জাতীয়
আ.লীগের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কোনো কথাই হয়নি: প্রেস সচিব
আওয়ামী লীগের কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কোনো কথাই প্রধান উপদেষ্টা বলেননি বলে জানিয়েছেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম। সম্প্রতি গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে এ কথা বলেন তিনি।
প্রেস সচিব বলেন, যিনি প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাতকারটি অনুবাদ করেছেন, সেখানে একটি ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা কখনই বলেননি যে আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে থাকা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হচ্ছে। তিনি কেবল আওয়ামী লীগের স্ট্যাটাস সম্পর্কে তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা কোনোভাবেই উল্লেখ করেননি যে, নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে। অনুবাদে যদি কোনো বক্তব্য আংশিকভাবে বা প্রেক্ষাপট ছাড়াই নেওয়া হয়, তাহলে তা ভুল অর্থ প্রকাশ করতে পারে। সামগ্রিকভাবে দেখা গেলে বোঝা যায়, প্রধান উপদেষ্টা আওয়ামী লীগের নিষেধাজ্ঞা বা কার্যক্রমে কোনো ছাড়ের কথা বলেননি এবং এ বিষয়ে কোনো প্রশ্নই ওঠে না।
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ নিয়ে প্রেস সচিব বলেন, এটি একটি অনুবাদজনিত সমস্যা। পিআইবির বাংলা ফ্যাক্ট চেক বিষয়টি যথাযথভাবে ব্যাখ্যা করেছে। প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য স্পষ্ট- আওয়ামী লীগের ওপর বর্তমান থাকা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কোনো কথা তিনি বলেননি। নিষেধাজ্ঞা যেখানে আছে, সেখানে থাকবে। সরকারের কোনো পরিকল্পনাই নেই আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে থাকা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনও সেই প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগের ওপর একটি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, ফলে তারা নির্বাচন করতে পারবে না। এটি স্পষ্ট এবং পরিষ্কার।
শফিকুল আলম বলেন, অনুবাদকারীরা প্রায়ই কোনো বাক্যের আগের প্রসঙ্গ দেখেন না। একটি বাক্যকে প্রেক্ষাপট ছাড়া (আউট অব কনটেক্সট) নেওয়া হলে ভুল অর্থ ফুটে উঠতে পারে। এই ক্ষেত্রে যে মেসেজটি তৈরি হয়েছে, তা সঠিক নয় এবং বিভ্রান্তিকর।
আগামী জাতীয় নির্বাচনে কোনো অনিশ্চয়তা আছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, কোনো অনিশ্চয়তা নেই। আমরা আশা করি, জুলাইয়ের সংশ্লিষ্ট সনদ দ্রুত স্বাক্ষরিত হবে। আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো তখন নির্বাচনে সম্পূর্ণ মনোনিবেশ করবে। গ্রামগঞ্জে গেলে দেখবেন, নির্বাচনের উৎসাহ ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। প্রতিটি জায়গায় বড় বড় ব্যানার টাঙানো হয়েছে, সম্ভাব্য প্রার্থীরা বারবার নিজের কথা জানাচ্ছেন। এটি স্পষ্টভাবে দেখাচ্ছে যে নির্বাচনের উত্তেজনায় সবাই আক্রান্ত। আমরা আশা করছি, এই উত্তেজনা আরও বাড়বে।
জাতীয়
রাজনৈতিক দলগুলো না চাইলে সুষ্ঠু নির্বাচন কখনও সম্ভব না: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা সবার জানা। যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত কমিশন। বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো না চাইলে সুষ্ঠু নির্বাচন কখনও সম্ভব না। যতই ইসির চেষ্টা থাকুক না কেন, কোনো দল অসহযোগিতার চেষ্টা করলে সুষ্ঠু নির্বাচনের শঙ্কা থেকেই যাবে।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপের তৃতীয় দিনে শুরুতে এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় দলগুলোর নেতা-কর্মীদের আচরণবিধি মেনে চলার তাগিদ দেন সিইসি।
এসময় সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে নানা মতামত দেন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। বলেন, আচরণবিধি ভঙ্গ করলে প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষমতা থাকতে হবে নির্বাচন কমিশনের। তবেই এই কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সক্ষম হবে বলে মনে করেন তারা। একইসঙ্গে তফসিলের আগে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য নির্বাচন কমিশনকে তৎপর হবার পরামর্শ দেন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের তৃতীয় দিন সোমবার জামায়াতে ইসলামীসহ ১২টি দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এদিন সকালে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় বসছে ছয়টি দল।
সেগুলো হল-বাংলাদেশ লেবার পার্টি, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি এবং বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএল।
বিকালে জাকের পার্টি, আমার বাংলাদেশ পার্টি বা এবি পাটি, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি (বিডিপি), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, খেলাফত মজলিস ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপ রয়েছে।
অর্ধশতাধিক নিবন্ধিত দলকে ধাপে ধাপে সংলাপে ডাকছে ইসি।
জাতীয়
পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার প্রস্তুত: পরিবেশ উপদেষ্টা
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩ আসামির বিরুদ্ধে আজ রায় ঘোষণা করবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এই রায়কে ঘিরে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় অন্তর্বর্তী সরকার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, শেখ হাসিনার রায় ও জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির অপচেষ্টা চলছে।
তিনি আরও বলেন, আমার বাসায় হামলা নিয়ে আমি আতঙ্কিত নই, বরং বিভিন্ন জায়গায় আগুন দেওয়া হচ্ছে; প্রাণও চলে গেছে- সেটা নিয়ে আমাদের কনসার্ন।
অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ওরা যা চেষ্টা করেছে, সেই পর্যায়ে যেতে পারবে না।
জাতীয়
মিস ইউনিভার্স বিজয়ী ব্যক্তিগত উড়োজাহাজসহ কত টাকা পান?
মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতা বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগিতার বিজয়ীরা এক বছরের জন্য সম্পূর্ণ নতুন জীবনধারা উপভোগ করতে পারেন। প্রতিযোগিতাটি পরিচালনা করে থাইল্যান্ড ও মেক্সিকো ভিত্তিক মিস ইউনিভার্স অর্গানাইজেশন।
এক বছরের সময়ে এই প্রতিযোগিতার সরাসরি সম্প্রচার ও পরবর্তী কার্যক্রম প্রায় ৫০ কোটি দর্শক দেখেন। থাইল্যান্ডের ব্যাংকক ও ফুকেটে চলতি ৭৪তম আসরে আলোচনায় রয়েছেন মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ তানজিয়া জামান মিথিলা।
বিজয়ী হওয়ার পর তিনি যে সুবিধা পান, সেগুলো হলো:
১. নগদ অর্থ
বিজয়ীকে এক বছরের বেতন হিসেবে প্রায় ২.৫ লাখ ডলার দেওয়া হয়, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩ কোটি টাকার বেশি।
২. বিলাসবহুল নিউইয়র্ক অ্যাপার্টমেন্ট
মিস ইউনিভার্সের বিজয়ী এক বছরের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে মিস ইউনিভার্স অর্গানাইজেশনের বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে থাকতে পারেন। এখানে থাকার সব খরচ মিস ইউনিভার্স কর্তৃপক্ষ বহন করে।
৩. ব্যক্তিগত উড়োজাহাজ
একটি ব্যক্তিগত উড়োজাহাজের সুবিধাও দেওয়া হয়। এটি ব্যবহার করে বিজয়ী বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে ভ্রমণ করতে পারেন।
সফরের সব খরচ, হোটেল, খাওয়া-দাওয়া, ফটোশুট এবং প্রেস মিটিং আয়োজন করে মিস ইউনিভার্স কর্তৃপক্ষ।
তবে প্রতিটি সফরে বিজয়ীকে কিছু দাতব্য কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে হয়।
৪. ব্যক্তিগত জীবন ও সুযোগ সুবিধা
বিজয়ীকে রান্না, বাজার করা বা অন্যান্য দৈনন্দিন দায়িত্ব নিয়ে চিন্তা করতে হয় না।
মুকুট পরবর্তী এক বছর তিনি নিজে রাখতে পারেন, কিন্তু পরের বছর নতুন বিজয়ীর হাতে সেটি হস্তান্তর করতে হয়।
তবে বিজয়ীকে একটি রেপ্লিকা মুকুট দেওয়া হয়, যার দাম প্রায় ১৫–২০ হাজার ডলার বা প্রায় ১৮–২৪ লাখ টাকা।
এক কথায়, মিস ইউনিভার্স বিজয়ীর জীবন এক বছরের জন্য স্বপ্নের মতো হয়ে ওঠে, যেখানে সব ধরনের আয়োজন ও দায়িত্ব মিস ইউনিভার্স কর্তৃপক্ষ দেখে নেন।
এমকে
জাতীয়
হাসিনার রায়: রাতভর ককটেল বিস্ফোরণ, বাসে অগ্নিসংযোগ
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার আগের রাতে (রোববার) ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যানবাহনে আগুন ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
রোববার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর থেকে রাতভর একের পর এক নাশকতা চালায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
তথ্যমতে, ঢাকায় পরিবেশ উপদেষ্টা বাসা ও এনসিপি কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটনো হয়। এ ছাড়া রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা কারওয়ান বাজারের সার্ক ফোয়ারার মোড়ে, মিরপুর ১২ নম্বর মেট্রো স্টেশনের নিচে, রাজধানীর শ্যামপুরে ফ্লাইওভারের ওপরে, দারুস সালাম থানার রোজিনা পেট্রোল পাম্পের পেছনে, মহাখালী, বাড্ডায়, ঢাকার তিতুমীর কলেজের গেটের সামনের রাস্তায়, আমতলী মোড় এলাকায় এবং ফার্মগেটে রেলক্রসিংয়ে চলন্ত ট্রেনে ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া না গেলেও বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে, রাজধানীতে বোমাবাজির পাশাপাশি মধ্য বাড্ডায় দাঁড়িয়ে থাকা বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। একইসময় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ডাম্পিংয়ে থাকা দুটি পরিত্যক্ত লেগুনায় অগ্নিসংযোগ করে পালায় দুষ্কৃতিকারীরা।
ঢাকার বাইরেও বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে ধামরাইয়ের ঢুলিভিটা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা বাসে আগুন, কিশোরগঞ্জ শহরের স্টেশন রোড এলাকায় গ্রামীণ ব্যাংকের যশোদল শাখার নিচ তলায় আগুন দেওয়া হয়।
এছাড়া কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার শ্রীরামদী এলাকায় এসে গাছ কেটে রাস্তা অবরোধ, মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকাসহ বোমাবাজির পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে একের পর এক নাশকতা চালানো হয়।
হাসিনার রায় ঘিরে আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলা ও অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, সেজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
পুলিশ জানায়, আওয়ামী লীগের যেকোনো ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিহত করতে সতর্ক রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। নাশকতা প্রতিরোধ ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে রোববার থেকেই ঢাকার বিভিন্ন প্রবেশমুখে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এ ছাড়া রাজধানীতে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যাতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে রাজধানীতে জমায়েত হতে না পারে, সেজন্য সব থানাকে নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। এর পাশাপাশি রেল ও নৌপথেও গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে এবং পুলিশ সদস্যরাও সতর্ক রয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, যারা মানুষ ও পুলিশ সদস্যদে ওপর ককটেল হামলা ও যানবাহনে আগুন দেবেন, আইনসম্মতভাবেই তাদের ওপর গুলির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেছেন, পুলিশের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালসহ রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। কোনো দল বা গোষ্ঠি নাশকতা সৃষ্টির চেষ্টা করলে, পুলিশ দেশ ও জনগণের স্বার্থে তা প্রতিরোধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে।
এ ছাড়া সুপ্রিম কোর্টের মাজার গেট এলাকায় ডিএমপি, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে থাকবে বলেও জানান তিনি।
এমকে
জাতীয়
শেখ হাসিনার রায় ঘিরে রাজধানীজুড়ে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩ আসামির বিরুদ্ধে আজ (সোমবার) রায় ঘোষণা করবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রায় ঘিরে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা নাশকতা চালাতে পারে বলে জনমনে আশঙ্কা ও উদ্বেগ রয়েছে।
এ অবস্থায় আওয়ামী লীগের যেকোনো ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিহত করতে সতর্ক রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। নাশকতা প্রতিরোধ ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে রোববার থেকেই ঢাকার বিভিন্ন প্রবেশমুখে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এছাড়া রাজধানীতে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
সূত্র জানিয়েছে, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যাতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে রাজধানীতে জমায়েত হতে না পারে, সেজন্য সব থানাকে নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। এর পাশাপাশি রেল ও নৌপথেও গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে এবং পুলিশ সদস্যরাও সতর্ক রয়েছে।
এছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও এর আশপাশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের সামনের পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেছেন, পুলিশের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালসহ রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। কোনো দল বা গোষ্ঠি নাশকতা সৃষ্টির চেষ্টা করলে, পুলিশ দেশ ও জনগণের স্বার্থে তা প্রতিরোধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে।
এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের মাজার গেট এলাকায় ডিএমপি, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে থাকবে বলেও জানান তিনি।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের ফোর্স মোতায়েন আছে। কোনো ধরনের নিরাপত্তার শঙ্কা নেই।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, যারা মানুষ ও পুলিশ সদস্যদে ওপর ককটেল হামলা ও যানবাহনে আগুন দেবেন, আইনসম্মতভাবেই তাদের ওপর গুলির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম জানিয়েছেন, ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় ১৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। ঢাকা, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর ও মাদারীপুর জেলার সার্বিক নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তারা দায়িত্ব পালন করছে।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক উইং কমান্ডার এমজেডএম ইন্তেখাব বলেন, র্যাব-২ ও ৩ এর পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আশপাশে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আমাদের সদস্যরা টহল ও চেকপোস্ট কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি অনলাইনে যেসব হুমকি আছে, সেগুলো আমাদের সাইবার মনিটরিং টিম সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছে।
উল্লেখ্য, শেখ হাসিনার রায় বাংলাদেশ টেলিভিশন সরাসরি সম্প্রচার করবে। একই সঙ্গে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ঢাকা শহরের বেশ কয়েকটি জায়গায় বড় স্ক্রিনে রায় ঘোষণা সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ফেসবুক পেজেও তা প্রচার করা হবে।
এমকে



