জাতীয়
দুর্নীতির বিরুদ্ধে কাজ করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
![দুর্নীতির বিরুদ্ধে কাজ করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর বার্জার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/02/প্রধানমন্ত্রী-শেখ-হাসিনা-1.jpg)
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিতে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়ার দিকে বিশেষ নজর দিতে স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘মাদক থেকে দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস সৃষ্টি হয়। আমাদের সমাজ এর থেকে মুক্তি লাভ করুক। আমরা চাই যে জনপ্রতিনিধিরা জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিশেষ যত্নবান হবেন।’
শেখ হাসিনা রোববার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় আয়োজিত স্থানীয় সরকার দিবস-২০২৪’ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি’র ভাষণে একথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের সকলকে আমি বলব ২০০৯ সাল থেকে আমরা সরকারে আছি। আজকে বাংলাদেশের একটি ধাপ উত্তরণ ঘটেছে, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। এটা যেন পিছিয়ে না যায়। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আপনাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব এবং জনসেবা আপনারা করে যাবেন। আমরা যেন দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবচেয়ে বড় কথা সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতি ও মাদকমুক্ত করে সমাজকে গড়ে তুলতে হবে। সেদিকে আপনাদের বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে হবে। কারণ, এই মাদকের একটি বিরূপ প্রভাব রয়েছে। এ থেকেই আবার দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস সৃষ্টি হয়। এগুলো থেকে যেন আমাদের সমাজ রক্ষা পায় সেদিকে বিশেষ যতœবান হয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করে আপনারা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন সেটাই আমরা চাই।
সরকার প্রধান বলেন, আমি মনে করি আগামী দিনে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে হবে। একটা রাষ্ট্রের সার্বিক উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি দায়িত্ব পালন করবে স্থানীয় সরকার। কাজেই স্থানীয় সরকার হবে সবচেয়ে শক্তিশালী।
তিনি বলেন, ‘কেন্দ্র থেকে আমরা ব্যবস্থা করে দেব কিন্তু স্থানীয় সরকার স্থানীয়ভাবেই দেশের উন্নয়ন করবে এবং জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ করব। জাতির পিতা যে স্বল্পোন্নত দেশ রেখে গিয়েছিলেন সেখান থেকে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। এই উন্নয়নশীল দেশ হিসেবেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। কারো কাছে মাথা নিচু করে নয় মাথা উঁচু করে আমরা চলবো। আমরা দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলবো।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা কম্পিউটার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি, প্রতিটি স্কুলের উন্নয়ন, জেলায় জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় করে দিচ্ছি। বিভাগগুলোতে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করছি, বহুমুখী বিশ্ববিদ্যালয় করে শিক্ষার মান আমরা উন্নয়ন করে দিচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ১৯৭১ সালের লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছি। এই স্বাধীনতা ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। এই স্বাধীনতার সুফল প্রতি মানুষের ঘরে পৌঁছাব এটাই আমাদের লক্ষ্য। আর সেটা আমরা করতে পারব তখনই যদি সক্রিয় ভাবে আপনারা কাজ করেন এবং মানুষের সেবা করেন, তখনই এটা করা সম্ভব।
সরকার প্রধান বলেন, ‘৪১ সালের বাংলাদেশ হবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’। আমাদের ফ্রিল্যান্সার আছে অনলাইনে কেনাবেচা হচ্ছে বাণিজ্য চলছে, রাস্তাঘাটের উন্নতি করে দিয়েছি, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হয়েছে সবদিক থেকেই উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে হবে। আর যে কাজগুলো করে দিই সেটা রক্ষণাবেক্ষণ এবং যতœ আপনাদেরই করতে হবে।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহ, শরীয়তপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাবেদুর রহমান খোকা শিকদার, রাজশাহীর বাঘা উপজেলার চেয়ারম্যান লায়েব উদ্দিন আহমেদ লাবলু, পঞ্চগড় পৌরসভার মেয়র জাকিয়া খাতুন, সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন রশিদ লাবলুও স্থানীয় সরকার সংস্থার বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধিদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার চলে জনগণের পয়সায়। এই অর্থ জনগণের-সেটা মাথায় রাখতে হবে। সরকার কাজটা করে দেয়, কিন্তু জিনিসটা তো জনগণের। একথা মাথায় রেখেই যতœ করতে হবে। কাজেই, আপনারা সেভাবে এগিয়ে যাবেন। ইনশাল্লাহ, আমরা জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) যেমন আমরা অর্জন করবো এবং ২০৪১ সালের মধ্যে এমন একটি দেশ আমরা গড়ে তুলবো যেখানে দক্ষ জনশক্তি থাকবে, দক্ষ সরকার হবে, দক্ষ্য অর্থনীতি এবং দক্ষ সমাজ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে। জলবায়ু পরিবর্তন অভিঘাত মোকাবিলা করে দেশের উন্নয়ন অভিযাত্রা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে আমরা ইতোমধ্যে ‘ডেলটা প্ল্যান ২১০০’ গ্রহন এবং তা বাস্তবায়ন শুরু করেছি। কেননা, প্রজন্মের পর প্রজন্ম যেন সুন্দর জীবন পেতে পারে সেটাই আমাদের লক্ষ্য।
তিনি বলেন, ব্যক্তি স্বার্থকে দূরে সরিয়ে রেখে, সার্বিকভাবে উন্নয়নের জন্য জনপ্রতিনিধি হিসেবে আপনাদেরকে চিন্তা করতে হবে। সরকারের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে যথাযথ স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের বিষয়ে খোঁজ-খবর করার পাশাপাশি পরিবেশ সংরক্ষণের দিকেও আপনাদের দৃষ্টি দিতে হবে। ব্যাপকহারে বৃক্ষরোপণ ও বাগান করা সব দিকে আপনাদের নজর দিতে হবে। তাছাড়া, আমাদের জলাভূমিরগুলো যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতে হবে এবং সেগুলো যেন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে সেদিকে নজর দিতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের বাংলাদেশ একটি বদ্বীপ এবং এই দেশে নদী নালা খাল বিলগুলো একটি দেহের শিরা উপশিরার মত। এই শিরা-উপশিরা সচল থাকবে পানির প্রবাহ ঠিক রাখার মধ্য দিয়ে।
জলাধার টিকিয়ে রাখার উপর তিনি গুরুত্বারোপ করে বলেন, এক জায়গায় একটা পুকুর দেখলেই সেটা ভরাট করে সেখানে ভবন বানাতে হবে, মাথা থেকে তা ঝেড়ে ফেলতে হবে। কারণ, এই জলাধারগুলো আমাদের দরকার- বর্ষাকালে যে বৃষ্টির পানি আসে সেই পানি আমাদের সংরক্ষণ করতে হবে। বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে আমাদের ব্যবহার করতে হবে। যত বেশি বৃষ্টির পানি আমরা সংরক্ষণ করতে পারব ততো আমাদের ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরশীলতা কমবে। আর জনস্বার্থে যথাযথ প্রয়োজনে প্রকল্প নিতে হবে। এক্ষেত্রে অহেতুক অর্থের অপচয় যেন না হয় সে ব্যাপারেও সবাইকে সচেতন থাকার তিনি আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি গ্রাম নিয়ে বেশি চিন্তা করেন। শহরগুলোতে আমাদের যেমন স্যুয়ারেজ মাস্টার প্ল্যান করা হয়েছে। তেমনি তিনি চান প্রতিটি গ্রাম পর্যায়ে পর্যন্ত এভাবে মাস্টার প্ল্যান করেই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পয়নিষ্কাশন ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলেই স্বাস্থ্যকর ভাবে মানুষ বাঁচতে পারবে।
তিনি বলেন, পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের কৃষি কাজে ব্যবহৃত যত সেচ ব্যবস্থা সেগুলো সবগুলোতেই সোলার ব্যবস্থাপনা করে দেওয়া। সোলার প্যানেল ব্যবহার করে সৌরশক্তিকে কাজে লাগিয়ে সেই পানি তুলে রেখে আমরা যদি ব্যবহার করতে পারি তাহলে বিদ্যুতের উপর চাপ কমবে। তিনি এ সময় সকলকে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।
তাঁর সরকারের করে দেওয়া পানি শোধনাগারগুলো পরিচ্ছন্ন রাখার মাধ্যমে জনগণের জন্য সুপেয় পানির সরবরাহ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে নজর দেওয়ার জন্যও তিনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, যারা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি তাদেরকেই কিন্তু জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
জাতীয়
পর্যটকদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ শহরের তালিকায় ঢাকা ৬ষ্ঠ
![পর্যটকদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ শহরের তালিকায় ঢাকা ৬ষ্ঠ বার্জার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/dhaka-1-1.jpg)
পর্যটকদের জন্য বিশ্বের ঝুঁকিপূর্ণ শহরের তালিকায় ৬ষ্ঠ স্থানে রয়েছে ঢাকা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী ব্যবসায়িক ম্যাগাজিন ফোর্বসের পর্যটকদের জন্য অ্যাডভাইজার লিস্টে এ তথ্য উঠে এসেছে।
গত ১১ জুলাই প্রকাশিত এ তালিকায় তিনটি ঝুঁকিপূর্ণ শহরকে হাইলাইট করেছেন ফোর্বস উপদেষ্টারা।
তালিকা অনুযায়ী, পর্যটকদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ শহরে পরিণত হয়েছে ভেনেজুয়েলার কারাকাস, যার স্কোর রেটিং ১০০ তে ১০০। দ্বিতীয় ঝুঁকিপূর্ণ শহরের তালিকায় স্থান পেয়েছে করাচি, শহরটির স্কোর ১০০ তে ৯৩.১২। এছাড়া মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন ১০০ তে ৯১.৬৭ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
এ তালিকায় চতুর্থ ও পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে- নাইজেরিয়ার লাগোস ও ফিলিপাইনের ম্যানিলা। এরপরই ৬ষ্ঠ স্থানে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। ঢাকার স্কোর ৮৯.৫০।
এছাড়া কলম্বিয়ার রাজধানী বোগোতা ৭ম, মিশরের রাজধানী কায়রো ৮ম, মেক্সিকোর রাজধানী মেক্সিকো সিটি ৯ম এবং ইকুয়েডরের রাজধানী কুইটো ১০ম স্থানে রয়েছে।
মূলত সাতটি গুরুত্বপূর্ণ দিক বিবেচনা করে বিশ্বের ৬০টি শহর নিয়ে এ তালিকা তৈরি করেছে ফোর্বস। এর মধ্যে রয়েছে- অপরাধ, ব্যক্তিগত নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ডিজিটাল নিরাপত্তা।
অন্যদিকে সিঙ্গাপুর ০ স্কোর নিয়ে প্রথম, জাপানের টোকিও ১০.৭২ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় এবং কানাডার টরন্টো ১৩.৬ স্কোর নিয়ে পর্যটকদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ শহরের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে।
এছাড়া চতুর্থ, পঞ্চম ও ৬ষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে- অস্ট্রেলিয়ার সিডনি, সুইজারল্যান্ডের রাজধানী জুরিখ, ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
মেট্রোরেল কবে চালু হবে বলা যাচ্ছে না: সেতুমন্ত্রী
![মেট্রোরেল কবে চালু হবে বলা যাচ্ছে না: সেতুমন্ত্রী Obaidul](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/03/Obaidul-Quader-1.jpg)
কোটা আন্দোলনে সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনা পরিদর্শন শেষে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘মেট্রোরেল না চলায় মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। ৩০ মিনিটের পথ দুই ঘণ্টায়ও যেতে পারছে না’
মেট্রোরেল চালু নিয়ে তিনি বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ক্ষতিগ্রস্ত মেট্রোরেল কবে চালু হবে তা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।
শনিবার (২৭ জুলাই) সকালে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত সেতু ভবন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
কোটা আন্দোলনে সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনা পরিদর্শন শেষে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দেবেন সেটার ওপরে আমরা পর্যায়ক্রমে যেখানে যা করার দরকার সেটা করব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রত্যক্ষভাবে বিটিভিসহ বিভিন্ন ধ্বংসপ্রাপ্ত স্থাপনায় গিয়েছেন।’
উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে গত ১৮ জুলাই শিক্ষার্থীদের ডাকা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির মধ্যে মেট্রোর লাইনের নিচে মিরপুর-১০ গোলচত্বরে ফুটব্রিজে পুলিশ বক্সে আগুন দেওয়া হয়। সেই আগুনের মধ্য দিয়েই একটি ট্রেন ছুটে যায়। পরে চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় দুর্বৃত্তদের বিভীষিকাময় তাণ্ডবে মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ স্টেশনের ই-সিস্টেমের পুরোটাই ধ্বংস হয়ে গেছে। এ সিস্টেম পুনরায় সচল করতে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা লাগতে পারে।
এ ছাড়া কাজীপাড়া স্টেশনের ই-সিস্টেম অর্ধেকের বেশি নষ্ট হয়ে গেছে। এই স্টেশনের ই-সিস্টেম ঠিক হতেও ১০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। ই-সিস্টেম ছাড়াও দুই স্টেশনে থাকা পাঞ্চ মেশিন, ভেন্ডিং মেশিন, বিভিন্ন ডিভাইস, কম্পিউটারসহ আরও যেসব জিনিসপত্রের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা-ও ঠিক করতে প্রায় ২০০ কোটি টাকা লাগতে পারে।
ধারণা করা হচ্ছে, মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫০০ কোটি টাকা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
হামলার আগে ১ লাখ নতুন সিমকার্ডধারী ঢাকায় ঢোকে: পলক
![হামলার আগে ১ লাখ নতুন সিমকার্ডধারী ঢাকায় ঢোকে: পলক বার্জার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/zunaid-ahmed-palak-1.jpg)
ঢাকা ও গাজীপুরে ১৮ জুলাই থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত নাশকতার স্থানগুলোতে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ সিম বাইরে থেকে ঢুকেছে বলে মন্তব্য করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি জানান, বিএনপি-জামায়াতের লোকজনের গতিপ্রকৃতি নাশকতার স্থানগুলোমুখী ছিল। বাইরে থেকে প্রায় ১ লাখ সিম ঢুকে সেসব স্থানগুলোতে।
শনিবার (২৭ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ডাকভবনে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৪তম জন্মদিন উপলক্ষে সারাদেশে এক লাখ গাছের চারা রোপণে ‘শান্তির জন্য বৃক্ষ ট্রি ফর পিস’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
পলক বলেন, বিভিন্ন জেলার যেসব স্থানে ‘রেড এলার্ট’ জারি ছিল সেখানে ১৮, ১৯ ও ২০ জুলাই কোন সহিংসতা হয়নি। ঢাকার যে ১০ থেকে ১৫টি জায়গায় অতিরিক্ত ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ নতুন সিমকার্ডের ব্যবহারকারীরা আসে, সেগুলোর তথ্য-উপাত্তা বিশ্লেষণে দেখা যায়- রেড এলার্টভুক্ত এলাকার বিএনপি, ছাত্রদল, জামাত-শিবিরের চিহ্নিত ও তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীরা ঢাকামুখী ছিল এবং ঢাকায় তারা অবস্থান গ্রহণ করেছে। তাদের অবস্থানকালেই ১৮ থেকে ২১ জুলাই সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে।
সরকারের পক্ষ থেকে ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়নি দাবি করে পলক বলেন, ঢাকা বিভাগের ১৭টি জায়গায় হামলা হয়েছে। মহাখালীতে তিনটি ডেটা সেন্টারে ১৮টি আইআইজির সিস্টেম রয়েছে। সেখানে থাকা আইএসপির ৭০ শতাংশ সার্ভার থাকে। তাই ইন্টারনেট একা একাই বন্ধ হয়েছে। আমরা বন্ধ করিনি।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, টেলিযোগাযোগ খাতে আঘাত আসায় এখনো কিছু ক্যাশ সার্ভার মেরামতের কাজ চলছে। হয়তো দুই চার দিনের মধ্যে টেলিযোগাযোগ পুরোপুরি আগের অবস্থায় ফিরে আসবে। দেশে থাকা চার হাজারের ওপর ক্যাশ সার্ভার ঠিক হতে সময় লাগবে। গুগলের সব ক্যাশ সার্ভার পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হবে।
ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তরুণ কান্তি সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তথ্যপ্রযুক্তি সচিব মো. সামসুল আরেফিন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব ড. মুশফিকুর রহমানসহ অন্যান্যরা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
রোববার থেকে সরকারি অফিস ৯টা থেকে ৩টা
![রোববার থেকে সরকারি অফিস ৯টা থেকে ৩টা বার্জার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/office-1.jpg)
রবি থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত সরকারি অফিস চলবে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। শনিবার (২৭ জুলাই) জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘাত-সহিংসতার মধ্যে গত সপ্তাহে তিনদিন (রবি, সোম ও মঙ্গলবার) সাধারণ ছুটির পর বুধবার থেকে সীমিত পরিসরে চালু হয় সরকারি অফিস। বুধ ও বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলে অফিস।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
আন্দোলন চলাকালে নুরকে চার লাখ টাকা দেন এক নেতা: ডিবিপ্রধান
![আন্দোলন চলাকালে নুরকে চার লাখ টাকা দেন এক নেতা: ডিবিপ্রধান বার্জার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/harun-or-rashid.jpg)
শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে এক নেতা চার লাখ টাকা দিয়েছেন। সেই টাকা কোথায় কীভাবে খরচ করা হয়েছে সেসব বিষয় ঢাকা মহানগর (গোয়েন্দা) পুলিশ জানার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
শনিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। তবে রাজধানীর বনানীর সেতু ভবনে হামলার ঘটনায় করা মামলায় নুরুল হক নুরকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। শুক্রবার (২৬ জুলাই) পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
হারুন অর রশীদ বলেন, নুরকে আমরা রিমান্ডে নিয়েছিলাম। তার কাছ থেকে অনেক তথ্য পেয়েছি। সেই তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। আন্দোলন চলাকালীন একজন নেতা তাকে চার লাখ টাকা দিয়েছেন। নুর এ কথা স্বীকার করেছেন। আমরা সেই নেতাকেও তুলে নিয়ে এসেছি। তিনি চার লাখ টাকা নুরকে দিয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন। কী জন্য সেই নেতা নুরকে টাকা দিয়েছেন সেসব বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কোটা আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে ডিজিটাল যোগাযোগের তথ্য পাওয়া গেছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
ডিবিপ্রধান বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির সভাপতি (বিজেপি) ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ পাঁচদিনের রিমান্ডে রয়েছেন আমাদের কাছে। তার কাছ থেকে কিছু বিষয় জানার চেষ্টা করছি।
কাফি