আবহাওয়া
উত্তরের চার জেলায় বন্যার আভাস

হঠাৎ অতিবৃষ্টির কারণে দেশের উত্তরাঞ্চলের ৪টি নদ-নদীর পানি বেড়ে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
রবিবার (৫ অক্টোবর) সংস্থাটির উত্তরাঞ্চলের নদী অববাহিকাগুলোর বন্যা সম্পর্কিত বিশেষ বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
বার্তায় বলা হয়, রোববার (৫ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে সোমবার (৬ অক্টোবর) সকাল ৯টা অথবা কাছাকাছি সময়ে দেশের অভ্যন্তরে ও উজানে বিচ্ছিন্নভাবে ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টির প্রভাবে তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদ-নদীগুলোর পানি আগামী ১২ ঘণ্টায় বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।
একইসঙ্গে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগ এবং উজানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিমে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ সময় পঞ্চগড়ে ১১৮ মিলিমিটার, নীলফামারীর ডালিয়ায় ৮৫, কুড়িগ্রামের পাটেশ্বরীতে ৭৫ এবং উজানে পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিংয়ে ২৬১, কোচবিহারে ১৯০, জলপাইগুড়িতে ১৭২, শিলিগুড়িতে ১৩৪, অরুণাচল প্রদেশের পাসিঘাটে ৮৯ এবং সিকিমের রাজধানী গ্যাংটকে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

আবহাওয়া
দিক পরিবর্তন করেছে ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’, সতর্কতা জারি

আরব সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলেও, বর্তমানে এটি ধীরে ধীরে দুর্বল হতে শুরু করেছে। তবে এর প্রভাবে ভারত ও ওমান উপকূলে তীব্র জলোচ্ছ্বাস ও আকস্মিক বৃষ্টিপাত হতে পারে। তাই উভয় অঞ্চলেই সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তরের (আইএমডি) পূর্বাভাস অনুযায়ী, শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ রোববার সন্ধ্যায় উত্তর-পূর্ব ও পশ্চিম-মধ্য আরব সাগরে পৌঁছে আবার পূর্ব দিকে বাঁক নিতে শুরু করেছে।
ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে শনিবার পর্যন্ত বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটারের বেশি রেকর্ড করা হয়েছিল। ফলস্বরূপ, মুম্বাইসহ ভারতের মহারাষ্ট্রের উপকূলীয় এলাকায় রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়। ‘শক্তি’ গতিপথ পরিবর্তন করায় স্থানীয়দের মধ্যে স্বস্তি এলেও, কর্তৃপক্ষ সকলকে সতর্ক থাকতে বলেছে।
অন্যদিকে, ওমানের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে ঘূর্ণিঝড়টি তাদের আল-সারকিয়া উপকূলের দিকে ধীরে ধীরে এগোচ্ছে, তবে আজ রাত থেকেই এটি দুর্বল হতে শুরু করবে। তাদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, রাতের শেষ ভাগ ও সোমবার সকালে ঝড়টি পূর্ব দিকে সরে গিয়ে আবার আরব সাগরের মাঝামাঝি অঞ্চলে ফিরে যাবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র ওমান উপকূল থেকে আনুমানিক ১০০ থেকে ২০০ কিলোমিটারের মধ্যে দিয়ে অতিক্রম করতে পারে। যদিও এটি স্থলভাগে বড় কোনো আঘাত হানবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে, তবুও সামুদ্রিক কার্যক্রম স্থগিত রাখা এবং স্থানীয়দের নিরাপদে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘শক্তি’ এখন ধীরে ধীরে শক্তি হারাচ্ছে, তবে এর অবশিষ্ট প্রভাব ভারি বৃষ্টি, জলোচ্ছ্বাস ও আকস্মিক বাতাসের ঝাপটায় রূপ নিতে পারে। তাই ভারত ও ওমান—উভয় দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা সর্বোচ্চ সতর্কতা বজায় রাখতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া
ঢাকাসহ ৭ জেলায় ঝড়বৃষ্টির আভাস

সন্ধ্যার মধ্যে দেশের ৭ জেলার ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় ও বজ্রবৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
রোববার (৫ অক্টোবর) সকাল ৯টা ৩০ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের নদীবন্দরের জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানানো হয়।
আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেছার করা পূর্বাভাসে বলা হয়—রংপুর, পাবনা, বগুড়া, ঢাকা, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর এবং খুলনা অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণপূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।
এ সময় এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে সবশেষ সারা দেশের জন্য দেওয়া ১২০ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে—আজ রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আবহাওয়া
দুপুরের মধ্যে ৮ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস

দুপুরের মধ্যে দেশের আট অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শনিবার (৪ অক্টোবর) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ী দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি কিংবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, রংপুরের অধিকাংশ এলাকায় এবং রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক স্থানে ঝোড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে।
আবহাওয়া
বৃষ্টি কবে কমবে, জানালো আবহাওয়া অফিস

মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি এখনো অব্যাহত। গভীর নিম্নচাপ উপকূল অতিক্রম করলেও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সকাল থেকে ঢাকাসহ বিভিন্নস্থানে বৃষ্টি হচ্ছে থেমে থেমে। আগামী সোমবার (৬ অক্টোবর) থেকে অনেকটা কমে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা বলেন, গভীর নিম্নচাপ এখন স্থল নিম্নচাপ আকারে ভারতের ওড়িশা উপকূলে অবস্থন করছে। এর ফলে বৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া আগামী সপ্তাহে বর্ষা বিদায় নেবে, তাই শেষ সময়ে বৃষ্টি ঝরছে। আগামী ৬ অক্টোবর থেকে বৃষ্টি অনেকটা কমে যাবে।
তবে আজ শুক্রবার রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আজ সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
বৃহস্পতিবার দেশে সর্বোচ্চ ৬৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে ফেনীতে। এসময় ঢাকায় বৃষ্টি হয় ২ মিলিমিটার। এর আগে, বুধবার (১ অক্টোবর) দুপুরে আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ ড. আবুল কালাম মল্লিক বলেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৬ ঘণ্টায় ১৩২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এটি এই সময়ে দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টি। আর ২৪ ঘণ্টায় হয়েছে ২০৬ মিলিমিটার। চলতি বর্ষা মৌসুমে ঢাকায় এটি সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড।
আবহাওয়া
ঢাকাসহ উপকূলের ৯ জেলায় বজ্রবৃষ্টি আভাস

ঢাকাসহ উপকূলীয় অঞ্চলের ৯টি জেলায় অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
অঞ্চলগুলো হলো- ঢাকা, ফরিদপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়, এসব অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।