জাতীয়
মালয়েশিয়ার সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ বাণিজ্য চায় বাংলাদেশ

বাংলাদেশ মালয়েশিয়ার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়ানোর পাশাপাশি ভারসাম্যপূর্ণ বাণিজ্য নিশ্চিত করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার মোহাম্মদ শোহাদা অথমানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন তিনি। সাক্ষাৎকালে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এবং ভবিষ্যৎ বিনিয়োগ সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেন তারা।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ এরই মধ্যে কোরিয়া, জাপান ও সিঙ্গাপুরের সঙ্গে মুক্তি বাণিজ্য চুক্তির লক্ষ্যে আলোচনা শুরু করেছে। মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের বাণিজ্য বাড়ানোর জন্য দ্রুতই আলোচনা শুরু করা দরকার। এতে দুদেশই উপকৃত হবে।
বতর্মান প্রেক্ষাপটে মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করার উপযুক্ত পরিবেশ বিরাজ করছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের রিজার্ভের একটি বড় অংশ আসে মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স থেকে। দক্ষ জনশক্তির রপ্তানির মাধ্যমে আমরা সেখানে শক্ত অবস্থান তৈরি করতে চাই। এসময় তিনি বাংলাদেশে স্পেশাল ইকনোমিক জোনে আরও বেশি মালয়েশিয়ান বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
পামওয়েল রপ্তানি বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, রমজান মাসে বাংলাদেশে ভোজ্যতেলের চাহিদা বেড়ে যায়। দেশে পামওয়েলর চাহিদাও রয়েছে।
মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার বলেন, মালয়েশিয়া ইলেকট্রিক চিপস ও সেমিকন্ডাক্টর খাতে বিপুল বিনিয়োগ করেছে। এখাতে সেমি কন্ডাক্টর ডিজাইনারসহ প্রচুর দক্ষ জনবল প্রয়োজন। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের তাদের দেশে প্রশিক্ষণ ও শিক্ষাদানের মাধ্যমে দক্ষ করে সেখানে কাজের সুযোগ করে দিতে চায়। এসময় তিনি দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে সহযোগিতা বাড়ানোরও প্রতিশ্রুতি দেন।
হাইকমিশনার মোহাম্মদ শোহাদা অথমান বলেন, বিশ্বব্যাপী হালাল ফুডের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। মালয়েশিয়ায় হালাল ফুডের বাজার ১১৩ বিলিয়ন ডলার। ২০৩১ সালে বিশ্বে এ বাজারের আকার দাঁড়াবে ৬ ট্রিলিয়ন ডলারে। মুসলিম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের উচিত হালাল ফুডের বাজার লক্ষ্য করে প্রস্তুতি নেওয়া। এসময় হাইকমিশনার হালাল ফুড প্রস্তুত ও সার্টিফিকেশনে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ছিল ২৮৭৮ দশমিক ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যার মধ্য বাংলাদেশ মালয়েশিয়া হতে ২৫৮৩ দশমিক ৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করে এবং ২৯৪ দশমিক ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করে।

জাতীয়
এক ক্লিকেই জামিন আদেশ যাবে কারাগারে: আইন উপদেষ্টা

কারাগারে থাকা বন্দিদের জামিন পাওয়ার পরও আদেশ না পৌঁছানোয় বিভিন্ন সময়ে দুর্ভোগে পড়তে হয়। এ নিয়ে সুখবর দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, জামিন হওয়ার পর এক ক্লিকেই সেই আদেশ কারাগারে চলে যাবে।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে এ কথা জানান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, এখন থেকে জামিনের এক ক্লিকেই বেইল বন্ড আদেশ কারাগারে চলে যাবে, যা আগে ১২ ধাপে কারাগারে যেত। এখন অনলাইনে বেইল বন্ড পৌঁছাবে।
আইন উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ই বিচার বিভাগের পৃথক সচিবালয় হবে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বিচার বিভাগ পৃথক সচিবালয় আইন, গুমের আইন, দুদক আইন, হিউম্যান রাইটস আইন প্রতিষ্ঠা হবে।
কাফি
জাতীয়
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ব্রাজিলের লেখক গ্রাজিয়ানোর সাক্ষাৎ

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ব্রাজিলের কৃষিবিদ ও লেখক জোসে গ্রাজিয়ানো দ্য সিলভা।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) ইতালির রোমে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সদর দপ্তরে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ তথ্য জানান।
বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সম্মেলনে অংশ নিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বর্তমানে রোমে অবস্থান করছেন।
গত রোববার (১২ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে বিমানের একটি ফ্লাইটে রোমের ফিউমিচিনো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।
জাতীয়
ক্ষুধা অভাবের কারণে হয় না, এটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ব্যর্থতা: ড. ইউনূস

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ক্ষুধা অভাবের কারণে তৈরি হয় না, এটি আমাদের পরিকল্পিত অর্থনৈতিক কাঠামোর ব্যর্থতার কারণে হয়।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) ইতালির রোমে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ব খাদ্য ফোরামের সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০২৪ সালে ৬৭৩ মিলিয়ন মানুষ ক্ষুধার্ত ছিল। অথচ আমরা পর্যাপ্ত খাদ্য উৎপাদন করি। এটি উৎপাদনের ব্যর্থতা নয়, এটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ব্যর্থতা। এটি নৈতিক ব্যর্থতা। আমরা যেখানে ক্ষুধা দূরীকরণে কয়েক বিলিয়ন ডলার তুলতে পারিনি, সেখানে বিশ্ব অস্ত্রে ব্যয় করছে ২.৭ ট্রিলিয়ন ডলার। এটা কি অগ্রগতির সংজ্ঞা হতে পারে?
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, গত বছর বাংলাদেশের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে তাদের ক্ষমতা পুনরুদ্ধার করেছে। গণতন্ত্র, শান্তি ও মানবাধিকারের নিশ্চয়তার জন্য এই আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিল আমাদের তরুণ প্রজন্ম। সাহসী ও আশাবাদী তরুণ-তরুণীরা। তাদের দাবি ছিল সহজ- জনগণকে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া; ন্যায়বিচার, অন্তর্ভুক্তি এবং বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে একটি সমাজ তৈরি করা।
তিনি বলেন, আজ সেই তরুণরাই আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো পুনর্গঠনে নেতৃত্ব দিচ্ছে। তারা নতুন বাংলাদেশ গড়ছে। যেখানে শাসনের কেন্দ্রে রয়েছে জনগণ।
তিনি আরও বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে আমরা জাতীয় নির্বাচন করব। এর মাধ্যমে আমরা ন্যায়বিচার ও জনগণের ক্ষমতায়নের প্রতি আমাদের অঙ্গীকারকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিচ্ছি।
ব্যবস্থা বদলানোর জন্য ৬টি পদক্ষেপ প্রস্তাব করেন ড. ইউনূস। সেগুলো হলো-
১. ক্ষুধা-সংঘাত চক্র ভাঙতে হবে- যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে, সংলাপ শুরু করতে হবে, সংঘাতপূর্ণ এলাকায় খাদ্যপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে।
২. অঙ্গীকার পূরণ করতে হবে- এসডিজি অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি রাখতে হবে, জলবায়ু পদক্ষেপকে গুরুত্ব দিতে হবে, দুর্বল জনগোষ্ঠীর স্থিতিশীলতা গড়তে সহায়তা করতে হবে।
৩. আঞ্চলিক খাদ্য ব্যাংক তৈরি করতে হবে- যাতে ধাক্কা মোকাবিলা ও সরবরাহ চেইন স্থিতিশীল করা যায়।
৪. স্থানীয় উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও তাদের সহায়তা করতে হবে- বিশেষত তরুণ উদ্যোক্তা, কৃষক, নারী ও খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ কর্মীদের জন্য অর্থ, অবকাঠামো ও বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব দিতে হবে।
৫. রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা বন্ধ করতে হবে- বাণিজ্যনীতি যেন খাদ্যনিরাপত্তাকে সহায়তা করে, ক্ষতি না করে।
৬. প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে হবে- বিশেষত গ্লোবাল সাউথ ও গ্রামীণ তরুণ-তরুণীদের জন্য।
জাতীয়
নির্বাচনে পুলিশ সদস্য পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করলে কঠোর ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো পুলিশ কর্মকর্তা পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত ডিএমপির মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি এ সতর্কবার্তা দেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন সন্নিকটে। সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে হবে। পুলিশের কাজে কোনো দল বা ব্যক্তির প্রতি যেন দুর্বলতা প্রকাশ না পায়—সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি আরও নির্দেশ দেন, নিষিদ্ধ কোনো সংগঠন যেন গোপনে তৎপরতা চালাতে না পারে, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
নগরবাসীর মধ্যে নিরাপত্তাবোধ বাড়াতে টহল কার্যক্রম জোরদার করার ওপরও তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) মো. সরওয়ার হোসেন বলেন, ডিএমপির স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করার পাশাপাশি সেগুলো পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
তিনি আরও জানান, সেবা প্রত্যাশীদের সুবিধা বিবেচনায় থানাগুলোতে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হচ্ছে।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস. এন. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলাগুলো দ্রুত ও গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করতে হবে। কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি যেন হয়রানির শিকার না হন, সে বিষয়ে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
এছাড়া সংশোধিত ফৌজদারি কার্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করার নির্দেশও দেন তিনি।
যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মো. ফারুক হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মো. শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ফিন্যান্স, লজিস্টিকস ও প্রকিউরমেন্ট) হাসান মো. শওকত আলী, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. জিললুর রহমান, আইন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আতাউল হকসহ ডিএমপির সব যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার, উপ-পুলিশ কমিশনার, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, সহকারী পুলিশ কমিশনার এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা।
জাতীয়
সৌদি থেকে হজ এজেন্সির ৩৮ কোটি টাকা ফেরত এনেছে সরকার

সৌদি থেকে ফেরত আনা হয়েছে প্রায় ৩৮ কোটি টাকা। হজের অব্যয়িত এ টাকা ফেরত দেওয়া হয় ৯৯০টি হজ এজেন্সিকে। এ টাকার পরিমাণ ৩৭ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।
২০১৭ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আট বছরে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের ‘মাসার নুসুক’ প্ল্যাটফর্মেও আইবিএএন হিসাবে অব্যয়িত পড়ে থাকা এ টাকা ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রচেষ্টায় ফেরত পাচ্ছে তারা।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
এ সময় ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, সরকারি-বেসরকারি উভয় মাধ্যমে হজযাত্রীদের হজ পালনের জন্য সৌদি প্রান্তের খরচ নির্বাহের জন্য সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের ‘মাসার নুসুক’ প্ল্যাটফর্মের আইবিএএন হিসাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন সাপেক্ষে অর্থ প্রেরণ করা হয়ে থাকে।
তিনি জানান, গত আট বছরে এ হিসাবে বাংলাদেশি হজ এজেন্সিসমূহ যে টাকা পাঠিয়েছিল তার কিছু টাকা অব্যয়িত ছিল। এই অর্থ ফেরত পাবার জন্য হজ এজেন্সির দিক থেকে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো হয়।
উপদেষ্টা বলেন, এ টাকা ফেরত আনার জন্য সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ে কয়েকবার পত্র প্রেরণ করে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে এবং বিভিন্ন সময়ে তাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকেও এ বিষয়ে আলোচনা করে এ মন্ত্রণালয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ হজ অফিসের মাসার নুসুক প্ল্যাটফর্মের আইবিএএনে অব্যয়িত টাকা ফেরত দিয়েছে।
ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অব্যাহত ও বহুমাত্রিক যোগাযোগের কারণেই এই অর্থ ফেরত আনা সম্ভব হয়েছে উল্লেখ করে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের আইবিএএন হিসাবে মোট ৯৯০টি বাংলাদেশি হজ এজেন্সির অব্যয়িত অর্থ জমা ছিল এবং সব কটি এজেন্সির টাকা ফেরত পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে ফেরত দেওয়া এ অর্থ বাংলাদেশ হজ অফিসের ‘মাসার নুসুক’ প্ল্যাটফর্মের আইবিএএনে হতে এ অফিসের হজসংক্রান্ত সৌদি-ফ্রান্সি ব্যাংকে পরিচালিত অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়েছে।
ড. খালিদ জানান, হজ এজেন্সির অব্যয়িত টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য আমাদের দাপ্তরিক সব প্রক্রিয়া ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। এই অব্যয়িত অর্থ ফেরত আনা এবং তা সংশ্লিষ্ট হজ এজেন্সিসমূহকে ফেরত দেওয়ার ক্ষেত্রে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় উদ্যোগ ও সদিচ্ছার প্রতিফলন ঘটেছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মু আ আউয়াল হাওলাদার, হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. আয়াতুল ইসলাম, প্রশাসন অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. ইমতিয়াজ হোসেন, যুগ্মসচিব (হজ) ড. মো. মঞ্জুরুল হক ও উপদেষ্টার একান্ত সচিব ছাদেক আহমদ উপস্থিত ছিলেন।