জাতীয়
বাজেটে অগ্রাধিকার পেয়েছে যে ১১ বিষয়
জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ১১টি বিষয়কে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন এ তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
অর্থমন্ত্রী বলেন, এ দেশের মানুষ আমাদের সব গৌরবোজ্জ্বল অর্জনের প্রকৃত দাবিদার। এ জনশক্তিকে কাজে লাগিয়ে আজ আমরা দুর্দমনীয় গতিতে ছুটে চলেছি প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে। ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় সব শর্ত পূরণ করে আমরা ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উত্তরণ নিশ্চিত করেছি। এখন সামনে আরও এগিয়ে যাওয়ার পালা।
তিনি বলেন, উন্নত, সমৃদ্ধ, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এ বছরের নির্বাচনি ইশতেহারে আমরা যে অঙ্গীকার করেছি, সেগুলো বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কর্মক্ষম সবার জন্য উপযুক্ত কর্মসংস্থান, কৃষির উন্নয়ন, বিনিয়োগ ও শিল্পের প্রসার, উপযুক্ত স্বাস্থ্য ও শিক্ষার অধিকার ইত্যাদি নিশ্চিত করার পাশাপাশি মানুষের জীবনমানের সুরক্ষা প্রদান করা হবে। সর্বোপরি নির্বাচনি ইশতেহারে দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রাথমিক ভিত্তি রচনা হবে আমাদের এবারের বাজেটের মূল লক্ষ্য।
বাজেটে যেসব বিষয়কে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে সেগুলো হলো- ১. অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষা ২. বিজ্ঞান শিক্ষা, বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও উদ্ভাবন সহায়ক শিক্ষা পরিবেশ নিশ্চিতকরণ ৩. কৃষি খাতে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ৪. মৌলিক স্বাস্থ্য সেবা উন্নত ও সম্প্রসারিতকরণ ৫. তরুণদের প্রশিক্ষণ ও আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ ৬. সম্ভাব্য সব সেবা ডিজিটালাইজ করাসহ সর্বস্তরে প্রযুক্তির ব্যবহার ৭. ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়ন, সামুদ্রিক সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার, আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা নিশ্চিতকরণ ৮. ২০৩১ সালের মধ্যে অতি দারিদ্র্য নির্মূলকরণ এবং ২০৪১ সাল নাগাদ সাধারণ দারিদ্র্যের হার তিন শতাংশে নামিয়ে আনা ৯. শিল্প স্থাপন ও বিনিয়োগে সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিতকরণ ১০. জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় পদক্ষেপ গ্রহণ ১১. জনকল্যাণমুখী, জবাবদিহিতামূলক, দক্ষ ও স্মার্ট প্রশাসন গড়ে তোলা এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত রাখা।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শনগুলো পর্যবেক্ষণ করে নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে: আসিফ নজরুল
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, নজরদারির সময় এসেছে। প্রত্ন নিদর্শনের জায়গা বেদখলের বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। একইসঙ্গে লালবাগ কেল্লাকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটে অন্তর্ভুক্তির চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে মুন্সিগঞ্জ সদরের ইদ্রাকপুর কেল্লা, বাবা আদম মসজিদসহ বিভিন্ন প্রত্ন নিদর্শন পরিদর্শনে এসে এ কথা বলেন ড. আসিফ নজরুল।
উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘সপ্তাহের অন্যদিন ঘুরে দেখার সুযোগ হয় না। আমি চিন্তা করেছি শুক্রবার দেশের প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শনগুলো ঘুরে দেখবো। এটি সারাদেশে এত বেশি…মুন্সিগঞ্জের ইদ্রাকপুর কেল্লা রয়েছে, নারায়ণগঞ্জ একটি কেল্লা রয়েছে। এছাড়া লালবাগ কেল্লাকে আমরা ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য চেষ্টা করছি। ভাবছি এখানে সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা কী কী আছে, তা নিজের চোখে না দেখলে সংরক্ষণের নীতিমালা ঠিক করা যাবে না। এ বিষয়ে আমাদের নজরদারির সময় এসেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন অঞ্চলে উদ্ধারকৃত নিদর্শন সেখানে রাখা সম্ভব হয় না। অনেকগুলোর জাতীয় পর্যায়ে গুরুত্ব রয়েছে। যেসব জায়গা বেদখল হয়েছে সেগুলোর বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
এসময় প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় আঞ্চলিক পরিচালক আফরোজা খান মিতাসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সকালে মুন্সিগঞ্জ সদরের ইদ্রাকপুর কেল্লা, বাবা আদম মসজিদ, টঙ্গিবাড়ীর নাটেশ্বর বৌদ্ধবিহার, সোনারং জোড় মঠসহ বিভিন্ন ঐতিহাসিক প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শন সরেজমিন ঘুরে দেখেন ড. আসিফ নজরুল।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
শাহজালাল বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তন নিয়ে যা জানা গেল
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তনের ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি বলে জানিয়েছে বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবু নাসের খান।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ‘বিশ্ব পর্যটন দিবস-২০২৪’ উপলক্ষে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন মিডিয়ার কর্মীদেরকে তিনি এ তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে আবু নাসের বলেন, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তনের ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। এটি পরিবর্তন করা হবে কিনা, সেটি পরে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
থার্ড টার্মিনালের কাজ ৯৮ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, থার্ড টার্মিনালটি উদ্বোধনে আরও ৬ মাস লাগবে।
এর আগে গত ১ সেপ্টেম্বর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তন করে জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নামকরণের দাবি জানায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
তারা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তন করেছিল কোনো কারণ ছাড়াই। তাই অবিলম্বে বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তন করে আগের নাম ফিরিয়ে দিতে হবে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রধান কৌঁসুলির সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠক
নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রধান কৌঁসুলি করিম খানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠকে বাংলাদেশে গত জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যা নিয়ে আলোচনা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বার্ষিক অধিবেশনের ফাঁকে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।
ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, বৈঠকে রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে মামলা নিয়ে আলোচনা হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশে গত জুলাই-আগস্ট মাসে গণ-অভ্যুত্থান চলাকালে যে গণহত্যার ঘটনা ঘটেছে, সেসব ঘটনায় অপরাধীদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা করার উপায় ও পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় প্রধান উপদেষ্টার প্রস্তাবিত তিন দফার প্রশংসা করেছেন আইসিসি প্রধান কৌঁসুলি করিম খান।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
জাতিসংঘ বাংলাদেশের সংস্কারে সহায়তা করতে প্রস্তুত: মহাসচিব
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় দুপুর ২টায় জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করায় তাকে অভিনন্দন জানিয়ে তার সরকারের প্রতি সমর্থন জানান জাতিসংঘ মহাসচিব।
এ ছাড়া ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও অ্যান্তোনিও গুতেরেসের মধ্যকার আলোচনায় রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের প্রতি পূর্ণ সমর্থনের গুরুত্ব ও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের প্রতিশ্রুতির বিষয়টি উঠে আসে।
এ ছাড়া কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ বেশ কয়েকজন সরকারপ্রধান ও বিভিন্ন সংস্থার প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা।
প্রসঙ্গত, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে যোগ দিতে বর্তমানে নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন প্রধান উপদেষ্টা। শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় তিনি ওই অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
জাতিসংঘে আজ বাংলায় ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে আজ বাংলায় ভাষণ দেবেন। নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় জাতিসংঘ সদর দপ্তরের জেনারেল অ্যাসেম্বলি হলে তিনি এ ভাষণ দেবেন।
ভাষণে কী প্রেক্ষাপটে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন ও রাষ্ট্র সংস্কারে কী কী উদ্যোগ নিয়েছেন তা তুলে ধরবেন। এ ছাড়া ফিলিস্তিনে গণহত্যা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ অনতিবিলম্বে বন্ধ এবং রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বিশ্ববাসীর সহযোগিতা ও সহায়তা চাইবেন তিনি। পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন, সরকারের অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অন্যান্য বৈশ্বিক-আঞ্চলিক বিষয়গুলোও তার ভাষণে উঠে আসবে।
একইসঙ্গে ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পর নতুন বাংলাদেশ গঠনে বিশ্ববাসীর সহায়তা, বিদ্যমান রাষ্ট্র কাঠামো ও প্রতিষ্ঠানগুলোর আমূল রূপান্তরের এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচনের রূপরেখাও তিনি বিশ্ববাসীকে জানাবেন।
এ ছাড়া বাংলাদেশের মানুষ যেভাবে একনায়কতন্ত্র, নিপীড়ন, বৈষম্য, অবিচার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে রাজপথ এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দৃঢ়ভাবে রুখে দাঁড়িয়েছিল, সেটিরও বর্ণনা দেবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ভাষণে বিগত দুই মাসে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া অভাবনীয় গণ-অভ্যুত্থানের বিবরণ ও আগামী দিনে জনভিত্তিক, কল্যাণমুখী ও জনস্বার্থে নিবেদিত একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তোলার দৃঢ় প্রত্যয়ও প্রধান উপদেষ্টা বিশ্বদরবারে তুলে ধরবেন।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনের এবার বিতর্কের মূল প্রতিপাদ্য ঠিক হয়েছে, ‘কাউকে পিছিয়ে রাখা নয়: বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য শান্তি, টেকসই উন্নয়ন এবং মানব মর্যাদার অগ্রগতিতে একসঙ্গে কাজ করা’।
এমআই