রাজনীতি
এনসিপি শাপলা ছাড়া নিবন্ধন নেবে না: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, এনসিপি শাপলা ছাড়া নিবন্ধন নেবে না এবং শাপলা ছাড়া এনসিপির নিবন্ধন হবে না। আমরা শাপলার অবস্থানেই রয়েছি। আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছি, কিন্তু ওনারা এই পর্যন্ত কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেনি।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর নেতৃত্বে এনসিপির তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল আসে। তারা বিকেল ৪টার দিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। দীর্ঘ বৈঠক শেষে শাপলা প্রতীক নিয়ে কোনো সুরাহা হয়নি।
বৈঠক শেষে পাটওয়ারী বলেন, তারা (ইসি) যেহেতু ব্যাখ্যা দিতে পারেনি, এখন আমরা প্রতীক প্রশ্নে নেই। আমরা মনে করেছি প্রতীক প্রশ্নে তাদের ওপর অন্য কিছু বিরাজ করছে। অথবা প্রতীক সামনে রেখে অন্য কোনো ষড়যন্ত্র করছে। আমরা মনে করি এই মাসের মধ্যেই এটা জাতির সামনে স্পষ্ট হবে।
তিনি বলেন, এই মাস পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করবো। নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ দাবি করছি না। তবে অনেকে জানতে চেয়েছেন, আমরা নির্বাচন কমিশন ঘেরাও বা কিছু করবো কি না। আমরা বলেছি, আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যেতে চাই। এটা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। তবে এই প্রতিষ্ঠান যদি নিয়মমাফিক না চলে, ফেয়ার জাস্টিস যদি না হয়, নথি যদি হারিয়ে যায় এখান থেকে, নথি যদি কেউ চুরি করে নিয়ে যায়, নথি যদি টাকার বিনিময়ে চলে যায় এজেন্সির কাছে এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা যদি না থাকে সেই প্রতিষ্ঠান রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। এতে করে যদি মৃত্যু হয় তবে সেটা বরণ করতে আমরা প্রস্তুত।
শাপলা না দেওয়ার বিষয়ে ইসির কাছে আবারও স্পষ্ট ব্যাখ্যা চেয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি। একইসঙ্গে এটি দিতে কোনো মহল থেকে বাধা আছে কি না সিইসিকে সেটিও স্পষ্ট করার কথা জানিয়েছেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
আড়াই ঘণ্টার বৈঠক শেষে তিনি বলেন, শাপলা না দেওয়ার বিষয়ে আইনি ও রাজনৈতিক কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেনি ইসি। এতে কমিশনের অসৎ উদ্দেশ্য খুঁজে পাচ্ছে এনসিপি। এনসিপিকে প্রতীকটি দেওয়া না হলে প্রতীকের তালিকা থেকে ধান, পাট, তারকাও বাদ দেয়ার দাবি করে দলটি। এ সময়, বাংলাদেশ জাতীয় লীগের কার্যক্রম, কার্যালয়ের ঠিকানা, গঠনতন্ত্রও নেই উল্লেখ করে দলটিকে নিবন্ধন তালিকায় রাখার সমালোচনা করেন তারা। একইসঙ্গে ইসির প্রস্তাবিত ৩১ অক্টোবরের মধ্যে যাদের বয়স ১৮ তাদের ভোটার তালিকার রাখার বিষয়েও প্রস্তাবনা দেন তারা। নির্বাচনের দিন পর্যন্ত বয়স ১৮ হলেই ইসির ভোটার তালিকায় যুক্ত করার প্রস্তাবনা দেন এনসিপির প্রতিনিধিরা।
এ সময় এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মুসা, যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
রাজনীতি
প্রচারণায় মোটরসাইকেল শোভাযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জামায়াতের
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করে প্রচারণা চালাতে পারবেন না জামায়াতের কোনো প্রার্থী। দেশের বিভিন্ন স্থানে জামায়াত মনোনীত প্রার্থীদের মোটরসাইকেল শোভাযাত্রায় কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর দলটির শীর্ষ নেতৃত্ব দাঁড়িপাল্লার প্রচারণায় মোটরসাইকেল শোভাযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন।
সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় এ কথা জানান দলটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
তিনি বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন জেলা/মহানগরী নির্বাচনি এলাকায় মোটরসাইকেল র্যালি ও শোভাযাত্রা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এসব কর্মসূচিতে কয়েকটি দুর্ঘটনা ও আহতের প্রেক্ষাপটে আমিরে জামায়াত এখন থেকে সকল জেলা/মহানগরী নির্বাচনি এলাকায় মোটরসাইকেল র্যালি ও শোভাযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন।
এমকে
রাজনীতি
ক্ষমতায় এলে বিএনপি গণমাধ্যম সংস্কারে অগ্রাধিকার দেবে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে গণমাধ্যম সংস্কারে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার-বিজেসি আয়োজিত মিডিয়া সংস্কার প্রতিবেদনের পর্যালোচনা শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের প্রতিশ্রুতি খুবই পরিষ্কার। আমরা ৩১ দফার মাধ্যমে স্পষ্ট করে বলেছি যে, আমরা একটি স্বাধীন গণমাধ্যম দেখতে চাই এবং সেটি গড়ে তুলতে চাই। সেজন্যই আমরা তখনই একটি কমিশন গঠনের অঙ্গীকার করেছিলাম।
তিনি জানান, কমিশনটি ইতোমধ্যে গঠিত হয়েছে এবং রিপোর্টও প্রস্তুত হয়েছে।
তবে তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, রিপোর্টের কোনো আলোচনা পরবর্তী সময়ে হয়নি। আমরা আশা করি, আমরা যদি জনগণের ভোটে সরকার গঠনের দায়িত্ব পাই, তাহলে আমরা নিঃসন্দেহে এ বিষয়টি অগ্রাধিকার দেব।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপি যখনই রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে, তখনই গণমাধ্যমকে উন্নত ও উপযোগী করে তোলার জন্য নানা ব্যবস্থা নিয়েছে।
তিনি বর্তমান টেলিভিশন চ্যানেলের সময়োপযোগী কাজগুলো শুরুর কৃতিত্ব বিএনপির আমলকেই দেন।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, আপনাদের তো অনেকগুলো ইউনিয়ন আছে। বিএফইউজে, ডিআরইউ, আবার দুই দলের দুই ভাগ আছে, তিন ভাগ। আপনারা নিজেরাই আজকে দলীয় হয়ে যাচ্ছেন। রাজনৈতিক দলগুলো আপনাদের কাউকে পকেটে নিতে চায়। আপনারা যদি পকেটে ঢুকে যান, তখন কিন্তু সমস্যা।
আওয়ামী শাসনামলের সময়টায় গণমাধ্যমের অবস্থান সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা দেখেছি, গণমাধ্যম গত ১৫ বছর ফ্যাসিবাদ লালন করেছে। স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য সাংবাদিকদের এখন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে।
এমকে
রাজনীতি
প্রথমবারের মতো দলীয় সভায় বক্তব্য দিলেন জাইমা রহমান
প্রথমবারের মতো দলের একটি গুরুত্বপূর্ণ সভায় অংশ নিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কন্যা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নাতনি ব্যারিস্টার জাইমা রহমান।
রোববার (২৩ নভেম্বর) প্রবাসী ভোটারদের ভোট কার্যক্রম নিয়ে বিএনপির ইউরোপীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল সভায় যুক্ত হন তিনি। পরে সেখানে দলের নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানাতে এবং কাজের অগ্রগতি নিয়ে দিকনির্দেশনা দিতে দেখা যায় জাইমা রহমানকে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এবং চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এ. এম. এম. মাহবুব উদ্দিন খোকন।
জাইমা রহমান লন্ডনের লিংকন্স ইন থেকে বার-অ্যাট-ল সম্পন্ন করেছেন। এর আগে কুইন মেরি ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। ব্যারিস্টারি পাস করার পর থেকেই বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে বিএনপির রাজনীতিতে তাকে ঘিরে নতুন প্রত্যাশার কথা শোনা যায়।
রাজনৈতিক ময়দানে জাইমা রহমানের আনুষ্ঠানিক উপস্থিতি নতুন হলেও তার রাজনৈতিক অঙ্গনে পদচারণা শুরু বহু আগেই। ছোটবেলায় দাদি, বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে তাকে প্রায়ই দেখা যেত বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান ও রাজনৈতিক আয়োজনগুলোতে।
দলের একাধিক শীর্ষ নেতা মনে করছেন, ব্যারিস্টারি সম্পন্ন করার পর জাইমার দলীয় সভায় অংশ নেওয়া বিএনপির ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব কাঠামোতে তার সক্রিয় ভূমিকার পূর্বাভাস।
অনেকেই মনে করছেন, দেশ-বিদেশে দলীয় কর্মকাণ্ডে তার উপস্থিতি বিএনপির সাংগঠনিক শক্তি ও আন্তর্জাতিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ করবে।
এমকে
রাজনীতি
খালেদা জিয়ার হার্ট ও ফুসফুসে সংক্রমণ
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চেস্টে (বুকে) ইনফেকশন, হার্ট এবং ফুসফুস আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড সদস্য অধ্যাপক ডা. এফ এম সিদ্দিকী।
রবিবার (২৩ নভেম্বর) রাতে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার সবশেষ তথ্য জানানোর সময় তিনি এ কথা বলেন।
ডা. এফ এম সিদ্দিকী জানান, খালেদা জিয়ার চেস্টে ইনফেকশন হয়েছে। হার্ট এবং ফুসফুস আক্রান্ত হয়েছে। আগামী ১২ ঘণ্টা মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে রাখা হবে।
আর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ড. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, বেগম জিয়া ঠিক কতদিন হাসপাতালে ভর্তি থাকবেন, তা এখনি বলা যাচ্ছে নাহ। শারীরিক অবস্থার উপর নির্ভর করছে।
এর আগে রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ফিরোজা থেকে এভারকেয়ারের উদ্দেশ্যে রওনা হন খালেদা জিয়া। পরে স্বাস্থ্যবিষয়ক পরীক্ষার জন্য তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বেগম জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক আল মামুন সে সময় বলেন, বেশকিছু স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে।
সর্বশেষ শুক্রবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে সেনাকুঞ্জে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশ নেন বিএনপির চেয়ারপারসন। মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী তিনি অনুষ্ঠানে অংশ নেন বলে জানান তার প্রেস উইংয়ের সদস্যরা।
খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। গত ৭ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। চিকিৎসার জন্য ১১৭ দিন লন্ডনে অবস্থান শেষে গত ৬ মে দেশে ফেরেন। এরপর নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হয় বিএনপি চেয়ারপারসনকে।
রাজনীতি
হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া
জরুরি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।
রবিবার (২৩ নভেম্বর) রাতে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ম্যাডামের চিকিৎসার জন্য যে মেডিকেল বোর্ড আছে তাদের পরামর্শক্রমে কিছু পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়েছে। উনি কেবিনে আছেন। টেস্টের রিপোর্টগুলো নিয়ে বোর্ডের পর্যালোচনার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সর্বশেষ গত ১৫ অক্টোবর বিএনপি চেয়ারপারসন এই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। একদিন থেকে কিছু স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন করেন।
৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।



