আন্তর্জাতিক
ইরানের ৩৮ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিকে সহায়তার অভিযোগে দেশটির একটি অস্ত্র সংগ্রহ নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তেহরানের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের কয়েক দিন পর বুধবার মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে।
ওয়াশিংটন বলেছে, নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় ইরানের ২১টি প্রতিষ্ঠান ও ১৭ জন ব্যক্তি রয়েছে; যারা মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থানরত মার্কিন সৈন্য, আন্তর্জাতিক জলসীমা অতিক্রমকারী মার্কিন বাণিজ্যিক জাহাজ ও বেসামরিক নাগরিকদের জন্য গুরুতর হুমকি তৈরি করছে।
মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় বলেছে, জাতিসংঘের ২৭ সেপ্টেম্বরের সিদ্ধান্তের পর ইরানের বিরুদ্ধে নতুন করে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। জাতিসংঘ ওই দিন ইরানের পারমাণবিক, ক্ষেপণাস্ত্র ও অন্যান্য সামরিক কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা ও বিভিন্ন ধরনের বিধিনিষেধ পুনর্বহাল করে।
গত শনিবার জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের পর ট্রাম্প প্রশাসন ইরানের বিরুদ্ধে প্রথম এই পদক্ষেপ নিয়েছে। এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে পারমাণবিক অস্ত্র ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে তেহরানের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক চাপ আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় বলেছে, নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়া নেটওয়ার্কগুলো ইরান ছাড়াও হংকং, চীন ও জার্মানিসহ কয়েকটি দেশে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
এক বিবৃতিতে মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেতৃত্বে আমরা ইরানি শাসকগোষ্ঠীকে সেই সব অস্ত্র থেকে বঞ্চিত করব, যেগুলো তারা তাদের ক্ষতিকর উদ্দেশ্য পূরণে ব্যবহার করে।
এর আগে, গত সোমবার ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে উদ্বেগের মাঝে ব্রিটিশ সরকার ইরান-সংশ্লিষ্ট কয়েক ডজন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তার একদিন আগে পরমাণু কর্মসূচি ঘিরে ইরানের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা ও অন্যান্য নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করে জাতিসংঘ। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর উদ্যোগে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে তেহরান।
ইরান ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি লঙ্ঘন করেছে অভিযোগ তুলে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে তেহরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের প্রক্রিয়া শুরু করে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং জার্মানি। ইরানকে পারমাণবিক বোমা তৈরির সক্ষমতা অর্জন করা থেকে বিরত রাখাই ছিল ওই চুক্তির লক্ষ্য। যদিও পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির অভিযোগ বরাবরের মতো অস্বীকার করে আসছে তেহরান।
সোমবার যুক্তরাজ্য ইরানের ৭১টি নতুন নাম নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যুক্ত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এবং দেশটির প্রধান আর্থিক ও জ্বালানি খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। ব্রিটেনের নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্পদ জব্দ, আর্থিক লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং তাদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, রাশিয়া এবং চীনের সঙ্গে ইরানের স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তির সমাপ্তি মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল ইরানের পরমাণু স্থাপনায় বোমা হামলা চালানোর পর ওই অঞ্চলে ইতোমধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ২০০৬ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে গৃহীত বিভিন্ন প্রস্তাবের মাধ্যমে ইরানের ওপর আরোপিত সব নিষেধাজ্ঞা শনিবার ইউরোপের স্থানীয় সময় রাত ৮টার দিকে পুনর্বহাল করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক
যুক্তরাষ্ট্রে শাটডাউন, শুরু হবে গণছাঁটাই ও কর্মসংস্থান সংকট

মার্কিন সরকারে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে শাটডাউন। অর্থায়ন সংকটে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকার কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে (শাটডাউন)। কংগ্রেসে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে সমঝোতা না হওয়ায় এমন পরিস্থিতি আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত গড়াতে পারে। মূল বিরোধ রয়েছে ওবামা কেয়ার ভর্তুকি নিয়ে।
হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, হাজারো সরকারি কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দ্রুতই আসতে পারে। তবে ‘অপরিহার্য’ হিসেবে ধরা কিছু সংস্থা ও কার্যক্রম চালু রয়েছে।
সবচেয়ে বড় উদ্বেগ তৈরি হয়েছে ডব্লিউআইসি কর্মসূচি নিয়ে—যা নিম্ন আয়ের নারী, শিশু ও নবজাতকদের জন্য খাদ্য সহায়তা দেয়। এ কর্মসূচি প্রায় ৭০ লাখ মানুষকে সেবা দেয়। অর্থ বরাদ্দ না হলে এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যেই এর অর্থ ফুরিয়ে যেতে পারে।
মার্কিন কৃষি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আপাতত ১৫০ মিলিয়ন ডলার জরুরি তহবিল রাজ্যগুলোকে দেওয়া হতে পারে। পাশাপাশি শিশুখাদ্য প্রস্তুতকারক কোম্পানির রিবেট ও রাজ্যের নিজস্ব অর্থ ব্যবহার করা যাবে।
২০২৫ অর্থবছরে (যা ৩০ সেপ্টেম্বর শেষ হয়েছে) ডব্লিউআইসি পেয়েছিল ৭.৬ বিলিয়ন ডলার। চলতি অর্থবছরে সেনেট প্রস্তাব করছে ৮.২ বিলিয়ন ডলার।
এদিকে শরৎকালীন ব্যস্ত ভ্রমণ মৌসুমে যুক্তরাষ্ট্রের বহু বিখ্যাত জাতীয় উদ্যান সরকারি অচলাবস্থার কারণে বন্ধ হয়ে গেছে।
অভ্যন্তরীণ মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা অনুযায়ী, উদ্যানের সড়ক, ট্রেইল ও মুক্ত আকাশের স্মৃতিস্তম্ভগুলো খোলা থাকবে, তবে যেখানে সংবেদনশীল প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে, সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঘাটতির কারণে প্রবেশ নিষিদ্ধ হতে পারে।
ন্যাশনাল পার্কস কনজারভেশন অ্যাসোসিয়েশন (এসপিসিএ) সতর্ক করেছে, প্রতিদিনের অচলাবস্থায় উদ্যানগুলোতে ফি বাবদ প্রায় ১০ লাখ ডলার ক্ষতি হতে পারে। আর আশপাশের কমিউনিটিগুলোতে ক্ষতি দাঁড়াতে পারে দৈনিক ৮০ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত।
আন্তর্জাতিক
ভারতে প্রতিমা বিসর্জন দিতে গিয়ে ১৩ জনের মৃত্যু

ভারতের মধ্যপ্রদেশে বিজয় দশমীতে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন দিতে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। দুটি আলাদা দুর্ঘটনায় এ মর্মান্তিক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। নিহত ১৩ জনের মধ্যে ১০ জনই শিশু।
আজ বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দুর্গাপূজার শেষদিন ছিল। সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, মধ্যপ্রদেশের উজ্জানের ইঙ্গোরিয়াতে একটি ট্রাক্টর-ট্রলিতে করে দুর্গা বিসর্জন দিতে যাচ্ছিলেন ভক্তরা। ওই সময় ট্রাক্টরটি রেলিংয়ে ধাক্কা খেয়ে চাম্বাল নদীতে পড়ে যায়। ১২ বছর বয়সী এক শিশু ভুল করে ট্রাক্টরটি চালু করে ফেললে এ ঘটনা ঘটে। ওই সময় নদীতে পড়ে যায় ১২ শিশু। এরমধ্যে দুজন প্রাণ হারায়। এছাড়া এক শিশু এখনো নিখোঁজ আছে। তার খোঁজে এখন আশপাশে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
অপরদিকে খানদাওয়া বিভাগের পান্দানা তেহসিলের আরেকটি দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত হয়েছেন। সেখানে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এনডিটিভি জানিয়েছে, আর্দলা ও জামিলের ২০ থেকে ২৫ গ্রামবাসী ট্রাক্টর-ট্রলিতে করে দুর্গা বিসর্জন দিতে যাচ্ছিলেন। তখন তাদের ট্রাক্টরটি রাস্তার পাশের একটি পুকুরে পড়ে যায়। সেখান থেকে ১১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। যারমধ্যে ৮ মেয়ে শিশু রয়েছে। এখনো কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন। ক্রেনে করে পুকুর থেকে ট্রাক্টরটি উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহের খোঁজে পুকুরে নেমেছেন ডুবুরিরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ট্রাক্টরটি অতিরিক্ত মানুষে বোঝাই ছিল। ওই সময় এটি পুকুরে পড়ে যায়।
মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ৪ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণের ঘোষণা দিয়েছেন। এছাড়া যারা আহত হয়েছেন তাদের নিকটস্থ হাসপাতালে জরুরি চিকিৎসার নির্দেশ দিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক
ভূমিকম্পে কাঁপলো তুরস্ক

৫ দশমিক ০ মাত্রার একটি ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুল। ওই সময় ভয়ে সাধারণ মানুষ ঘর থেকে বেরিয়ে রাস্তায় চলে আসেন। বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দেশটিতে নতুন করে আরও ভূমিকম্প সংঘটিত হয়।
তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা প্রেসিডেন্সি (এএফএডি) জানিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ইস্তাম্বুলের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলের মারমারা সাগর। যা বড় একটি ফল্টলাইনের পাশে অবস্থিত। এই ফল্টলাইনটিকে শহরটির ১ কোটি ৬০ লাখ মানুষের জন্য ঝুঁকি হিসেবে দেখা হয়।
গত রোববার তুরস্কের কুথায়া প্রদেশের সিমাভে ৫ দশমিক ৪ মাত্রার একটি ভূমিকম্প সংঘটিত হয়। মাটির ৮ কিলোমিটার গভীরে হওয়া ভূমিকম্পটির কারণে আশপাশের অঞ্চল কেঁপে উঠেছিল। এরপর ৪ দশমিক ০ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। তবে এ দুটি ভূমিকম্পে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
তুরস্ক বেশ কয়েকটি প্রধান ফল্ট লাইনের উপর অবস্থিত। যে কারণে দেশটি তীব্র ভূমিকম্পপ্রবণ। ২০২৩ সালের শুরুর দিকে দেশটির দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্বে আঘাত হানে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প। যেটির প্রভাবে ১১টি প্রদেশের ৫৩ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয় এবং হাজার হাজার ভবন ধসে পড়ে। ভয়াবহ ওই ভূমিকম্পে সিরিয়াতেও আরও ছয় হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।
আন্তর্জাতিক
এখন ৫০০ বিলিয়ন ডলার সম্পদের মালিক ইলন মাস্ক

বিশ্বের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ৫০০ বিলিয়ন অর্থাৎ ৫০ হাজার কোটি ডলার নিট সম্পদের মাইলফলক ছুঁয়েছেন বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্ক। ফোর্বসের সর্বশেষ তালিকা অনুযায়ী বুধবার (১ অক্টোবর) তার সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ৫০ হাজার ১০ কোটি ডলারে।
ফোর্বসের তালিকায় মাস্কের পর দ্বিতীয় স্থানে আছেন ওরাকল প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসন। বুধবার (১ অক্টোবর) পর্যন্ত তার নিট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার ৭০ কোটি ডলার।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, মূলত টেসলার শেয়ারের পুনরুত্থান ও নিজের মালিকানাধীন অন্যান্য প্রযুক্তি উদ্যোগের (স্টার্টআপ) বাজারমূল্য বেড়ে যাওয়ায় এই রেকর্ড গড়তে পেরেছে ইলন। টেসলার ১২ দশমিক ৪ শতাংশ শেয়ার তার মালিকানায় রয়েছে। চলতি বছরে টেসলার শেয়ারমূল্য এরই মধ্য ১৪ শতাংশের বেশি বেড়েছে ও বুধবার কোম্পানিটির শেয়ার আরও ৩ দশমিক ৩ শতাংশ বৃদ্ধির মাধ্যমে মাস্কের সম্পদে একদিনেই যুক্ত হয় প্রায় ৬ বিলিয়ন বা ৬০০ কোটি ডলার।
রয়টার্স বলছে, ইলন মাস্কের জন্য বছরের শুরুটা অস্থির থাকলেও বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে আসায় টেসলার শেয়ার আবার ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। টেসলা বোর্ডের চেয়ারম্যান রবিন ডেনহোলম গত মাসে জানান, হোয়াইট হাউজে কয়েক মাস ব্যস্ত থাকার পর মাস্ক এখন আবার ‘সম্মুখসারিতে ও একেবারে কেন্দ্রে’ ফিরে এসেছেন। এর কয়েক দিনের মধ্যেই মাস্ক নিজেই টেসলার প্রায় ১০০ কোটি ডলারের শেয়ার কিনে কোম্পানির ভবিষ্যতের প্রতি আস্থার বড় বার্তা দেন।
তবে গাড়ি বিক্রি কমে যাওয়া ও মুনাফার চাপ অব্যাহত থাকায় শেয়ার কিছুটা ক্ষতির মুখে পড়েছে টেসলা। এর ফলে তথাকথিত ‘ম্যাগনিফিসেন্ট সেভেন’ গ্রুপের বৃহৎ প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর মধ্যে টেসলা অন্যতম খারাপ পারফরমার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
গত মাসে টেসলা বোর্ড মাস্কের জন্য ১ ট্রিলিয়ন বা ১ লাখ কোটি ডলারের ক্ষতিপূরণ পরিকল্পনা প্রস্তাব করে, যেখানে উচ্চাভিলাষী আর্থিক ও কার্যকরী লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। একই সঙ্গে মাস্কের আরও বড় শেয়ার দাবিও এতে বিবেচনায় আনা হয়।
মাস্কের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কোম্পানি এক্সএআই ও রকেট নির্মাতা স্পেসএক্স এ বছরেও বাজারমূল্যে বড় সাফল্য পেয়েছে। জুলাই পর্যন্ত এক্সএআইয়ের মূল্য ছিল ৭ হাজার ৫০০ কোটি ডলার। সেপ্টেম্বরে সিএনবিসির খবরে বলা হয়, নতুন তহবিল সংগ্রহের পর এর মূল্য ২০ হাজার কোটি ডলার হতে পারে। তবে মাস্ক তখন জানান, তারা কোনো মূলধন সংগ্রহ করছেন না।
অন্যদিকে ব্লুমবার্গের জুলাই মাসের প্রতিবেদনে বলা হয়, স্পেসএক্স নতুন অর্থ সংগ্রহ ও অভ্যন্তরীণ শেয়ার বিক্রির পরিকল্পনা করছে, যা কোম্পানির মূল্য প্রায় ৪০ হাজার কোটি ডলারে উন্নীত করবে।
আন্তর্জাতিক
ইথিওপিয়ায় গির্জার অস্থায়ী নির্মাণ কাঠামো ধসে নিহত ৩৬

ইথিওপিয়ায় একটি ধর্মীয় উৎসব চলাকালীন গির্জার অস্থায়ী ‘স্ক্যাফোল্ডিং’ কাঠামো ধসে কমপক্ষে ৩৬ জন পুণ্যার্থী নিহত হয়েছেন। এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ২০০ জনেরও বেশি মানুষ।
বুধবার (১ অক্টোবর) দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এই হতাহতের খবর নিশ্চিত করে। খবর আল জাজিরার
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানী আদ্দিস আবাবা থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার পূর্বে আরের্তি শহরে স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার সময় বহু ধর্মপ্রাণ মানুষ বার্ষিক ভার্জিন মেরি উৎসবে অংশ নিতে গির্জায় সমবেত হয়েছিলেন।
জেলা পুলিশ প্রধান আহমেদ গেবেয়েহু রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ফানা নিউজকে জানান, ‘মৃতের সংখ্যা ৩৬ জনে পৌঁছেছে এবং তা আরও বাড়তে পারে। আহতের সংখ্যা ২০০-এর বেশি, যাদের অনেকেই স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।’
স্থানীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা আতনাফু আবাতে থিওপিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন (ইবিসি)-কে জানান, কিছু মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে থাকতে পারেন। উদ্ধার অভিযান দ্রুতগতিতে চলমান রয়েছে।
উল্লেখ্য, এই ‘স্ক্যাফোল্ডিং’ কাঠামোগুলি সাধারণত নির্মাণ বা মেরামতের কাজে শ্রমিকদের উঁচু স্থানে কাজ করার জন্য তৈরি করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, বিপুল সংখ্যক পুণ্যার্থীর ভিড় এবং চাপের কারণেই অস্থায়ী কাঠামোটি ভেঙে পড়ে এই বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটায়।