রাজনীতি
তিন-চার মাসের মধ্যে নির্বাচন চায় বিএনপি

ভোটার তালিকা হালনাগাদে বাড়ি বাড়ি যাওয়ার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বিএনপির পক্ষ থেকে তিন থেকে চার মাসের মধ্যে সংস্কার শেষ করে নির্বাচনের দাবি জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) বিকালে ঢাকার গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন দলটির নেতারা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমেদ ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিহউল্লাহ।
বাড়ি বাড়ি যাওয়া অত্যন্ত ‘সময় সাপেক্ষ’ এবং ‘অপ্রয়োজনীয়’ মন্তব্য করে বিএনপির নির্বাচন সংস্কার বিষয়ক কমিটির আহ্বায়ক মঈন খান বলেন, যদি সত্যিকার অর্থে সৎভাবে সঠিক ভোটার তালিকা আমরা করতে চাই, তাহলে কিন্তু বাড়ি বাড়ি যাওয়া নয়, কম্পিউটার এআই… আজকে কিন্তু আমরা কম্পিউটারকে বলে দিলে সে নিজেই করে দিতে পারে, সেটা অবশ্যই সঠিক হবে। আমি কোন দিন ১৮ বছর হয়ে যাব, সেটাও কিন্তু কম্পিউটার করে দিতে পারে। সেটার জন্য বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের বাড়ি বাড়ি যাওয়ার প্রয়োজন নেই। এটায় ভুল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। যিনি মারা গেছেন তার নামটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাদ চলে যাবে।
তিনি আরও বলেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি জন্য যাতে সত্যিকারভাবে মানুষ নিজের ভোট নিজে দিতে পারে এবং জনগণের সত্যিকার প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারে, ‘ডামি প্রতিনিধি’ না, ‘ভুয়া প্রতিনিধি’ না, সেজন্য আমাদের এই সংস্কার প্রস্তাব।
আওয়ামী লীগ সরকার প্রশাসনের মাধ্যমে নির্বাচনকে ‘কুক্ষিগত করতে’ অনেক কিছু করেছে অভিযোগ এনে মঈন খান বলেন, আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী যাতে রাজনৈতিক ভূমিকা পালন করতে না পারে, তারা নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে, সেজন্য আমরা ‘ফ্যাসিস্ট’ সরকারের প্রণীত বিধিমালার সংশোধন চেয়েছি।
সংস্কার সম্পন্ন করে নির্বাচন উপহার দিতে ৩/৪ মাসের বেশি সময় লাগবে না জানিয়ে নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা যেসব প্রস্তাব করেছি, সেসব প্রস্তাব অনুযায়ী দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব। এখানে এমন কোনো প্রস্তাব করা হয় নাই যেটা নতুন করে কোনো কিছু করতে হবে। আমরা নির্বাচন কমিশন শক্তিশালী করার কথা বলেছি, নির্বাচন সচিবালয় করা এবং তাদের কিছু ক্ষমতা দেওয়া ইত্যাদি, আমরা প্রচলিত আইনগুলোর সংশোধন, সংস্কার, এগুলোর জন্য অধিক সময়ের প্রয়োজন হয় না।
অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচেনে নিরপেক্ষভাবে কাজ করবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা প্রস্তাব যেটা করেছি, সেটা হলো যাদের নেতৃত্বে যেসব অপকর্ম হয়েছে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তারা বিতাড়িত হয়েছে, পলায়ন করেছে। যাদের মাধ্যমে অপকর্ম করা হয়েছে তাদের ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছি। আমরা বিশ্বাস করি, যে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় থাকছে তার নির্বাচনী কোনো স্টেক নাই, নিরপেক্ষভাবে কাজ করবে। আর যারা নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকবে তাদের মধ্যে যারা এই ধরনের অপকর্মের সাথে আগে যুক্ত ছিল বা থাকতে পারে, তাদের ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা নিয়ে এমন লোকদেরকে নিযুক্ত করা যারা এই ধরনের অপকর্মে যুক্ত হবেন না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা যেসব সংস্কারের কথা বলেছি সেগুলো অধিকাংশ আইনি সংস্কারের বিষয়, কাগজের বিষয়। বাস্তবে যে কাজগুলোর জন্য নির্বাচন কমিশন সময় নেয়, যেমন ভোটার তালিকা প্রণয়ন, নতুন ভোটার সংযোজন, কী কী ভুল-ভ্রান্তি আছে, ভুয়া ভোটার ‘গণনা’ করা তারপরে নির্বাচনের কাজ; অফিসার নিয়োগ, সীমাবদ্ধতা ইত্যাদি সব কাজ গুছাতে বাস্তবে ২/৩ মাসের বেশি সময় লাগার কথা না।
তত্বাবধায়ক সরকার হলে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে বাধ্য মনে করেন সালাহ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, তত্বাবধায়ক সরকারের মূল্য আছে বা হবে। এটাই ছিল সুষ্ঠু নির্বাচন না হওয়ার সবচাইতে বড় বাধার একটা। সীমাবদ্ধতা, অপকর্মে জড়িতদের নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে বাদ রাখা, এসব হচ্ছে উপসর্গ। তত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল হলে এই সমস্ত উপসর্গ আর থাকবে না।

রাজনীতি
আগে জুলাই সনদ, পরে নির্বাচন: হাসনাত

প্রধান উপদেষ্টা এপ্রিলে যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছেন, তা ইতিবাচক। তবে, তার আগে জুলাই সনদ এবং ঘোষণাপত্র অবশ্যই দিতে হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
শনিবার (৭ জুন) সকালে নিজ এলাকা কুমিল্লার দেবিদ্বারে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, লেবেল প্লেইন ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে।
জানা গেছে, জুলাই শহীদ পরিবারের জন্য তিনটি গরু কোরবানি করেছেন হাসনাত আবদুল্লাহ। পরে বৃষ্টির মধ্যে শহীদ রুবেল ও সাব্বিরের পরিবারের জন্য তিনি কোরবানির মাংস নিয়ে যান। এ সময় শহীদ পরিবারের খোঁজ খবর নেন তিনি।
এর আগে, শুক্রবার (৬ জুন) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ভাষণে তিনি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণাসহ নানান বিষয় তুলে ধরেন।
তার ঘোষণা অনুযায়ী, ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
রাজনীতি
কমলাপুরে আজও ঘরমুখো মানুষের ভিড়

ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে কমলাপুর রেলস্টেশনে আজও ঘরমুখী মানুষের ঢল নেমেছে। মানুষের আনাগোনায় স্টেশন এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। এ ছাড়া সকাল থেকে ছেড়ে যাওয়া কোনো ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় হয়নি।
শুক্রবার (৬ জুন) সকালে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গত দু-তিনদিনের তুলনায় কমলাপুর রেলস্টেশনে যাত্রীদের উপস্থিতি কিছুটা কম। অনেকেই স্টেশনে প্রবেশের জন্য বাঁশের তৈরি ব্যারিকেড লাইন দাঁড়িয়ে আছেন। যাত্রীরা টিকিট প্রদর্শন না করে প্রথম ধাপ পার হতে পারছেন না।
এরপর করা হচ্ছে দ্বিতীয় ধাপে আবারও টিকিট যাচাই। সবশেষ প্ল্যাটফর্মে প্রবেশে টিকিট প্রদর্শন করতে হচ্ছে যাত্রীদের।
এ বিষয়ে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মো. সাজেদুল ইসলাম বলেন, যাত্রীদের ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি। তিন স্তরের টিকিট চেকিং ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর আছে। যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে আমরা প্রস্তুত। ঈদযাত্রা এখন পর্যন্ত স্বস্তির। সকাল থেকে এখন পর্যন্ত কোনো ট্রেন শিডিউল বিপর্যয় নেই।
কাফি
রাজনীতি
দেশবাসীকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানালানে ফখরুল

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাংলাদেশসহ মুসলিম বিশ্বের সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো দেশবাসীর প্রতি দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন তিনি। মোবারকবাদ জানিয়ে তিনি বলেছেন, আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব মুসলিমকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানাই। কামনা করি তাদের অবিরাম সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, পরম ত্যাগের নির্দেশনা স্বরূপ কোরবানি বা ঈদুল আজহা পালন করা হয় আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য। ঈদুল আজহার তাৎপর্য হচ্ছে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা। সেজন্য বিশ্ব মুসলিম ঈদুল আজহার উৎসবে মিলিত হয়। মনের অশুভ অন্ধকার দূর করে সহজ-সরল-অনাড়ম্বর জীবনযাপনের মাধ্যমে স্রষ্টার সন্তুষ্টি অর্জনের মূল শিক্ষার উৎসই হচ্ছে পশু কোরবানি।
তিনি কোরবানির শিক্ষা স্মরণ করিয়ে বলেন, কোরবানির মহিমান্বিত শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আল্লাহর কাছে নিজেকে সমর্পণ করা এবং মানবকল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করাই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত।
বিগত দেড় দশকের রাজনৈতিক বাস্তবতা প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন,দানবীয় দুঃশাসনের জাঁতাকল থেকে জনগণ খানিকটা স্বস্তি পেলেও চূড়ান্ত মুক্তি ও অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদেরকে এখনও অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হবে। নানা ধরনের কুটিল চক্রান্তের আশ্রয় নিয়ে মহল বিশেষ কৌশলে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে, এ বিষয়ে আমাদের সকলকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।
ঈদুল আজহার ইতিহাস ও আত্মত্যাগের চেতনাকে সামনে টেনে তিনি বলেন,আত্মত্যাগের এক অবিস্মরণীয় ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আল্লাহ তায়ালার কোরবানির বিধান মানবজাতির সৃষ্টিলগ্ন থেকেই কার্যকর হয়ে এসেছে। স্রষ্টার প্রতি নিঃস্বার্থ আত্মনিবেদন ও অনুপম আদর্শের প্রতীকী নিদর্শন হিসেবে বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা প্রতিবছর পশু কোরবানি দেয়, এর মাধ্যমে মহান আল্লাহ পাকের প্রতি নিবেদিত বান্দা হওয়ার প্রেরণা পায়।
ঈদের সামাজিক তাৎপর্য তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, কোরবানির ঈদ বিশ্ব মুসলিমের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব। প্রতিটি উৎসবই ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে মানুষের চিত্তবৃত্তি ও ঔদার্য প্রসারিত করে। উৎসব মানবজাতিকে সম্প্রীতির অটুট বন্ধনে আবদ্ধ করে। সামাজিক অন্ধকারের গহন থেকে মানবিক আলোর ভূমিতে সমবেত করে।
সবশেষে তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান, ত্যাগের মহিমায় সব স্বার্থপরতা পরিহার করে মানবকল্যাণ এবং সমাজে শান্তি, ন্যায়, সুবিচার ও সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠায় আমাদেরকে সচেষ্ট হতে হবে। আসুন, আমরা অঙ্গীকার করি— কায়েমি স্বার্থকে এড়িয়ে ঈদুল আজহার এ আনন্দ, ত্যাগ ও উৎসবের দিনে অসহায়-নিরন্ন মানুষের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার।
বিএনপি মহাসচিবের প্রার্থনা, ঈদুল আজহা সবার জীবনকে করে তুলুক আনন্দময়, মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে আমি এ প্রার্থনা জানাই।
রাজনীতি
দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন তারেক রহমান

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মুসলমানদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। একইসঙ্গে তিনি সবার অব্যাহত সুখ ও স্বাচ্ছন্দ্য কামনা করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ শুভেচ্ছা জানান।
তারেক রহমান লিখেছেন, ঈদুল আজহা অর্থ ত্যাগের উৎসব। এই উৎসবের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হলো- ত্যাগ করা। পবিত্র গ্রন্থ আল কোরআনে বলা হয়েছে, মাংস বা রক্ত কোনটাই আল্লাহর কাছে পৌঁছায় না, ‘পৌঁছায় তোমার মনের পবিত্র ইচ্ছা’।
বিশ্বাসী মানুষের পবিত্র ইচ্ছা হচ্ছে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা উল্লেখ করে তিনি আরও লিখেছেন, মানুষ আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য পশু কোরবানি দেয়। আত্মশুদ্ধি, আত্মতৃপ্তি আর আত্মত্যাগের সুমহান বার্তা নিয়ে প্রতি বছরই ঘুরে আসে পবিত্র ঈদুল আজহা। দ্রব্যমূল্য, সামাজিক অনাচার ও নানামুখী সংকটের অভিঘাত সত্ত্বেও দেশের মুসলিম জনগোষ্ঠীর মন ঈদের অমলিন আনন্দ আর উচ্ছাসে পরিপূর্ণ।
বিএনপির এই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লিখেছেন, দেশের জনগণ দেড় দশক ধরে ফ্যাসিবাদের এক কঠিন সময় পার করেছে। গত বছর ৫ আগস্টে ফ্যাসিবাদী চক্রের পতনের পর দেশে কিছুটা স্বস্তির পরিবেশে এবার মানুষ ঈদুল আজহা উদযাপন করবে। ফ্যাসিবাদী আমলে তাঁবেদার অপশক্তির অবৈধ ক্ষমতা লোভের কারণে রাষ্ট্র ও সমাজে নীতি, নৈতিকতা, ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধের চূড়ান্ত অবক্ষয় ঘটে। এখন সবাই মিলে বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে শান্তি, সম্প্রীতি, উন্নত নৈতিকতা ও পাহাড়সম বৈষম্য দূরীভূত করতে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে হবে সর্বত্র। যেন বেপরোয়া লুটপাট, দুর্নীতি ও টাকা পাচারের মতো ভয়াবহ পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি না হয়।
তিনি লিখেছেন, ত্যাগের উৎসব হলো ঈদুল আজহা। ঈদুল আজহার উৎসবের একটি অঙ্গ হচ্ছে কোরবানি। পশু কোরবানি হলো চিত্তশুদ্ধি ও পবিত্রতার একটি মাধ্যম। ধৈর্য ও বিশ্বাসের পরীক্ষার ঐতিহ্যের ধারা বেয়েই কোরবানি মুসলমানদের জন্য অপরিহার্য করা হয়েছে।
ঈদুল আজহার ত্যাগের চেতনা সমাজে ঐক্য, সংহতি ও সম্প্রীতির মেলবন্ধন সৃষ্টি করে জানিয়ে তারেক রহমান আরও লিখেছেন, কোরবানির যে মূল শিক্ষা তা আমরা যদি নিজ জীবনে প্রতিফলিত করে মানবকল্যাণে ব্রতী হই, তাহলে নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ রাব্বুল আল-আমিনের সন্তুষ্টি ও নৈকট্য লাভ করতে পারব। বিশ্বাসীদের সে চেষ্টায় আত্মনিবেদিত থাকতে হবে।
তিনি লিখেছেন, কোরবানি ঈদ বিশ্ববাসী মুসলমানদের সবচেয়ে বড় দুটো ধর্মীয় উৎসবের দ্বিতীয়টি। উৎসব হলো সর্বজনীন, এর প্রাঙ্গণে সমবেত হয় সব মানুষ। উৎসব মানুষকে পরস্পরের সঙ্গে শুভেচ্ছাবোধে উদ্বুদ্ধ করে।
বিদ্যমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে সবার পক্ষে ঈদের আনন্দ যথাযথভাবে উপভোগ করা কঠিন হবে উল্লেখ করে বিএনপির এই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লিখেছেন, মূল্যস্ফীতির তীব্রতা, খাদ্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, গৃহস্থালীতে পানি, গ্যাস ও বিদ্যুতের তীব্র সংকটে জনজীবন সীমাহীন দুর্দশায় নিপতিত। স্বল্প আয়ের মানুষরা শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় দিনযাপন করছে। ঈদের আনন্দের দিনে কেউ যাতে অভুক্ত না থাকে, সেদিকে আমাদের সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। ঈদের আনন্দের উৎসব ভাগ করে নিতে হবে এক কাতারে সবাইকে।
সবশেষে তিনি লিখেছেন, ঈদুল আজহা সবার জীবনে বয়ে আনুক সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি। সমাজে সৃষ্টি হোক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের মেলবন্ধন- মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে এই প্রার্থনা জানাই। আল্লাহ হাফেজ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।
কাফি
রাজনীতি
ছাত্রদলের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। আজ বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সংগঠনটির দপ্তর সম্পাদক (সহসভাপতি পদমর্যাদা) মো. জাহাঙ্গীর আলমের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বৈশ্বিক জলবায়ু ও পরিবেশ বিপর্যয়ের অন্যতম ভুক্তভোগী রাষ্ট্র বাংলাদেশ। আগামীর সম্ভাব্য পরিবেশগত বিপুল বিপর্যয় প্রতিরোধে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ইতোমধ্যেই নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান পরিবেশ সুরক্ষায় ক্ষমতায় গেলে ৫ বছরে ৫ কোটি গাছ রোপণের ঘোষণা দিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিএনপির আগামীদিনের ইশতেহারেও জলবায়ু ও পরিবেশ রক্ষার বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পাবে। এরই ধারাবাহিকতায় বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ১৫ দিনব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
এর অংশ হিসেবে ৫ জুন থেকে ১৫ দিনব্যাপী সারাদেশের সব জেলা, মহানগর, উপজেলা, পৌর, ওয়ার্ডসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এই নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
কাফি