রাজধানী
সড়ক মেরামত ও উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করলেন কাউন্সিলর রোকন

রাজধানীর টিকাটুলির বেশ কয়েকটি সড়কসহ নর্দমা মেরামত ও উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৩৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রোকন উদ্দিন আহমেদ।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পৌনে ১টার দিকে টিকাটুলির কে এম দাস লেন সংলগ্ন এ কাজের উদ্বোধন করা হয়।
এসব সড়কের মধ্যে রয়েছে টিকাটুলির ব্যানার্জি রোড, কে এম দাস লেন এবং আর কে মিশন রোড এলাকা।
উদ্বোধনকালে কাউন্সিলর রোকন উদ্দিন আহমেদ বলেন, সড়ক ও নর্দমা মেরামত করে জলাবদ্ধতা নিরসনের কাজ করা হচ্ছে। এসব পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যায়ে এ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। এসব কাজ শেষ হলে সামনে আরও ১২ কোটি টাকা ব্যায়ের মেরামত ও উন্নয়ন কাজের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ইঞ্জিনিয়ার মো. মিজানুর রহমান, ঠিকাদার রেজাউল আহমেদ, সাইট ইঞ্জিনিয়ার সাফিন, প্রজেক্ট ম্যানেজার গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।
অর্থসংবাদ/কাফি

রাজধানী
গুলিস্তান সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে

রাজধানীর গুলিস্তানের সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট।
শনিবার (২ আগস্ট) বেলা ১১টা ১২ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এর আগে সকাল ১০টার দিকে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস।
ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (মিডিয়া সেল) তালহা বিন জসিম জানান, সকাল ১০টায় গুলিস্তানের সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটের ৫ম তলায় আগুন লাগার খবর আসে। এরপর ১০টা ৩ মিনিটে প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে আরও ১১ ইউনিট সেখানে যোগ দেয়।
প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।
রাজধানী
গুলিস্তান সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১১ ইউনিট

রাজধানীর গুলিস্তানের সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটে আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট।
শনিবার (২ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস।
ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (মিডিয়া সেল) তালহা বিন জসিম জানান, সকাল ১০টায় গুলিস্তানের সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটের ৫ম তলায় আগুন লাগার খবর আসে। এরপর ১০টা ৩ মিনিটে প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে আরও ১০ ইউনিট সেখানে যোগ দেয়। এখন মোট ১১ ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।
রাজধানী
বৃষ্টির পরও ঢাকার বাতাসের মানে অবনতি

এক দিন আগেও ঢাকার বাতাস বিশুদ্ধ ছিল। বৃহস্পতিবার দিনভর বৃষ্টির পরও শুক্রবার (১ আগস্ট) ঢাকার বাতাসের আবার অবনতি হয়েছে। সকালে ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় রয়েছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার থেকে এ তথ্য জানা যায়।
সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ (শুক্রবার) সকাল সাড়ে ১১টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ৭৯। আইকিউএয়ারের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের করা দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ২২তম।
তালিকায় শীর্ষে আছে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর কিনশাসা। গত এক মাস ধরে বেশিরভাগ দিনই বায়ুদূষণে শীর্ষে থাকছে শহরটি। শহরটির বায়ুমান আজ ১৮৮, যা অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক। ১৬৫ বায়ুমান নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই রয়েছে দ্বিতীয় অবস্থান।
এদিন দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষ পাঁচে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি শহর। সেগুলো হলো শিকাগো, মেনিয়াপোলিস, ডেট্রয়েট। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে—১৫৮, ১৫৪, ১৩৯।
আইকিউএয়ার স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়, আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ ও অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।
এ ছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা আইকিউএয়ার ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে। যেমন—বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)। বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগানাইজেশনের (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়।
বায়ুদূষণে প্রধানত স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার ও শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ থেকে মৃত্যুর হার বাড়ে।
রাজধানী
রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ থাকবে শনিবার

প্রয়োজনে তাগিদে প্রতিটি মানুষকেই প্রতিদিন কিছু না কিছু কেনাকাটা করতে হয়। কিন্তু কেনাকাটা করতে গিয়ে যদি দেখেন ওই এলাকার মার্কেট বন্ধ, তাহলে মনটাই খারাপ হয়ে যায়। তাই বাসা থেকে বের হওয়ার আগে জেনে নিন শনিবার (২৬ জুলাই) রাজধানীর কোন কোন এলাকার দোকানপাট ও মার্কেট বন্ধ থাকবে।
বন্ধ থাকবে যেসব মার্কেট
ইসলামপুর কাপড়ের দোকান, ছোট কাটরা, বড় কাটরা হোলসেল মার্কেট, নয়াবাজার, গুলিস্তান হকার্স মার্কেট, সামাদ সুপার মার্কেট, রহমানিয়া সুপার মার্কেট, ইদ্রিস সুপার মার্কেট, দয়াগঞ্জ বাজার, ফরাশগঞ্জ টিম্বার মার্কেট, শ্যামবাজার পাইকারি দোকান, কাপ্তান বাজার, রাজধানী সুপার মার্কেট, দয়াগঞ্জ সিটি করপোরেশন মার্কেট, ধূপখোলা মাঠবাজার, চকবাজার, ফুলবাড়িয়া মার্কেট, সান্দ্রা সুপার মার্কেট, বাবুবাজার, শারিফ ম্যানসন ও আজিমপুর সুপার মার্কেট।
বন্ধ থাকবে যেসব এলাকার দোকান
শ্যামবাজার, বাংলাবাজার, চাঁনখারপুল, গুলিস্তানের দক্ষিণ অংশ, জুরাইন, করিমউল্লাহবাগ, ধোলাইখাল, জয়কালী মন্দির, যাত্রাবাড়ীর দক্ষিণ-পশ্চিম অংশ, টিপু সুলতান রোড, ধূপখোলা, গেন্ডারিয়া, নবাবপুর, সদরঘাট, তাঁতীবাজার, লক্ষ্মীবাজার, দয়াগঞ্জ, ওয়ারী, স্বামীবাগ, আহসান মঞ্জিল, লালবাগ, কোতোয়ালি থানা, পোস্তগোলা, শ্যামপুর, মীরহাজারীবাগ, দোলাইপাড়, বংশাল, পাটুয়াটুলী, ফরাশগঞ্জ ও শাঁখারী বাজার।
কাফি
রাজধানী
জুলাই শহীদদের স্মরণে শেখ দিলু বেপারী ওয়াকফ এস্টেট জামে মসজিদে দোয়া

জুলাই শহীদদের স্মরণে রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী শেখ দিলু বেপারী ওয়াকফ এস্টেট জামে মসজিদে এক বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২১ জুলাই) আসর নামাজের পরে “আল্লাহর পথে যারা নিহত হয়, তাদেরকে মৃত বলো না; বরং তারা জীবিত” এই কুরআনিক ঘোষণাকে সামনে রেখে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
দোয়া মাহফিলে বক্তারা বলেন, “শহীদরা শুধু ইতিহাসের পাতা নয়, আমাদের চেতনায় চিরজাগরুক। তাঁদের ত্যাগ ও রক্ত আমাদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর সাহস যোগায়।”
আলোচনা পর্বে ইসলামী চিন্তাবিদ সাদিকুর রহমান আজহারী বলেন, শহীদদেরকে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ছয়টি পুরস্কার দিয়ে থাকেন। তা হলো- প্রথম ফোটা রক্তের সাথেই শহীদদের সকল গুনাহগুলো আল্লাহ তায়ালা মাফ করে দেন। শহীদদেরকে জান্নাতের ঠিকানা চোখের সামনে দেখানো হয়। পরিবার হারা শহীদদেরকে আল্লাহতালা সেদিন পরিবার দান করবেন। কবরের আজাব থেকে শহীদদেরকে আল্লাহ মাফ করবেন । কেয়ামতের ভয়াবহতা থেকে আল্লাহ তায়ালা শহীদদের কে হেফাজত করবেন। শহীদরা রক্তমাখা জামা পরে আল্লাহর সামনে দাঁড়াবে অপরাধীদের বিচার কামনা করবে আল্লাহ তাআলা নিজে সেদিন জালিমদের বিচার করবেন।
তিনি আরও বলেন, অনাকাক্সিক্ষত মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজের সামনে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে দুর্ঘটনায় যারা মারা গেলেন তারাও শহীদ। যারা চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে তাদেরকে রক্ত দেওয়া, পরিবারের পাশে দাঁড়ানো, সান্ত্বনা দিয়ে পাশে থাকা এই সময়ের সবচাইতে সওয়াবের কাজ হবে। আগুনে পুড়ে যারা মারা যায় অথবা দুর্ঘটনায় কবলিত হয়ে যারা মারা যায় নিশ্চয়ই তারাও শহীদ।
সবশেষে বক্তারা বলেন, জুলাই ২৪ এর শহীদদের সেদিনের আত্মত্যাগ জাতিকে ন্যায় ও মানবিকতার পথে অবিচল রাখার অনুপ্রেরণা জোগায়।
সভায় বক্তারা শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মুনাজাত করেন এবং তাঁদের পরিবারের প্রতি সহানুভূতি ও সংহতি প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে মসজিদ কমিটির সদস্য বৃন্দ ছাড়াও স্থানীয় মুসল্লি ও সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ঢাকা মহানগর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ফারহান দিনার, জুলাই আন্দোলনে আহত যোদ্ধা মো. সৌরভ। যুগ্ন সমন্বয়কারী কেন্দ্রীয় কার্যালয় সৈয়দ মোহাম্মদ সোহরাব। আয়োজনটি পরিচালনায় ছিলেন শেখ দিলু বেপারী ওয়াকফ এস্টেট জামে মসজিদের মসজিদ কমিটিবৃন্দ।
কাফি