অর্থনীতি
আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ঋণের সুদহার ১৫ দশমিক ১১ শতাংশ

ট্রেজারি বিলে গড় সুদহার বৃদ্ধি পাওয়ায় ঋণের সুদহারে বড়পরিবর্তন এসেছে। দেশের ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর (এনবিএফআই) ঋণ ও আমানতের সুদহার নির্ধারণের মার্জিনে পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল মঙ্গলবার এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। নতুন সুদ মার্জিন কার্যকর হওয়ার ফলে চলতি মার্চে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণের সর্বোচ্চ সুদহার হবে ১৫ দশমিক ১১ শতাংশ।
নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে সিক্স মান্থস মুভিং অ্যাভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল বা স্মার্ট রেটের সঙ্গে সর্বোচ্চ ৫ দশমিক ৫০ শতাংশ মার্জিন যোগ করতে পারবে। আর আমানতের সুদহার নির্ধারণের ক্ষেত্রে মার্জিন হবে স্মার্ট রেটের সঙ্গে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৫০ শতাংশ। এতদিন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এ দুটি ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫ দশমিক ৭৫ ও ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ মার্জিন যোগ করতে পারত।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা আমলে নিলে চলতি মার্চে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণের সর্বোচ্চ সুদহার হবে ১৫ দশমিক ১১ শতাংশ। আর এ প্রতিষ্ঠানগুলো সর্বোচ্চ ১২ দশমিক ১১ শতাংশ সুদে আমানত সংগ্রহ করতে পারবে। নতুন করে সংগৃহীত আমানত ও বিতরণকৃত ঋণের ক্ষেত্রে এ সুদহার প্রযোজ্য হবে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত বছরের জুলাই থেকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণের বাজারভিত্তিক সুদহার নির্ধারিত হচ্ছে, যা স্মার্ট বা সিক্স মান্থস মুভিং অ্যাভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল হিসেবে পরিচিত। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শে ঋণের সুদহার বাজারভিত্তিক করা হয়। ডলার সংকট কাটাতে দাতা সংস্থাটির কাছ থেকে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা নিচ্ছে সরকার। এ ঋণপ্রাপ্তির অন্যতম শর্ত হলো ঋণের সুদহারকে বাজারভিত্তিক করা।
নতুন এ পদ্ধতি প্রবর্তনের পর থেকেই দেশে ব্যাংক ঋণের সুদহার বাড়ছে। চলতি মার্চে ব্যাংক ঋণের সর্বোচ্চ সুদহার উঠেছে ১৩ দশমিক ১১ শতাংশে।
ব্যাংক ঋণের সুদহার নির্ধারণে প্রতি মাসের শুরুতে সিক্স মান্থস মুভিং অ্যাভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল বা স্মার্ট রেট ঘোষণা করে আসছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফেব্রুয়ারির শেষ দিন ওই মাসের স্মার্ট রেট ৯ দশমিক ৬১ শতাংশ ঘোষণা করা হয়। এর সঙ্গে ব্যাংকগুলো অতিরিক্ত ৩ দশমিক ৫০ শতাংশ মার্জিন যুক্ত করতে পারবে। সে হিসেবে মার্চে ব্যাংক ঋণের সর্বোচ্চ সুদহার হবে ১৩ দশমিক ১১ শতাংশ।
তবে এসএমই ও রিটেইল ঋণের জন্য গ্রাহকদের এর চেয়েও বেশি সুদ গুনতে হবে। মার্চে এ খাতের ব্যাংক ঋণের সর্বোচ্চ সুদহার হবে ১৪ দশমিক ১১ শতাংশ। কৃষি ও পল্লী ঋণের ক্ষেত্রে ঋণের সর্বোচ্চ সুদহার ১২ দশমিক ১১ শতাংশ হবে।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি
শিল্পে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গ্যাস সংযোগের ঘোষণা

আগে আবেদন করলে আগে ভিত্তিতে অর্থনৈতিক অঞ্চল, ইপিজেড, বিসিক শিল্পনগরীকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গ্যাস সংযোগ প্রদান করতে হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ড. ফাওজুল কবির খান। গ্যাস পেলেই উৎপাদনে যেতে পারবে এমন শিল্প প্রতিষ্ঠানে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই লোডবৃদ্ধি করার নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
গতকাল বুধবার (১৬ এপ্রিল) সচিবালয়ে গ্যাসের সিস্টেম লস হ্রাস সংক্রান্ত এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব নির্দেশনা দেন।
বিইআরসি নির্ধারিত ট্যারিফে পরিকল্পিত শিল্পাঞ্চলে অগ্রাধিকার এবং পরিকল্পিত শিল্পাঞ্চলের বাইরের বিষয়ে রপ্তানিমুখী শিল্পে নতুন গ্যাস সংযোগ প্রদানের বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে নতুন পরিপত্র জারিকরার সিদ্ধান্ত হয়েছে সভায়।
কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে ফাওজুল কবির খান বলেন, গ্যাসের প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ সাপেক্ষে গ্রাহকের সংযোগ কার্যকর ও নতুন সংযোগের অনুমোদন দিতে হবে। রাজস্ব বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে নতুন গ্যাস সংযোগ ও লোডবৃদ্ধির কার্যকর করতে হবে। এতে কি পরিমাণ রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে তার হিসাব নিরূপণ করারও নির্দেশ দেন তিনি। উপদেষ্টা বলেন, আগামী ৩১ মে তারিখের মধ্যে গ্যাস পাইপলাইনের সকল লিকেজ মেরামত নিশ্চিত করতে হবে।
সভায় উত্থাপিত পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে সিস্টেম লস ৪ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনার রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে।
বিইআরসির তথ্য অনুযায়ী, গত ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) গ্যাসের সামগ্রিক সিস্টেম লস আগের বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ বেড়েছিল। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে গ্যাসের সিস্টেম লস ছিল ৮.৪৩ শতাংশ। যা চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে হয়েছে ১৩.৫৩ শতাংশ। বিশ্বজুড়ে ২ শতাংশের নিচে সিস্টেম লসকে আদর্শ বিবেচনা করা হয়। অনেক আগেই বিইআরসি সিস্টেম লস ২ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনার নির্দেশনা দিয়েছে।
সভায় আরও বলা হয়, ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৪ হাজার ৭০ কিলোমিটার পাইপলাইনে জরিপ পরিচালনা করা হয়। ওই জরিপে ৯ হাজার ৩৮৪টি ছিদ্র পাওয়া গেছে। একই সময়ে জালালাবাদে ১১৮টি, জিটিসিএল’ এ মাত্র ২টি লিকেজ, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি মাত্র ১১টি, বাখরাবাদে ৩টি, এবং পশ্চিমাঞ্চল গ্যাসে ১টি ছিদ্র চিহ্নিত ও মেরামত করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ঋণ পরিশোধে সময় দিয়েছে রাশিয়া, জরিমানা মওকুফ

দেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঋণদাতা দেশ রাশিয়ার কাছ থেকে দায়দেনা পরিশোধে বাড়তি সময় পেয়েছে বাংলাদেশ। ২০২৭ সালের মার্চ থেকে প্রকল্পের ঋণের আসল ও সুদ পরিশোধ শুরু করার কথা ছিল। বিভিন্ন জটিলতার কারণে দুই বছর সময় চেয়েছিল সরকার। এতে সাড়া দিয়ে দেড় বছর সময় দিয়েছে রাশিয়া।
এদিকে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য নেওয়া ৫০ কোটি ডলারের ঋণের কিস্তি যথাসময়ে পরিশোধ না হওয়ায় ১৬ কোটি ডলারের বেশি যে জরিমানা হয়েছিল, তা মওকুফ করেছে পুতিন প্রশাসন। যদিও রাশিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা থাকায় কিস্তি ঠিকমতো পরিশোধ করতে পারেনি বাংলাদেশ। রূপপুরের ঋণের সংশোধিত প্রটোকলে এমন ছাড় দিয়েছে রাশিয়া।
বৈদেশিক দায়দেনার চাপ কমাতে ২০২৯ সালের মার্চ থেকে রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের ঋণ পরিশোধ শুরু করার সময় নির্ধারণে রাশিয়া সরকারকে অনুরোধ করে অন্তর্বর্তী সরকার। সংশোধিত প্রটোকলে ২০২৮ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর পরিশোধ শুরুর নতুন সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
বুধবার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের ইআরডির সংশ্লিষ্ট ইউরোপ উইংয়ের প্রধান ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে সরকারের যোগাযোগের ভিত্তিতে এমন ভালো সিদ্ধান্ত এসেছে। প্রকল্পের কাজ এখনো বেশ বাকি থাকায় আরও দুই বছর মেয়াদ বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে। রাশিয়ার তাতে সম্মতি রয়েছে।
তিনি জানান, প্রকল্প শুরুর আগে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য নেওয়া ঋণের কিস্তির অর্থ আলাদা একটি ব্যাংক হিসাবে জমা রাখা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে ডলারে তা পরিশোধ করা যাচ্ছে না। বিকল্প প্রক্রিয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে। তবে এখনও কোনো সমাধানে আসা যায়নি।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মোট ব্যয় ধরা হয় ১২.৬৫ বিলিয়ন ডলার বা ১ লাখ ১৩ হাজার ৯৩ কোটি টাকা। ব্যয়ের ৯০ শতাংশ হিসেবে মোট ১১.৩৮ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে রাশিয়া। বাকি ১০ শতাংশ বাংলাদেশের নিজস্ব জোগান। রাশিয়ার ঋণের মধ্যে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ প্রায় ৭.৭০ বিলিয়ন ডলার পেয়েছে। করোনা মহামারি এবং পরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ঋণের অর্থছাড়ে দেরি হয়। আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে রাশিয়ার প্রতিশ্রুত মোট ঋণের বাকি ৩.৬৮ কোটি ডলার ছাড় হওয়ার কথা রয়েছে। রাশিয়ার রোসাটম স্টেট অ্যাটমিক এনার্জি করপোরেশন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
ইআরডি সূত্র জানায়, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরই কিছু ঋণদাতা সংস্থা এবং দেশের কাছে ঋণ পরিশোধে বাড়তি সময় চাওয়া হয়। ঋণের সুদের হারেও ছাড় চাওয়া হয়। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক বৈঠকে রোসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ রূপপুর প্রকল্পের ঋণ চুক্তি সংশোধনে রাজি হন। ওই বৈঠকেই সংশোধনী চূড়ান্ত করার বিষয়ে একমত হয় সরকার এবং রোসাটম।
সম্প্রতি মস্কো থেকে পাঠানো সংশোধিত প্রোটোকলের খসড়ায় ঋণ পরিশোধে এক মাস বিলম্বের জন্য বিলম্ব মাশুল পরিশোধের শর্ত বাদ দেওয়া হয়। মূল প্রোটোকলে ঋণ পরিশোধ এক মাস বিলম্বিত হলে বাংলাদেশকে ৪.৫ শতাংশ হারে জরিমানা দেওয়ার শর্ত ছিল। সে হিসেবে ২০২২ সালের ১৫ মার্চ থেকে ২০২৫ সালের ১৫ মার্চ পর্যন্ত সময়ে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের ঋণের কিস্তি বকেয়া বাবত বাংলাদেশকে ১৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার জরিমানা গুনতে হতো। ইআরডির কর্মকর্তারা জানান, ঋণ পরিশোধে বিলম্বের জন্য বাংলাদেশ দায়ী নয়।
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুরে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজ আগামী ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা। ২০১৭ সালে প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হতে লাগবে স্নাতক ডিগ্রি

দেশের ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হতে হলে ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে। বিকল্প, প্রতিনিধি বা স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগেও শিক্ষাগত যোগ্যতা নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া পরিচালকদের প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় মৌলিক জ্ঞান ও দক্ষতা থাকতে হবে।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ফাইন্যান্স কোম্পানির পরিচালকদের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে। এ ছাড়া পরিচালকদের কোম্পানির পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় মৌলিক জ্ঞান ও দক্ষতা থাকতে হবে। বিকল্প পরিচালক নিয়োগের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পরিচালক যেহেতু একটি নির্দিষ্ট যোগ্যতা এবং উপযুক্ততার অধিকারী, সেহেতু বিকল্প পরিচালকের নিয়োগে এই যোগ্যতা এবং উপযুক্ততা সম্পর্কিত বিধানাবলি অপরিহার্য হবে। এর মাধ্যমে পরিচালকের মনোনয়ন প্রক্রিয়া আরও কার্যকর এবং স্বচ্ছ হবে।
একই সঙ্গে কোনো প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির পক্ষে মনোনীত বা প্রতিনিধি পরিচালক নিয়োগের ক্ষেত্রে, ওই পরিচালককে স্বতন্ত্র পরিচালকের মতো যোগ্যতা এবং উপযুক্ততা শর্তাবলি অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। এছাড়া এ সংক্রান্ত পূর্বের জারি করা অন্যান্য নির্দেশনা অপরিবর্তিত থাকবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
কিছু পণ্যের দাম বাড়লেও সংসার খরচে চাপ পড়বে না: বাণিজ্য উপদেষ্টা

দিন দিন ক্রয়ক্ষমতা বাড়ছে। ফলে কিছু পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি পেলেও সংসার খরচে চাপ ততটা পড়বে না বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ: চ্যালেঞ্জ, সম্ভাবনা ও সরকারের করণীয়’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, আপনারা দেখেছেন, ক্রমান্বয়ে আমাদের মূল্যস্ফীতি নামছে। আমাদের টাকার ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখন কিছু পণ্যের দাম বাড়ছে। কিন্তু আমরা চাই না সাধারণ মানুষের মাঝে চাপটা পড়ুক। আমরা আমাদের সামগ্রিক প্রচেষ্টার মধ্যে এটা রেখেছি। তারপরও মূল্যবৃদ্ধি পেলে সংসার খরচে চাপ ততটা পড়বে না।
মঙ্গলবার একলাফে সয়াবিন তেলের দাম ১৪ টাকা বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে উত্তর দিতে গিয়ে উপদেষ্টা এসব বলেন। অনেকটা বাধ্য হয়ে তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে এ উপদেষ্টা বলেন, সরকার দুই হাজার কোটি টাকা শুধু তেলের বাজার স্থিতিশীল রাখার জন্য ভর্তুকি দিয়েছে। আমাদের কাছে তথ্যের কোনো গরমিল নেই। ট্যারিফ কমিশনের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করছি, রমজানে ভোক্তা অধিকারকে কাজে লাগিয়ে আমরা বাজারের শৃঙ্খলা স্থিতিশীল রাখার চেষ্টা করেছি। সেখানে বহুলাংশে সফল হয়েছি, হয়তো কিছু অংশে ব্যর্থতা রয়েছে।
তিনি বলেন, তেলের দাম ১৪ টাকা বেড়েছে, সেটা বাড়াতে বাধ্য হয়েছি। সরকারের যে নিজস্ব পরিচালন ব্যয় রয়েছে, সেই টাকাটা তো তুলতে হবে। না হলে রাষ্ট্রের দায় তৈরি হবে। সরকারকে লোন করে পরিশোধ করতে হবে। সে টাকা তো আপনাকে-আমাকে দিতে হবে। এখন আমরা কি সেটা করবো, নাকি নিজেদের সামর্থ্যে চলার চেষ্টা করবো। এই কষ্টটা আমাদের করতে হয়।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, আমরা এখন দেশে স্থানীয়ভাবে তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বাড়ানোর চেষ্টা করছি। তেল না এনে তেলবীজ এনে তেল করার চেষ্টা করছি। যাতে খরচ কম হয়। প্রতিযোগিতা বাড়ে। দেশে বড় বড় দুটি প্রতিষ্ঠান এখন বিনিয়োগে আসছে। টেকসইভাবে এ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ভোজ্যতেল আমদানিতে ৫ শতাংশ আগাম কর অব্যাহতি

অপরিশোধিত ভোজ্যতেল আমদানির ক্ষেত্রে আমদানি পর্যায়ে ৫ শতাংশ আগাম কর (এটি) অব্যাহতি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) এক বিশেষ আদেশে আগাম কর অব্যাহতি দেওয়া হয়।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) এনবিআরের প্রথম সচিব (মূসক নীতি) মো. মসিউর রহমান স্বাক্ষরিত আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। আদেশে বলা হয়, অপরিশোধিত সয়াবিন তেল ও অপরিশোধিত পামতেল আমদানির ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে।
আদেশে বলা হয়, এ অব্যাহতি সুবিধা নেওয়ার আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পূর্বানুমতি নিতে হবে। আমদানি নীতি আদেশ ২০২১-২০২৪ অনুযায়ী পণ্য আমদানির জন্য প্রযোজ্য সব শর্তাদি পরিপালন করতে হবে। মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ এর ধারা ৫১, ৫৩, ৫৪, ৬৪ ও ১০৭ এবং মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি ৪০ এ উল্লিখিত মূল্য সংযোজন কর সংক্রান্ত হিসাবরক্ষণসহ কর চালানপত্র ও দাখিলপত্রের যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা প্রতিপালন করতে হবে। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।