অন্যান্য
ইজারার দলিল নিবন্ধনে কর দিতে হবে ৪ শতাংশ

সরকারি প্রতিষ্ঠান বেসরকারি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ভূমি, ফ্ল্যাট ও প্লটসহ অন্যান্য স্থাবর সম্পত্তি ইজারা দিয়ে আসছে। কিন্তু ইজারা দলিল নিবন্ধনের ক্ষেত্রে উৎসে কর ইজারাদার প্রতিষ্ঠান না কি ইজারা নেওয়া ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পরিশোধ করবে তা নিয়ে প্রশ্ন বা জটিলতা ছিল। সেই জটিলতা নিরসনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে সমাধান দেওয়া হয়েছে। রোববার এক বিশেষ আদেশে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।
এনবিআর বলছে, ইজারাদার প্রতিষ্ঠানকে দলিল নিবন্ধনের সময় ৪ শতাংশ হারে উৎসে কর পরিশোধ করতে হবে। নিবন্ধনের সময় সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিস ইজারাদার প্রতিষ্ঠান এই কর রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হয়েছে কি না তা নিশ্চিত হয়ে নিবন্ধন করবে। তবে ১০ বছরের অধিক সময়ের জন্য ইজারা দেওয়া ভূমি, ফ্ল্যাট, প্লট ও অন্যান্য স্থাবর সম্পত্তি ইজারা দেওয়ার ক্ষেত্রে ওই উৎসে কর কর্তন করতে হবে।
সূত্র জানায়, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জমি, ফ্ল্যাট, প্লট ও অন্যান্য স্থাবর সম্পত্তি বিভিন্ন মেয়াদে ইজারা দিয়ে থাকে। এছাড়া গণপূর্ত, সিটি করপোরেশন, পৌরসভাও বিভিন্ন সময় স্থাবর সম্পত্তি ইজারা দিয়ে থাকে। আবার বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) ও বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা) দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে বিনিয়োগের শর্তে জমি ইজারা দিয়ে থাকে।
আয়কর আইন, ২০২৩ অনুযায়ী এসব জমি, ফ্ল্যাট, প্লট ও অন্যান্য স্থাবর সম্পত্তি ইজারা দেয়ার ক্ষেত্রে উৎসে আয়কর কর্তন করে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। তবে ইজারাদার প্রতিষ্ঠান না কি ইজারা নেওয়া ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান উৎসে কর পরিশোধ করবে-এই নিয়ে প্রশ্ন তোলায় সম্প্রতি এনবিআর ওই বিষয়ে স্পষ্টীকরণ করে আদেশ জারি করা হয়েছে।
আদেশে বলা হয়েছে, যেসব ক্ষেত্রে কোনো ইজারাদার কর্তৃক অন্যূন ১০ বছর মেয়াদে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ভূমি, ফ্ল্যাট, প্লট বা অন্যান্য স্থাবর সম্পত্তি ইজারা প্রদান করা হয়। অথবা কোনো অর্থনৈতিক অঞ্চল বা শিল্পনগরীতে ভূমি উন্নয়নপূর্বক শিল্প স্থাপনের উপযোগী করে বিনিয়োগকারীর অনুকূলে ইজারা প্রদান করা হয়, সে সকল ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন আইন, ১৯০৮ এর অধীন সংশ্লিষ্ট ভূমি, ফ্ল্যাট, প্লটসহ সকল প্রকার স্থাবর সম্পত্তির ইজারা দলিল নিবন্ধনের সময় রেজিস্ট্রেশন কর্তৃপক্ষ আয়কর আইন, ২০২৩ এর ধারা ১২৮ এর বিধান অনুযায়ী ইজারাদার থেকে ইজারা মূল্যের উপর ৪ শতাংশ হারে কর সংগ্রহ করে তা সরকারি কোষাগারে জমাদান নিশ্চিত করবে।
তবে দুইটি ক্ষেত্রে এই কর কর্তন করতে হবে না। তা হলো—স্থাবর সম্পত্তির ইজারার মেয়াদ ১০ বছরের কম হলে এবং হস্তান্তরকারী ইজারাদার না হলে।
আদেশে বলা হয়েছে, উৎসে কর কর্তনের ক্ষেত্রে চারটি বিষয় বিবেচ্য হবে। যার মধ্যে রয়েছে—১০ বছর বা তদূর্ধ্ব মেয়াদের জন্য ইজারাকৃত স্থাবর সম্পত্তির ইজারা দলিল নিবন্ধনের ক্ষেত্রে আয়কর আইন, ২০২৩ এর ধারা ১২৮ এর অধীন উৎসে কর সংগ্রহ প্রযোজ্য হবে।
ইজারা দলিল নিবন্ধনকালে ইজারাদার উৎসে কর পরিশোধ করবেন। ইজারা দলিল নিবন্ধনকালে আয়কর আইন, ২০২৩ এর ধারা ১২৫, ধারা ১২৬ বা অন্য কোনো ধারার অধীন কর পরিশোধের প্রযোজ্যতা নেই। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ প্রুফ অব সাবমিশন অব রিটার্ন বা পিএসআর উপস্থাপনের ব্যর্থতায় উৎসে কর সংগ্রহের হার অপেক্ষা ৫০ শতাংশ অধিক হবে।
উদাহরণ হিসেবে বলা হয়েছে, মফিজুর রহমান নামে এক ব্যক্তি উত্তরা ১৮নং সেক্টরে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) উত্তরা অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্পে ‘সি’ ব্লকের ১৬৫৪ বর্গফুট আয়তনের একটি ফ্ল্যাট পেয়েছেন। রাজউক ৯৯ বছরের জন্য রহমানকে এই ফ্ল্যাট ইজারা দিয়েছে। রহমান ইজারা মূল্য হিসেবে ৪০ লাখ টাকা কিস্তিতে পরিশোধ করে ফ্ল্যাটের ইজারা দলিল নিবন্ধন করতে সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে গিয়েছেন।
এক্ষেত্রে আয়কর আইন, ২০২৩ এর ধারা ১২৮ এর বিধান অনুযায়ী, রাজউক হতে ইজারা মূল্যের ৪ শতাংশ হারে ৪০ লাখ টাকায় এক লাখ ৬০ হাজার টাকা উৎসে কর সংগ্রহ এবং তা সরকারি কোষাগারে জমাদানের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে সাব রেজিস্ট্রার ইজারা দলিল নিবন্ধন করবেন।
আরেক উদাহরণে বলা হয়েছে, শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক অঞ্চলে ৫৫ একর জমি শিল্প স্থাপনের উপযোগী করে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান এবিডি লিমিটেডকে ৫০ বছরের জন্য ইজারা প্রদান করেছে। বেজা এবং এবিডি লিমিটেড কর্তৃক সম্পাদিত ল্যান্ড লিজ এগ্রিমেন্ট (এলএলএ) অনুযায়ী, এই জমির ইজারা মূল্য ১০০ কোটি টাকা। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সাব রেজিস্ট্রার ইজারা দলিল নিবন্ধনের পূর্বে বেজা হতে ইজারা মূল্যের ৪ শতাংশ হারে ৪ কোটি টাকা উৎসে কর সংগ্রহ ও তা সরকারি কোষাগারে জমা দান নিশ্চিত করবেন।

অন্যান্য
২৩ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৭৪ কোটি ডলার

চলতি (আগস্ট) মাসের প্রথম ২৩ দিনে ১৭৪ কোটি ৮৬ লাখ ২০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় এসেছে। স্থানীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ২১ হাজার ৩৩২ কোটি ৯২ লাখ টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে)। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, আগস্টের ২৩ দিনে ১৭৪ কোটি ৮৬ লাখ ২০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩৯ কোটি ২৯ লাখ ডলার, বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে এক ব্যাংকের (কৃষি ব্যাংক) ২৪ কোটি ৯৭ লাখ ৬০ হাজার ডলার। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১০৯ কোটি ৭১ লাখ ৬০ হাজার ডলার। আর বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৮৭ লাখ ৯০ হাজার ডলার।
এর আগে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে ২৪৭ কোটি ৭৯ লাখ ১০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স আসে, বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ প্রায় ৩০ হাজার ২৩৯ কোটি টাকা। তবে ওই মাসে ৮ ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের মার্চ মাসে সর্বোচ্চ ৩২৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল, যা ছিল বছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্সের রেকর্ড। আর পুরো অর্থবছর (২০২৪-২৫) জুড়ে প্রবাসী আয় এসেছে ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ২৬ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাসভিত্তিক রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল: জুলাইয়ে ১৯১ দশমিক ৩৭ কোটি ডলার, আগস্টে ২২২ দশমিক ১৩ কোটি ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ দশমিক ৪১ কোটি ডলার, অক্টোবরে ২৩৯ দশমিক ৫০ কোটি ডলার, নভেম্বরে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে ২৬৪ কোটি ডলার, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি ডলার, মার্চে ৩২৯ কোটি ডলার, এপ্রিলে ২৭৫ কোটি ডলার, মে মাসে ২৯৭ কোটি ডলার এবং জুনে ২৮২ কোটি ডলার।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকার ঘোষিত প্রণোদনা ও প্রবাসী আয়ের পথ সহজ করায় রেমিট্যান্স প্রবাহ ইতিবাচক ধারায় রয়েছে।
অন্যান্য
৭ জেলায় ঝড়-বজ্রবৃষ্টির আভাস, সমুদ্রবন্দরে সতর্কতা

দেশের চারটি সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত বহাল রয়েছে। এছাড়া সাত জেলার ওপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়া হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
শনিবার (২৩ আগস্ট) ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য জারি করা সতর্কবার্তায় আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণপূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝেড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে, আবহাওয়া অফিসের সামুদ্রিক সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত রয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা/ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী সোমবারের (২৫ আগস্ট) মধ্যে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
অন্যান্য
লেনদেনের শীর্ষে বিএসসি

সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন (বিএসসি)। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বুধবার (২০ আগস্ট) কোম্পানিটির ৩৫ কোটি ৪১ লাখ ২৩ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিচ হ্যাচারির লেনদেন হয়েছে ২৭ কোটি ৬৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার। আর ২৭ কোটি ২৫ লাখ ৯৮ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন নিয়ে শীর্ষ তালিকার তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে বেক্সিমকো ফার্মা।
লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- সিটি ব্যাংক, টেকনো ড্রাগস, ওরিয়ন ইনফিউশন, বিকন ফার্মা, সোনালী পেপার, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ এবং মালেক স্পিনিং মিলস পিএলসি।
এসএম
অন্যান্য
আইসিবি এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট এমএফ ওয়ান: স্কিম ওয়ানের সর্বোচ্চ দরপতন

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৪০০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯৪টির দর কমেছে। আজ সবচেয়ে বেশি দর কমেছে আইসিবি এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট এমএফ ওয়ান: স্কিম ওয়ানের।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সোমবার (১৮ আগস্ট) প্রতিষ্ঠানটির দর আগের দিনের তুলনায় ২০ পয়সা বা ৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ কমেছে। যার ফলে আজ ডিএসইর দর পতনের শীর্ষ তালিকায় প্রথম স্থানে স্থান নিয়েছে এই প্রতিষ্ঠানটি।
দর পতনের শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা ফার্স্ট সিকিউরিটিজ ইসলামী ব্যাংকের দর কমেছে আগের দিনের তুলনায় ৫ দশমিক ৪০ শতাংশ। আর ৪ দশমিক ৫৪ শতাংশ দর কমে যাওয়ায় পতনের শীর্ষ তালিকার তৃতীয় স্থানে জায়গা নিয়েছে ইউনিয়ন ক্যাপিটাল।
এছাড়া, আজ ডিএসইতে দর পতনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- মার্কেন্টাইল ব্যাংক, ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ, রহিম টেক্সটাইল, প্রিমিয়ার লিজিং, ফার্মা এইডস, ফার্স্ট ফাইন্যান্স এবং ব্যাংক এশিয়া পিএলসি।
এসএম
অন্যান্য
দেশের রিজার্ভ কমলো

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কিছুটা কমেছে। রিজার্ভ কমে এখন ৩০৮০৯ দশমিক ৯৬ মিলিয়ন ডলার বা ৩০ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
রবিবার (১৭ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকে নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩০৮০৯ দশমিক ৯৬ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ৩০ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ এখন ২৫৮০৬ দশমিক ৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ২৫ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার।
এর আগে গত ১৪ আগস্ট পর্যন্ত দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত ছিল ৩০৮৩৫ দশমিক ২৫ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ৩০ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলার। আর আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২৫৮২৭ দশমিক ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ২৫ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার। সে হিসাবে রিজার্ভ সামান্য কমেছে।
এর আগে ১০ আগস্ট পর্যন্ত দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ ছিল ৩০২৪৮ দশমিক ১১ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ৩০ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২৫২৩২ দশমিক ৩৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ২৫ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার।
গত ৪ আগস্ট পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ৩০ বিলিয়ন ডলার এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২৪ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার। গত ২৪ জুলাই পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩০০০৪ দশমিক ৫০ মিলিয়ন ডলার এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২৪৯৮৮ দশমিক ২৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
নিট রিজার্ভ গণনা করা হয় আইএমএফের বিপিএম-৬ পরিমাপ অনুসারে। দেশের মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বিয়োগ করলে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ পাওয়া যায়।