ব্যাংক
হজের টাকা জমা দেওয়ার জন্য শনিবার ব্যাংক খোলা
হজ ব্যবস্থাপনার সুবিধার্থে আগামী শনিবার (১১ অক্টোবর) সাপ্তাহিক ছুটির দিন ব্যাংক খোলা রাখতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। হজ কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের শাখা পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করে খোলা রাখার কথা বলা হয়েছে।
আজ সোমবার (০৬ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অব-সাইট সুপারভিশন এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, হজ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করে পূর্ণ দিবস ব্যাংক খোলা রাখতে হবে। একই সঙ্গে আগামী ১২ অক্টোবর (রবিবার) পর্যন্ত লেনদেন সময়ের পরেও যতক্ষণ হজ নিবন্ধনের অর্থ জমাদানকারী থাকবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত অর্থ নিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, আগামী বছর হজ পালনের জন্য আগ্রহীদের প্রাথমিক নিবন্ধন গত ২৭ জুলাই শুরু হয়। প্রাথমিক নিবন্ধন শেষ হবে আগামী ১২ অক্টোবর। সাড়ে তিন লাখ টাকা জমা দিয়ে প্রাথমিক নিবন্ধন করা যাবে। আগামী বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ পালন করতে পারবেন।
ব্যাংক
২০২৬ সালে ব্যাংক বন্ধ থাকবে ২৮ দিন
আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালের জন্য ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে ব্যাংকগুলোর জন্য ২৮ দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এই ছুটি দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের জন্য প্রযোজ্য হবে।
রবিবার (১৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব সাইড সুপারভিশন থেকে এই তালিকা প্রকাশ করে সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
নতুন তালিকা অনুযায়ী, আগামী বছর প্রথম সরকারি ছুটির দিনটি হবে শবে-বরাতে। এ উপলক্ষ্যে ৪ ফেব্রুয়ারি একদিন ব্যাংক বন্ধ থাকবে। ওই মাসে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২১ ফেব্রুয়ারির দিন ব্যাংক বন্ধ থাকবে। এরপর শবে কদর উপলক্ষ্যে ১৭ মার্চ ব্যাংক বন্ধ থাকবে। জুমাতুল বিদা ও পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ১৯ থেকে ২৩ মার্চ পর্যন্ত পাঁচদিন ব্যাংক বন্ধ থাকবে। ঈদুল ফিতরের আগের দুদিন, ঈদের দিন ও ঈদের পরের দুদিন ব্যাংক বন্ধ রাখা হবে। এর মধ্যে দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটি পড়েছে।
এরপর স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে ২৬ মার্চ।
চৈত্র সংক্রান্তি (রাঙামাতি, খাগড়াছড়ি ও বান্দারবান পার্বত্য জেলার জন্য প্রয়োজ্য) ১৩ এপ্রিল। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে ১৪ এপ্রিল, মে দিবস ও বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষ্যে ১ মে ব্যাংক বন্ধ থাকবে। ২৬ থেকে ৩১ মে এ পাঁচ দিন ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ব্যাংক বন্ধ থাকবে। এর মধ্যে দুদিন সাপ্তাহিক ছুটি পড়েছে।
আশুরা উপলক্ষ্যে ২৬ জুন এবং ১ জুলাই ব্যাংক হলিডে উপলক্ষ্যে একদিন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান ৫ আগস্ট, ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে ২৬ আগস্ট, জন্মাষ্টমী ৪ সেপ্টেম্বর, দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ২০ ও ২১ অক্টোবর, বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ১৬ ডিসেম্বর, বড়দিন উপলক্ষ্যে ২৫ ডিসেম্বর ও ব্যাংক হলিডে উপলক্ষ্যে ৩১ ডিসেম্বর ব্যাংক বন্ধ থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব সুপারভিশন থেকে বলা হয়েছে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চলতি বছরের ৯ নভেম্বর প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সব তফসিলি ব্যাংকের জন্য এ ছুটি কার্যকর হবে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ব্যাংকের তালিকায় দেখা গেছে, গত বছর ২০২৪ সালে দেশের তফসিলি ব্যাংকগুলোর জন্য ছুটি ছিল ২৪ দিন এবং এ বছর (২০২৫ সালে) ছুটি ২৭ দিন।
ব্যাংক
গ্লোবাল ফাইন্যান্সের মূল্যায়ন, ‘সি’ গ্রেড পেলেন গভর্নর
আন্তর্জাতিক আর্থিক সাময়িকী গ্লোবাল ফাইন্যান্স–এর ২০২৫ সালের মূল্যায়নে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর পেয়েছেন ‘সি’ গ্রেড। অর্থাৎ, তার নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পারফরম্যান্সকে সংস্থাটি ‘মিশ্র’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
সম্প্রতি গ্লোবাল ফাইন্যান্সের প্রকাশিত ‘সেন্ট্রাল ব্যাংকার রিপোর্ট কার্ড ২০২৫’–এ বলা হয়েছে, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, প্রবৃদ্ধি অর্জন, মুদ্রার স্থিতিশীলতা ও নীতিগত বিশ্বাসযোগ্যতা— এই চার সূচকে গড়পড়তা ফল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রতিবেদনে শ্রীলঙ্কার গভর্নর নন্দলাল উইরাসিংহে পেয়েছেন ‘এ’ গ্রেড, আর ভিয়েতনামের গভর্নর নুয়েন থি হং পেয়েছেন সর্বোচ্চ ‘এ প্লাস’।
তুলনামূলকভাবে, বাংলাদেশের সাবেক গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার ২০২৩ সালে পেয়েছিলেন ‘ডি’ গ্রেড। ফলে, মনসুরের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অবস্থান কিছুটা উন্নত হলেও এখনও কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছায়নি বলে মন্তব্য করেছে সংস্থাটি।
২০২৪ সালের ৫ আগস্টে সরকার পরিবর্তনের পর গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন আহসান এইচ মনসুর। তিনি দায়িত্ব নেন এমন এক সময়ে, যখন রাজনৈতিক অস্থিরতা, ব্যাংক খাতের অনিয়ম, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকট এবং উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি অর্থনীতিকে টালমাটাল করে রেখেছিল। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রিপো রেট ৮.৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশে উন্নীত করেন। এতে কিছুটা প্রভাব পড়লেও প্রবৃদ্ধি কমে ২০২৫ অর্থবছরে জিডিপি ৩.৯ শতাংশে নেমে আসে, যা গত দশকের গড় ৬ শতাংশের তুলনায় অনেক নিচে।
আহসান এইচ মনসুরের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ব্যাংক আইএমএফের সহায়তায় তিন বছরের ব্যাংকখাত সংস্কার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এতে খেলাপি ঋণ কমানো, দেউলিয়া আইন হালনাগাদ করা এবং ব্যাংক পরিচালনায় জবাবদিহিতা বৃদ্ধি–এর পরিকল্পনা থাকলেও বাস্তব অগ্রগতি ধীর।
গ্লোবাল ফাইন্যান্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘আহসান এইচ মনসুরের নীতি দিকনির্দেশনা যুক্তিসংগত হলেও বাস্তবায়নে গতি কম; ফলে জনগণের আস্থা এখনো পুরোপুরি ফিরে আসেনি।’
অর্থনীতিবিদদের মতে, ‘সি’ গ্রেড মানে হচ্ছে নীতিগত দিক সঠিক পথে থাকলেও বাস্তব পরিবর্তনের ফল এখনো দৃশ্যমান নয়। মুদ্রাস্ফীতি, ঋণ অনিয়ম ও ডলারবাজারের অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে না আসায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখনো কঠিন পরীক্ষার মুখে রয়েছে।
ব্যাংক
রমজানে ভোগ্যপণ্য আমদানিতে এলসিতে ছাড় দিল বাংলাদেশ ব্যাংক
পবিত্র রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে ১০টি পণ্য আমদানিতে ঋণপত্র (এলসি) খোলার সময় নগদ মার্জিন ন্যূনতম রাখার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এসংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠানো হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ব্যাংকার–গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে চাল, গম, পেঁয়াজ, ডাল, ভোজ্য তেল, চিনি, ছোলা, মটর, মসলা ও খেজুর—এই ১০টি পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নগদ মার্জিন সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখতে হবে। এ নির্দেশনা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে এবং ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বহাল থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, রমজান মাসে এসব পণ্যের চাহিদা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়। তাই আমদানি সহজীকরণের মাধ্যমে বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ বজায় রাখা ও মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখার লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এর আগে রমজান মৌসুমে কিছু ভোগ্যপণ্যের আমদানিতে ১০০ শতাংশ নগদ মার্জিন সংরক্ষণের নির্দেশনা ছিল। পরে আমদানি পরিস্থিতি ও বাজারের চাহিদা বিবেচনায় ব্যাংকার–গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে সেই হার ন্যূনতম পর্যায়ে রাখার সুযোগ দেওয়া হয়, যা সর্বশেষ গত ৩১ মার্চ পর্যন্ত বলবৎ ছিল।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন নির্দেশনায় আরো বলা হয়েছে, অভ্যন্তরীণ বাজারে এসব পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে ব্যাংকগুলোকে সংশ্লিষ্ট আমদানি ঋণপত্র স্থাপনে অগ্রাধিকার দিতে হবে। ব্যাংক কম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
অর্থনীতি
ব্যাংক খাতে এআই নীতিমালা হচ্ছে
ব্যাংক খাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহারের জন্য একটি নীতিমালা প্রণয়ন করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর লক্ষ্য হলো- ব্যাংক খাতে এআই প্রযুক্তির নিরাপদ ও কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করা, যেন জালিয়াতি প্রতিরোধ, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, অর্থনৈতিক পূর্বাভাস, অভ্যন্তরীণ দক্ষতা বৃদ্ধি এবং গ্রাহকসেবা উন্নত করা যায়।
এই নীতিমালা প্রণয়নের কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সাত সদস্যের একটি বিশেষ দল। তারা এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে এবং আগামী দুই মাসের মধ্যে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসারে নীতিমালার একটি খসড়া প্রস্তুত করার কথা। পুরো প্রক্রিয়ার সমন্বয়ের দায়িত্বে আছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মুহাম্মদ জাকির হাসান। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
নীতিমালার মূল লক্ষ্য হলো দেশের ব্যাংক খাতকে আরও আধুনিক, স্বচ্ছ ও দক্ষ করে তোলা। এজন্য, বাংলাদেশ ব্যাংক নিজস্ব লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল (এলএলএম) তৈরি করে এআই প্রযুক্তি বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নিয়েছে। এতে দেশের তথ্য বিদেশে পাঠানোর প্রয়োজন পড়বে না, ফলে তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
এআই ব্যবহারের মাধ্যমে বিপুল অর্থনৈতিক তথ্য বিশ্লেষণ করে মুদ্রাস্ফীতি, জিডিপি প্রবৃদ্ধি এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের আরও নির্ভুল পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব হবে। একই সঙ্গে ঋণ, বাজার ও তারল্য ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায়ও এআই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ফিনটেক ও ডিজিটাল ব্যাংক খাতে উদ্ভাবন ত্বরান্বিত করতেও এই প্রযুক্তি যুক্ত করা হবে।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশের প্রায় ৬০ শতাংশ ব্যাংকের সাইবার নিরাপত্তায় এআই ব্যবহারের কোনো নীতিমালা নেই, আর মাত্র ৪০ শতাংশ ব্যাংক এই বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়ন করেছে।
অর্থনীতি
পাঁচ ব্যাংকের শেয়ারধারীদের ক্ষতি সরকার চাইলে দিতে পারে: বাংলাদেশ ব্যাংক
আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত পাঁচটি শরিয়াভিত্তিক ব্যাংককে একীভূত করার প্রক্রিয়ায় সাধারণ বিনিয়োগকারী বা শেয়ারধারীদের স্বার্থ সংরক্ষণের বিষয়টি আপাতত বিবেচনার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে, ক্ষুদ্র শেয়ারধারীদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার চাইলে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক ও এফসিডিও’র কারিগরি সহায়তা ও মতামত নিয়ে ব্যাংক রেজল্যুশন অধ্যাদেশ, ২০২৫ প্রণয়ন করা হয়েছে। এ আইনে রেজল্যুশন প্রক্রিয়ায় আমানতকারী, শেয়ারহোল্ডারসহ পাওনাদারদের অধিকার স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করা আছে।
অধ্যাদেশের ধারা ১৬(২)(ট), ২৮(৫), ৩৭(২)(গ) ও ৩৮(২) অনুসারে রেজল্যুশনের আওতাধীন ব্যাংকের শেয়ারধারক, দায়ী ব্যক্তি, এডিশনাল টিয়ার–১ ও টিয়ার–২ মূলধনধারকদের ওপর লোকসান আরোপের ক্ষমতা রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের।
তবে ধারা ৪০ অনুযায়ী, রেজল্যুশনের বদলে অবসায়ন হলে শেয়ারহোল্ডাররা যে ক্ষতির মুখে পড়তেন তার চেয়ে বেশি ক্ষতি হলে, সেই পার্থক্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, আন্তর্জাতিক কনসালটিং ফার্মের এ-কিউ-আর ও বিশেষ পরিদর্শনে দেখা যায়— উল্লিখিত পাঁচ ব্যাংক বিশাল লোকসানে রয়েছে এবং তাদের শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) ঋণাত্মক। এসব বিবেচনায় চলতি বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর ব্যাংকিং সেক্টর ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটির বৈঠকে সংকটাপন্ন ব্যাংকগুলোর সমগ্র লোকসানের দায়ভার শেয়ারহোল্ডারদের বহন করতে হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়।
ব্যাংক রেজল্যুশন অধ্যাদেশের অধীনে শেয়ারধারীদের স্বার্থ সংরক্ষণের বিষয়টি আপাতত বিবেচনার সুযোগ নেই। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, সরকার চাইলে ক্ষুদ্র শেয়ারহোল্ডারদের আর্থিক স্বার্থ রক্ষায় ক্ষতিপূরণের বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে।



