার ৩৯ টাকা এবং ২৪ অক্টোবার ভরিতে দাম কমানো হয় ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা। ফলে চার দফায় ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম কমলো ২৩ হাজার ৫৭৩ টাকা।
এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ১০ হাজার ৪৭৪ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৯৩ হাজার ৮০৯ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ৯ হাজার ৯৯৬ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ৮ হাজার ৫৭৩ টাকা কমিয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৫৮ হাজার ৫৭২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ৭ হাজার ৩১৪ টাকা কমিয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৩১ হাজার ৬২৮ টাকা।
গতকাল ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ৩ হাজার ৬৭৪ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয় ২ লাখ ৪ হাজার ২৮৩ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৯৪ হাজার ৯৯৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ২ হাজার ৯৯৭ টাকা কমিয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৬৭ হাজার ১৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ২ হাজার ৫৫৪ টাকা কমিয়ে দাম নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ৩৮ হাজার ৯৪২ টাকা। আজ মঙ্গলবার এই দামে সোনা বিক্রি হয়েছে।
সোনার দাম কমানো হলেও রূপার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রূপার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ হাজার ২৪৬ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের এক ভরি রূপার দাম ৪ হাজার ৪৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রূপার দাম ৩ হাজার ৪৭৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রূপার দাম ২ হাজার ৬০১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
অর্থনীতি
সোনার দাম ভরিতে বাড়লো ১ হাজার ৪৭০ টাকা
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠকে করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ৩ হাজার ৪৪২ টাকা এবং ১২ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ১ হাজার ৫০ টাকা। এই দাম বাড়ানোর ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে এখন আবার দাম বাড়ানো হলো।
এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৪৭০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ৪১১ টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ ৭ হাজার ২১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ২৪৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৬৩ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা।
এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ৩ হাজার ৪৪২ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয় ২ লাখ ১৫ হাজার ৫৯৭ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ৩ হাজার ৩০১ টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ ৫ হাজার ৮০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ২ হাজার ৮২৩ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৭৬ হাজার ৩৯৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ২ হাজার ৪১৪ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ৪৬ হাজার ৮৩৮ টাকা। আজ সোমবার পর্যন্ত এই দামে সোনা বিক্রি হয়েছে।
সোনার দাম বাড়ানোর পাশাপাশি রুপার দামও বাড়ানো রয়েছে। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ৩২৬ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ হাজার ৫৭২ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ৩১৫ টাকা বাড়িয়ে ৪ হাজার ৩৬২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২৫৬ টাকা বাড়িয়ে ৩ হাজার ৭৩২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম ১৯৮ টাকা বাড়িয়ে ২ হাজার ৭৯৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
অর্থনীতি
দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ৪২০ কোটি টাকার এলএনজি কিনবে সরকার
দক্ষিণ কোরিয়া থেকে এক কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৪২০ কোটি ৯ লাখ ৬৯ হাজার ২২৫ টাকা ৬০ পয়সা।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই এনএনজি আমদানির অনুমোন দেওয়া হয়েছে। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা ২০২৫ এর বিধি-১০৫(৩) (ক)-অনুসরণে আন্তর্জাতিক কোটেশন সংগ্রহ প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট থেকে এক কার্গো (৯-১০ জানুয়ারি ২০২৬ সময়ের জন্য ২য়) এলএনজি কেনার প্রস্তাব নিয়ে আসে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করে অনুমোদন দিয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার এম/এস পোসকো ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশন থেকে এই এলএনজি কেনা হবে। এতে ব্যয় হবে ৪২০ কোটি ৯ লাখ ৬৯ হাজার ২২৫ টাকা ৬০ পয়সা। প্রতি এমএমবিটিইউ’র মূল্য ধরা হয়েছে ৯.৯৯ মার্কিন ডলার।
অর্থনীতি
বাজুসের প্রধান উপদেষ্টা সায়েম সোবহান, সভাপতি দোলন
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সংগঠনটির সদ্যবিদায়ী সভাপতি ও বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান সায়েম সোবহান আনভীর।
পাশাপাশি দ্বিতীয়বারের মতো বাজুসের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন ডায়মন্ড অ্যান্ড ডিভাসের কর্ণধার এনামুল হক খান দোলন।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বাজুস কার্যালয়ে সংগঠনের নবনির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদের দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠিত হয়। দায়িত্ব হস্তান্তর শেষে নবনির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এই সভায় সবার সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে সায়েম সোবহান আনভীরকে প্রধান উপদেষ্টা ও সংগঠনের সব সাবেক সভাপতিকে উপদেষ্টা পর্ষদের সদস্য হিসেবে মনোনীত করা হয়।
সভায় বক্তব্য দেন বাজুসের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট রনজিত ঘোষ, ভাইস প্রেসিডেন্ট ইকবাল হোসেন চৌধুরী জুয়েল, আজাদ আহমেদ ও অভি রায়।
অর্থনীতি
১৬৪ কোটি টাকা ব্যয়ে রাবনাবাদ নদীর ওপর হবে সেতু
পটুয়াখালী সড়ক বিভাগের অধীনে রাবনাবাদ নদীর ওপর ৮৮২ দশমিক ৮১ মিটার দীর্ঘ ‘রাবনাবাদ সেতু’ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ১৬৪ কোটি ৪ লাখ ৮২ হাজার ১৫৮ টাকা।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ সেতু নির্মাণের পূর্ত কাজের ব্যয় অনুমোন দেওয়া হয়েছে। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ‘লেবুখালী-বাউফল-গলাচিপা-আমড়াগাছিয়া জেলা মহাসড়কের রাবনাবাদ নদীর উপর ৮৮২.৮১ মিটার দীর্ঘ ‘রাবনাবাদ সেতু’ নির্মাণের’ পূর্ত কাজ কেনার জন্য এক ধাপ দুই খাম দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে দুটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দরপ্রস্তাব জমা পড়ে। দুটি দর প্রস্তাবই কারিগরিভাবে রেসপনসিভ বিবেচিত হয়।
দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি’র সুপারিশে রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে এম এম বিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড, এম/এস জন্মভূমি নির্মাতা এবং ওহিদুজ্জামান চৌধুরীর কাছ থেকে ১৬৪ কোটি ৪ লাখ ৮২ হাজার ১৫৮ টাকায় প্রকল্পের বর্ণিত প্যাকেজের পূর্ত কাজ কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
প্রকল্পটি একনেক থেকে অনুমোদিত হয় ২০২২ সালের ২২ নভেম্বর। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৩ সালের ১ আগস্ট থেকে ২০২৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্যাকেজের আওতায় রয়েছে- রাবনাবাদ নদীর ওপর ৮৮২.৮১ মিটার দীর্ঘ রাবনাবাদ সেতু নির্মাণ (১৮×৪২.৬৮ মিটার পিসি গার্ডার + ১×১০০ মিটার স্টিল BUG ট্রাস), ১.৪ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক, কালভার্ট, আন্ডারপাস, প্রতিরক্ষামূলক কাজ, টোল প্লাজা ও আলোকসজ্জা।
বৈঠকে স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় এফডিএমএন জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের একটি প্যাকেজের পূর্ত কাজের জন্য ৩৬৩ কোটি টাকা ব্যয় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্পে অর্থায়ন করেছে বিশ্বব্যাংক।
প্রকল্পের একটি প্যাকেজের (এইচইএলপি/ইউএন-১) পূর্ত কাজ সম্পাদনের জন্য ইউএন এজেন্সি আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থাকে (আইওএম) দরপ্রস্তাব দাখিলের জন্য আহ্বান করা হলে প্রস্তাব দাখিল করে।
প্রস্তাবটি কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হওয়ায় নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে নির্ধারিত প্যাকেজের সম্পাদনযোগ্য ইউএন এজেন্সি আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার মাধ্যমে ৩৬৩ কোটি টাকায় সম্পাদনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ‘কুমিল্লা-লালমাই-চাঁদপুর-লক্ষ্মীপুর-বেগমগঞ্জ এবং বেগমগঞ্জ-সোনাইমুড়ী-রামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক ৪ লেনে উন্নীতকরণ’ প্রকল্পের প্যাকেজ নং-ডব্লিউপি-০২ এর পূর্ত কাজের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১৫৬ কোটি ৪২ লাখ ৬০ হাজার ১২৯ টাকা।
জানা গেছে, এ প্যাকেজের পূর্ত কাজ ক্রয়ের জন্য এক ধাপ দুই খাম দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ৬টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দরপ্রস্তাব জমা পড়ে। তার মধ্যে ৪টি প্রস্তাব কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসির সুপারিশে রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে এমএএইচ কনস্ট্রাকশন লিমিটেড এবং রহমান ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের কাছ থেকে ১৫৬ কোটি ৪২ লাখ ৬০ হাজার ১২৯ টাকায় পূর্ত কাজ ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের পৃথক একটি প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ‘কুমিল্লা সড়ক বিভাগাধীন ৪টি জেলা মহাসড়ক যথাযথ মান ও উন্নীতকরণ’ প্রকল্পের প্যাকেজ নং-ডব্লিউডি-০৩ এর পূর্ত কাজের ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১২৯ কোটি ৪০ লাখ ৭৩ হাজার ৯০২ টাকা।
জানা গেছে, ডব্লিউডি-০৩ প্যাকেজের পূর্ত কাজ ক্রয়ের জন্য এক ধাপ দুই খাম দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে দুটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দরপ্রস্তাব জমা পড়ে। দুটি দরপ্রস্তাবই কারিগরিভাবে রেসপনসিভ বিবেচিত হয়।
দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসির সুপারিশে রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান শামিম এন্টারপ্রাইজ প্রাইভেট লিমিটেড এবং ইউডিসি কনস্ট্রাকশন লিমিটেড কনসোর্টিয়াম থেকে কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অর্থনীতি
সৌদি থেকে আসছে ৮০ হাজার টন ইউরিয়া, নওগাঁ-বগুড়ায় হবে বাফার গুদাম
সৌদি আরব থেকে ৮০ হাজার মেট্রিক ন টন ইউরিয়া সার আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সাবিক অ্যাগ্রো নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে এই সার আনতে ব্যয় হবে ৪০৬ কোটি ১৮ লাখ ৩১ হাজার ৪০ টাকা। সার কেনার পাশাপাশি নওগাঁ ও বগুড়া জেলায় একটি করে বাজার গুদাম নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে সার কেনার দুটি এবং বাফার গুদাম নির্মাণের দুটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, শিল্প মন্ত্রণালয়ের এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি আরবের সাবিক অ্যাগ্রো নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে ৪০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে সাবিক অ্যাগ্রো নিউট্রেয়েন্টস কোম্পানি থেকে ৩ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন এবং আপদকালীন ও জরুরি পরিস্থিতি এবং দেশীয় কারখানায় সারের ঘাটতি মোকাবিলায় আরও ৩ লাখ মেট্রিক টনসহ মোট ৬ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার আমদানির চুক্তি করা হয়।
চুক্তি মোতাবেক সারের মূল্য নির্ধারণ করে প্রতি মেট্রিক টন ৪১৩.৪৬ মার্কিন ডলার হিসেবে ৪০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ১ কোটি ৬৫ লাখ ৩৮ হাজার ৪০০ ডলারে কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ২০৩ কোটি ৯ লাখ ১৫ হাজার ৫২০ টাকা।
বৈঠকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আর এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি আরবের একই প্রতিষ্ঠান থেকে আরও ৪০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই সার আমদানিতেও ব্যয় হবে ২০৩ কোটি ৯ লাখ ১৫ হাজার ৫২০ টাকা।
এদিকে বৈঠকে ‘সার সংরক্ষণ ও বিতরণের সুবিধার্থে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ৩৪টি বাফার গুদাম নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় নওগাঁ জেলায় ২৫ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতার ১টি বাফার গুদাম নির্মাণের পূর্ত কাজের ক্রয় প্রস্তাব নিয়ে আসে শিল্প মন্ত্রণালয়। প্রস্তাবটি উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি পর্যালোচনা করে অনুমোদন দিয়েছে।
বৈঠকে সূত্রে জানা গেছে, ‘সার সংরক্ষণ ও বিতরণের সুবিধার্থে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ৩৪টি বাফার গুদাম নির্মাণ (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পের আওতায় নওগাঁ জেলায় ১টি বাফার গুদাম নির্মাণের পূর্ত কাজ ক্রয়ের জন্য উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ৫টি প্রতিষ্ঠানের নিকট হতে দরপ্রস্তাব জমা পড়ে। তার মধ্যে ৪টি প্রস্তাব কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়।
দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি’র সুপারিশে রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান এম/এস ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেড, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, নারায়ণগঞ্জ-এর নিকট থেকে ৫৪ কোটি ৭০ লাখ ৫১ হাজার ৭৬৫ টাকায় প্রকল্পের আওতায় ১টি বাফার গুদাম নির্মাণের পূর্ত কাজ ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সংশোধিত প্রকল্পটি একনেক থেকে অনুমোদিত হয় ২০২৩ সালের ১১ এপ্রিল। প্রকল্পের মেয়াদ ২০১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। প্যাকেজের আওতায় নওগাঁ জেলায় ১টি ২৫ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ইউরিয়া সার বাফার গুদাম নির্মাণ (স্টিল স্ট্রাকচার), সাইট ডেভেলপমেন্ট, অফিস কাম গেস্ট হাউস, আনসার ব্যারাক, সাব-স্টেশন ও জেনারেটর রুম, বাহ্যিক টয়লেট ব্লক, ওয়াচ টাওয়ার, আরসিসি স্টর্ম ড্রেন, পাম্প হাউস ও আন্ডারগ্রাউন্ড ওয়াটার রিজার্ভয়ার, বাউন্ডারি ওয়াল, প্রধান গেট ও গার্ড রুম, পুকুর খনন, সাব-স্টেশন যন্ত্রপাতি (১০০ কেভিএ), জেনারেটর (৬০ কেভিএ), সোলার সিস্টেম ইত্যাদি নির্মাণ করা হবে।
বৈঠকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আর এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ‘সার সংরক্ষণ ও বিতরণের সুবিধার্থে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ৩৪টি বাফার গুদাম নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় বগুড়া জেলায় ২০ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতার ১টি বাফার গুদাম নির্মাণের পূর্ত কাজের ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, ‘সার সংরক্ষণ ও বিতরণের সুবিধার্থে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ৩৪টি বাফার গুদাম নির্মাণ (প্রথম সংশোধিত)’ প্রকল্পের আওতায় বগুড়া জেলায় একটি বাফার গুদাম নির্মাণের পূর্ত কাজ ক্রয়ের জন্য উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ৫টি প্রতিষ্ঠানের নিকট হতে দরপ্রস্তাব জমা পড়ে। তার মধ্যে ৪টি প্রস্তাব কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়।
দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি’র সুপারিশে রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান এসএস রহমান ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের কাছ থেকে ৫৯ কোটি ২৮ লাখ ৪৫ হাজার ৫৬৭ টাকায় প্রকল্পের আওতায় একটি বাফার গুদাম নির্মাণের পূর্ত কাজ ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
প্যাকেজের আওতায়: বগুড়া জেলায় ১টি ২০ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ইউরিয়া সার সংরক্ষণের জন্য স্টিল স্ট্রাকচার বাফার গুদাম নির্মাণ, সাইট উন্নয়ন, অফিস কাম গেস্ট হাউস, আনসার ব্যারাক, সাব-স্টেশন ও জেনারেটর রুম, বাহ্যিক টয়লেট ব্লক, ওয়াচ টাওয়ার, আরসিসি স্টর্ম ড্রেন, পাম্প হাউস ও আন্ডারগ্রাউন্ড ওয়াটার রিজার্ভয়ার, বাউন্ডারি ওয়াল, প্রধান গেট ও গার্ড রুম, পুকুর খনন, সাব-স্টেশন যন্ত্রপাতি (১০০ কেভিএ), জেনারেটর (৬০ কেভিএ), সোলার সিস্টেম ইত্যাদি নির্মাণ করা হবে।




