Connect with us

ধর্ম ও জীবন

রোজা কী কারণে ভাঙ্গে? রোজা নিয়ে প্রচলিত ভুল ধারণা

Published

on

রোজা

মুসলমানদের কাছে পবিত্র রমজান মাসে যারা রোজা রাখেন, তারা সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত কিছুই মুখে দেন না। এ বছরের মার্চ মাসের মাঝামাঝি থেকে রোজা শুরু হচ্ছে। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হওয়ায় বাংলাদেশের বিভিন্ন বয়সের বেশিরভাগ মানুষও এসময় রোজা রাখেন। বাংলাদেশ সহ বিশ্বের সকল ধর্মপ্রাণ মুসলিম বিশ্বাস করেন, এ মাসে স্বেচ্ছা নিয়ন্ত্রণ ও বেশি সময় ধরে প্রার্থনার ভেতর দিয়ে তারা নতুন করে আত্মশুদ্ধি অর্জন করতে পারবেন। তাই, ধর্মে রোজা সংক্রান্ত যেসব নিয়মের কথা বলা আছে, রমজানে তারা সেগুলো মেনে চলেন।

কিন্তু এমন অনেক বিষয় আছে, যেগুলো সম্বন্ধে ধর্মে সরাসরি কিছু বলা না থাকলেও অনেকে সেসবও মানেন। রোজা নিয়ে ধর্মে কী কী বলা আছে, কী কী বলা নেই, ধর্ম নিয়ে কী কী ভুল ধারণা প্রচলিত আছে, এরকম অনেক প্রশ্নের উত্তর মানুষ গুগলের কাছে জানতে চেয়েছে। গুগলের কাছে জানতে চাওয়া সেরকমই কিছু প্রশ্নের উত্তর এই প্রতিবেদনে দেওয়া হবে।

কী কী কারণে রোজা ভেঙ্গে যায়

সাধারণ মুসলমানরা অনেক কিছুকেই রোজা ভাঙ্গার কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেন। কিন্তু ইসলামী চিন্তাবিদদের মতে, রোজা ভাঙ্গার মূল কারণ আসলে পাঁচটি। সেগুলো হলো—
১. ইচ্ছাকৃতভাবে খাবার খেলে
২. ইচ্ছাকৃতভাবে পান করলে
৩. শরীর থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়লে
৪. মুখ ভর্তি বমি হলে
৫. রোজা রাখা অবস্থায় সঙ্গীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করলে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. শামছুল আলম বিবিসি বাংলাকে বলেন, “রক্তপাত বা বমি হলে রোজাদার ব্যক্তি অসুস্থ বোধ করতে পারেন। সেজন্যই ধর্মে এসব ক্ষেত্রে রোজা ভেঙ্গে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।”

রোজা সম্বন্ধে প্রচলিত ভুল ধারণাসমূহ

এই পাঁচ কারণের বাইরে আরও কিছু বিষয়কে রোজা ভাঙ্গার কারণ হিসেবে দায়ী করা হয়। কিন্তু সেগুলো আদতে রোজা ভাঙ্গার মতো কোনও কারণই নয়। বরং, সমাজে প্রচিলত থাকার কারণে রোজাদাররা সেগুলো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেন। এতে করে তিনি নিজে যেমন কষ্টে থাকেন, সেইসাথে তার চারপাশের মানুষকেও বিড়ম্বনায় ফেলেন।

অধ্যাপক শামছুল আলম এই প্রচলিত ভুল ধারণাগুলো সমন্ধে বলেন, “মানুষ এগুলো জানাশোনা বা পড়াশোনার অভাবে বলে। তারা আধুনিক শিক্ষা পায়নি।” তাই, রোজা সম্বন্ধে প্রচলিত তেমনই কিছু ভুল ধারণা সম্বন্ধে জেনে নেওয়া প্রয়োজন।

মুখের লালা গিলে ফেললে রোজা ভেঙ্গে যায়

মুখের লালা যদি পেটে চলে যায়, তাহলে রোজা ভেঙ্গে যাবে; এটি একটি বহুল চর্চিত কথা। এই প্রচলিত ধারণার কারণে রমজানে মানুষ যেখানে সেখানে থু থু ফেলে। এতে করে রোজাদার ব্যক্তিটি একদিকে যেমন পরিবেশের ক্ষতি করছেন, অন্যদিকে তিনি পাশের মানুষকেও অস্বস্তিতে ফেলছেন। অধ্যাপক শামছুল আলম এ বিষয়ে বলেন, “মুখের লালা গিলে ফেললে কিচ্ছু হয় না রোজার। এ বিষয়ে ধর্মে কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই অর্থাৎ, ইন্টার্নাল কিছু পেটে ঢুকলে রোজা ভেঙ্গে যাবে না।”

তবে অন্য কারও মুখের লালা যদি নিজের মুখে যায়, তাহলে রোজা থাকবে না। অর্থাৎ, রোজা পালন করা অবস্থায় সঙ্গীকে চুমু খাওয়া যাবে না।

দাঁত ব্রাশ করা যাবে না

অনেকে বলেন , রোজা রাখা অবস্থায় দাঁতও ব্রাশ করা যাবে না। কিন্তু দীর্ঘ সময় দাঁত ব্রাশ না করার কারণে মুখে দুর্গন্ধ তৈরি হয় এবং তাতে কথা বলার সময় চারপাশে গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু এই গন্ধ বিষয়ে অনেক রোজাদারকে বলতে শোনা যায়, রোজাদার ব্যক্তির মুখের গন্ধও ভালো বা রোজাদার ব্যক্তির মুখের গন্ধে বিরক্ত হওয়া যাবে না। কিন্তু এ বিষয়ে মি. আলম শুরুতেই এক বাক্যে বলেন, “দাঁত ব্রাশ করলে রোজার কিচ্ছু হবে না।”

“তবে পেস্ট আছে তো, ভুলে গলায় চলেও যেতে পারে। পেস্ট গলায় গেলে রোজা মাকরূহ হবে। সেজন্য এটা সাহরী খাওয়ার আগে করাই ভালো,” যোগ করেন তিনি।

সুতরাং, কেউ যদি সাবধানতা বজায় রেখে অল্প পরিমাণ পেস্ট নিয়ে দাঁত ব্রাশ করেন, তাতে সমস্যা নেই।

নখ এবং চুল কাটা যাবে না

এরকমই প্রচলিত আরেকটা ধারণা হলো, রোজা রাখা অবস্থায় কিছুতেই নখ ও চুল কাটা যাবে না। তবে ‘নখ, চুল কাটা যাবে না; এটা একদম ভুল কথা’ বলে জানান মি. আলম। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, “এগুলোতে তো রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে না। আর এগুলো সাধারণত দিনের বেলাতেই মানুষ করে এবং একইসাথে রোজাও মানুষ দিনের বেলাতেই রাখে।”

দাড়ি কামানো যাবে না

রোজা রাখলে পুরুষরা দিনে দাড়ি কামাতে পারবেন না, এমন একটি মিথও প্রচলিত আছে। কিন্তু বাস্তবে তারা যে কোনও সময়েই দাড়ি কামাতে পারবেন। এ নিয়ে কোনও বাধা-নিষেধ নেই। তবে দাড়ি কামানোর সময় শুধুমাত্র একটি বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে যে ‘গাল কেটে গিয়ে রক্ত না গড়ায়’।

এ প্রসঙ্গে ঢাবি’র এই অধ্যাপক বলেন, “রোজা রেখে শেভ করা যাবে না, এটাও একদমই ভুল কথা। ইসলাম অবৈজ্ঞানিক কোনও বিষয় না। এটা সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যসম্মত বিধান।”

রমজানে যৌন সম্পর্ক করা যাবে না

কেউ কেউ মনে করেন, পুরো রমজান মাসে সঙ্গীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা যাবে না। কিন্তু যৌন সম্পর্ক স্থাপনের বিধিনিষেধ শুধুমাত্র রোজা থাকা অবস্থায়। আর মানুষ রোজা রাখে দিনের বেলায়। তাই, রোজা না থাকলে রমজানে সঙ্গীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনে কোনও বাধা নেই।

“রোজা রাখা অবস্থায় কোনও যৌন সম্পর্ক করলে রোজা ভেঙ্গে যাবে,” জানান মি. আলম।

সুগন্ধি ব্যবহার করা যাবে না

অনেকের মতে, রোজা রেখে সুগন্ধি ব্যবহার করা যাবে না। কিন্তু, মানুষের মনে গেঁথে থাকা এই ধারণাকেও ভিত্তিহীন বলে জানান অধ্যাপক শামছুল আলম। তিনি বলেন, “সুগন্ধি বলতে আতর ব্যবহার করা যাবে, এটা তো নবীর সুন্নত। যুগে যুগে নবী রাসূলরা আতর ব্যবহার করে গেছেন। এটা ব্যবহারে কোনও নিষেধ নেই।”

তবে পারফিউমও ব্যবহার করা যাবে কি না, এমন এক প্রশ্নের মুখে তিনি বলেন যে পারফিউম ব্যবহারের বিষয়ে এক ধরনের ‘সতর্কতা’ আছে।

“কারণ পারফিউম তৈরিতে নাকি চর্বি ব্যবহৃত হয়। এটা তো আমরা জানি না। তাই এটা ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকলেই বেশি ভালো হয়, শুধু আতর ব্যবহার করা ভালো।”

তবে তিনি এও বলেন, “কিন্তু আপনি পারফিউম ব্যবহার করতে পারেন, কারণ এটি তৈরির সময় তো আপনি দেখেননি। তবে বেশি তাকওয়া (ধার্মিকতা বা ধর্মপরায়ণতা) দেখাতে চাইলে দিনের বেলা ব্যবহার না করাই ভালো। একদম-ই ব্যবহার না আরও ভালো।”

পারফিউম বা আতর ব্যবহার করা রোজা ভাঙ্গার কারণ না উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, “তাছাড়া, পৃথিবীতে কিন্তু এখন সবকিছু হালালও উৎপাদন হয়। তাই, কেনার সময় খেয়াল করা উচিৎ যে কোন দেশ হালাল উৎপাদন করে। এসব বিষয়ে একটু সচেতন হয়ে চলা উচিৎ।”

‘ভুল করে’ পানাহার করে ফেললে রোজা ভাঙ্গে

অনেকসময় এমন হয় যে একজন ব্যক্তি সারাদিন ধরে রোজা আছেন। কিন্তু হঠাৎ হয়তো মনের ভুলে সে খাবার খেয়ে ফেললো বা পানি পান করে নিলো। কিন্তু সম্বিৎ ফিরে পাওয়ার পর ঐ রোজাদার ব্যক্তি ভাবেন যে তার রোজা সম্পূর্ণভাবে ভেঙ্গে গেছে। এটা ভেবে হয়তো তখন সে পরিপূর্ণ আহারই করে ফেলেন। এ প্রসঙ্গে মি. আলম বলেন, “মনের ভুলে ভরপেট খাবার খেলেও রোজা ভেঙ্গে যাওয়ার কথা ইসলামে বলা হয়নি। এতে রোজা মাকরূহ হতে পারে। রোজা ভেঙ্গে যাবে, যদি ব্যক্তি ইচ্ছা করে পানাহার করে।”

এখানে মাকরূহ অর্থকে তিনি ব্যাখ্যা করেন এভাবে, “মাকরূহ মানে অপছন্দনীয়। মাকরূহ মানে— রোজা হয়ে যাবে, কিন্তু রোজার সৌন্দর্যবোধটা শতভাগ হলো না।” তিনি বলেন, “মুখে খাবার নেওয়ার পর যখনই মনে আসবে, তখন ফেলে দিতে হবে। আর গেলা যাবে না।”

রোজা রেখে ঔষধ খাওয়া যাবে না

অনেক মিথের ভীড়ে আরেকটি মিথ হলো, রোজা রেখে কিছুতেই ঔষধ সেবন করা যাবে না। যদিও এর আগে মুসলিম কাউন্সিল অব ব্রিটেন (এমসিবি) আন্তর্জাতিক গ্লুকোমা সমিতির সাথে যৌথ একটি বিবৃতি দিয়ে বলেছে- রোজা রেখেও কিছু ওষুধ ব্যবহার করা যাবে। যেমন, চোখের ড্রপ।

ঢাবি অধ্যাপক মি. আলমও বলেন, “যে ঔষধ পেটে যায়, মানে ক্ষুধা কমায়, সেগুলা নিষেধ। কিন্তু নাকে বা চোখে কোনও ড্রপ দিলে, সেটাতে কোনও সমস্যা নাই।” যেসব ওষুধ গিলে খেতে হবে, সেগুলো ইফতারের পরে বা সেহরির আগে খাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

তবে পেনিসিলিন, ইনজেকশন, ইনসুলিন অথবা টিকা দেওয়া যাবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “ইনসুলিন ইফতারর আগ মুহূর্তে নিতে হবে। তবে ইমার্জেন্সি হলে সব বৈধ।”

“মৃত্যুর আশঙ্কা থাকলে, স্বাস্থ্যের অবনতির আশঙ্কা থাকলে ইসলামে সব বৈধ” যোগ করেন তিনি।

রোজা রেখে ধূমপান করা যাবে

অবাক লাগলেও এটি সত্য যে অনেকে মনে করেন যে সিগারেট তো কোনও খাবার বা মাদক না, তাই রোজা রাখা অবস্থায় ধূমপান করা হলে রোজা ভেঙ্গে যাওয়ার কোনও বিষয় নেই। এ বিষয়ে অধ্যাপক আলমের বক্তব্য, “ধূমপান শুধু রোজা থাকা অবস্থায় না, রোজা ছাড়াও হারাম। মাদকদ্রব্য অন্যের ক্ষতি করে না, এটি শুধু সেবনকারীর ক্ষতি করে। তারপরও মাদকদ্রব্য হারাম।”

“সেখানে ধূমপান নিজের ক্ষতি তো করেই, অন্যেরও ক্ষতি করে। এটি বাতাসে ছড়িয়ে যাচ্ছে। এটা রোজায় না কেবল, রোজা ছাড়াও খাওয়া ঠিক না। আর যে ধূমপান করছে, সে তো এটা খেয়ে তৃপ্তি পাচ্ছে। অনেকে ভাতের পরিবর্তে সিগারেট খায়। তাই, এটি খেলে রোজা ভেঙ্গে যাবে।”

রান্নার সময় খাবারের স্বাদ গ্রহণ করা যাবে না

যিনি রান্না করেন, তাকে অনেকসময় রান্নার স্বাদ বোঝার জন্য কিছুটা খাবার খেয়ে দেখতে হয়। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ঘরের রান্নাঘর সামলানোর কাছে নারীদের অংশগ্রহণই বেশি থাকে। তাই প্রায় প্রত্যেকের ঘরের মা বা বোন রান্নার সময় লবণ, ঝাল ইত্যাদি পরখ করে দেখেন। কিন্তু এরকম কথাও অনেকে বলেন যে রোজা রেখে খাবারের স্বাদ গ্রহণ করলে রোজা মাকরূহ হয়ে যায়।

এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক আলম বলেন, “খাবারের স্বাদ নেয়া যাবে। লবণ, ঝাল বা স্বাদ বোঝার জন্য জিহ্বায় লাগানো যায়, এরপর ফেলে দিতে হবে। রান্নাবান্না থেকে তো আর দূরে থাকা যাবে না।”

তবে তিনি এও বলেন যে, ঘরে যদি কম বয়সী বা রোজা রাখেনি, এমন কেউ থাকে; তাদেরকে দিয়ে খাবারের স্বাদ টেস্ট করালে সবচেয়ে ভালো হয়।

কারা রোজা রাখবে?

ইসলামে শুধু প্রাপ্তবয়স্ক (সাধারণত ১৫ বছর) এবং সুস্থ ব্যক্তির রোজা ফরজ বা আবশ্যিক করা হয়েছে। শিশু, অসুস্থ (শারীরিক এবং মানসিক), দুর্বল, ভ্রমণকারী, অন্তঃসত্ত্বা বা শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন এমন নারীর জন্য রোজা আবশ্যিক নয়। তবে বাংলাদেশে অনেক পরিবারেই শিশুদেরকেও রোজা রাখার জন্য বলা হয় বা উৎসাহিত করা হয়।

এ বিষয়ে অধ্যাপক আলম বলেন, “অনেক শিশুরা রোজা রাখে। কারণ ইফতারের সময় ওদের জন্য উৎসবের আমেজ। তবে শিশুদের জন্য রোজার কোনও বিধান নাই। নামাজের বিষয়ে বলা হয়েছে যে বাচ্চাদের সাত বছর হলে তাকে নামাজের কথা বলতে হবে। কিন্তু রোজার ব্যাপারে বলা হয়েছে, সাবালকত্ব এলে রোজা রাখা শুরু করে দিতে হবে।”

অর্থসংবাদ/এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ধর্ম ও জীবন

জুমার আগে যে চার আমল করবেন

Published

on

রোজা

জুমার দিন বা শুক্রবার সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন। এই দিনের মর্যাদা ও তাৎপর্য অনেক বেশি। ‘জুমা’ শব্দটি ‘জমা’ শব্দ থেকে এসেছে। এর অর্থ একত্র হওয়া বা একত্র করা।

কোরআন মজিদে সুরা জুমা নামে একটি সুরা রয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘হে বিশ্বাসীগণ! জুমার দিনে যখন নামাজের জন্য আজান দেওয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহকে মনে রেখে তাড়াতাড়ি করবে ও বেচাকেনা বন্ধ রাখবে। এই তোমাদের জন্য ভালো, যদি তোমরা বোঝো। নামাজ শেষ হলে তোমরা বাইরে ছড়িয়ে পড়বে ও আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধান করবে এবং আল্লাহকে বেশি করে ডাকবে, যাতে তোমরা সফলকাম হও।’ (সুরা জুমা, আয়াত: ৯-১০)।

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আরেক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘সূর্য উদিত হওয়ার দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন সর্বোত্তম। এই দিনে আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়াছে। এই দিনে তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছে এবং এই দিনে তাকে জান্নাত থেকে বের করা হয়েছে। ’ (মুসলিম, হাদিস : ৮৫৪)

জুমার আগে যে চার আমল করবেন

শুক্রবারে বিশেষ কিছু আমল ও সুন্নত রয়েছে। বিভিন্ন হাদিসে সেগুলো বর্ণিত হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ধারাবাহিক কয়েকটি হলো- গোসল করা, উত্তম পোশাক গায়ে দেওয়া, সুগন্ধি ব্যবহার করা ও মনোযোগের সঙ্গে খুতবা শোনা।

আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করে উত্তম পোশাক পরিধান করবে এবং সুগন্ধি ব্যবহার করবে, যদি তার নিকট থাকে। তারপর জুমার নামাজে আসে এবং অন্য মুসল্লিদের গায়ের ওপর দিয়ে টপকে সামনের দিকে না যায়। নির্ধারিত নামাজ আদায় করে। তারপর ইমাম খুতবার জন্য বের হওয়ার পর থেকে সালাম পর্যন্ত চুপ করে থাকে। তাহলে তার এই আমল পূর্ববর্তী জুমার দিন থেকে পরের জুমা পর্যন্ত সমস্ত সগিরা গুনাহর জন্য কাফ্ফারা হবে। (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৪৩)

এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

ধর্ম ও জীবন

কোরবানির জন্য কেমন পশু কিনবেন?

Published

on

রোজা

কোরবানির সম্পর্কে হযরত মিখজাফ ইবনে সালিম রা. বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সা.-কে আরাফার ময়দানে দাঁড়িয়ে সমবেত লোকদেরকে সম্বোধন করে একথা বলতে শুনেছি, ‘হে লোক সকল! তোমরা জেনে রাখ, প্রত্যেক সামর্থ্যবান ব্যক্তির ওপর প্রত্যেক বছরই কোরবানি করা কর্তব্য। আর যার সামর্থ্য নেই তাদের ওপর কোরবানি কর্তব্য নয়। কারণ আল্লাহ কারও ওপর এমন কোনো কাজের দায়িত্ব চাপিয়ে দেন না, যা তার সাধ্যের বাইরে।’ (তিরমিজি)

কোরবানি করার জন্য শরিয়তে কয়েক ধরনের পশু নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে। গরু, মহিষ, উট, ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা দিয়ে কোরবানির করা জায়েজ। অন্য কোন পশু দিয়ে কোরবানি করার বিধান নেই।

আর বয়সের ক্ষেত্রে ছাগল, ভেড়া, দুম্বা অন্তত এক বছর । গরু, মহিষ অন্তত দুই বছর ও উট অন্তত ৫ বছর হতে হবে। তবে ভেড়া ও দুম্বা যদি এমন হৃষ্টপুষ্ট হয় যে ছয় মাসেরটি দেখতে এক বছরের মতো লাগে, তাহলে সেটি দিয়ে কোরবানি হবে।

কোরবানির পশু কেনার আগে যেসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে-

এমন দুর্বল পশু কেনা যাবে না যার হাড়ের মজ্জা শুকিয়ে গেছে বা কোরবানির স্থান পর্যন্ত হেঁটে যেতে পারবে না। এরকম পশু দিয়ে কোরবানি জায়েজ হবে না। আর মোটা-তাজা পশু দিয়ে কোরবানি করা মুস্তাহাব।

কোন পশুর একটি পা যদি এমন ভাবে নষ্ট হয়ে যায় যে, চলার সময় সেটি দিয়ে কোন সাহায্য নিতে পারে না তবে ওই পশু দিয়ে কোরবানি হবে না।

এছাড়া আরো যেসব পশু দিয়ে কোরবানি হবে না-

>শিং গোড়া থেকে ভেঙে গেলে সেই ক্ষত যদি মগজ পর্যন্ত পৌছায়।

>দাঁত মোটেও না উঠলে বা যদি অর্ধেক দাড় পড়ে যায়।

>দৃষ্টি শক্তি তিন ভাগের এক ভাগ কমে বা নষ্ট হয়ে গেলে।

>লেজের অন্তত তিন ভাগের এক ভাগ কাটা গেলে।

>কান একেবারে না উঠলে(অবশ্য খুব ছোট কান থাকলেও হবে)।

>তবে শিং মোটেও না উঠলে সেই পশু দিয়ে কোরবানি হবে।

গাভীন বলে জানা গেলে সেটা দিয়ে কোরবানি হবে। তবে পেটে বাচ্চা জীবিত পাওয়া গেলে সেটিকেও আল্লাহর নামে জবেহ করতে হবে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

ধর্ম ও জীবন

অসুস্থ প্রাণী জবাই করে খাওয়া যাবে?

Published

on

রোজা

ইসলামি বিধানতে হালাল প্রাণীর গোশত খাওয়া বৈধ। কোন কোন প্রাণী বা কী ধরনের প্রাণী খাওয়া জায়েজ ইসলাম এ বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা আছে। হালাল-হারাম সম্পর্কিত কোরআন ও হাদিসের আলোকে প্রণীত মূলনীতি অনুসারে যেসব পশু পাখির গোশত খাওয়া হালাল তা হলো- উট, ছাগল, ভেড়া, মহিষ, হরিণ, খরগোশ, গরু (বন্য গরুসহ), বন্য গাধা, হাঁস, মুরগী, তিতির, হুদহুদ, রাজহাঁস, বক, সারস, উটপাখি, ময়ুর, চড়ই, কোয়েল, ঘুঘু, কবুতর, পানকৌড়ী এবং মাছ (চিংড়িসহ), ইত্যাদি।

এর বাইরে যেসব পশু-পাখির মাংস খাওয়া হারাম তা হলো- শুকর, হায়না, নেকড়ে কুকুর, বিড়াল, বানর, চিতা, সিংহ, বাঘ, জারবয়া, ভাল্লুক, সাপ, কাঠ বিড়ালী, কচ্ছপ, বেজী, শিয়াল, গৃহপালিত গাধা, হাতি। (রাদ্দুল মুহ্তার, খণ্ড ৬, পৃষ্ঠা ৩০৬)।

যে সকল পশু-পাখির গোশত খাওয়া বৈধ, ওগুলোও যেন-তেনভাবে মেরে খাওয়া যাবে না। বরং এমনভাবে জবাই করে খেতে হবে, যেন নাপাক রক্ত পশুর শরীর থেকে বের হয়ে যায় এবং জন্তুরও কষ্ট কম হয়। তাই ইসলামের বিধান হচ্ছে, জবাই করার সময় মূল চারটা রগের কমপক্ষে তিনটা কাটতে হবে। এতে নাপাক রক্ত বেশি বের হবে এবং সহজে পশুর জান বের হয়ে যাবে।

সুস্থ সবল প্রাণী সহজেই জবাই করে খাওয়া যায়, তবে অনেক সময় দেখা যায় কিছু কিছু প্রাণী অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন তা জবাই করে খাওয়া।

অসুস্থ প্রাণী জবাই করে খাওয়া নিয়ে আমাদের সমাজে একটা কথা প্রসিদ্ধ আছে যে, যখন কোনো পশু খুব অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন এমন পশু জবাই করা ও খাওয়া ঠিক নয়। বিশেষত যখন এমন মনে হয় যে, পশুটি হয়তো বেশিদিন বাঁচবে না।

শরীয়তে এমন পশু খাওয়ার ব্যাপারে কোনো নিষেধাজ্ঞা আছে কি না? এবিষয়ে ফেকাহবিদ আলেমদের মতামত হলো—

প্রাণীর অসুস্থতা দুই ধরনের হতে পারে।

এক. এমন অসুস্থতা, যার কারণে পশুর গোশত খেলে মানব শরীরে এর বিরূপ প্রভাব পড়া এবং ক্ষতি হওয়ার সমূহ আশঙ্কা সৃষ্টি হয়। এক্ষেত্রে এমন প্রাণীর গোশত খাওয়া থেকে বিরত থাকা বাঞ্ছনীয়। এবং কোনো বিক্রেতা রোগের বিষয়টির সুস্পষ্ট ও প্রকাশ্য ঘোষণা ছাড়া এধরনের প্রাণী বা এর গোশত বিক্রি করতে পারবে না। এটি শরীয়তে নিষিদ্ধ ‘আলগারার’ ও ‘আলখিদা’-এর শামিল হবে।

দুই. কোনো প্রাণীর এমন সাধারণ অসুস্থতা, যা তার গোশতে তেমন প্রভাব ফেলে না এবং তা মানব শরীরের জন্য তেমন কোনো ক্ষতির আশঙ্কা সৃষ্টি করে বলেও প্রমাণিত নয়। সে ধরনের অসুস্থ প্রাণীর গোশত খেতে কোনো অসুবিধা নেই। এবং সে প্রাণী বা এর গোশত বিক্রি করতেও বাধা নেই।

এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

ধর্ম ও জীবন

একসঙ্গে অনেককে সালাম দিলে উত্তর দেবেন কে?

Published

on

রোজা

সালাম দেওয়া সুন্নত। আর উত্তর দেওয়া ওয়াজিব। মুসলমানরা একে অপরের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় সালাম দিয়ে থাকেন। কারণ সালাম ইসলামের অভিবাদন, শান্তির প্রতীক এবং গুরুত্বপূর্ণ সংস্কৃতির অংশ। সালামের মাধ্যমে নিরাপত্তা ও শান্তির বার্তা ছড়ানো হয়। সালাম দেওয়া-নেওয়া জান্নাতি মানুষের অভ্যাস।

সালামের প্রচলনকে ইসলামের শ্রেষ্ঠ কাজ বলে অভিহিত করেছেন প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, ‘হে লোক সকল! তোমরা সালাম প্রচার করো, (ক্ষুধার্তকে) খাবার দান করো, আত্মীয়তার বন্ধন অটুট রাখ এবং লোকে যখন (রাতে) ঘুমিয়ে থাকে, তখন তোমরা নামাজ পড়ো। তাহলে তোমরা নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে জান্নাতে প্রবেশ করবে।’ (তিরমিজি, হাদিস, ২৪৮৫; ইবনে মাজাহ, হাদিস, ১৩৩৪-৩২৫১; দারেমি, হাদিস, ১৪৬০)

সালাম এবং মুসাফাহার মাধ্যমে পরস্পরের মাঝে ভালোবাসা বৃদ্ধি পায়। এ সম্পর্কে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘তোমরা একে অপরের সঙ্গে মুসাফাহা করো, এতে তোমাদের অন্তরে বিদ্যমান প্রতিহিংসা ও বিদ্বেষ দূর হয়ে যাবে। একে অন্যকে হাদিয়া প্রদান করো, এতে হৃদ্যতা সৃষ্টি হবে এবং শত্রুতা ও ঘৃণা দূরীভূত হবে।’ (আবু দাউদ, হাদিস, ৫২১২)

অনেক সময় দেখা যায় কোনো সভা-মঞ্চ বা আলোচনার মজলিশে অনেক মানুষ উপস্থিত থাকেন, সেখানে উপস্থিত ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে আলোচকেরা সালাম দিয়ে থাকেন। যেহেতু সালামের উত্তর দেওয়া ওয়াজিব।

তাই স্বভাবতই মনে প্রশ্ন জাগে- সভা-মঞ্চ বা আলোচনার মজলিশে উপস্থিত অনেককে একসঙ্গে সালাম দিলে উত্তর কে দেবেন? নাকি সবার পক্ষ থেকে একজন ব্যক্তিই উত্তর দিয়ে দিলে আদায় হয়ে যাবে?

এমন পরিস্থিতি সম্পর্কে আলেমরা বলেন, কোথাও একাধিক ব্যক্তি থাকলে এবং সবাইকে উদ্দেশ্য করে সালাম দিলে সবার জন্য উত্তর দেওয়া ওয়াজিব নয়। উপস্থিত মানুষদের পক্ষ থেকে কেউ একজন সালামের উত্তর দিলে সবার পক্ষ থেকে আদায় হয়ে যাবে।

তবে যেহেতু উপস্থিত ব্যক্তিদের সবাইকে উদ্দেশ্য করে সালাম দেওয়া হয়েছে তাই সবার জন্য উত্তর দেওয়া উত্তম। সবাই উত্তর দেওয়া সম্ভব হলে এবং উত্তর দেওয়ার মতো পরিস্থিতি থাকলে সবারই উচিত সালামের উত্তর দেওয়া।

তবে এমন পরিস্থিতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ এবং লক্ষণীয় হলো- অনেক মানুষ আছে, কেউ না কেউ তো সালামের উত্তর দেবেন- এমন ভাবনা থেকে যদি কেউ সালামের উত্তর না দেয়, তাহলে সবাই গুনাহগার হবে।

আর যদি কখনো শুধু কোনো একজন ব্যক্তির নিয়ে বা কোনো এক ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট করে সালাম দেওয়া হয়, তাহলে তাকেই উত্তর দিতে হবে।

(ফতোয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত, ১২/১০৮, ফতোয়ায়ে কাজিখান, হিন্দিয়া, ৩/৩২৭, রদ্দুল মুহতার, ২/৪১৩)

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

ধর্ম ও জীবন

জুমার দিনের গুরুত্বপূর্ণ ১৫ আমল

Published

on

রোজা

সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন জুমাবার। এটি মুসলমানদের কাছে একটি কাঙ্ক্ষিত দিন। এই দিনকে সাপ্তাহিক ঈদ বলা হয়েছে হাদিসে। সৃষ্টিজগতের শুরু থেকেই দিনটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। জুমাবার শুরু হওয়া থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত অনেক আদব রয়েছে। যেসব আদব আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করা বাঞ্ছনীয়। এখানে আমরা জেনে নেব জুমার দিন জুমা পড়তে মসজিদে ঢুকার পর থেকে যেসব আদব গুরুত্বের সঙ্গে রক্ষা করা উচিত।

১. আগেভাগে মসজিদে গিয়ে ইমামের কাছাকাছি বসা। (আবু দাউদ: ১১০৮)

২. সময় থাকলে দু’রাকাত নফল (তাহিয়্যাতুল মাসজিদ বা দুখুলুল মসজিদ) পড়া। (সহিহ বুখারি: ১১৬৭)

৩. কাবলাল জুমা (৪ রাকাত সুন্নত) পড়া। (আল মুজামুল আওসাত: ১৬১৭)

৪. বয়ান শুরু হলে কাবলাল জুমা বয়ানের পরে পড়া। (মুসনাদে আহমদ: ২০৭২১, জুমার আদব)

৫. ইমামের দিকে মুখ করে বসা। (তিরমিজি: ৫০৯, ইবনে মাজাহ: ১১৩৬)

৬. চুপচাপ থাকা (নিচু কণ্ঠে জিকির-আজকার করা)। (সুনানে নাসায়ি: ১৪০১)

৭. মনোযোগসহ খুতবা শোনা ও খুতবার সময় চুপ থাকা- এটা ওয়াজিব। (বুখারি: ৯৩৪, মুসলিম: ৮৫৭, আবু দাউদ: ১১১৩, আহমদ: ১/২৩০)

৮. বসে থাকা মুসল্লিদের ঠেলে বা সরিয়ে কিংবা মুসল্লিদের ঘাড় ডিঙিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে না যাওয়া। (বুখারি: ৯১০, ৮৮৩; আবু দাউদ: ৩৪৩)

৯. এতটুকু জোরে আওয়াজ করে কোনোকিছু না পড়া, যাতে অন্যের সালাত ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা মনোযোগে বিঘ্ন ঘটে। (আবু দাউদ: ১৩৩২)

১০. কাউকে উঠিয়ে দিয়ে সেখানে বসার চেষ্টা না করা। (বুখারি: ৯১১, মুসলিমঃ ২১৭৭, ২১৭৮)

১১. কেউ কথা বললে ‘চুপ করুন’ এটুকুও না বলা। (নাসায়ি: ৭১৪, বুখারি: ৯৩৪)

১২. ইমামের খুৎবা দেওয়া অবস্থায় দুই হাঁটু উঠিয়ে না বসা। (আবু দাউদ: ১১১০, ইবনে মাজাহ: ১১৩৪)

১৩. কাতারবদ্ধ হওয়ার সময় সামনের কাতার পুরা করা। (মুসলিম: ৪৩০; রদ্দুল মুহতার : ১/৬৩৬)

১৪. ইমামের পেছনে মনোযোগসহ দুরাকাত জুমার নামাজ পড়া। (সুরা জুমা: ৯-১০)

১৫. জুমার নামাজের পর মসজিদে চার রাকাআত সুন্নাত সালাত আদায় করা। (বুখাররি: ১৮২, মুসলিম: ৮৮১, আবু দাউদ: ১১৩০)

জুমার দিন জুমার নামাজের জন্য মসজিদে প্রবেশ করার পর উল্লেখিত নেক আমলগুলোর প্রতি মুসল্লিদের যত্নবান হওয়া উচিত। কেননা জুমার দিনের প্রতিটি নেক আমলের সওয়াব ও মর্যাদা অনেক বেশি।

এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন
রোজা
পুঁজিবাজার3 mins ago

দরবৃদ্ধির শীর্ষে শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ

রোজা
পুঁজিবাজার11 mins ago

লেনদেনের শীর্ষে বিচ হ্যাচারি

রোজা
পুঁজিবাজার16 mins ago

৩৪৭ কোম্পানির দরপতনে প্রধান সূচক কমলো ৮৬ পয়েন্ট

রোজা
পুঁজিবাজার31 mins ago

তিন কোম্পানির লেনদেন বন্ধ কাল

রোজা
জাতীয়47 mins ago

মেট্রোরেলে ভ্যাট এনবিআরের ভুল সিদ্ধান্ত: কাদের

রোজা
অর্থনীতি1 hour ago

ভোমরায় দশ মাসে ৫ হাজার টন জিরা আমদানি

রোজা
খেলাধুলা1 hour ago

মুস্তাফিজকে মিস করেছে চেন্নাই

রোজা
জাতীয়1 hour ago

মেট্রোরেলের উত্তরা-টঙ্গী রুটে হবে ৫ স্টেশন

রোজা
আন্তর্জাতিক1 hour ago

বিশ্ববাজারে সোনার দাম বেড়ে সর্বকালের সর্বোচ্চ

রোজা
পুঁজিবাজার2 hours ago

আগামীকাল স্পট মার্কেটে যাচ্ছে পাঁচ কোম্পানি

রোজা
পুঁজিবাজার2 hours ago

উত্তরা ব্যাংকের এমডির শেয়ার ক্রয় সম্পন্ন

রোজা
জাতীয়2 hours ago

চাকরির পেছনে না ছুটে তরুণদের উদ্যোক্তা হতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

রোজা
পুঁজিবাজার2 hours ago

লিন্ডে বিডির পর্ষদ সভা স্থগিত

রোজা
জাতীয়2 hours ago

ঢাকায় আসছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী

রোজা
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার2 hours ago

এসএসসির ফল পুনঃনিরীক্ষার সময় শেষ হচ্ছে আজ

রোজা
টেলিকম ও প্রযুক্তি3 hours ago

আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করলো এক্স ডটকম

রোজা
জাতীয়3 hours ago

আওয়ামী লীগ দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছে: প্রধানমন্ত্রী

রোজা
পুঁজিবাজার3 hours ago

সূচকের নিম্নগতিতে দুই ঘন্টায় লেনদেন ২৩১ কোটি

রোজা
পুঁজিবাজার3 hours ago

নিটল ইন্স্যুরেন্সে কোম্পানি সচিব নিয়োগ

রোজা
জাতীয়3 hours ago

জাতীয় এসএমই পুরস্কার পেলেন সাত উদ্যোক্তা

রোজা
পুঁজিবাজার3 hours ago

আমান কটনের পর্ষদ সভার তারিখ নির্ধারণ

রোজা
পুঁজিবাজার3 hours ago

গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালসের জমির দাম পুনর্মূল্যায়ন

রোজা
পুঁজিবাজার4 hours ago

এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্সের উদ্যোক্তার শেয়ার নমিনির কাছে হস্তান্তর

রোজা
পুঁজিবাজার4 hours ago

পর্ষদ সভা করবে দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স

রোজা
রাজধানী4 hours ago

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযোনে গ্রেপ্তার ২০

Advertisement

ফেসবুকে অর্থসংবাদ

২০১৮ সাল থেকে ২০২৩

অর্থসংবাদ আর্কাইভ

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১