জাতীয়
মে মাসে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০.৭৬ শতাংশ
দেশে চলতি বছরের মে মাসে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশে পৌঁছেছে। যা গত এপ্রিলে ছিল ১০ দশমিক ২২ শতাংশ। মে মাসে গড় মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশে। সোমবার (৩ জুন) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মাসিক হালনাগাদ ভোক্তা মূল্যসূচকে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
খাদ্যে মূল্যস্ফীতি বাড়লেও খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতি এখনো ১০ শতাংশের নিচে অবস্থান করছে। গত মে মাসে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৯ দশমিক ১৯ শতাংশ হয়েছে। এপ্রিলে যা ছিল ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের মধ্যে রাখার লক্ষ্যমাত্রা ছিল সরকারের। তবে অর্থবছরের গত ১১ মাসের কোনো মাসেই এ হারে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়নি।
দুই বছর ধরে বাংলাদেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। এ সময় মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ শতাংশের বেশি। মূল্যস্ফীতির রাশ টানতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিলেও লাভ হয়নি, বরং মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতি এখন অর্থনীতির অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, মূল্যস্ফীতি এক ধরনের কর; ধনী-গরিব-নির্বিশেষে সবার ওপর চাপ সৃষ্টি করে মূল্যস্ফীতি। আয় বৃদ্ধির তুলনায় মূল্যস্ফীতির হার বেশি হলে গরিব ও মধ্যবিত্তরা সংসার চালাতে ভোগান্তিতে পড়ে। গত দুই বছর ধরে চলা এই উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে। প্রভাব পড়ছে মানুষের যাপিত জীবনে। প্রকৃত মূল্যস্ফীতি বিবিএসের তথ্যের চেয়ে বেশি বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে লুণ্ঠিত অস্ত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ
কোনো ব্যক্তির কাছে পুলিশের লুণ্ঠিত কোনো ধরনের অস্ত্র ও গোলাবারুদ রক্ষিত থাকলে আগামী ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিকটস্থ থানায় জমা দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গত মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর, পিপিএম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন থানা, ইউনিট, ডিউটিস্থল হতে অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের লুট হওয়া কিছু অস্ত্র ও গোলাবারুদ ইতোমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে। লুণ্ঠিত অবশিষ্ট অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বংশাল থেকে হাজী সেলিম আটক
রাজধানীর বংশাল থেকে ঢাকা-৭ সংসদীয় আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমকে আটক করা হয়েছে। রোববার রাত ১২টার পর রাজধানীর বংশাল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (উত্তর) মো. রবিউল হোসেন ভুঁইয়া গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, হাজি সেলিমের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তাকে পুলিশ খুঁজছিল। মধ্যরাতে তাকে বংশাল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ডিবি সূত্রে জানা গেছে, হাজি সেলিমকে গ্রেফতারের পর ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি সেখানেই রাতে থাকবেন। সোমবার তাকে আদালতে তুলে রিমান্ড চাইবে পুলিশ।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে হাজী সেলিমের প্রভাব কেবল বেড়েছেই। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি বেশ কয়েকটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানেরও মালিক।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
মাসুদ বিন মোমেনের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল
পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আজ রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাকে বিদায়ও দেয়া হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মাসুদ বিন মোমেনের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিলের প্রজ্ঞাপন এখনো জারি হয়নি। তবে আজ রাতের মধ্যেই সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে পারে। নীতিনির্ধারকদের তরফে এমন সবুজ সংকেত পেয়েই সচিবকে বিদায় দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর তিনি বাংলাদেশের ২৬তম পররাষ্ট্রসচিব হিসেবে দায়িত্ব নেন। চাকরির বয়সসীমা অনুযায়ী তার ২০২২ সালের ডিসেম্বরে অবসরোত্তর ছুটিতে যাওয়ার কথা ছিল। তবে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার ২০২২ সালের নভেম্বরে চুক্তিতে আরও দুই বছর তাকে একই পদে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। পরে তাকে দুই বছরের জন্য জ্যেষ্ঠ সচিব হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দেওয়ার নির্দেশ
সব সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সকল সরকারি কর্মচারীকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
তবে কতদিনের মধ্যে কীভাবে হিসাব জমা দিতে হবে তা উল্লেখ করা হয়নি।
এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান একটি গণমাধ্যমকে বলেন, সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সব সরকারি কর্মচারীর সম্পদের হিসাব জমা দিতে হবে। কী পদ্ধতিতে কীভাবে জমা দেবে সে বিষয়ে আমরা ফরম্যাট রেডি করে দেব।
জানা গেছে, পাঁচ বছর পর পর সরকারি কর্মচারীর সম্পদের হিসাব জমা দেওয়ার বিধান চালু হয় ১৯৭৯ সালে। দেশে বর্তমানে প্রায় ১৫ লাখ সরকারি কর্মচারী রয়েছেন। পাঁচ বছর পরপর এসব সরকারি কর্মচারীর নিজ সম্পদ বিবরণী নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়ার কথা। কিন্তু চাকরির সেই আচরণবিধি তেমন কেউই মানছেন না। কর্মচারীদের নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর, সংস্থারও হিসাব নেওয়ার ব্যাপারে গুরুত্ব দেখা যায় না।
তবে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার এক মাসের মধ্যেই বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু হলো।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বন্যা তহবিলে আর টাকা না পাঠানোর অনুরোধ শায়খ আহমাদুল্লাহর
দেশের ইতিহাসে স্মরণকালের অন্যতম ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে বড় ভূমিকা রেখে যাচ্ছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন। বন্যার্তদের জন্য তিন ধাপে ত্রাণ বিতরণ ও বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসনের জন্য এ বছর সর্বমোট ১০০ কোটি টাকার সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ফাউন্ডেশনটির চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ।
তবে বন্যকবলিতদের জন্য আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের টাকা সংগ্রহ শেষ হচ্ছে আগামী মঙ্গলবার। এর পর থেকে এই তহবিলে আর টাকা না পাঠাতে অনুরোধ করা হয়েছে।
রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শায়খ আহমাদুল্লাহ এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন বন্যা তহবিলে অনুদান পাঠানোর শেষ সময় আগামী মঙ্গলবার রাত ১২টা। এরপর বন্যা তহবিলে টাকা না পাঠানোর জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করা হচ্ছে।
নির্দিষ্ট সময়ের পর কেউ টাকা পাঠালে সেটা পরবর্তী বন্যা-দুর্যোগে ব্যয় করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ইসলামিক এই স্কলার জানিয়েছিলেন, বন্যার্তদের জন্য আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনে অনুদান ১০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।