রাজনীতি
কোন ফ্যাসিস্ট অপশক্তি দ্বিতীয়বার ফিরে আসেনি: ড. হেলাল উদ্দিন

কোন ফ্যাসিস্ট পরাজিত অপশক্তি দ্বিতীয়বার ফিরে আসেনি উল্লেখ করে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনাও ফিরে আসবে না, আসতে পারবে না। এটা শেখ হাসিনার পরিবার নিশ্চিত হয়ে তার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয়সহ অন্যরা ইউরোপ-আমেরিকার নাগরিকত্ব গ্রহন করতে শুরু করেছে। দুদিন আগে হাসিনার ছেলে জয় আমেরিকার নাগরিকত্ব গ্রহন করে শপথ নিয়েছে। কারণ তারা নিশ্চিত বাংলাদেশে তাদের আর ফিরে আসা সম্ভব নয়। এদেশের জনগণ তাদেরকে চিরতরে বর্জন করেছে।
শুক্রবার (১৬ মে) সকালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী শাহজাহানপুর পূর্ব থানা আমীর মুহাম্মদ শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত রুকন সমাবেশে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের সকল সহযোগী সংগঠনের সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, যেই নেতা পালিয়ে যায় সে কখনো নেতা হতে পারে না। প্রকৃত অর্থে সে ক্ষমতা লোভী সুবিধাবাদী। ঐ নেতা সংগঠনের সদস্যদের জীবন নিয়ে রাজনীতি করে ফায়দা লুটে নেয়।
ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, জামায়াতে ইসলামী জান্নাতের টিকেট দেয় না, জান্নাতের পথ দেখায়। দ্বীন কায়েমের পথে আহ্বান জানায়। দ্বীন কায়েম হলেই দ্বীন পালন করা যায়। বাংলাদেশে দ্বীন কায়েম না হওয়ার কারণেই মানুষ চাইলেই দ্বীন পালন করতে পারে না। শুধু নামাজ-রোজা করতে পারলেই দ্বীন পালন করা নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইসলামের সকল বিধি-বিধান মেনে চলার নামই দ্বীন পালন করা। সুদ-ঘুষ ইসলাম হারাম করলেও এদেশের জনগণ সুদ বা ঘুষ থেকে বেরিয়ে আসতে পারে না। কারণ সুদ ভিত্তিক অর্থনীতি ব্যবস্থা চলমান। ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে সুদ ভিত্তিক অর্থনীতি ব্যবস্থার পরিবর্তে যাকাত ভিত্তিক অর্থনীতি ব্যবস্থা চালু হবে। ফলে মানুষ সুদ থেকে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় মুক্তি লাভের সুযোগ পাবে। এভাবে ইসলামের সকল বিধি-বিধান মেনে চলা সহজ ও সম্ভব হবে। তাই দ্বীন কায়েমের মাধ্যমেই দ্বীন পালন করতে হবে। এটি একজন মানুষের ঈমানী দায়িত্ব। এই দায়িত্ব পালনের নেতৃত্ব দিচ্ছি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এই নেতৃত্বে শামিল হতে তিনি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন শাহজাহানপুর পূর্ব থানা আমীর মুহাম্মদ শরিফুল ইসলাম। এতে প্রধান আলোচক বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ফেরাউনের অনুসারী শেখ হাসিনার পতনের পর ফ্যাসিস্ট হাসিনার অনুসারী নব্য ফ্যাসিবাদের আজব আবারো আসতে পারে। সেজন্য গণ-অভ্যুত্থানের বিজয়ে উৎফুল্ল না হয়ে আল্লাহর দেওয়া বিধান বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে। ফ্যাসিবাদ বিরোধী সকল রাজনৈতিক দলের ঐক্যে বিভাজনের চক্রান্তে একটি গোষ্ঠী লিপ্ত রয়েছে। এরাই শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদের অনুসারী নব্য ফ্যাসিবাদ।
ছাত্র-জনতার রক্তের সাথে বেঈমানী করে কেউ নব্য ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করলে আওয়ামী লীগের চেয়েও ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে উল্লেখ করে ড. মাসুদ বলেন, ক্ষমতা দেওয়ার মালিক আল্লাহ, নেওয়ার মালিকও আল্লাহ। আল্লাহ কাউকে ক্ষমতায় বসিয়ে সম্মানিত করে আবার কাউকে ক্ষমতায় বসিয়ে অসম্মানিত, বেইজ্জতিও করে। ক্ষমতার দাম্ভিকতাই অহংকার, সেই অহংকার পতনের মূল। তিনি উপস্থিত রুকন সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, সময় যত অনুকূলে থাকবে তত বেশি উৎফুল্ল না হয়ে আল্লাহর আনুগত্য স্বীকারে আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন কায়েমের প্রচেষ্টা বাড়াতে হবে।
শাহজাহানপুর পূর্ব থানা সেক্রেটারি মো. আনোয়ার হোসেন পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার মুফাসসির মাওলানা আবুল কাশেম গাজী। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন থানা কর্মপরিষদ সদস্য আবদুল খালেক, এস এম আজিম উদ্দিন ও নাহিদ জামাল প্রমুখ
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

রাজনীতি
জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রকৌশল উইং প্রস্তুতি কমিটি গঠন

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রকৌশল উইং গঠন করা হয়েছে। দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী এ কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন।
শনিবার (১৭ মে) রাতে দলটির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
কমিটির সমন্বয়ক হয়েছেন- শেখ মো. শাহ মঈন উদ্দিন। যুগ্ম-সমন্বয়ক হয়েছেন প্রকৌশলী মেজর মো. সালাহ উদ্দিন (অব.), প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম, প্রকৌশলী ইকবাল হোসেইন, প্রকৌশলী শেখ মোহাম্মদ, প্রকৌশলী মিজানুর রহমান, প্রকৌশলী আমির হোসেইন, প্রকৌশলী আব্দুল কাইয়ুম, মো. ফরহাদ সোহেল, মো. রাশিদুন নেওয়াজ শাওন।
সদস্য হয়েছেন, প্রকৌশলী মো. আবু হানিফ, প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেইন, প্রকৌশলী এম এ মান্নান প্রকৌশলী ড. মো. মেহেদী হাসান, প্রকৌশলী আব্দুল আলীম, প্রকৌশলী মোশাররফ হোসেইন, প্রকৌশলী বাইজিদ ইসলাম, প্রকৌশলী সাইফ মাওলা, প্রকৌশলী তানভীর মাহমুদ, প্রকৌশলী গাজি মো. আল আমিনুল ইসলাম, প্রকৌশলী আবু সাইয়েদ হোসেন, প্রকৌশলী মো. ইকবাল হোসাইন, প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম ফারুক, প্রকৌশলী মেহেদী হাসান, প্রকৌশলী মাসুম আল আজমি, প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান, প্রকৌশলী মো. আজিজুর রহমান, প্রকৌশলী ইউসুফ শাহ, প্রকৌশলী মাহাদী আল মাসুম, প্রকৌশলী আনিসুর রহমান, প্রকৌশলী মো. আলামিন খাঁন ইসা, প্রকৌশলী রাকিব হোসেইন, মাসুম বিল্লাহ, হোসেইন মোহাম্মদ সাইরাস, আরিফুল হক বিদা, মুনিরুল আলম, রাশেদুল ইসলাম, মো. মোস্তাসিম বিল্লাহ, মো. ফরহাদ ইসলাম, মঞ্জুরুল আলম খান, মো. নাদিদ খান, রাজিবুল হাসান রাজ, শাকিল ইকবাল, আশরাফুল ইসলাম নাঈম নাজমুল হক, মো. হৃদওয়ান ইমাম, মো. হাসান মাহামুদ, মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান।
এনসিপি জানায়, উইংয়ের প্রতিটি সদস্য এমন একটি বাংলাদেশ নির্মাণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যেখানে প্রকৌশল হবে জাতীয় উন্নয়নের চালিকাশক্তি এবং প্রযুক্তি হবে স্বাধীনতার রক্ষাকবচ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
গ্রহণযোগ্য আ. লীগ সমর্থকরা বিএনপিতে যোগ দিতে পারবেন: আমীর খসরু

বিএনপির কাজে বাধা দেননি, সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য- এমন আওয়ামী লীগ সমর্থকরা দলে যোগ দিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
শনিবার (১৭ মে) দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগরীর কাজীর দেউরী নাসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয় মাঠে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপির উদ্যোগে বিএনপির সদস্য ফরম বিতরণ ও নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, সদস্য করার সময় দিকনির্দেশনাগুলো খেয়াল রাখতে হবে। সামাজিকভাবে অগ্রহণযোগ্য, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী ও দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিকে দলে নেওয়া যাবে না। যাদের কারণে আমাদের ভোট কমে যাবে। আবার আওয়ামী লীগের কাউকে দলে নেওয়া যাবে না, যারা আমাদের সাথে হাঁটলে ভোট কমে যাবে। এমন লোক, ব্যক্তিদের দূরে রাখবেন।
আমীর খসরু নিজের সদস্য ফরম পূরণ করে নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন এবং বিভিন্ন জেলা বিএনপির নেতাদের সদস্য ফরমের বই বিতরণ করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খন্দকার, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, বিএনপির কোষাধ্যক্ষ ও সদস্য ফরম নবায়ন কমিটির সদস্যসচিব এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ভিপি হারুনুর রশীদ হারুন।
বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীমের সভাপতিত্বে আয়োজিত সভা পরিচালনা করেন সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন।
এখন অনেক বড় সুযোগ এসেছে মন্তব্য করে আমীর খসরু বলেন, আজ আমাদের জন্য অনেক বড় সুযোগ এসেছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বৃহত্তম দল। এটাকে সাংগঠনিক রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী করার দিকে নিয়ে যেতে হবে। দল তো শক্তিশালী আছে। শেখ হাসিনাকে বিতাড়িত করেছে। সব ঠিক আছে। কিন্তু আমাদের সাংগঠনিক যে শক্তি স্পিরিট বা ভিত্তি, সেটা এখন আমাদের করতে হবে। এ জন্যই আজ এ উদ্যোগ। আমরা তো চাইলে মোবাইলেও করতে পারতাম।
তিনি বলেন, এ মেম্বারশিপ করতে গিয়ে আমরা চেষ্টা করবো বৃহত্তর অংশকে আমাদের মেম্বারশিপের আওতায় নিয়ে আসার জন্য। কারণ এটা দেশের বৃহত্তর দল, তাই দেশের বৃহত্তর অংশ যাতে বিএনপির সদস্য হয়। এটা সবাইকে মাথায় রাখতে হবে।
দিনের আলোতে সদস্য নবায়নের কথা উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, এ মেম্বারশিপ দিনের আলোতে করতে হবে, অন্ধকারে নয়। দিনের আলোতে আজ আমরা এখানে করছি, আপনারাও প্রতিটি শহর থানা ইউনিয়নে এ ধরনের মেম্বার করবেন। যারা বিএনপির সদস্য হবে, আমরা চাই তারা দিনের আলোতেই হোক। এখানে কোনো লুকোচুরি নেই। একদিকে পুরুষের লাইন থাকবে। আরেকদিকে মহিলাদের লাইন থাকবে, যেভাবে ভোটার হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
ইশরাককে মেয়র ঘোষণার দাবিতে নগরভবনের সব গেইটে তালা

ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে শপথ গ্রহণের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো নগর ভবনের সামনে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি চলছে। আন্দোলনকারীরা আজ বৃহস্পতিবার (১৫ মে) নগর ভবনের সব গেটে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন, যার ফলে কার্যত ভবনের স্বাভাবিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।
এ কর্মসূচির ফলে আশপাশের এলাকায় যানজটসহ জনদুর্ভোগও চরমে পৌঁছেছে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, আদালতের রায় ও নির্বাচন কমিশনের গেজেট প্রকাশের পরও ইশরাক হোসেনকে দায়িত্ব না দেওয়ার মাধ্যমে সরকার ‘আইনের শাসন ও জনগণের রায়’কে অগ্রাহ্য করছে। তারা জানান, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে এবং প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
এদিন দুপুর ১২টা পর্যন্ত স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাসহ ডিএসসিসির বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নগর ভবনে প্রবেশ করতে পারেননি।
আজ সকাল থেকেই ‘ঢাকার সাধারণ ভোটারদের আয়োজনে নগর ভবন অবরোধ, আয়োজনে: নগরবাসী’ ব্যানার নিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে মিছিলসহকারে আন্দোলনকারীরা নগর ভবনের সামনে জড়ো হন। মূল ফটক, আশপাশের সড়ক ও প্রবেশপথে অবস্থান নেওয়ায় পুরো এলাকায় যান চলাচল প্রায় অচল হয়ে পড়েছে।
নগর ভবনের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে না পারায় অনেক কর্মকর্তা ও কর্মচারী তাদের গুরুত্বপূর্ণ কাজ শেষ করতে পারছেন না। একই সঙ্গে নানা সেবা নিতে আসা নাগরিকরাও হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। অনেক কর্মকর্তা গুরুত্বপূর্ণ কাজ থাকলেও সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে অফিসে প্রবেশ করতে পারছেন না।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেনকে প্রায় পৌনে ২ লাখ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র নির্বাচিত হন। তবে চলতি বছরের ২৭ মার্চ এক ট্রাইব্যুনাল রায়ে ওই নির্বাচনের ফল বাতিল করে ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করা হয়। এরপর ২২ এপ্রিল গেজেট প্রকাশের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চায় নির্বাচন কমিশন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
আ. লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি

বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ।
সোমবার (১২ মে) বিকেলে সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি সরকার গঠনের পর থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সদস্য ও ভিন্নমতের মানুষের ওপর হামলা, গুম, খুন, হত্যা, নির্যাতন ও ধর্ষণসহ বিভিন্ন নিপীড়নমূলক ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সারা দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গ সংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের বিরুদ্ধে গত ১৫ জুলাই থেকে ০৫ আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে গুম, খুন, পুড়িয়ে মানুষ হত্যা, গণহত্যা, বেআইনি আটক, অমানবিক নির্যাতন, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, সন্ত্রাসী কার্য ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সুস্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে এবং এসব অভিযোগ দেশি ও আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যেহেতু উল্লিখিত অপরাধগুলোর অভিযোগে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গ সংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এবং দেশের ফৌজদারি আদালতে বহুসংখ্যক মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, যেহেতু এসব মামলার বিচারে প্রতিবন্ধকতা তৈরি, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি, বাংলাদেশের সংহতি, জননিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার লক্ষ্যে গত ০৫ আগস্ট ২০২৪ খ্রি. পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গ সংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন কর্তৃক গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী ছাত্র-জনতার ওপর হামলা, উসকানিমূলক মিছিল আয়োজন, রাষ্ট্রবিরোধী লিফলেট বিতরণ এবং ভিনদেশে পলাতক তাদের নেত্রীসহ অন্য নেতাকর্মী কর্তৃক সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অপরাধমূলক বক্তব্য প্রদান, ব্যক্তি ও প্রজাতন্ত্রের সম্পত্তির ক্ষতিসাধনের প্রচেষ্টাসহ আইনশৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ড পরিলক্ষিত হয়েছে। এসব কর্মকাণ্ডে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে, দলটি এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের মামলার বাদী ও সাক্ষীদের মনে ভীতির সঞ্চার করা হয়েছে ও এভাবে বিচার বিঘ্নিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং সার্বিকভাবে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, যেহেতু সরকারের নিকট যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ রয়েছে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গ সংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল ও অকার্যকর করার লক্ষ্যে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকাসহ জনমনে ভীতি সঞ্চারের উদ্দেশে সন্ত্রাসী সংগঠনের মতো বিভিন্ন বেআইনি কার্যকলাপ ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। যেহেতু সরকার যুক্তিসংগতভাবে মনে করে সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এর ধারা-১৮(১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গ সংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দলটি এবং এর সব অঙ্গ সংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা সমীচীন।
প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়েছে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গ সংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গ সংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন কর্তৃক যে কোনো ধরনের প্রকাশনা, গণমাধ্যম, অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে কোনো ধরনের প্রচারণা, মিছিল, সভা-সমাবেশ, সম্মেলন আয়োজনসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এটি অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
গত বছরের জুলাই অগাস্টের আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। শনিবার (১০ মে) রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক থেকে এ সিদ্ধান্ত আসে। বৈঠক শেষে সরকারের সিদ্ধান্তের কথা জানান উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচার কার্যসম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য সন্ত্রাস বিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেস-সহ আওয়ামী লীগ এর যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
ভূতুড়ে আ.লীগের কার্যালয় এখন মাদকসেবীদের আড্ডাস্থল

রাজধানীর গুলিস্তানে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় এখন অনেকটাই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ভেতরের সব আসবাব লুট করে নিয়ে যাওয়ার পর এটি পরিত্যক্ত অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। পোড়া এই ভবনের নিচতলা শৌচাগার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। সেই সঙ্গে মাদকসেবীদের আড্ডাস্থলে পরিণত হয়েছে। ছয় মাস ধরে মলমূত্র জমে থাকার কারণে উৎকট গন্ধ আশপাশে ছড়িয়ে পড়ছে। এ জন্য ভবনের সামনের সড়কে নাক চেপেও হাঁটা দায়।