জাতীয়
পুলিশ হেফাজতে চার শতাধিক আনসার
সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবরুদ্ধ করে রাখার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান আনসার সদস্যরা। এতে তাদের হামলায় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়। পরে শিক্ষার্থীদের পাল্টা হামলায় তারা সচিবালয় ছেড়ে পালিয়ে যায়। এ সময় সচিবালয় এলাকা থেকে প্রায় চার শতাধিক আনসার সদস্যদের হেফাজতে নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
রবিবার (২৬ আগস্ট) রাত ৯টা পর্যন্ত সচিবালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীদের অবরুদ্ধ করে রাখে সাধারণ আনসার সদস্যরা। এক পর্যায়ে সচিবালয় থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম দুই সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম। তারা ফেসবুক পোস্টে শিক্ষার্থীদের রাজু ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হওয়ার আহ্বান জানান।
দুই সমন্বয়কের ঘোষণার পর রাত সাড়ে ৯টার দিকে শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ের দিকে গেলে সেখানে থাকা আনসার সদস্যদের সঙ্গে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। প্রথমে অল্প কিছু শিক্ষার্থী সচিবালয় এলাকায় আসলে আনসার সদস্যরা তাদের ওপর হামলা চালান। এ সময় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা কিছুটা পিছু হটে শিক্ষা চত্বরে অবস্থান নেন। পরে চারদিক থেকে আরও সহস্রাধিক শিক্ষার্থী এসে আনসার সদস্যদের ধাওয়া দেন। এ সময় তাদের বেরিয়ে যাওয়ার জন্য দুটি পথও খোলা রাখা হয়। ধাওয়া খেয়ে আনসারদের একটি অংশ জিপিও হয়ে, আরেকটি অংশ প্রেসক্লাবের সামনে দিয়ে চলে বেরিয়ে যান। অবশ্য তখনও কিছু সংখ্যক আনসার সদস্য সচিবালয়ের ২ নম্বর গেটের সামনে আটকা পড়েন। সেনাবাহিনীর সদস্য ও শিক্ষার্থীদের একটি অংশই তাদের রক্ষার চেষ্টা করেন।
সংঘর্ষের পর শিক্ষার্থীদের ধাওয়ায় মুখে ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন তারা। এ সময় বেশিরভাগ আনসার সদস্য ঘটনাস্থল ত্যাগ করলেও আটকা পড়েন চার শতাধিক সদস্য। মধ্যরাতে কিছু আনসার সদস্যকে আত্মসমর্পণ করতে দেখা গেছে। এ সময় কিছু আনসার সদস্যকে নিজেদের ইউনিফর্ম খুলে ফেলতেও দেখা গেছে। হাত জোর করে ক্ষমাও চেয়েছেন কেউ কেউ। পরে সেনা সদস্যদের উপস্থিতিতে পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের নাম খাতায় লিপিবদ্ধ করে প্রিজন ভ্যানে তোলেন। সবকিছু স্বাভাবিক হওয়ার পর রাতেই তাদের প্রিজন ভ্যানে করে শাহবাগ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন উপস্থিত কর্মকর্তারা।
সাড়ে ১০টার দিকে গেট খুলে দিলে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসেন অবরুদ্ধ উপদেষ্টা ও সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। গেটের সামনে তাদের স্বাগত জানান শিক্ষার্থীরা। পরে পুরো এলাকা নিয়ন্ত্রণের নেয় সেনাবাহিনী ও পুলিশ।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিভিন্ন পেশাজীবীদের দাবি-দাওয়ার মধ্যেই আন্দোলনে নামেন আনসার সদস্যরা। তাদের কয়েকটি দাবির মধ্যে চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনে নামেন আনসার সদস্যরা। একই দাবিতে রবিবার সকালেও প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হন তারা। এক পর্যায়ে তারা বেলা ১২টার দিকে সচিবালয়ের চারপাশে পাঁচটি ফটকে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বিজিবির অভিযানে ২৫৩ কোটি টাকার পণ্যসামগ্রী উদ্ধার
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দেশের সীমান্ত এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে সর্বমোট ২৫৩ কোটি ৫৬ লাখ ৮৫ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের চোরাচালান পণ্যসামগ্রী উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। রোববার (০৬ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো পিবিজিএমএসের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সেপ্টেম্বর মাসে জব্দকৃত চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ২৬ কেজি ৭৫৩ গ্রাম স্বর্ণ, ১০ কেজি রূপা, ২ কেজি ৯৯৩ গ্রাম সাপের বিষ, ২ লাখ ৯৪ হাজার ৪৮২টি কসমেটিকস সামগ্রী, ২৫ হাজার ৪৪২টি শাড়ি, ১১ হাজার ৬২০টি থ্রিপিস/শার্টপিস/চাদর/কম্বল/তৈরি পোশাকের জন্য ৪০ হাজার ১৬ মিটার থান কাপড়, ১ হাজার ৯৭৮ ঘনফুট কাঠ, ২৪ হাজার ৬৬৭ কেজি চা পাতা, ৪ লাখ ৭৭ হাজার ৪৫০ কেজি চিনি, ৪ হাজার ৪১ কেজি সার, ১ লাখ ১১ হাজার ৯৮০ ঘনফুট কয়লা, ১২ হাজার ৯০০টি মোবাইল ডিসপ্লে, ১ হাজার ৯৬০টি চশমা, ৩০ হাজার ৬৮৭ কেজি সুতা/কারেন্ট জাল, ৪৫ হাজার ৬১২ কেজি সুপারি, ২৮ হাজার ৪১৬ কেজি মাছ, ৩ হাজার ৭৭৪ কেজি পেঁয়াজ, ৩৭ হাজার ৬১৭ কেজি রসুন, ৪ হাজার ৬০৪ কেজি জিরা, ১টি কষ্টি পাথরের মূর্তি, ৯টি ট্রাক, ১৭টি পিকআপ, ৭টি প্রাইভেটকার/মাইক্রোবাস, ৮টি ট্রলি, ১৯১টি নৌকা, ২১টি সিএনজি/ইজিবাইক, ১০৮টি মোটরসাইকেল এবং ২১টি বাইসাইকেল।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ২টি পিস্তল, ১টি গান জাতীয় অস্ত্র, ১০টি ককটেল ও ০৭ রাউন্ড গুলি। এছাড়াও গত মাসে বিজিবি বাহিনীর সদস্যরা বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করেছে।
জব্দকৃত মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ১২ লাখ ৮২ হাজার ৯৪৩ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৯ কেজি ৪১৩ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস, ১৬ কেজি ৮৭৪ গ্রাম হেরোইন, ২৯ হাজার ১৬৪ বোতল ফেনসিডিল, ২০ হাজার ৬৩৮ বোতল বিদেশি মদ, ১৩৭ লিটার বাংলামদ, ১ হাজার ৩৪৭ ক্যান বিয়ার, ১ হাজার ৯৯৮ কেজি গাঁজা, ৮৯ হাজার ৪৪ প্যাকেট বিড়ি ও সিগারেট, ২ লাখ ৬২ হাজার ৭০১টি নেশাজাতীয় ট্যাবলেট/ইনজেকশন, ৩৭৭২ বোতল ইস্কাফ সিরাপ, ২৫ কেজি ৪৪৪ গ্রাম কোকেন, ৬৩০ বোতল এমকেডিল/কফিডিল, ৩ লাখ ৭ হাজার ৫৮০টি বিভিন্ন প্রকার ঔষধ, ৮৪ লাখ ৯ হাজার ৪৮০টি অ্যানগ্রো/সেনেগ্রা ট্যাবলেট, ১৩ বোতল এলএসডি এবং ৩৮ হাজার ৬৫৫টি অন্যান্য ট্যাবলেট।
সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ২৪১ জন চোরাচালানী এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ২৯৮ জন বাংলাদেশি ও ২৪ জন ভারতীয় নাগরিককে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া ১ হাজার ৬২১ জন মিয়ানমার নাগরিককে আটকের পর তাদেরকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়িতে ২৩ দিনের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা
রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি ভ্রমণে ২৩ দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। রোববার (৬ অক্টোবর) দুপুরে সংশ্লিষ্ট তিন জেলা প্রশাসনের জারি করা এক নির্দেশনা থেকে এ নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে। নির্দেশনা অনুযায়ী, আগামী ৮ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।
অবশ্য, কী কারণে এ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, তা পুরোপুরি স্পষ্ট করা হয়নি। তবে একাধিক সূত্রের দাবি, পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে সম্প্রতি সময়ে সংগঠিত সহিংসতার ঘটনায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে পার্বত্য চট্টগ্রামে বেড়াতে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান জানিয়েছেন, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে তিন পার্বত্য জেলার ক্ষেত্রেই এই নির্দেশনা জারি হয়েছে। তাছাড়া সাজেক ভ্যালিতেও অনির্দিষ্টকালের জন্য ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করেছে জেলা প্রশাসন।
বান্দরবানের ডিসি জানান, অনিবার্য কারণবশত ৮ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পর্যটকদের বান্দরবান পার্বত্য জেলায় ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান বলেন, সম্প্রতি খাগড়াছড়িতে বেশ কয়েকটি বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত খাগড়াছড়ির পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে ভ্রমণের ব্যাপারে পর্যটকদের নিরুৎসাহিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের নতুন চেয়ারম্যান সুরাইয়া আখতার
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুরাইয়া আখতার জাহান। তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
রোববার (৬ অক্টোবর) রাষ্ট্রপতির আদেশে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব জামিলা শবনমের সই করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) সুরাইয়া আখতার জাহানকে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান পদে পদায়ন করা হলো।
জনস্বার্থে জারিকৃত আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ট্রাফিক আইন ভঙ্গে ৬২৭ মামলা, জরিমানা সাড়ে ২৬ লাখ
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ৬২৭টি মামলা ও ২৬ লাখ ৭৮ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ।
শনিবার (৫ অক্টোবর) ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের পরিচালিত অভিযানে এসব মামলা ও জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া অভিযানকালে ১৬৭টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৫৫টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
রবিবার (৬ অক্টোবর) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
নীতিবান অফিসাররাই উচ্চতর পদোন্নতির দাবিদার: প্রধান উপদেষ্টা
‘সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদ-২০২৪’ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রবিবার (৬ আগস্ট) সেনাবাহিনী সদর দপ্তরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এ উদ্বোধন করেন।
প্রথম পর্বের এই পদোন্নতি পর্ষদে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্নেল ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদবির যোগ্য কর্মকর্তারা পরবর্তী পদোন্নতির জন্য বিবেচিত হবেন।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
আইএসপিআর জানায়, পদোন্নতি পর্ষদের মূল্যবান বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র-জনতার বিপ্লবে সিক্ত নতুন বাংলাদেশে সবাইকে স্বাগত জানান। এসময় তিনি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন জুলাই-আগস্ট মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সবার প্রতি। তিনি আরও স্মরণ করেন মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সশস্ত্র বাহিনী তথা সেনাবাহিনীর শহিদসহ সব বীর সেনানীদের যাদের আত্মত্যাগ জাতি চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।
প্রধান উপদেষ্টা পদোন্নতির জন্য অফিসারদের পেশাগত দক্ষতা, নেতৃত্বের গুণাবলী, শৃঙ্খলার মান, সততা, বিশ্বস্ততা ও আনুগত্য এবং সর্বোপরি নিযুক্তিগত উপযুক্ততার ওপর গুরুত্বারোপ করতে নির্বাচনী পর্ষদের সদস্যদের নির্দেশনা দেন।
এছাড়া সৎ, নীতিবান এবং নেতৃত্বের অন্যান্য গুণাবলী সম্পন্ন অফিসাররাই উচ্চতর পদোন্নতির দাবিদার বলে তিনি মন্তব্য করেন। রাজনৈতিক মতাদর্শের ঊর্ধ্বে থেকে যে সমস্ত অফিসার সামরিক জীবনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে যোগ্য নেতৃত্ব প্রদানে সফল হয়েছেন সেই সব অফিসারদের পদোন্নতির জন্য নির্বাচন করার নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, দেশের ক্রান্তিলগ্নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে এবং একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে দেশকে এক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির হাত থেকে রক্ষা করেছে। ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আবারও দেশের মানুষের কাছে আস্থার প্রতীক হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে বলে তিনি তার মূল্যবান বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
আইএসপিআর আরও জানায়, অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারী, চিফ অব জেনারেল স্টাফ এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার।
নির্বাচনী পর্ষদ উদ্বোধন করায় সেনাবাহিনী প্রধান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি প্রতিরক্ষা সচিব উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে প্রধান উপদেষ্টা সেনাবাহিনীর উপস্থিত কর্মকর্তাদের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশগ্রহণ করেন এবং পরিদর্শন বইয়ে মন্তব্য লিপিবদ্ধ করেন