আন্তর্জাতিক
রমজানে রোজা না রাখায় গ্রেপ্তার করছে পুলিশ
বছর ঘুরে আবারও শুরু হয়েছে রহমত, মাগফেরাত আর নাজাতের মাস মাহে রমজান। রোজা ইসলামের মৌলিক ইবাদতের মধ্যে অন্যতম এবং এই কারণে সারা বিশ্বের মুসলিমরা ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে রোজা পালন করে থাকেন।
এমন অবস্থায় নাইজেরিয়ায় পবিত্র রমজান মাসে রোজা না রাখা মুসলমানদের গ্রেপ্তার করছে দেশটির ইসলামিক পুলিশ। মূলত আফ্রিকার এই দেশটির একটি প্রদেশে রোজার মাসে দিনের বেলা খাবার খেতে দেখার পর বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বুধবার (১৩ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় কানো প্রদেশের ইসলামিক পুলিশ গত মঙ্গলবার ১১ জন মুসলমানকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদেরকে রমজানের রোজার সময় খাবার খেতে দেখা গেছে।
বিবিসি বলছে, কানোতে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনসংখ্যা রয়েছে এবং এখানে ধর্মনিরপেক্ষ আইনের পাশাপাশি ইসলামি আইনি ব্যবস্থা অর্থাৎ শরিয়া আইনও কার্যকর রয়েছে। আর ইসলামিক পুলিশ ‘হিসবাহ’ নামে পরিচিত এবং প্রতি বছর রমজান মাসে তারা খাবারের দোকান এবং বাজারে তল্লাশি চালিয়ে থাকে।
গত মঙ্গলবার গ্রেপ্তারকৃত ১১ জনের মধ্যে ১০ জন পুরুষ এবং একজন নারী। বিবিসি বলছে, গ্রেপ্তারের পর তারা ইচ্ছাকৃতভাবে আর একটি রোজাও মিস করবে না বলে শপথ করার পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
হিসবাহের মুখপাত্র লওয়াল ফাগে বিবিসিকে বলেছেন, আমরা মঙ্গলবার ১১ জনকে পেয়েছিলাম যার মধ্যে একজন নারীও ছিলেন, যিনি চিনাবাদাম বিক্রি করছিলেন এবং তাকে তার জিনিসপত্র থেকে খেতে দেখা গেছে এবং পরে কিছু লোক আমাদের এই বিষয়টি জানায়।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে অন্য ১০ জন ছিলেন পুরুষ এবং শহরজুড়ে বিশেষ করে বাজারের কাছাকাছি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
তিনি বলছেন, অনুসন্ধান ও তল্লাশি অভিযান অব্যাহত থাকবে। তবে অমুসলিমরা এই অভিযানের আওতার বাইরে।
লওয়াল ফাগে বলছেন, আমরা অমুসলিমদের গ্রেপ্তার করি না কারণ এটি (রোজা) তাদের পালন করার বিষয় নয় এবং শুধুমাত্র একটি অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত হলেই আমরা অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করি। আর তা হচ্ছে, যাদের রোজা রাখার কথা সেই সব মুসলমানদের কাছে বিক্রি করার জন্য যারা খাবার রান্না করে।
যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তাদের সম্পর্কে ইসলামিক পুলিশের এই মুখপাত্র বলেন, তারা এখন থেকে রোজা রাখা শুরুর প্রতিশ্রুতি দিয়ে মুক্তি পেয়েছে এবং তাদের মধ্যে কারও কারও পরিবার যেন তাদেরকে পর্যবেক্ষণ করে সে জন্য আমাদের তাদের আত্মীয় বা অভিভাবকদেরও ডাকতে হয়েছিল।
বিবিসি বলছে, মাত্র দুই দশক আগে নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলের ১২টি প্রদেশে ধর্মনিরপেক্ষ আইনের পাশাপাশি শরিয়া আইনও চালু করা হয়েছিল। এসব প্রদেশের সবকটিতেই সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনসংখ্যা রয়েছে।
উল্লেখ্য, রমজান ইসলামি ক্যালেন্ডারের নবম মাস। ইসলামে এই মাসের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এই মাসেই পবিত্র কোরআনের প্রথম আয়াত মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.)-এর কাছে অবতীর্ণ হয়েছিল।
এছাড়া ইসলামের অন্যতম এক স্তম্ভ পবিত্র রমজান মাস। প্রত্যেক বছর অত্যন্ত ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে মুসলিম বিশ্বে পবিত্র এই মাস পালন করা হয়। এক মাস সংযম পালনের পর মুসলমানরা শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
মালয়েশিয়ার রাবার উৎপাদন কমেছে
মালয়েশিয়ায় গত মার্চে প্রাকৃতিক রাবার উৎপাদন এর আগের মাসের তুলনায় ৯ দশমিক ২ শতাংশ কমেছে। পাশাপাশি কমেছে মজুদও। তবে ওই সময় দেশটি থেকে পণ্যটির রফতানি বেড়েছে। মালয়েশিয়ার সরকারি একটি সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে।
দেশটির পরিসংখ্যান বিভাগের দেয়া তথ্যানুসারে, গত ফেব্রুয়ারিতে সেখানে ২৯ হাজার ৬৯১ টন প্রাকৃতিক রাবার উৎপাদন হয়েছিল। তবে মার্চে সেটি কমে ২৬ হাজার ৯৬৬ টনে নেমেছে। গত বছরের মার্চে দেশটি ২৭ হাজার ১৮৮ টন উৎপাদন করেছিল। সে হিসাবে উৎপাদন কমেছে দশমিক ৮ শতাংশ।
পরিসংখ্যান বিভাগ আরও জানায়, এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে মালয়েশিয়ায় প্রাকৃতিক রাবারের মজুদ ছিল ২ লাখ ২৯ হাজার ৯৪০ টন। মার্চে তা কমে ২ লাখ ২২ হাজার ৪৫৫ টনে নেমে আসে।
উৎপাদন ও মজুদ কমলেও রফতানিতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি দেখেছে দেশটি। ফেব্রুয়ারিতে দেশটি ৫৫ হাজার ৮৩ টন রাবার রফতানি করে। মার্চে তা ৫৮ হাজার ৯৬৫ টনে উন্নীত হয়। এক মাসের ব্যবধানে রফতানি বেড়েছে ৭ শতাংশ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
বিশ্ববাজারে সোনার দাম বেড়ে সর্বকালের সর্বোচ্চ
বিশ্ববাজারে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এক আউন্স সোনার দাম ২ হাজার ৪১৪ ডলার ছাড়িয়েছে। শুধু জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম ৩৫০ ডলারের ওপরে বেড়েছে। রোববার (১৯ মে) থেকে ভ্যাট ও মজুরিসহ প্রতি ভরি সোনার অলংকার কিনতে ক্রেতাদের এক লাখ ৩১ হাজার ৪৯১ টাকা গুনতে হবে। দেশের বাজারে সোনার অলংকারের এত দাম আগে কখনো হয়নি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সোনার দামের এ উত্থানকে ত্বরান্বিত করেছে বিশ্বজুড়ে যুদ্ধ, ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি নিয়ে শঙ্কা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর ব্যাপক ক্রয়। বিশেষত অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তায় ডলার ছেড়ে স্বর্ণে ভরসা রাখতে চাইছে দেশগুলো। তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো স্বর্ণ ক্রয় বাড়িয়েছে ব্যাপকভাবে। টানা ১৪ বছর স্বর্ণ ক্রয় অব্যাহত রেখেছে বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো।
সোনার অলংকারের দামে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হলেও দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বর্তমানের থেকেও বেশি ছিল। দেশের ইতিহাসে এক ভরি স্বর্ণ সর্বোচ্চ এক লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টা থেকে ২০ এপ্রিল বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত এই দামে স্বর্ণ বিক্রি হয়। সে সময় এক ভরি স্বর্ণের অলংকারের সর্বনিম্ন দাম নির্ধারিত হয় এক লাখ ২৯ হাজার ১১৯ টাকা।
সোনার দামে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি না হলেও স্বর্ণের অলংকারের দামে সর্বোচ্চ রেকর্ড সৃষ্টি হওয়ার কারণ মজুরি। আগে ভরিপ্রতি মজুরি ধরা হতো ন্যূনতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। কিন্তু এই নিয়ম পরিবর্তন করে গত ১৪ মে ভরিপ্রতি ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ শতাংশ। এতেই নতুন দামে স্বর্ণের অলংকারের ক্ষেত্রে ভরিপ্রতি ন্যূনতম মজুরি দিতে হবে ৭ হাজার ১০৮ টাকা।
বাজুসের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রোববার (১৯) থেকে সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ এক লাখ ১৮ হাজার ৪৬০ টাকায় বিক্রি হবে। এছাড়া ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ১৩ হাজার ৮২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ ৯৬ হাজার ৯১৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণ ৮০ হাজার ১৩২ টাকায় বিক্রি হবে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
মঙ্গলে ইতিহাস গড়ার যাত্রায় ভারত
চন্দ্রাভিযানে ইতিহাস গড়ার পর এবার মঙ্গল যাত্রায় মন দিয়েছে ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। পরবর্তী মিশন মঙ্গল যাত্রার জন্য তৈরি হচ্ছে ইসরো। আর এতেই লাল গ্রহে অবতরণকারী তৃতীয় দেশ হতে চলেছে ভারত।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, মঙ্গলযানের প্রথম অভিযান আগে থেকেই ঠিক করা হয়। তবে এবার দ্বিতীয় অভিযান প্রথমের থেকে অনেকটাই আলাদা হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। ভারতের মহাকাশ গবেষণাকারী সংস্থা ইসরো এবার অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নেবে।
সম্প্রতি ন্যাশনাল টেকনোলজি ডের দিন এই বিষয়ে একটি প্রোজেক্ট প্রেজেন্টেশন করে ইসরো। সেখানেই প্রকাশ পেয়েছে পরিকল্পনাটি।
জানা গেছে, মঙ্গলযানের জন্য স্কাই ক্রেন, সুপারসনিক প্যারাসুট, হেলিকপ্টার ও রোভারের ব্যবস্থা করবে ইসরো।
উল্লেখ্য, এর আগে মঙ্গলে অবতরণ করতে এই পদ্ধতি বা প্রযুক্তির অবলম্বন করেছিল আমেরিকা ও চীন। এবার আমেরিকা ও চীনের মতোই প্রযুক্তি ব্যবহার করবে ভারত।
আমেরিকান মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার পক্ষ পার্সিভারেন্স রোভার পাঠানো হয় মঙ্গলে। চাঁদে অবতরণের সময় এই রোভারে হেলিকপ্টার, প্যারাসুট ও স্কাই ক্রেনের ব্যবস্থা ছিল। এবার মঙ্গলে অবতরণের ক্ষেত্রেও তেমনটাই করা হবে বলে জানিয়েছে ইসরো।
কী কী প্রযুক্তি থাকছে?
স্কাই ক্রেন : নাসার স্কাই ক্রেন, মঙ্গল গ্রহে রোভারটিকে নামতে সাহায্য করে। এটি রোভারকে সোজা অবস্থায় নামতে সাহায্য করে। উপর থেকে নামার সময় রোভারের মাথার দিকটা নিচের দিকে চলে যেতে পারে বা উল্টে যেতে পারে। তবে স্কাই ক্রেন থাকলে তার সম্ভাবনা নেই। স্কাই ক্রেন দ্রুত কাজ শুরু করতেও সাহায্য করে। স্কাই ক্রেনের কারণেই মঙ্গলের মাটি সমতল না হওয়াতেও কোনও চাপ হয়না রোভারের।
হেলিকপ্টার : মঙ্গলের পাতলা বাতাসে খুব সহজেই ঠিকমতো উড়তে পারবে এমন একটি হেলিকপ্টার তৈরি করছে ইসরো। সংস্থা জানিয়েছে যে এই হেলিকপ্টার মঙ্গল গ্রহের আবহাওয়া নিরীক্ষণ করবে এবং এই লাল গ্রহের আবহাওয়ার একটি ম্যাপিং অর্থাৎ নকশাও গড়ে রাখবে।
স্যাটেলাইট : স্কাই ক্রেন এবং হেলিকপ্টার ছাড়াও থাকছে স্যাটেলাইট। ইসরো জানিয়েছে যে এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে খবর সরাসরি এসে পৌঁছাবে ইসরোর কেন্দ্রে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
১২ সেকেন্ডের মধ্যে ৩০০ কোটি টাকা চুরি
মাত্র ১২ সেকেন্ড সময়ের মধ্যে দুই মার্কিন ভাই ইথেরিয়াম থেকে ২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরি করেছেন, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৩০০ কোটি টাকা।
অভিযুক্ত আন্তন পেরেয়ার-বুয়েনো (২৪) এবং জেমস পেরেয়ার-বুয়েনো (২৮)—দুই ভাই ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। তারা ২০২৩ সালের এপ্রিলে অপারেশনটি করেছিলেন বলে জানা গেছে।
মার্কিন বিচার বিভাগ বলেছে, কথিত এই ক্রিপ্টো ডাকাতির ঘটনাটি এ ধরণের প্রথম ঘটনা। দুই ভাইদের বিরুদ্ধে ইলেক্ট্রনিক জালিয়াতি এবং অর্থ পাচারের অভিযোগও রয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুসারে, প্রসিকিউটররা অভিযোগ করেছেন, এই দুই ভাই লেনদেনের বৈধতার জন্য ইথেরিয়ামের প্রক্রিয়াকে কাজে লাগাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখা অত্যন্ত পরিশীলিত দক্ষতা ব্যবহার করেছেন।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল লিসা মোনাকোর মতে, অভিযুক্তরা কয়েক মাস ধরে একটি পরিশীলিত ও অত্যাধুনিক পদ্ধতির মাধ্যমে পরিকল্পনাটি তৈরি করেন। তারা ইথেরিয়ামের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চুরি করতে ‘দ্য এক্সপ্লয়েট’ নামের একটি পদ্ধতি ব্যবহার করেন।
পাশাপাশি প্রতারণামূলকভাবে ক্রিপ্টোকারেন্সি পাওয়ার জন্য অমীমাংসিত ব্যক্তিগত লেনদেনে প্রবেশ করেন। প্রোগ্রামটি কার্যকর করতে মাত্র কয়েক সেকেন্ড সময় নেয়।
কর্মকর্তারা জানান, যখন ইথেরিয়ামের একজন প্রতিনিধি অভিযুক্তদের মুখোমুখি হন, তখন তারা চুরি হওয়া তহবিল ফেরত দিতে অস্বীকার করেন এবং পরিবর্তে সেটি পাচার ও লুকানোর পদক্ষেপ নেন।
এই মামলার প্রসিকিউটররা বলেছেন, এই প্রথমবারের মতো এমন প্রতারণার জন্য ফৌজদারি অভিযোগ আনা হয়েছে।
দোষী সাব্যস্ত হলে অভিযুক্তদের প্রত্যেককে ২০ বছরের বেশি কারাদণ্ডের মুখোমুখি হতে হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
তিন দশকে গড় আয়ু বাড়বে পাঁচ বছর
নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, তিন দশকের মধ্যে মানুষের গড় আয়ু বাড়বে। তবে পাশাপাশি মোটা হওয়া, প্রেসারের মতো রোগও বাড়বে। গবেষণায় একদিকে যেমন গড় আয়ু বাড়ার বিষয়ে ভালো খবর দেয়া হয়েছে, তেমনই কয়েকটি রোগ বাড়বে এবং মানুষকে ভগ্নস্বাস্থ্য নিয়ে বেঁচে থাকতে হবে বলেও জানানো হয়েছে। এই রোগের মধ্যে অন্যতম হলো মোটা হওয়া বা মেদবহুল হওয়ার প্রবণতা এবং রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া।
দ্য ল্যানসেট পত্রিকায় প্রকাশিত গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন কারণে বর্তমান জীবনধারার সঙ্গে ভবিষ্যতের জীবনযাপনের অনেকটাই পরিবর্তন হবে। ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউট অফ হেলথ ম্যাট্রিকস অ্যান্ড অ্যাডিকশনের প্রধান গবেষক ও বৈজ্ঞানিক লিয়ানে ওং জানিয়েছেন, মানুষের মধ্যে আসক্তি ও মোটা হওয়ার প্রবণতা দুইই বাড়বে।
গবেষক দলের মতে, বিশ্বজুড়েই মানুষের আয়ু বাড়বে। পুরুষদের গড় আয়ু ৭১ দশমিক এক থেকে ৭৬ দশমিক দুই হবে এবং মেয়েদের গড় আয়ু ৭৬ দশমিক দুই থেকে ৮০ দশমিক পাঁচ হবে। এখন যেসব দেশে মানুষের গড় আয়ু কম, সেখানে আয়ু সবচেয়ে বেশি বাড়বে।
গবেষক সংস্থার ডিরেক্টর ক্রিস মারে জানিয়েছেন, সবচেয়ে বেশি আয়ের দেশ ও কম আয়ের দেশের মধ্যে বৈষম্য থাকবে, তবে ব্যবধান কমবে। সাব সাহারান-আফ্রিকায় মানুষের গড় আয়ু সবচেয়ে বেশি বাড়বে। গবেষকরা বলেছেন, মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য যে সব ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে, তার ফলেই আয়ু বাড়বে। কোভিড ১৯, সংক্রামক রোগ, মাতৃত্বকালীন রোগ, বাচ্চাদের রোগ, অপুষ্টিজনিত সমস্যা কাটানোর জন্য নেয়া উদ্য়োগের ফলে আগামী তিন দশকে মানুষের গড় আয়ু বেড়ে যাবে।
গবেষকরা এটাও দেখেছেন, দুই হাজার সাল থেকে উচ্চ রক্তচাপ, সুগার, মোটা হওয়ার প্রবণতা প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়েছে। বায়ুদূষণ, ধূমপান, বাচ্চার ওজন কম হওয়ার মতো বিষয়গুলোর প্রভাব মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর পড়ছে। মারে বলেছেন, এসব প্রবণতা ঠেকানোর একটা বড় সুযোগ আমাদের সামনে আসছে। বিশেষ করে ব্যবহারিক ও জীবনযাপন সংক্রান্ত সমস্যা শুধরে নেয়া যায়। তাহলে এসব রোগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।