জাতীয়
বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ড তদন্তে আনা হচ্ছে ৪ দেশের বিশেষজ্ঞ টিম: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে ৪টি দেশের বিশেষজ্ঞ টিম আনা হচ্ছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বিষয়টি জানিয়েছেন।
শনিবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত কার্গো ভিলেজ ও ই-গেট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কোনো ধরনের অব্যবস্থাপনা ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতে আন্তর্জাতিকভাবে নিরপেক্ষ তদন্ত করা হবে। এজন্য অস্ট্রেলিয়া, চীন, যুক্তরাজ্য ও তুরস্কের বিশেষজ্ঞদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তারা তদন্ত করে আগুন লাগার কারণ ও দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করবেন।’
তিনি আরও বলেন, বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন একটি দুর্ঘটনা। নিজস্ব ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট দ্রুত আগুন নেভানোর কাজ শুরু করলেও আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লেগেছে।
রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের সুবিধার্থে শিগগিরই বিমানবন্দরের ই-গেট খুলে দেওয়া হবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের জন্য পাসপোর্ট ফি কমানোর উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে।’
গত ১৮ অক্টোবর শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বিপুল পরিমাণ পণ্য ও অবকাঠামোর ক্ষতি হয়। ফায়ার সার্ভিস, সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী এবং বিজিবির সদস্যরা টানা সাড়ে সাত ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। বর্তমানে সীমিত আকারে আমদানি পণ্য খালাসের কাজ চলছে।
এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএবি) জানিয়েছে, অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
জাতীয়
মাহফুজ আলমের মন্তব্য নিয়ে সরকারের বিবৃতি
উপদেষ্টা পরিষদের কার্যক্রম নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের করা মন্তব্য নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে অর্ন্তবর্তী সরকার। সোমবার (২৭ অক্টোবর) অন্তর্বর্তী সরকারের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে দেওয়া তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম উপদেষ্টা পরিষদের কার্যক্রম নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছেন, যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হবার পর কিছুটা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। বস্তুত সরকারের গৃহীত সংস্কার ও নীতিমালা প্রণয়নের কাজ নভেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে এটা সঠিক নয়, বরং সংস্কার কার্যক্রম পূর্ণোদ্যমে চালু থাকবে।
এ ছাড়া উপদেষ্টা পরিষদ নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর না করা পর্যন্ত নিয়মিত দায়িত্ব পালন করে যাবে এবং উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকও নিয়মিত অনুষ্ঠিত হবে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়।
এর আগে, সোমবার (২৬ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিট দ্য রিপোটার্স প্রোগ্রাম অনুষ্ঠানে মাহফুজ আলম বলেন, নভেম্বরের পর মন্ত্রিসভার (উপদেষ্টা পরিষদের) বৈঠক আর হবে না, তখন সরকার নির্বাচন কমিশনের অধীনে তার ভূমিকা পালন করবে।
জাতীয়
পুলিশের ওপর আক্রমণ সহ্য করা হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, পুলিশের ওপর আক্রমণ কোনো অবস্থাতেই সহ্য করা হবে না। এ ব্যাপারে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। সাম্প্রতিক সময়ে সাইবার অপরাধ বেড়ে গেছে। এ ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে তরুণ পুলিশ অফিসারদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকালে রাজধানী ঢাকায় পুলিশ হেডকোয়ার্টারে ‘হল অব প্রাইড’ সম্মেলন কক্ষে বিশেষ অপরাধ পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে পুলিশের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এদেশের জনগণ, রাজনৈতিক দলসহ সবমহলের প্রত্যাশা পূরণের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব পুলিশের কাঁধে। সবার প্রত্যাশা- পুলিশ সামনের জাতীয় নির্বাচনে এমন এক মানদণ্ড স্থাপন করবে, যা শুধু দেশেই নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও প্রশংসিত হবে। এ লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
পুলিশকে উদ্দেশ করে উপদেষ্টা বলেন, আইনের প্রয়োগ শুধু শক্তি দিয়ে নয়, ন্যায়, নিষ্ঠা ও মানবিকতা দিয়েও প্রতিষ্ঠিত হয়। নির্বাচনী মাঠে আপনারা শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী নন; জনগণের নিরাপত্তা, আস্থা ও গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার প্রতীক।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, সামনে নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক আলাপ-আলোচনা ও সংলাপ শুরু হয়েছে। এক্ষেত্রে পুলিশ সদস্যদের কেউ কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষাবলম্বন, বিশেষ সুবিধা প্রদান ও গ্রহণ এবং নিজেকে রাজনৈতিক কর্মী ভাবা যাবে না।
উপদেষ্টা বলেন, ফ্যাসিস্টদের তালিকা পুলিশের কাছে রয়েছে। তারা সমাজ ও রাষ্ট্রে অস্থিরতা সৃষ্টিতে সরাসরি জড়িত। তাছাড়া অনেক অপরাধী জামিনে ছাড়া পেয়ে পুনরায় অপরাধ করছে। ফ্যাসিস্টদের অপকর্ম, অপপ্রচার, অপরাজনীতি, অপরাধ ও ঝটিকা মিছিল ঠেকাতে গ্রেপ্তার বাড়াতে হবে। তবে নিরীহ মানুষকে হয়রানি করা যাবে না।
ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, অধীনস্থ পুলিশ অফিসার ও ট্রুপসদের পেশাদারত্ব, টিম স্পিরিট, শৃঙ্খলা ও মনোবল বৃদ্ধিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। যাদের পেশাদারত্ব নেই, শৃঙ্খলা নেই, কমান্ড মানতে চায় না, যারা সরকার ও রাষ্ট্রের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করে- তাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ও আইনিব্যবস্থা নিতে হবে।
উপদেষ্টা বলেন, জেলা পর্যায়ে ঘনঘন কোর কমিটির সভা আহ্বান করতে হবে। রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলাগুলো দ্রুত প্রত্যাহার করতে হবে এবং মিথ্যা মামলা দ্রুততম সময়ে নিষ্পত্তি করতে হবে। পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চকে আরও সক্রিয় করতে হবে এবং জেলার সব বিষয় নখদর্পণে রাখতে হবে।
পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমের সভাপতিত্বে সভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পুলিশের বিভিন্ন রেঞ্জের ডিআইজি, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার এবং জেলার পুলিশ সুপাররা অংশগ্রহণ করেন।
জাতীয়
জাতীয় নির্বাচনে ৩০০ আসনে চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ৭৬১
নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সারা দেশে ৩০০ সংসদীয় আসনে চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৪২ হাজার ৭৬১টি।
আজ সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
সচিব বলেন, আমরা আজ চূড়ান্তভাবে ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রস্তুত করেছি। মোট ৬৪টি জেলার ৩০০টি সংসদীয় আসনে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪২ হাজার ৭৬১টি। কক্ষের হিসেবে পুরুষদের জন্য ১ লাখ ১৫ হাজার ১৩৭টি এবং মহিলাদের জন্য ১ লাখ ২৯ হাজার ৬০২টি কক্ষ নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ মোট কক্ষের সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৯টি।
আখতার আহমেদ আরও জানান, অস্থায়ী ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা প্রাথমিকভাবে ১৪টি, যেখানে প্রায় ১২ হাজার ভোটকক্ষ থাকবে। একটি ভোটকক্ষে গড়ে ৩ হাজার ভোটার থাকবে। এটি ‘ক্যাচমেন্ট এরিয়া’ হিসেবে ধরা হয়েছে। পরবর্তীতে প্রয়োজনে এই সংখ্যা সামঞ্জস্য করা হবে।
ইসির খসড়া অনুযায়ী, খসড়া ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ৪২ হাজার ৬১৮টি, যা দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ছিল ৪২ হাজার ১৪৮টি। সেই সাথে আসন্ন নির্বাচনে এই ভোটকেন্দ্রগুলোর মধ্যে মোট ভোটকক্ষ থাকবে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৪৬টি, যা গত নির্বাচনে ছিলন ২ লাখ ৬১ হাজার ৫৬৪টি। অর্থাৎ আসামী সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র বাড়লেও কমেছে ভোটকক্ষ।
জাতীয়
অবাণিজ্যিক-অলাভজনক প্রতিষ্ঠানে অর্পিত সম্পত্তির ইজারা মূল্যের হার নির্ধারণ
অবাণিজ্যিক ও অলাভজনক উদ্দেশে পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, দাতব্য প্রতিষ্ঠান, সরকারি প্রতিষ্ঠান, সামাজিক প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ইজারা দেওয়া অর্পিত সম্পত্তির ইজারা মূল্যের হার নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার।
সম্প্রতি এ বিষয়ে ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে পরিপত্র জারি করা হয়েছে। অর্থ বিভাগের অনুমোদনের পর এ পরিপত্র জারি করা হয়।
এতে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, পরিপত্রে অবাণিজ্যিক ও অলাভজনক উদ্দেশে পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান/ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান/দাতব্য প্রতিষ্ঠান/সরকারি প্রতিষ্ঠান/সামাজিক প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ইজারা দেওয়া অর্পিত সম্পত্তির বিষয়ে পৃথক কোনো নির্দেশনা ছিল না।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, নির্ধারিত ইজারা মূল্য কার্যকরের পর থেকে দেশব্যাপী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সামাজিক বা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ইজারা মূল্য পরিশোধ করতে পারছে না বলে সরকারের গোচরে এসেছে। জাতি গঠন ও সমাজ বিনির্মাণ প্রক্রিয়ায় এসব প্রতিষ্ঠানের ইতিবাচক ভূমিকা রয়েছে বিবেচনায় উল্লিখিত প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে ইজারা দেওয়া অর্পিত সম্পত্তির ইজারা মূল্যের হার যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারণ করা সমীচীন।
এ অবস্থায়, শুধু অবাণিজ্যিক ও অলাভজনক উদ্দেশে পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান/ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান/দাতব্য প্রতিষ্ঠান/সরকারি প্রতিষ্ঠান/সামাজিক প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ইজারা দেওয়া অর্পিত সম্পত্তির ইজারা মূল্যের হার নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়।
প্রতি শতক কৃষিজমি (স্থাপনার জমি ছাড়া) উপজেলা এলাকায় ২০ টাকা ও পৌর এলাকায় ৫০ টাকা। প্রতি শতক অকৃষি জমি (স্থাপনার জমি ছাড়া) উপজেলা এলাকায় ৩০ টাকা ও পৌর এলাকায় ৬০ টাকা।
প্রতি বর্গফুট কাঁচা ঘর (মেঝে কাচা/পাকা, টিনের বেড়া ও টিনের চাল) উপজেলা এলাকায় এক টাকা ৫০ পয়সা এবং পৌরসভায় ৫ টাকা। আধা পাকা ঘর (মেঝে পাকা, দেয়াল পাকা ও টিনের চাল) উপজেলায় দুই টাকা পৌর এলাকায় ৬ টাকা এবং পাকা ঘর (দালান) উপজেলা এলাকার ৫ টাকা ও পৌর এলাকায় ৮ টাকা।
প্রতি শতক অকৃষি জমি (স্থাপনার জমি ছাড়া) সিটি করপোরেশন এলাকায় (ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন ছাড়া) ৮০ এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৬০ টাকা।
প্রতি বর্গফুট কাঁচা ঘর (মেঝে কাঁচা/পাকা, টিনের বেড়া ও টিনের চাল) সিটি করপোরেশন (ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন ছাড়া) এলাকায় ৬ টাকা এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ১২ টাকা। আধা পাকা ঘর (মেঝে পাকা, দেয়াল পাকা ও টিনের চাল) সিটি করপোরেশন (ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন ছাড়া) এলাকায় ৮ টাকা এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৬ টাকা। পাকা ঘর (দালান) সিটি করপোরেশন (ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন ছাড়া) এলাকায় ১০ টাকা এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ২০ টাকা।
জাতীয়
ভোটকেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ আজ
জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আজ সোমবার ভোটকেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই সঙ্গে নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন চলতি সপ্তাহের মধ্যে শেষ করা হবে।
রবিবার (২৬ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কমনওয়েলথের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
গত ২০ অক্টোবরের মধ্যে ইসির ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী ভোটকেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করার কথা ছিল। ছয়দিন পেরোলেও কেন তা প্রকাশ করা হয়নি, জানতে চাইলে আখতার আহমেদ বলেন, ভোটকেন্দ্রের তালিকা চূড়ান্ত হয়েছে। কিছু সংশোধনের প্রস্তাব এসেছিল সেটাও করা হয়েছে। সোমবার সকালে ব্রিফ করে দেবো।
নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন কবে শেষ হবে, এ নিয়ে ইসি সচিব বলেন, দল নিবন্ধনের বিষয়ে অগ্রগতি নিয়ে মাঠপর্যায় থেকে কিছু বাড়তি তথ্য আসেছে। এটা পর্যালোচনা চলছে। এ সপ্তাহের ভেতরে করে দেব। কারণ, আমাদেরও একটা দায় আছে। আমাদের দিক থেকে তাগিদ আছে।
ইসি সচিব বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী শতভাগ সম্পন্ন করতে হবে বিষয়টি এমন নয়। পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে কিছু কিছু জায়গায় সমন্বয় করতে হয়। কিছু কিছু বিষয় আগে করা হয়েছে আর কিছু কিছু বিষয়ের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে এবং কিছু কিছু বিষয়ে আরেকটু অপেক্ষা করতে হবে। সময় অনুযায়ী দিনক্ষণ মেপে কোনো কাজ করা সম্ভব নয়।




