রাজধানী
রাজধানীর যেসব এলাকায় তীব্র গ্যাস সংকট
![রাজধানীর যেসব এলাকায় তীব্র গ্যাস সংকট সোনালী লাইফ](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/04/gas-3.jpg)
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। দিনের বেশিরভাগ সময় গ্যাস থাকে না। রাত ১২টার পর গ্যাস এসে ভোর ৫টায় চলে যায়। এই কারণে অনেকেই বাধ্য হয়ে রাতেই রান্না করেন। অনেক সময় ঘোষণা ছাড়াই গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। ফলে গ্যাস সংকটে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন যাত্রাবাড়ী, শনির আখড়া, কদমতলী, কামরাঙ্গীরচর, মিরপুর, নদ্দা ও কুড়িল বিশ্বরোডসহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা।
এসব এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, লাইনের গ্যাস বেশিরভাগ সময় থাকে না। গ্যাসের চাপও কম। বাধ্য হয়ে সিলিন্ডার ব্যবহারের দিকে ঝুঁকতে হচ্ছে। উপায়ন্তর না পেয়ে অনেক সময় হোটেল থেকে খাবার এনে খেতে হচ্ছে।
জানা যায়, রাজধানীর মিরপুর এলাকায় দিনে দু-তিন ঘণ্টা গ্যাস থাকে না। মগবাজার ওয়্যারলেস গেট, বেইলি রোড, রমনা সিদ্ধেশরী এলাকার চিত্র একই। রাতে আসলেও দিনে গ্যাস থাকে না।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) প্রকৌশলী মো. সেলিম মিয়া জানান, সব এলাকায় সমস্যা নেই। কিছু কিছু এলাকায় আছে। সাপ্লাই কম থাকায় এমনটা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ে ফ্লোটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রেগাসিফিকেশন ইউনিট (এফএসআরইউ) ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সরবরাহ এখন কম। আশা করছি, চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে সমস্যার সমাধান হবে।
পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা গেছে, সামিট গ্রুপের এলএনজি টার্মিনালটি বন্ধ থাকায় একটি টার্মিনাল দিয়ে মাত্র ৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ হচ্ছে। দেশের অভ্যন্তরীণ কূপ থেকে আরও ২০০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে। দেশে গ্যাসের চাহিদা রয়েছে কমপক্ষে ৩ হাজার ১০০ মিলিয়ন ঘনফুটের। ফলে বর্তমানে প্রতিদিন ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের ঘাটতি রয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
রাজধানী
কোটাবিরোধী আন্দোলনে যানজটে স্থবির ঢাকা, ভোগান্তি চরমে
![কোটাবিরোধী আন্দোলনে যানজটে স্থবির ঢাকা, ভোগান্তি চরমে সোনালী লাইফ](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/jam-andolon.jpg)
কোটাব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলনকারীরা আজ সোমবার শাহবাগসহ রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি এলাকায় সড়ক অবরোধ করায় তীব্র যানজট তৈরি হয়েছে। এতে কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে রাজধানীর বড় এলাকা। অফিস শেষে ঘরমুখী মানুষ পড়েছেন ব্যাপক ভোগান্তিতে। বাসসহ অন্যান্য যানবাহন প্রধান সড়কগুলোয় আটকা পড়েছে। অনেকে গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রা করেছেন।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবসের ব্যস্ততার কারণে সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় যানজট ছিল। বিকেল চারটার দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ শাহবাগ মোড়, পাশের হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড় ও কারওয়ানবাজার অবরোধ করেন। এর সঙ্গে সায়েন্স ল্যাব মোড়ে অবরোধ চলতে থাকায় আজিমপুর–নিউমার্কেট থেকে মিরপুর ও গাবতলীর পথে চলাচলের সড়কটি দিয়েও যান চলাচল ব্যাহত হয়।
ডিএমপির ধানমন্ডি জোনের সহকারী কমিশনার (ট্রাফিক) নবকুমার বিশ্বাস বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে কলাবাগান সাইন্স ল্যাব, ধানমন্ডি, নীলক্ষেত আশপাশের এলাকায় অধিকাংশ সড়ক বন্ধ। কালকের মতো আজও গাড়ি চলাচল করতে পারছে না।
অন্যদিকে শাহবাগ হয়ে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের মোড়, বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট হয়ে আগারগাঁওয়ের বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে রেখেছে শিক্ষার্থীরা। যার ফলে এসব সড়কও তার আশপাশের এলাকার সড়কেও দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট।
এ বিষয়ে ডিএমপির কারওয়ান বাজার জোনের সহকারী কমিশনার (ট্রাফিক) স্নেহাশীষ কুমার দাস জানান, কোনো গাড়ি কারওয়ান বাজার থেকে শাহবাগের দিকে যেতে পারছে না। ফলে এ যানজট ফার্মগেট-তেজগাঁও ছাড়িয়ে বিজয় সরণি পর্যন্ত পৌঁছেছে।
যানজটে দীর্ঘ সময় গাড়িতে বসে থেকে অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। গুলিস্তান থেকে ধানমন্ডিমুখী এক যাত্রী বলেন, অফিস থেকে বাসায় যাওয়ার জন্য বাসে উঠেছিলাম। কিন্তু একটু পরেই অবরোধের মুখে পড়তে হলো। এখন বাস থেকে নেমে হেঁটে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দেব। এছাড়া আর উপায় নেই। অবরোধ ছাড়ার জন্য অপেক্ষা করলে রাত পর্যন্ত বসে থাকতে হবে। এইটা কোনো কথা? এ রকম আর কত দিন চলবে?’
বাসগুলো সড়কের একই স্থানে থেমে আছে। যাত্রীরা বিরক্ত হয়ে বাস থেকে নেমে হেঁটে রওনা হয়েছেন। আর বাসগুলো বন্ধ করে চালক ও সহকারীরা ভেতরে বসে আছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
ঢাকায় মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ২৫
![ঢাকায় মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ২৫ সোনালী লাইফ](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/arrest-1.jpg)
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন অপরাধ বিভাগ।
সোমবার (৮ জুলাই) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
ডিএমপির বিভিন্ন অপরাধ বিভাগ নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে রোববার (৭ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার করার সময় তাদের হেফাজত থেকে ৩৭৮ পিস ইয়াবা, ৩৬০ গ্রাম হেরোইন, ২ কেজি ৯৫০ গ্রাম গাঁজা, ২০ লিটার দেশি মদ ও ৭১ বোতলসহ বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৯ টি মামলা করা হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
রাজধানীতে যেসব মার্কেট বন্ধ সোমবার
![রাজধানীতে যেসব মার্কেট বন্ধ সোমবার সোনালী লাইফ](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/11/রাজধানীতে-যেসব-মার্কেট-বন্ধ-সোমবার-১.jpg)
প্রতিদিন কেনাকাটার প্রয়োজনে আমাদের কোথাও না কোথাও যেতে হয়। তবে রাজধানীর কোনো মার্কেটে যাওয়ার আগে ওই এলাকার সাপ্তাহিক বন্ধের দিনটি জেনে নেয়া জরুরি। তা হলে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় না। তাই দেখে নিন সোমবার (৮ জুলাই) রাজধানীর কোন কোন এলাকার শপিংমল ও মার্কেট বন্ধ।
যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ
আগারগাঁও, তালতলা, শেরেবাংলা নগর, শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, পল্লবী, মিরপুর-১০, মিরপুর-১১, মিরপুর-১২, মিরপুর-১৩, মিরপুর-১৪, ইব্রাহীমপুর, কচুক্ষেত, কাফরুল, মহাখালী, নিউ ডিওএইচএস, ওল্ড ডিওএইচএস, কাকলী, তেজগাঁও ওল্ড এয়ারপোর্ট এরিয়া, তেজগাঁও ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়া, ক্যান্টনমেন্ট, গুলশান-১ ও ২, বনানী, মহাখালী কমার্শিয়াল এরিয়া, নাখালপাড়া, মহাখালী ইন্টার সিটি বাস টার্মিনাল এরিয়া, রামপুরা, বনশ্রী, খিলগাঁও, গোড়ান, মালিবাগের একাংশ, বাসাবো, ধলপুর, সায়েদাবাদ, মাদারটেক, মুগদা, কমলাপুরের একাংশ, যাত্রাবাড়ী একাংশ, শনির আখড়া, দনিয়া, রায়েরবাগ, সানারপাড়।
যেসব এলাকার দোকানপাট বন্ধ
রামপুরার মোল্লা টাওয়ার, আল-আমিন সুপার মার্কেট, রামপুরা সুপার মার্কেট, মালিবাগ সুপার মার্কেট, তালতলা সিটি করপোরেশন মার্কেট, কমলাপুর স্টেডিয়াম মার্কেট, গোড়ান বাজার, মেরাদিয়া বাজার, আয়েশা-মোশারফ শপিং কমপ্লেক্স, দনিয়া তেজারত সুপার মার্কেট, আবেদীন টাওয়ার, ঢাকা শপিং সেন্টার, মিতালী অ্যান্ড ফ্রেন্ডস সুপার মার্কেট।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
আন্দোলনে অচল ঢাকা, মেট্রোরেলে ছিল না তিল ধারণের ঠাঁই
![আন্দোলনে অচল ঢাকা, মেট্রোরেলে ছিল না তিল ধারণের ঠাঁই সোনালী লাইফ](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/metro.jpg)
কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে বিকেল থেকে ঢাকার বিভিন্ন সড়কে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় ঘরমুখো মানুষের বাড়ি ফেরার একমাত্র ভরসায় পরিণত হয় মেট্রোরেল। যে কারণে মেট্রোরেলে ছিল যাত্রীর ব্যাপক চাপ।
আজ রবিবার (৭ জুলাই) বিকেল ৩টা থেকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মেট্রোরেলে জনজট অব্যাহত ছিল।
সরেজমিনে দেখা যায়, মতিঝিল থেকে প্রতিটি স্টেশনে বিপুল সংখ্যক মানুষ মেট্রোতে ওঠার জন্য হুড়োহুড়ি শুরু করেন। বাসায় ফিরতে যে সংখ্যক মানুষ হাজির হন তার এক দশমাংশও মেট্রোরেল নিতে পারেনি। বেশিরভাগ যাত্রী স্টেশনেই দাঁড়িয়ে থাকেন পরের ট্রেনের আশায়। কিন্তু পরেরটাতেও একই অবস্থা। প্রতি যাত্রায় মেট্রোরেলের কামরায় তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। এ সময় মতিঝিল অফিসপাড়া ও সচিবালয় থেকে ঘরমুখো মানুষকে বলতে শোনা যায়, মেট্রোরেল চালু হওয়ার পর থেকে কোনোদিনই এমন অবস্থার তৈরি হয়নি। সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এই অবস্থা চলতেই থাকে।
কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরা রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ শুরু করলে মিরপুর, ফার্মগেট এবং গাবতলীমুখী যাত্রীরা গণপরিবহনে না চড়ে মেট্রোরেলের সুবিধা নিতে ভিড় জমান। এর ফলে মেট্রোরেলে তৈরি হয় তীব্র জনজট। আগের দিন কোটাবিরোধীরা কর্মসূচির ঘোষণা করলে সকাল থেকেই মানুষ গণপরিবহন এড়িয়ে মেট্রোরেল যাতায়াত শুরু করেন। নিয়মিত যাত্রীর পাশাপাশি এসব নতুন যাত্রী যোগ হওয়ার ফলে আজ সকাল থেকেই মেট্রোতে বেড়ে যায় যাত্রী। অফিস ছুটি হওয়ার পরে যাত্রীর উপস্থিতি আরও বাড়ে।
তীব্র ভিড়ের মধ্যে যাত্রীকে ঠাসাঠাসি করে দাঁড়াতে হচ্ছে। তাই নিরাপদে দাঁড়াতে কেউ যেন অন্যের পথ রোধ না করে দাঁড়ান- এজন্য যাত্রীদের একে অপরের প্রতি সহনশীল হতে অনুরোধ করতে শোনা গেছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষকে।
মাইকে ভাসতে থাকে একটি কণ্ঠ – ‘চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলন ও রথযাত্রার কারণে ঢাকার অধিকাংশ রাস্তায় অত্যধিক জ্যাম। এর প্রভাবে মেট্রোরেলেও অতিরিক্ত যাত্রীদের চাপ। সম্মানিত প্যাসেঞ্জারবৃন্দ, অনুগ্রহপূর্বক সহযাত্রীর সাথে সৌহার্দপূর্ণ/সহনশীল আচরণ করুন। ট্রেনের দরজা ব্লক করে দাঁড়াবেন না অথবা কিছু রাখবেন না। ট্রেনে উঠতে প্লাটফর্মে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ান। আপনার ভ্রমণ নিরাপদ হোক। ’
মেট্রোরেলের পক্ষ থেকে আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন যাত্রীরাও। যাত্রীর চাপ তৈরি হওয়ায় কারো সমস্যা হলেও ক্ষোভ ঝাড়তে দেখা যায়নি কাউকে। সবাইকে কষ্ট সহ্য করে যাতায়াত করতে দেখা যায়। পরিস্থিতি মানিয়ে নিয়েই গন্তব্যে ফিরেছেন যাত্রীরা।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
কোটা আন্দোলনে রাজধানীজুড়ে তীব্র যানজট, ভোগান্তি চরমে
![কোটা আন্দোলনে রাজধানীজুড়ে তীব্র যানজট, ভোগান্তি চরমে সোনালী লাইফ](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/jam-andolon.jpg)
কোটাবিরোধী আন্দোলন ও রথযাত্রার কারণে রাজধানীজুরে তীব্র যানজট দেখা গেছে। সেইসাথে সকাল ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত ছিল এইচএসসি পরীক্ষা।
রবিবার (৭ জুলাই) সকালে পুরান ঢাকায় শুরু হয় রথযাত্রা। রথযাত্রা উপলক্ষে সকাল থেকেই জয়কালী মন্দির মোড়, ইত্তেফাক মোড়, মতিঝিল শাপলা চত্বর, দৈনিক বাংলা মোড়, রাজউক ভবন চত্বর, গুলিস্তান, হাইকোর্ট মোড়ে যানজট ছিল। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের এ উৎসবকে কেন্দ্র করে যানজটের বিষয়ে আগেই সতর্কবার্তা দিয়েছিল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
দিন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয় কোটাবিরোধী আন্দোলন ‘বাংলা ব্লকেড’।
চাকরিপ্রত্যাশী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিলের কারণে শাহবাগ, সায়েন্স ল্যাব, চানখাঁরপুল মোড়, আগারগাঁও, মহাখালী ও পল্টন এলাকার গুরুত্বপূর্ণ মোড় অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।
মেট্রোরেলেও বেশ যাত্রীর চাপ দেখা গেছে। কিন্তু দুপুর আড়াইটা থেকে প্রায় ৩০ মিনিট মেট্রো বন্ধ থাকায় মিরপুর-আগারগাঁও-মতিঝিল রুটের যাত্রীদের আরও ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। শিক্ষার্থীদের কোটাবিরোধী আন্দোলন ‘বাংলা ব্লকেড’ বিকেল ৩টায় রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে শুরু হয়।
কর্মসূচি অনুযায়ী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা রাজধানীর চানখাঁরপুল, শাহবাগ, সায়েন্সল্যাব, আগারগাঁও, মহাখালী ও পল্টন এলাকার গুরুত্বপূর্ণ মোড় অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকার সায়েন্সল্যাব এলাকায় সড়ক অবরোধ করে ঢাকা কলেজ ও আশপাশের প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে ব্যস্ত মোড় অবরোধ করে আশেপাশের এলাকায় যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। যানজটের প্রভাব পড়েছে এসব এলাকায়। দীর্ঘক্ষণ ধরে এসব এলাকায় যানবাহন আটকে আছে। সৃষ্টি হয়েছে যানবাহনের লম্বা লাইন। যানজটের কারণে সপ্তাহের প্রথম কর্ম দিবসে অফিস করে বের হওয়া যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ ইসলাম জানান, ‘আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেছেন। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা গভীরভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।’
অবরোধে আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নগরবাসীকে ওইসব এলাকা এড়িয়ে চলতে বলছেন।
কাফি