রাজনীতি
জামায়াতের আমির নির্বাচন ডিসেম্বরে
চলতি বছরের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে জামায়াতে ইসলামীর নতুন আমির নির্বাচন। সারাদেশের এক লাখের বেশি রুকন সদস্য অংশ নেবেন গোপন প্রত্যক্ষ ভোটে।
দলের একটি সূত্র জানিয়েছে, এরই মধ্যে আমির নির্বাচনের দুটি সম্ভাব্য প্যানেল নিয়ে আলোচনা চলছে দলটির মধ্যে। যেটির একটিতে আছেন বর্তমান আমির ডা. শফিকুর রহমান, নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান এবং সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি এ টি এম আজহারুল ইসলামের নাম। অন্য প্যানেলটিতে এটিএম আজহারের পরিবর্তে আছেন বর্তমান আরেক নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহেরের নাম।
দলটির গঠনতন্ত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আমির নির্বাচনের জন্য বিদায়ী কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্যরা তিনজনের একটি প্যানেল নির্বাচন করেন। সাধারণত এই প্যানেল থেকে সারাদেশের রুকন সদস্যরা গোপন ভোটে একজনকে নির্বাচিত করেন দলটির আমির হিসেবে। তবে প্যানেলের বাইরেও যে কাউকে ভোট দিতে পারেন ভোটাররা।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের জানান, ২৫ ডিসেম্বরের আগে দলের নির্বাচন সারবেন তারা। জাতীয় নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ থাকবে নতুন আমিরের কাঁধে।
জামায়াতের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পদটির নাম ‘আমির’। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সারাদেশে থাকা দলটির রুকন সদস্যদের ভোটে তিন বছরের জন্য নির্বাচিত হন একজন আমির। তিনিই পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্যদের পরামর্শক্রমে নায়েবে আমির, সেক্রেটারি জেনারেল, সহকারী সেক্রেটারিসহ নির্বাহী দায়িত্বশীল পদগুলোতে দলের নেতাদের দায়িত্ব দিয়ে থাকেন।
বর্তমানে আমির পদে দ্বিতীয়বারের মতো দায়িত্ব পালন করা ডা. শফিকুর রহমানের মেয়াদ শেষ হবে ডিসেম্বরে। তিনি ২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো দায়িত্ব পান জামায়াতের আমিরের। ২০২২ সালের নভেম্বরে নির্বাচিত হন দ্বিতীয়বারের মতো। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিন বছরের মধ্যে আমির নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা থাকলেও একজন ব্যক্তি কতবার আমির হতে পারবেন সে ব্যাপারে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা নেই।
রাজনীতি
‘কিছু আসে যায় না, আল্লাহ জীবন দিয়েছেন, তিনিই নেবেন’- রায়ের আগে হাসিনা
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায় ঘোষণার আগমুহূর্তে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমর্থকদের উদ্দেশে পাঠানো এক অডিও বার্তায় দাবি করেছেন, অভিযোগগুলো মিথ্যা এবং তাকে রাজনৈতিকভাবে নিশ্চিহ্ন করতে চায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তিনি বলেছেন, রায় নিয়ে তার কোনো উদ্বেগ নেই এবং তিনি আবার জনগণের জন্য কাজ করবেন। খবর ভারতীয় গণমাধ্যমের।
বাংলাদেশে তার ক্ষমতাকালের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আজকের রায় ঘোষণার আগে শেখ হাসিনা বলেন, অভিযোগ ‘মিথ্যা’ এবং তিনি এমন রায়কে গুরুত্ব দেন না। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায় ঘোষণার আগে পাঠানো অডিও বার্তায় আওয়ামী লীগ সভাপতি দাবি করেন, নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তার দলকে ‘শেষ করে দিতে’ চাইছে।
৭৮ বছর বয়সী হাসিনা বলেন, ‘এটা এত সহজ না। আওয়ামী লীগ শেকড় থেকে উঠে এসেছে, কোনো ক্ষমতাদখলকারীর পকেট থেকে না।’
তিনি জানান, প্রতিবাদের ডাক দেওয়ার পর দেশজুড়ে সমর্থকেরা যেভাবে সাড়া দিয়েছেন তা তাকে নতুন করে আশ্বস্ত করেছে। তার ভাষায়, ‘তারা আমাদের বিশ্বাস দিয়েছে। জনগণ এই দুর্নীতিবাজ, জঙ্গিবাদী ও খুনি ইউনুস আর তার দোসরদের দেখিয়ে দেবে বাংলাদেশ কত দ্রুত ঘুরে দাঁড়াতে পারে; জনগণই বিচার করবে।’
গত বছর দেশজুড়ে সহিংসতায় রূপ নেওয়া বিক্ষোভের পর হাসিনা দিল্লিতে পালিয়ে যান এবং তার আগে পদত্যাগ করেন। এরপর ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেয় এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা শুরু করে। ঢাকায় আদালত হাজিরার নির্দেশ দিলেও তিনি তা অমান্য করেন।
সমর্থকদের উদ্দেশে হাসিনা বলেন, ‘চিন্তা করার কিছু নেই। আমি বেঁচে আছি, বেঁচে থাকব, আবার মানুষের কল্যাণে কাজ করব, আর বাংলাদেশের মাটিতেই বিচার করব।’
ইউনুসকে ক্ষমতা দখলের অভিযোগ করে তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী জোর করে নির্বাচিত প্রতিনিধিকে অপসারণ শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তার অভিযোগ, ‘ইউনুস খুব পরিকল্পনা করে ঠিক এই কাজটাই করেছে।’
তিনি দাবি করেন, গত বছরের ছাত্রবিক্ষোভে সরকার সব দাবি মেনে নিলেও একের পর এক নতুন দাবি তোলা হয়। তার ভাষায়, ‘উদ্দেশ্য ছিল বিশৃঙ্খলা তৈরি করা।’
মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগকে তিনি নাকচ করে বলেন, ‘আমি ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছি আর তারা আমাকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ দেয়?’
হাসিনার অভিযোগ, ইউনুস সরকার পুলিশ, আওয়ামী লীগ কর্মী, আইনজীবী, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হত্যার দায়ে অভিযুক্তদের সাধারণ ক্ষমা দিয়েছে। তার কথায়, ‘এভাবে সাধারণ ক্ষমা দিয়ে সে নিজের কাঁধেই দায়টা চাপিয়ে দিয়েছে।’
এই ক্ষমা ভুক্তভোগীদের পরিবারের জন্য বিচারপ্রাপ্তির পথ বন্ধ করে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। ‘কী ধরনের মানবতা এটা?’—প্রশ্ন তার।
হাসিনা বলেন, ‘রায় দিক, আমার কিছু যায় আসে না। আল্লাহ আমাকে জীবন দিয়েছেন, আল্লাহই নেবেন। কিন্তু দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাব। আমার বাবা-মা, ভাইবোন সবাইকে হারিয়েছি, তারা আমার ঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে।’
গণভবনে ভাঙচুর ও লুটের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘গণভবন আমার সম্পত্তি না, এটা সরকারি সম্পত্তি। তারা বলে এটা নাকি বিপ্লব। লুটেরা আর সন্ত্রাসীরা কোনো বিপ্লব করতে পারে না।’
তিনি আরও বলেন, এই ধরনের আদালতের রায় তাকে থামাতে পারবে না। ‘আমি জনগণের সঙ্গে আছি। আমি আমার কর্মীদের বলছি—চিন্তা কোরো না। সময়ের ব্যাপার মাত্র। তোমরা কষ্ট পাচ্ছ, আমরা ভুলব না, হিসাব হবে। আর আমি বিশ্বাস করি, আমি সেটা ফিরিয়ে দিতে পারব, ইনশাআল্লাহ।’
হাসিনা দাবি করেন, তার সরকারের সময়ে দেশের মানুষের জীবন বদলে গিয়েছিল। ‘আজ বেকারত্ব বাড়ছে। আয় নেই। দেশে উৎপাদন নেই। শিল্পকারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ব্যাংক লুট হচ্ছে। বাংলাদেশকে এই পরিস্থিতি থেকে বের করতে হবে। সবাই ভালো থেকো। জয় বাংলা, জয় বাংলা, বাংলাদেশ।’
রাজনীতি
হাসিনার রায়ের অপেক্ষায় জাতি: মির্জা ফখরুল
গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার রায়কে ঘিরে জাতি এখন অপেক্ষায় আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকালে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফেসবুক পোস্টে মির্জা ফখরুল লেখেন, ‘ঢাকায় কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার রায় ঘোষিত হবে। আমি আশা করব আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি ন্যায্য বিচার নিশ্চিত হবে। জাতি অপেক্ষায় আছে!’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘মুগ্ধ, ওয়াসিম, আবু সাইদ আরও অনেকে অপেক্ষায় আছে! অপেক্ষায় আছে আগামীর বাংলাদেশ।’
পোস্টের সঙ্গে তিনি জুলাই–আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের স্মরণে তৈরি একটি পোস্টারও শেয়ার করেন।
রাজনীতি
শেখ হাসিনাকে হাজার বার ফাঁসি দিলেও কম হবে: মীর স্নিগ্ধ
শেখ হাসিনা যে অপরাধ করেছে তার জন্য যদি তাকে হাজার বারও ফাঁসি দেওয়া হয়, সেটাও তার জন্য কম হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত মীর মুগ্ধর ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এ মন্তব্য করেন তিনি ।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার অন্যায়-অপরাধের বিচার ৫ আগস্টেই হয়ে গেছে। এখন শুধু আদালতের আনুষ্ঠানিক রায়ের প্রকাশের অপেক্ষা। তবে যে অপরাধ করেছে, তার জন্য যদি তাকে হাজার বারও ফাঁসি দেওয়া হয়, সেটাও তার জন্য কম হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, গুম-খুন-হত্যাকাণ্ডের শিকার পরিবার এবং গত ১৭ বছর ধরে নির্যাতিত মানুষের একটাই প্রত্যাশা—শেখ হাসিনার ফাঁসি কার্যকর করা হোক।
এদিকে, জুলাই আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় অন্যতম আসামি থেকে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে।
এই মামলায় পলাতক রয়েছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে প্রিজনভ্যানে করে মামুনকে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
সোমবার বেলা ১১টার পর ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে এ রায় ঘোষণা করা হবে।
এদিকে, শেখ হাসিনার রায়কে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনাল ও সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় বাড়ানো হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা। পুলিশ-র্যাব, এপিবিএন-বিজিবির পাশাপাশি নিয়োজিত রয়েছে সেনাবাহিনী। তৎপর গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও। নিরাপত্তার স্বার্থে রোববার সন্ধ্যার পর থেকেই দোয়েল চত্বর হয়ে শিক্ষাভবনমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ রেখেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সীমিত করা হয়েছে জনসাধারণের চলাচলও।
রাজনীতি
নির্বাচিত হলে আত্মকর্মে স্বনির্ভর ঢাকা-১৭ গড়ে তোলা হবে: ডা. খালিদুজ্জামান
নির্বাচিত হলে আত্মকর্মে স্বনির্ভর ঢাকা-১৭ গড়ে তোলা হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা-১৭ আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ডা. এসএম খালিদুজ্জামান।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) গুলশান পূর্ব থানার উদ্যোগে আত্নকর্মসংস্থান তৈরি করতে বেকারদের মাঝে ভ্যান ও সেলাই মেশিন বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের কোটি কোটি যুবক আজ বেকার। তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে না পারার কারণে তারা আজ মাদকাসক্তসহ নানান সামাজিক অবক্ষয়মূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে যাচ্ছে। যদি পরিকল্পিতভাবে এ যুবকদের কাজে লাগানো যায়, তাহলে দেশ অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বি হবে। জামায়াতের পক্ষ থেকে সাধ্যনুযায়ী কর্মসংস্থান তৈরির লক্ষে আমরা ভ্যান বিতরণ,দোকান তৈরি করপ দেওয়া,সেলাই মেশিন বিতরণ ও কারিগরি প্রশিক্ষণসহ নানান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন,আমীরে জামায়াতের নেতৃত্বে আগামী দিনে সরকার গঠন হলে সকল বেকার জনগণের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে ইনশাআল্লাহ।
মহানগরী মজলিসে শূরা সদস্য ও গুলশান পূর্ব থানা জামায়াতের আমীর মো. জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং থানা জামায়াতের সেক্রেটারি আব্দুল মোতালেব মইনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগরী উত্তর এর কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা-১৭ আসনের নির্বাচন পরিচালক হেদায়েত উল্লাহ, ঢাকা-১৭ আসনের নির্বাচন সদস্য সচীব ও বননি থানা আমীর মিজানুর রহমান খান, ভাষানটেক থানা আমীর ডা. আহসান হাবীব প্রমূখ।
এমকে
রাজনীতি
জাতীয় নির্বাচনকে অর্থবহ করতে আগে গণভোট প্রয়োজন: ড. হেলাল উদ্দিন
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর, ঢাকা-৮ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনকে অর্থবহ করতে আগে গণভোট প্রয়োজন। তিনি বলেন, জুলাই সনদে রাজনৈতিক দলগুলোর স্বাক্ষরের মাধ্যমেই জুলাই সনদে রাজনৈতিক দলের সম্মতি চলে আসছে। সবশেষ রাষ্ট্রপতি কর্তৃক জুলাই সনদের আদেশ জারি করার মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথ তৈরি হয়েছে। কিন্তু গণভোট আয়োজনে গণমানুষের দাবি উপেক্ষিত হয়েছে। একই দিনে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচনের সরকারের সিদ্ধান্ত পুর্নবিবেচনার আহ্বান জানিয়ে ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, অর্থ সাশ্রয়ের নামে জাতির ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গণভোটকে প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে না। জাতীয় নির্বাচনে কোনো কেন্দ্রে সংঘর্ষ হলে ঐ আসনের পুরো নির্বাচন বাতিল করার ইখতেহার কমিশনের রয়েছে। এক্ষেত্রে গণভোটও বাতিল করতে হবে। এতে অর্থ সাশ্রয় হবে না বরং এক কাজে দুইবার অর্থ খরচ হবে। কারণ একবার ভোট বাতিল করে আবার ভোট আয়োজন করতে গেলে ডাবল অর্থ খরচ হবে। শনিবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী শাহজাহানপুর থানার উদ্যোগে আয়োজিত প্রচার মিছিল পূর্বক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য ও শাহজাহানপুর পূর্ব থানা আমীর মুহাম্মদ শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পথসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি (ঢাকা-৮ আসনে জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচন পরিচালক) মুহাম্মদ শামছুর রহমান ও মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য পল্টন থানা আমীর (ঢাকা-৮ আসনে জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব) শাহীন আহমেদ খান। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহানগরীর মজলিসে শুরা সদস্য ও মতিঝিল দক্ষিণ থানা আমীর মাওলানা মুতাছিম বিল্লাহ, রমনা থানা আমীর মো. আতিকুর রহমান, শাহজাহানপুর পশ্চিম থানা আমীর মো. সরোয়ার, মতিঝিল পূর্ব থানা আমীর মো. নুরুদ্দিনসহ ঢাকা-৮ সংসদীয় এলাকার সকল সাংগঠনিক থানার দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ।
মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনার মামলার রায়কে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগসহ তাদের শরিক ১৪ দলের আগুন-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকামী-শান্তিপ্রিয় সকল রাজনৈতিক তলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, আওয়ামী লীগকে আর কোনো ছাড় দেওয়া যায় না, যাবে না। এরা দেশ ও জাতির দুশমন। আওয়ামী লীগের নেতারা বিদেশে বসে দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে আর তাদের শরিক জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলকে দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। যেখানেই আওয়ামী লীগের নৈরাজ্য সেখানেই ছাত্র-জনতা প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। কেউ যদি দেশের জনগণের জানমাল ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট করার চেষ্টা করে তবে তাকে গণধোলাই দিয়ে প্রশাসনের হাতে তুলে দিতে হবে। তিনি বলেন, ‘‘৫ আগস্ট আওয়ামী লীগকে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দিয়ে জনগন উদারতার পরিচয় দিয়েছে’’ কিন্তু এবার আর উদারতা দেখানো যাবে না। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা যেখানেই জ্বালাও-পোড়াও এবং নৈরাজ্যের চেষ্টা করবে তাদেরকে শক্ত হাতে দমন করতে হবে। “আওয়ামী লীগ জাতির শত্রু, ভারতীয় আধিপাত্যবাদের দালাল”।
নতুন বাংলাদেশ গড়তে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে এগিয়ে আসতে তিনি উপস্থিত যুবসমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, জামায়াতে ইসলামী তরুণ-যুবসমাজকে সঙ্গে নিয়ে জাতিকে একটি কল্যাণ ও মানবিক নিরাপদ বাসযোগ্য বাংলাদেশ উপহার দিতে চায়। জামায়াতে ইসলামী দুর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ মুক্ত দেশ গঠনকে বিশ্ব দরবারে এক নতুন বাংলাদেশ উপস্থাপন করতে চায়। তিনি নির্বাচিত হলে ঢাকা-৮ সংসদীয় এলাকাকে নিরাপদ ও বাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, “আমার ঢাকা, আমাদের ঢাকা; গড়বো মোরা একসাথে” স্লোগানে ঢাকা-৮ সংসদীয় এলাকাকে নতুন বাংলাদেশের মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে স্থানীয়দের জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে এগিয়ে আসতে তিনি আহ্বান জানান।



