জাতীয়
বিপুল বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি নিয়ে দেশে ফিরলেন ড. ইউনূস

চার দিনের ঐতিহাসিক চীন সফর শেষে দেশে ফিরেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, শনিবার (২৯ মার্চ) রাত ৮টা ১০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টা ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী ফ্লাইটটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
চীনে চার দিনের আনুষ্ঠানিক সফর শেষে গতকাল বিকাল ৪টা ৫৭ মিনিটে দেশের উদ্দেশে বেইজিং ত্যাগ করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী মন্ত্রী ও প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের চিফ প্রোটোকল অফিসার হং লেই বিমানবন্দরে প্রধান উপদেষ্টাকে বিদায় জানান।
চীন থেকে পেয়েছেন বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ বৃদ্ধি, ঋণ-অনুদান প্রাপ্তি, চিকিৎসা সহযোগিতা, যোগাযোগব্যবস্থা ও অবকাঠামো উন্নয়ন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন, বাণিজ্যে ভারসাম্য আনাসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস। সফরকালীন চীন সরকার ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ২১০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ, অনুদান ও বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে বাংলাদেশ। ঐতিহাসিক সফরে চীন সরকারের পক্ষ থেকে উষ্ণ আতিথেয়তা পেয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল সকালে চীনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করা হয়। সেখানে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, বিশ্বকে বদলে দিতে বড় কিছু করার স্বপ্ন দেখতে হবে। একটি বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শুধু শেখার জায়গা নয়, এটি স্বপ্ন দেখারও জায়গা। আপনি যদি স্বপ্ন দেখেন, তবে তা ঘটবেই। আপনি যদি স্বপ্ন না দেখেন, তবে তা কখনো ঘটবে না। এখন পর্যন্ত যা কিছু ঘটেছে, কেউ না কেউ আগে তা কল্পনা করেছিল। অসম্ভব মনে হলেও শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে অদ্ভুত এবং অকল্পনীয় বিষয়ে স্বপ্ন দেখতে উৎসাহিত করেন ড. ইউনূস। পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক অধ্যাপক হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়টিকে নিজের ঘর মনে করেন বলে মন্তব্য করেন প্রধান উপদেষ্টা। গত ২৬ মার্চ চীনে পৌঁছান ড. ইউনূস।
২৭ মার্চ চীনের হাইনান প্রদেশে আয়োজিত বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া (বিএফএ) সম্মেলনে যোগ দেন। সম্মেলনের ফাঁকে বেশ কয়েকটি বৈঠক করেন। ২৮ মার্চ বেইজিংয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। চীনা প্রেসিডেন্ট ড. ইউনূসের সরকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করে বাংলাদেশে কারখানা স্থাপনের জন্য চীনা বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করবেন বলে জানিয়েছেন। ড. ইউনূস টেকসই অবকাঠামো ও জ্বালানি বিনিয়োগ, বাংলাদেশ ২.০ উৎপাদন ও বাজার সুযোগ এবং সামাজিক ব্যবসা, যুব উদ্যোক্তা এবং তিন শূন্যের বিশ্ব- এসব বিভিন্ন বিষয়ের ওপর তিনটি বৈঠকেও যোগ দেন। দেশটির শতাধিক শীর্ষ উদ্যোক্তা ও সিইওদের সঙ্গে বৈঠক করে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। গতকাল পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি গ্রহণ করেন।
ইউনূসের এ সফরে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে একটি চুক্তি ও আটটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ চীন সরকার ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ২১০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ, অনুদান ও বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে। জলবিদ্যুৎ, বন্যা মোকাবিলা ও দুর্যোগ হ্রাস, নদী খনন এবং পানিসম্পদ উন্নয়নের মতো বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদারে ‘একমত হয়েছে’ দুই দেশ। চীন সফর প্রসঙ্গে চীনের সরকারি বার্তা সংস্থা সিনহুয়াকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, চীনকে ভালো বন্ধু হিসেবে দেখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশ ও চীনের বিগত ৫০ বছরের সম্পর্ক চমৎকার ছিল, আগামী ৫০ বছর আরও সুদৃঢ় হবে। দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করবে। তিনি বলেন, চীন যা অর্জন করেছে তাতে বাংলাদেশের সবাই অনুপ্রাণিত। অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ হলো একটি নতুন বাংলাদেশ পুনর্গঠন করা এবং জনগণ আশা করে, তারা নিজ দেশের উন্নয়নে চীনের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিতে পারবে। চীন টানা ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ১ হাজার চীনা প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। এতে সাড়ে ৫ লাখের বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। আরও চীনা বিনিয়োগকারী বাংলাদেশে আসবেন এবং স্থানীয় অংশীদারদের সঙ্গে একত্রে একটি বৃহত্তর বাজার উন্মুক্ত করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। এদিকে বাংলাদেশিদের জন্য চিকিৎসাসেবা প্রাপ্তিতে নতুন দ্বার উন্মুক্ত হতে চলেছে চীনে।
চীন ইতোমধ্যে বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসার জন্য কুনমিংয়ের চারটি হাসপাতাল নির্ধারণ করেছে। চীনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাজমুল ইসলাম জানান, ‘কুনমিংয়ের হাসপাতালগুলোর নির্দিষ্ট ফ্লোর শুধু বাংলাদেশিদের চিকিৎসার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। চিকিৎসা খরচও তুলনামূলক কম।’ তবে চীন ভ্রমণের ক্ষেত্রে উচ্চ বিমান ভাড়াকে একটি বড় বাধা হিসেবে দেখা হচ্ছে। এ সংকট কাটাতে চট্টগ্রাম থেকে কুনমিং রুটে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা করেছে চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইনস।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানিয়েছেন, গতকাল এয়ারলাইনসের কর্মকর্তারা চীন সফররত বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম ও কুনমিংয়ের মধ্যে পরিকল্পিত ফ্লাইট পরিচালিত হলে ভ্রমণ খরচ ও সময় উভয়ই কমে আসবে। এছাড়া কুনমিং ভ্রমণ সহজ করতে ঢাকা বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ঢাকা-কুনমিং ফ্লাইটের বিমান ভাড়াও কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে। চীনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভবিষ্যতে আরও বেশি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশিদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
চরমপন্থার সুযোগ কাউকে নিতে দেওয়া হবে না: মাহফুজ আলম

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বাংলাদেশে চরমপন্থার সুযোগ তৈরি হয়েছে। এ সুযোগ কাউকে নিতে দেওয়া হবে না। আমরা চেষ্টা করব, বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক ও ধর্মীয় উগ্রপন্থা যেন মাথাচাড়া দিতে না পারে। নির্বাচনের মাধ্যমে যেন গণতান্ত্রিক রূপান্তরের ভূমিকা রাখতে পারি। যদি আলোচনা আর সতর্কতায় কাজ না হয়, যদি দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা হয়, সরকার অবশ্যই হার্ডলাইনে যাবে।
বুধবার (২ এপ্রিল) কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার উত্তর রামপুর গ্রামে শহীদ মাসুম মিয়ার কবর জিয়ারত ও পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা আরও বলেন, শহীদের চেতনা যেন বাংলাদেশের জনগণ ধারণ করে। আমরা চেষ্টা করবো, গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের বিচার কাজ শেষ করে যেতে পারি। শহীদদের আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ বিনির্মাণে এ সরকারের চেষ্টা আছে। জনগণ এটার সঙ্গে আছে। আমরা বিশ্বাস করি, এ চেতনার সঙ্গে রাজনৈতিক দলের সদিচ্ছা প্রকাশ করলে আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ গঠন করবো।
গণমাধ্যমের সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যতদিন আছি আমরা চাইবো গণমাধ্যমের একটি গুণগত সংস্কারের জন্য। গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের পর্যালোচনা ও প্রস্তাবনায় মফস্বল এবং কেন্দ্র নিয়ে বিস্তারিত বর্ণনা আছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খান, বাংলাদেশ নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব জয়নাল আবেদীন শিশির, সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবাইয়া খানম, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন কুমিল্লা মহানগরের আহ্বায়ক আবু রায়হান ও সদস্য সচিব রাশেদুল হাসানসহ স্থানীয় নেতারা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
চট্টগ্রামে বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষ, নিহত বেড়ে ১০

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ জনে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজনের মৃত্যু হলে নিহতের সংখ্যা ১০ জনে দাঁড়ায়।
নিহতদের মধ্যে তিনজন নারী, দুজন শিশু ও পাঁচজন পুরুষ। তবে তাদের পরিচয় এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ২ জন।
আজ (বুধবার) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে চুনতি জাঙ্গালিয়া এলাকায় রিল্যাক্স পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে দুটি মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে ৭ জন, লোহগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন লোহাগাড়া থানার ওসি মো. আরিফুর রহমান।
দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বাসযাত্রী মতিন মিয়া জানান, ‘চট্টগ্রামমুখী যাত্রীবাহী রিলাক্স পরিবহনের বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। বেশ কয়েকবার চালক বাসটি থামানোর চেষ্টা করে। এর মধ্যেই বিপরীত দিক থেকে আসা কক্সবাজারমুখী মাইক্রোবাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসের আট যাত্রী ঘটনাস্থলে নিহত হন। আহত হন ৪ জন।
এর আগে একই স্থানে ঈদের দিন সোমবার দুই বাসের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষে ৫ জন নিহত হন। গতকাল মঙ্গলবার একই স্থানে দুইটি মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে ৮ জন আহত হন।
দোহাজারী হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুল মতিন বলেন, নিহতদের মধ্যে একজনের নাম দিলীপ। তিনি ঝিনাইদহের বোয়ালিয়া এলাকায়। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বার বার একই এলাকায় দুর্ঘটনার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুদিন আগেও এখানে দুর্ঘটনায় ৫ জন মারা গেছেন। আমার ৩ মাসের অভিজ্ঞতায় বলছি, কক্সবাজারে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকরা এই সড়ক ব্যবহার করে যাতায়াত করেন। বিভিন্ন অঞ্চল থেকে অপরিচিত চালকরা এই সড়ক দিয়ে গাড়ি চালান। তারা সড়কটি সম্পর্কে জানেন না। পাশাপাশি সড়কে যথাযথ সিগন্যাল নেই। দুর্ঘটনাস্থলের পাশেই একটা বিপজ্জনক বাঁক রয়েছে। অন্য এলাকার চালক হলে এটা কতটুকু বিপজ্জনক বুঝতে পারেন না।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বিমসটেক সম্মেলনের প্রস্তুতি পর্বে অংশ নিলো বাংলাদেশ

থাইল্যান্ডের ব্যাংককে আজ শুরু হয়েছে বিমসটেক সিনিয়র অফিসিয়ালস’ মিটিংয়ের ২৫তম অধিবেশন। এটি ৪ এপ্রিল ২০২৫-এ অনুষ্ঠিতব্য বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের প্রস্তুতির অংশ। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব অ্যাম্বাসাডর মো. জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল এই বৈঠকে অংশগ্রহণ করেছে।
পররাষ্ট্র সচিব বিমসটেকের ‘বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও উন্নয়ন, বিশেষ করে ব্লু ইকোনমি’ সংক্রান্ত খাতের অগ্রগতির ওপর বক্তব্য প্রদান করেন। বাংলাদেশ এই খাতের নেতৃত্বদানকারী দেশ হিসেবে ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তির দ্রুত চূড়ান্তকরণের জন্য সদস্য দেশগুলোর পূর্ণ সহযোগিতা কামনা করেন।
চুক্তিগুলো হলো– বিমসটেক মুক্ত বাণিজ্য এলাকার আওতায় পণ্য বাণিজ্যের কাঠামোগত চুক্তি, রুলস অফ অরিজিন, কাস্টমস সংক্রান্ত পারস্পরিক সহায়তা, বিরোধ নিষ্পত্তির পদ্ধতি ও প্রক্রিয়া, বাণিজ্য সহজীকরণ, বিনিয়োগ ও সেবা বাণিজ্য।
বৈঠকে গত সিনিয়র অফিসিয়ালস’ মিটিংয়ের পর অনুষ্ঠিত বৈঠকের প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা হয়। এছাড়া, বিমসটেকের ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা সংক্রান্ত এমিনেন্ট পারসনস’ গ্রুপের প্রতিবেদনও পর্যালোচনা করা হয়। বৈঠকে বিমসটেকের বিভিন্ন কেন্দ্রের কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা হয়, যার মধ্যে ছিল বিমসটেক আবহাওয়া ও জলবায়ু কেন্দ্রের কার্যক্রম পর্যালোচনা এবং বিমসটেক ট্রপিক্যাল মেডিসিন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার বিষয়টি বিবেচনা।
আগামী উচ্চপর্যায়ের বৈঠকগুলোর প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সিনিয়র অফিসিয়ালরা কাল অনুষ্ঠিতব্য ২০তম বিমসটেক মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের খসড়া কার্যসূচি ও প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেন। একইসঙ্গে, ৬ষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের খসড়া কার্যসূচি ও ঘোষণাপত্রও চূড়ান্ত করা হয়। পরবর্তী ২৬তম বিমসটেক সিনিয়র অফিসিয়ালস’ মিটিং বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
রাজধানীতে ফিরছে ঈদে গ্রামে যাওয়া মানুষ

প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদুল ফিতর উদযাপনের পর রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছেন ঈদে গ্রামে যাওয়া মানুষ। বুধবার (২ এপ্রিল) সকাল থেকেই রাজধানীর অন্যতম প্রবেশপথ যাত্রাবাড়ী-সায়েদাবাদ এলাকা ঘুরে নগরবাসীর এ ফেরার চিত্র দেখা গেছে। অন্যদিকে আজও রাজধানী ছাড়ছেন অনেকে। ঢাকা ছাড়ার জন্য নগরবাসীর ভিড়ও দেখা গেছে যাত্রাবাড়ী ও সায়েদাবাদ এলাকায়।
সোমবার (৩১ মার্চ) দেশে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে।
বাস মালিক ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, বুধবার সকাল থেকেই রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছেন ঈদ করতে গ্রামে যাওয়া নগরবাসী। আগামী কয়েক দিন এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
যাত্রী ফেরা শুরু হওয়ায় কোনো কোনো রুটের বাস অনেকটা খালি অবস্থায় ঢাকা ছাড়ছে বলে জানিয়েছেন তারা।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক, ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে ঢাকা আসা দূরপাল্লার গাড়িগুলো যাত্রাবাড়ী হয়ে সায়েদাবাদে এসে যাত্রী নামাচ্ছে। সব গাড়িতে আসা যাত্রীদের সাইনবোর্ড, মেডিকেল, রায়েরবাগ, শনির আখড়া কাজলা, ডেমরা, কোনাপাড়া, জুরাইন, দোলাইপাড়সহ আশপাশের বিভিন্ন স্টপেজে নেমে যাচ্ছেন।
যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মূলত বেসরকারি চাকরিজীবী, ব্যবসায়ীসহ কয়েকটি শ্রেণি পেশার মানুষ রাজধানীতে ফিরে আসতে শুরু করেছেন। বাড়তি ভাড়া গোনা ছাড়া রাজধানীতে ফিরতে তাদের তেমন কোনো ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি।
সকাল ৯টার দিকে সপরিবারে সায়েদাবাদ জনপথ মোড়ে বাস থেকে নেমেছেন শরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, গ্রামে বাবা-মায়ের সঙ্গে সপরিবারে ঈদ করতে গিয়েছিলাম। আমি একটি ভোগ্যপণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের বিপণন বিভাগে কাজ করি। কাল থেকে আমার অফিস খুলছে। তাই আজকেই চলে আসতে হলো।
তিনি বলেন, আসতে তেমন সমস্যা হয়নি। আমার বাসা খিলগাঁওয়ে। সিএনজিচালিত অটোরিকশা অতিরিক্ত ভাড়া চাচ্ছে।
অন্যদিকে আজও রাজধানী ছাড়ছেন অনেকে। যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা ও সায়েদাবাদে জনপদ মোড়ের বিভিন্ন বাস কোম্পানির কাউন্টারগুলোতে যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
১২ ঘণ্টা গ্যাসের স্বল্পচাপ থাকবে যেসব এলাকায়

আমিনবাজার ডিআরএসে তিতাস গ্যাস টিএন্ডডি পিএলসির জরুরি রক্ষণাবেক্ষন কাজের জন্য বুধবার (২ এপ্রিল) সন্ধ্যা থেকে ১২ ঘণ্টা দেশের বিভিন্ন স্থানে গ্যাসের স্বল্পচাপ বিরাজ করবে।
বুধবার তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন পিএলসি লিমিটেড থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগামী ৩ এপ্রিল সকাল ৬টা পর্যন্ত মোট ১২ ঘণ্টা সাভার ও হেমায়েতপুর এলাকা এবং ঢাকা মহানগরীর আমিনবাজার, মিরপুর এলাকা, মিরপুর রোডের উভয় পাশের এলাকা, শ্যামলী, আদাবর, আগারগাঁও, মোহাম্মদপুর, লালমাটিয়া, ধানমন্ডি, হাজারীবাগ, কামরাঙ্গীরচর এলাকায় গ্যাসের স্বল্পচাপ বিরাজ করতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এছাড়া কেরাণীগঞ্জ (খোলামুড়া থেকে কলাতিয়া, হযরতপুর) হাতিরপুল, ফার্মগেট, আজিমপুর, নিউমার্কেট, লালবাগ, শাহবাগ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় গ্যাসের স্বল্পচাপ বিরাজ করতে পারে।
গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।