কর্পোরেট সংবাদ
উপায় ও বিএফআইউই’র যৌথ উদ্যোগে এএমএল-সিএফটি বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা

বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইউই) সহযোগিতায় উপায় “ফোরটিফাইং দ্য ডিজিটাল ফ্রন্টিয়ার” শিরোনামে দিনব্যাপী বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে।
বৃহস্পতিবার (০৯ অক্টোবর) ইউসিবির প্রধান কার্যালয়ে লার্নিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই গুরুত্বপূর্ণ কর্মশালায় উপায়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিএফআইউই’র বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধি দল পরিচালিত এই কর্মশালায় মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে প্রাসঙ্গিক আইনগত কাঠামো, জালিয়াতি ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি এবং প্রতিরোধমূলক কৌশলসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ আলোচনা করা হয়।
এই উদ্যোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশনা প্রতিপালন, কর্মীদের সক্ষমতা ও সচেতনতা বৃদ্ধি, এবং আর্থিক খাতে সততা ও স্বচ্ছতা বজায় রাখার প্রতি প্রতিষ্ঠানের অবিচল অঙ্গীকারের প্রতিফলন বলে উপায়ের কর্ককর্তারা জানান।
কাফি

কর্পোরেট সংবাদ
বিকাশে রেমিটেন্স নিয়ে লাখ টাকার কুপন জেতার সুযোগ

মালয়েশিয়া থেকে আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার প্রতিষ্ঠান ‘টাচ এন গো’র মাধ্যমে বিকাশে পাঠানো সর্বোচ্চ রেমিটেন্স গ্রহণকারী একজন প্রবাসীর স্বজন প্রতি মাসে পেতে পারেন ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার মিনিস্টার পণ্যের কুপন। পাশাপাশি, প্রতি সপ্তাহে আরও পাঁচজন করে পাচ্ছেন ২৫ থেকে ৫ হাজার টাকার কুপন।
ব্যাংকিং চ্যানেল হয়ে বৈধপথে রেমিটেন্স পাঠানোকে আরও উদ্বুদ্ধ করতেই ‘টাচ এন গো’, মিনিস্টার ও বিকাশ এই ক্যাম্পেইনের আয়োজন করেছে। এতে ব্যাংকিং পার্টনার হিসেবে যুক্ত আছে ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসি। ক্যাম্পেইনটি শুরু হয়েছে ১লা অক্টোবর এবং চলবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। মালয়েশিয়ার জনপ্রিয় ফিন্যান্সিয়াল অ্যাপ ‘টাচ এন গো ই-ওয়ালেট’ এর মাধ্যমে বাংলাদেশি প্রবাসীরা দেশে থাকা স্বজনের বিকাশ অ্যাকাউন্টে রেমিটেন্স পাঠাতে পারছেন মুহূর্তেই। বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী তাঁরা বিকাশে প্রতি লেনদেনে সর্বোচ্চ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা পাঠাতে পারছেন।
সাপ্তাহিক কুপন জিততে প্রিয়জনের বিকাশ অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার টাকা (সরকারি ২.৫% প্রণোদনা ছাড়া) বা তার বেশি রেমিটেন্স পাঠাতে হবে মালয়েশিয়া প্রবাসীদের। আর মাসিক কুপন জিততে হলে প্রতি মাসে প্রিয়জনের বিকাশ অ্যাকাউন্টে কমপক্ষে ৪০ হাজার টাকা (সরকারি ২.৫% প্রণোদনা ছাড়া) বা তার বেশি রেমিটেন্স পাঠাতে হবে। একজন রেমিটেন্স গ্রহণকারী একবার করে সাপ্তাহিক ও মাসিক কুপন জিততে পারবেন। মিনিস্টার পণ্য কিনে বিকাশে মাধ্যমে পেমেন্ট করে কুপনগুলো ব্যবহার করা যাবে।
‘টাচ এন গো ই-ওয়ালেট’ থেকে খুব সহজে, তাৎক্ষণিক ও নিরাপদে দেশে থাকা স্বজনের বিকাশ অ্যাকাউন্টে রেমিটেন্স পাঠাতে পারছেন মালয়েশিয়া প্রবাসীরা। ‘টাচ এন গো ই-ওয়ালেট’ অ্যাপের গো রেমিট অপশন থেকে বাংলাদেশ সিলেক্ট করতে হবে। এখানে ই-ওয়ালেট সিলেক্ট করে যত রেমিটেন্স পাঠাবেন তার পরিমাণ লিখে পরের ধাপে যেতে হবে। পরের ধাপে প্রাপকের বিকাশ অ্যাকাউন্টের নাম ও নম্বর বসিয়ে আনুষঙ্গিক কিছু তথ্য দিয়ে নিশ্চিত করলেই রেমিটেন্স পৌঁছে যাবে দেশে থাকা স্বজনের কাছে।
সহজ, তাৎক্ষণিক, নিরাপদ ও বৈধ লেনদেন হওয়ায় দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে বিকাশের মাধ্যমে রেমিটেন্স গ্রহণ। বর্তমানে, বিশ্বের ১৪০টিরও বেশি দেশ থেকে ১১০টি আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার অপারেটর (এমটিও) এর মাধ্যমে দেশের ২৫টি শীর্ষ বাণিজ্যিক ব্যাংকে সেটেলমেন্ট হয়ে নিমেষেই রেমিটেন্স পৌঁছে যাচ্ছে দেশে থাকা প্রিয়জনের বিকাশ অ্যাকাউন্টে। রেমিটেন্সে আসা এই টাকা ব্যবহার করে প্রিয়জনরা ঘরে বসেই অসংখ্য সেবা নিতে পারছেন- যার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পেমেন্ট, গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানির মতো ইউটিলিটি সেবার বিল পরিশোধ, টাকা পাঠানো, মোবাইল রিচার্জ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা সরকারি সেবার ফি পরিশোধ এবং অনুদান প্রদান।
কাফি
কর্পোরেট সংবাদ
থাই এক্সপ্রেস ও স্যাফরন ডাইন’র সঙ্গে ব্র্যাক ব্যাংকের চুক্তি

কার্ডহোল্ডারদের এক্সক্লুসিভ ডাইনিং সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে প্রিমিয়াম ফাইন ডাইনিং রেস্টুরেন্ট ‘থাই এক্সপ্রেস’ ও ‘স্যাফরন ডাইন’র সঙ্গে চুক্তি করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
এই চুক্তির আওতায় ব্র্যাক ব্যাংকের সকল ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডহোল্ডাররা থাই এক্সপ্রেস এবং স্যাফরন ডাইনের সকল খাবারে উপভোগ করবেন ১৫ শতাংশ ফ্ল্যাট ডিসকাউন্ট। অফারটি চলবে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৬ পর্যন্ত। ঢাকায় বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার উল্লিখিত রেস্টুরেন্টগুলোর জন্য অফারটি প্রযোজ্য থাকবে।
থাই এক্সপ্রেস রেস্টুরেন্ট বৈচিত্র্যময় ও সুস্বাদু থাই খাবারের জন্য সুপরিচিত। অন্যদিকে স্যাফরন ডাইন পাকিস্তানি ও ভারতীয় খাবারের জন্য বেশ জনপ্রিয়। দুটি রেস্টুরেন্টই নিজেদের সুস্বাদু খাবার, আভিজাত্য ও আতিথেয়তার জন্য সমাদৃত, যা গ্রাহকদের ডাইনিংয়ে দেবে অন্যরকম অভিজ্ঞতা।
সম্প্রতি ঢাকায় ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। এ সময় থাই এক্সপ্রেস ও স্যাফরন ডাইনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন রেস্টুরেন্ট চেইনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এনামুল হক, ফাইন্যান্স ডিরেক্টর মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন এবং অপারেশন্স ম্যানেজার মিনহাজ মুস্তাকিম সাকি।
ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকটির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব রিটেইল ব্যাংকিং মো. মাহীয়ুল ইসলাম, হেড অব মার্চেন্ট অ্যাকোয়্যারিং খাইরুদ্দিন আহমেদ বাপ্পি, হেড অব অ্যালায়েন্সেস মো. আশরাফুল আলম, হেড অব প্রিমিয়াম ব্যাংকিং প্রপোজিশন আরমিন আহমেদসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
এই চুক্তির বিষয়ে মো. মায়ীয়ুল ইসলাম বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হলো, এ ধরনের উদ্যোগগুলোর মাধ্যমে গ্রাহকদের লাইফস্টাইলে আরও বেশি সুবিধা প্রদান করা, যা তাঁদের প্রতিটি ডাইনিং অভিজ্ঞতাকে করে তুলবে আরও বিশেষ ও আনন্দদায়ক।”
এই চুক্তিটি গ্রাহকদের ভিন্ন ভিন্ন রুচি ও পছন্দের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তাঁদের লাইফস্টাইল-ভিত্তিক সুবিধা প্রদানের ব্যাপারে ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যক্ত করা প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
কাফি
কর্পোরেট সংবাদ
কমিউনিটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে বড় পরিবর্তন

বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পর্ষদে উল্লেখযোগ্য রদবদল এনেছে। ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদে ছয়জন নতুন পরিচালক এবং তিনজন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
নিয়োগপ্রাপ্ত নতুন ছয়জন পরিচালক হলেন- বাংলাদেশ পুলিশের অ্যাডিশনাল আইজি (অ্যাডমিন) এ. কে. এম. আওলাদ হোসেন, অ্যাডিশনাল আইজি (ফিন্যান্স) মো. আকরাম হোসেন, অ্যাডিশনাল আইজি (এইচআরএম) আবু নাছের মোহাম্মদ খালেদ, অ্যাডিশনাল আইজি (সিআইডি) মো. ছিবগাত উল্লাহ, অ্যাডিশনাল আইজি (ডেভেলপমেন্ট) সারদার নূরুল আমিন, ডিআইজি (কনফিডেন্সিয়াল) মো. কামরুল আহসান।
স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মোর্শেদ হাসান খান, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ রফিকুল হক এবং আমিন হোসেন অ্যান্ড কোংয়ের ম্যানেজিং পার্টনার মোহাম্মদ তফাজ্জুল হোসেন।
নবনিযুক্ত পরিচালকদের অন্তর্ভুক্তির ফলে কমিউনিটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ আরও সুসংগঠিত ও শক্তিশালী হবে। এই পদক্ষেপ ব্যাংকের সুশাসন, টেকসই প্রবৃদ্ধি এবং শেয়ারহোল্ডার আস্থা আরও সুদৃঢ় করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
কাফি
কর্পোরেট সংবাদ
এমবিএম গ্রুপের বিশ্ব দৃষ্টি দিবস উদযাপনে ভিশনস্প্রিং ও ব্র্যাক ব্যাংক

ব্র্যাক ব্যাংক ও ভিশনস্প্রিংকে সাথে নিয়ে বিশ্ব দৃষ্টি দিবস ২০২৫ উদযাপন করেছে দেশের অন্যতম শীর্ষ তৈরিপোশাক রপ্তানি প্রতিষ্ঠান এমবিএম গ্রুপ। ব্র্যাক ব্যাংকের ‘অপরাজেয় আমি’ ফ্ল্যাগশিপ সিএসআর উদ্যোগের আওতায় ও ভিশনস্প্রিং -এর সহায়তায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে এমবিএম গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান কাটিং এজ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড কারখানার সকল কর্মীদের বিনামূল্যে চোখ পরীক্ষা ও চশমা বিতরণ করা হয়। এই উদ্যোগের সমাপনী দিনে ব্যাংকটির সাথে দৃষ্টি দিবস উদযাপন করে এমবিএম গ্রুপ।
উল্লেখ্য, প্রতিবছর অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় বৃহস্পতিবার বিশ্ব দৃষ্টি দিবস পালিত হয়। ব্র্যাক ব্যাংকের ‘অপরাজেয় আমি’ উদ্যোগের আওতায় কাটিং এজ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৪,৯১০ জন শ্রমিকের চোখ পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ১,৮৯৬ জনের দৃষ্টি সংশোধনী চশমা ব্যবহারের প্রয়োজন পড়েছে। এদের মধ্যে ১,৫৭৩ জন ব্যক্তি জীবনে প্রথমবারের মতো চশমা ব্যবহার শুরু করেছেন। অনেকের জন্য এটি ছিল নতুন করে পৃথিবী দেখার মতো অভিজ্ঞতা। এর ফলে কর্মক্ষেত্রে তাঁদের উৎপাদনশীলতা যেমন বেড়েছে, তেমনি তাঁদের সামগ্রিক সুস্থতায় এসেছে বিরাট ইতিবাচক পরিবর্তন।
বিশ্ব দৃষ্টি দিবস উপলক্ষ্যে কাটিং এজ কারখানায় চোখ পরীক্ষার এই উদ্যোগের প্রভাব নিয়ে একটি জরিপের ফলাফল উপস্থাপন করা হয়। জরিপে দেখা গেছে, চশমা পাওয়া শ্রমিকদের মাথাব্যথা ও চোখ জ্বালাপোড়া কমেছে, দৃষ্টিশক্তি পরিষ্কার হয়েছে এবং কাজে মনোযোগ বেড়েছে। কয়েকজন শ্রমিক তাঁদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করে কীভাবে এই উদ্যোগটি তাঁদের কর্মজীবন ও ব্যক্তিজীবনে পরিবর্তন নিয়ে এসেছে, সেটি নিয়ে নতুন আশা ও আত্মবিশ্বাসের বিষয়টি ব্যক্ত করেন।
আয়োজনে ব্র্যাক ব্যাংক, এমবিএম গ্রুপ ও ভিশনস্প্রিং-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা শ্রমিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং তাঁদের চোখের যত্নে সচেতন হতে উৎসাহ দেন।
ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকটির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব ট্রেজারি, এফআই অ্যান্ড কর্পোরেট অ্যান্ড ইনস্টিটিউশনাল ব্যাংকিং মো. শাহীন ইকবাল, এফসিএ; রিজিওনাল কর্পোরেটের এরিয়া হেড–২ এস এম মুসাসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
এমবিএম গ্রুপের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ মেহরোজ জলিল, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (এইচআর, সিইআইএল) সাগর কুমার পোদ্দার এবং ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (কমপ্লায়েন্স) জান্নাতুল ফেরদৌস ইভা। ভিশনস্প্রিং-এর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মিশা মেহজাবিন এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা।
অনুষ্ঠানে ভিশনস্প্রিং এমবিএম গ্রুপকে ‘ক্লিয়ার ভিশন ওয়ার্কপ্লেস’ সার্টিফিকেট প্রদান করে। এই স্বীকৃতি কারখানার প্রতিটি শ্রমিকের দৃষ্টি পরীক্ষা এবং তাঁদের জন্য প্রয়োজনীয় চশমার ব্যবস্থা করার মাধ্যমে একটি নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার ব্যাপারে এমবিএম গ্রুপের ব্যক্ত করা প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
উল্লেখ্য, গত বছর থেকে এ পর্যন্ত ব্র্যাক ব্যাংক ও ভিশনস্প্রিং যৌথভাবে ব্যাংকটির তৈরিপোশাক শিল্পের কর্পোরেট গ্রাহক প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৬০,০০০ শ্রমিকের চোখ পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। একটি মূল্যবোধ-নির্ভর প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংক নিজেদের সিএসআর উদ্যোগগুলোকে এমনভাবে সাজায়, যেন সামাজিক সংকীর্ণতা এবং আর্থিক বাধা দূর করে প্রতিটি মানুষ সম্ভাবনার সঠিক বিকাশ ঘটাতে পারেন এবং একটি অর্থবহ জীবনযাপনের সুযোগ পান।
কর্পোরেট সংবাদ
আইএফআইসির ৪৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত

শাখা-উপশাখায় দেশের সর্ববৃহৎ নেটওয়ার্কসম্পন্ন আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির গৌরবময় ৪৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এক অনাড়ম্বর আয়োজনের মাধ্যমে উদযাপিত হল। বুধবার (৮ অক্টোবর) রাজধানীর পুরানা পল্টনে অবস্থিত আইএফআইসি টাওয়ারের মাল্টিপারপাস হলে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মো. মেহমুদ হোসেন, ব্যাংকের স্বতন্ত্র পরিচালক কাজী মো. মাহবুব কাশেম, এফসিএ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মনসুর মোস্তফা, উপব্যবস্থাপনা পরিচালকবৃন্দ, প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রধান এবং অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
এসময় ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. মেহমুদ হোসেন আইএফআইসির ৪৯ বছর পূর্তির এই গৌরবময় সাফল্যের জন্য ব্যাংকের সকল সম্মানিত গ্রাহক, শেয়ারহোল্ডার, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং শুভানুধ্যায়ীদের আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, এ অর্জন সম্ভব হয়েছে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা, আস্থা ও সহযোগিতার ফলেই। ভবিষ্যতেও আইএফআইসি ব্যাংক তার সেবা, দক্ষতা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মনসুর মোস্তফা ব্যাংকের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের প্রতি সময়োপযোগী দিকনির্দেশনা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নিরলস প্রত্যয়ের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি উল্লেখ করেন, সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত আইএফআইসি ব্যাংক শাখা ও উপশাখা মিলিয়ে ১৪১৫টি আউটলেটের মাধ্যমে এবং ৬,০০০ এরও বেশি দক্ষ ও নিবেদিতপ্রাণ কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে সারাদেশে জনগণের কাছে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দিচ্ছে যা শহর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত।
তিনি আরও বলেন, ব্যাংকটি গ্রাহকসেবার মানোন্নয়ন, আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর সেবা এবং ডিজিটাল ব্যাংকিং কার্যক্রম সম্প্রসারণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে, যাতে ভবিষ্যতের ব্যাংকিং আরও সহজ, নিরাপদ ও স্মার্ট হয়ে ওঠে।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ ও কর্মকর্তারা একসঙ্গে কেক কেটে ব্যাংকের ৪৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আনন্দঘন মুহূর্তটি উদযাপন করেন।