অর্থনীতি
পোশাক খাতে পেশাগত নিরাপত্তায় বাংলাদেশের উন্নতি

তৈরি পোশাক খাতে পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতিতে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। তবে অনানুষ্ঠানিক অন্যান্য কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা বাড়ানো এবং সহিংসতা ও হয়রানির বিরুদ্ধে সুরক্ষার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি বাংলাদেশ।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) নতুন এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
আইএলওর প্রতিবেদনের শিরোনাম ‘পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মাধ্যমে কর্মক্ষেত্রে সহিংসতা ও হয়রানি প্রতিরোধ এবং মোকাবিলা’। প্রতিবেদনটি ‘পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য (ওএসএইচ)’ সংক্রান্ত গবেষণা প্রকল্পের অংশ। যৌথভাবে এর অর্থায়ন করেছে ইউরোপীয় কমিশন এবং আইএলও।
আজ বুধবার জেনেভায় আইএলও সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে গবেষণার ফলাফল নিয়ে আলোচনা হবে বলে জাতিসংঘের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশে পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য (ওএসএইচ) ব্যবস্থা প্রাথমিকভাবে শ্রম আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও মর্যাদা উন্নীত করতে বাংলাদেশ সরকার জাতীয় পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যনীতি ২০১৩ এবং গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি ২০১৫ গঠন করেছে। শ্রম আইনের ১০৯ ধারা কর্মক্ষেত্রে নারীদের সুরক্ষা প্রদান করে। এই আইন বলছে, সম্মতি ছাড়া কোনো নারীকে রাতে কাজ করতে বাধ্য করা যাবে না। কর্মক্ষেত্রে কোনো নারীর শালীনতা বা সম্মান আঘাত করা হয় এমন কোনো আচরণ থেকে বাধা দেই এই আইনের ৩৩২ ধারা।
প্রতিবেদনটিতে শ্রম আইনে পরিবর্তনের ফলে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও নির্মূলে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরে প্রশংসা করা হয়েছে। ২০০৯ সালে হাইকোর্ট বিভাগ সরকারি-বেসরকারি সকল কর্মক্ষেত্র ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য যৌন হয়রানি সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করে।
পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য কাঠামো কর্মক্ষেত্রে সহিংসতা ও হয়রানি প্রতিরোধে কার্যকর উপায় হিসেবে প্রমাণিত হচ্ছে বলে আইএলওর ওই প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
অর্থসংবাদ/এমআই

অর্থনীতি
জুলাইয়ে এডিপি বাস্তবায়ন ১ শতাংশের নিচে

চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে সরকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) থেকে মাত্র এক হাজার ৬৪৫ কোটি টাকা ব্যয় করছে; যা মোট এডিপি বরাদ্দের শূন্য দশমিক ৬৯ শতাংশ। এর আগের অর্থবছরে জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্যেও বেশি অর্থ ব্যয় হয়েছিল।
ওই সময় অর্থাৎ ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ে এডিপি বরাদ্দ থেকে ব্যয় হয়েছিল ২ হাজার ৯২২ কোটি টাকা, যা ওই অর্থবছরের এডিপি বরাদ্দের ১ দশমিক ০৫ শতাংশ।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠে এসেছে।
সংস্থার নিজস্ব তহবিলে অর্থায়নসহ এডিপির আকার ২ লাখ ৩৮ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকা বলে জানিয়েছে আইএমইডি।
আইএমইডির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সরকারি তহবিল থেকে জুলাই মাসে ব্যয় হয়েছে ৭২৮ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের শূন্য দশমিক ৫১ শতাংশ। অন্যদিকে বৈদেশিক ঋণ ও অনুদান খাতের বরাদ্দ থেকে ব্যয় হয়েছে ৮৩৮ কোটি টাকা, যা বৈদেশিক তহবিলের বরাদ্দের শূন্য দশমিক ৯৭ শতাংশ। এছাড়া সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় হয়েছে ৭৮ কোটি টাকা।
আইএমইডির তথ্য অনুযায়ী, ৫৭টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে ১১টি জুলাই মাসে এক টাকাও ব্যয় করতে পারেনি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর মধ্যে আছে—স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
জুলাই মাসে ১ শতাংশের বেশি অর্থ ব্যয় করেছে মাত্র ১২টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ। সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। তারা বরাদ্দের ১১ দশমিক ৩০ শতাংশ অর্থ ব্যয় করেছে। এছাড়া বড় আকারের বরাদ্দ পাওয়া মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বরাদ্দের ৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ অর্থ ব্যয় করেছে।
এছাড়া এ তালিকায় আছে– শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় (৩.৫১ শতাংশ), কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ (৩.৪৬ শতাংশ), মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ (১.৪৩ শতাংশ), দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় (১.৪৯ শতাংশ), মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় (১.৩৮ শতাংশ), ভূমি মন্ত্রণালয় (২.০১ শতাংশ), নির্বাচন কমিশন (১.৪৯ শতাংশ), মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ (৭ শতাংশ), অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (২.৭২ শতাংশ), লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ (২.৩৪ শতাংশ)।
অর্থনীতি
আমদানি মূল্য পরিশোধে সময়সীমা বাড়লো

পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে শিল্পের কাঁচামাল ও কৃষি উপকরণের আমদানি মূল্য পরিশোধের সময়সীমা নতুন করে বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে এ খাতে আমদানির বিল পরিশোধের সর্বোচ্চ সময় ৩৬০ দিন, যা চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে।
সোমবার (১৮ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। নতুন এই সিদ্ধান্তে শিল্পোদ্যোক্তারা কাঁচামাল আমদানিতে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবেন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়, এতদিন ব্যাক-টু-ব্যাক আমদানি, কৃষি উপকরণ ও রাসায়নিক সারসহ শিল্পের কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে সরবরাহকারী ও ক্রেতা ঋণ (সাপ্লায়ার্স অ্যান্ড বায়ার্স ক্রেডিট) এর আওতায় মূল্য পরিশোধের সর্বোচ্চ সীমা ছিল ১৮০ দিন। নতুন সিদ্ধান্তে এ সময়সীমা বাড়িয়ে ৩৬০ দিন করা হয়েছে। এর ফলে ডলার সংকটময় পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীরা কিছুটা স্বস্তি পাবেন এবং বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের সুযোগ তৈরি হবে। তবে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের (ইডিএফ) ঋণের আওতায় আমদানির ক্ষেত্রে এ সুবিধা প্রযোজ্য হবে না।
এ বছরের শুরুতে শিল্পের কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে ক্রেডিট মেয়াদ বাড়ানোর দাবি জানায় বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)। গত ২০ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে সংগঠনটি কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে ক্রেডিট মেয়াদ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছিল।
বিটিএমএ জানায়, সংগঠনটির সদস্য সংখ্যা এক হাজার ৮৫০ এবং এ খাতে বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। দেশের রপ্তানি আয়ের ৮০-৮৬ শতাংশ আসে টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল খাত থেকে, যার ৭০ ভাগ জোগান দেয় টেক্সটাইল শিল্প। ফলে এ খাতকে আমদানি-পরিপূরক শিল্প হিসেবে বিবেচনা করা হয়। গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ সংকটের পাশাপাশি ডলারের বিনিময় হার বৃদ্ধির কারণে মিলগুলো ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ায় মেয়াদ বৃদ্ধির দাবি জানানো হয়েছিল।
অর্থনীতি
একদিনেই এলো ১ হাজার ৯৫২ কোটি টাকার প্রবাসী আয়

চলতি আগস্ট মাসের প্রথম ১৭ দিনেই ১৪২ কোটি ৪০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় এসেছে দেশে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১৭ হাজার ৩৭২ কোটি ৮০ লাখ টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে)। আর মধ্যে রবিবার (১৭ আগস্ট) একদিনেই এসেছে ১৬ কোটি ডলার ১৯৫২ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, আগস্টের ১৭ দিনে ১৪২ কোটি ৪০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। যা গত বছরের (২০২৪ সালের আগস্টের ১৭ দিন) একই সময়ের চেয়ে ২৯ কোটি ডলার বেশি এসেছে। গত বছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১১৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার। সে হিসাবে রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধি রয়েছে ২৮ শতাংশ।
এর আগে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে এসেছে ২৪৭ কোটি ৭৯ লাখ ১০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩০ হাজার ২৩৯ কোটি টাকা। তবে মাসটিতে ৮ ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের মার্চ মাসে সর্বোচ্চ ৩২৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল, যা ছিল বছরের রেকর্ড পরিমাণ। আর পুরো অর্থবছরজুড়ে (২০২৪-২৫) প্রবাসী আয় এসেছে ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ২৬ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। উল্লেখ্য, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাসভিত্তিক রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল নিম্নরূপ: জুলাই: ১৯১.৩৭ কোটি ডলার, আগস্ট: ২২২.১৩ কোটি ডলার, সেপ্টেম্বর: ২৪০.৪১ কোটি ডলার, অক্টোবর: ২৩৯.৫০ কোটি ডলার, নভেম্বর: ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বর: ২৬৪ কোটি ডলার, জানুয়ারি: ২১৯ কোটি ডলার, ফেব্রুয়ারি: ২৫৩ কোটি ডলার, মার্চ: ৩২৯ কোটি ডলার, এপ্রিল: ২৭৫ কোটি ডলার, মে: ২৯৭ কোটি ডলার এবং জুন: ২৮২ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকার ঘোষিত প্রণোদনা ও প্রবাসী আয়ের পথ সহজ করায় রেমিট্যান্স প্রবাহ ইতিবাচক ধারায় রয়েছে।
অর্থনীতি
বোরো মৌসুমে সরকারের ধান-চাল সংগ্রহে রেকর্ড

চলতি বোরো সংগ্রহ মৌসুমে সর্বোচ্চ ধান-চাল সংগ্রহ করেছে খাদ্য অধিদপ্তর।
অধিদপ্তর বলছে, খাদ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক ঘোষিত অভ্যন্তরীণ বোরো সংগ্রহ কর্মসূচি গত ১৫ আগস্ট শেষ হয়েছে। এবার ৩ লাখ ৭৬ হাজার ৯৪২ মেট্রিক টন ধান (১০৭.৬৯%), ১৪ লাখ ৬ হাজার ৫৩৩ মেট্রিক টন সেদ্ধ চাল (১০০.৪৬%) এবং ৫১ হাজার ৩০৭ মেট্রিক টন আতপ চাল (১০২.২১%) সংগৃহীত হয়েছে, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
এবার সরকার অভ্যন্তরীণ বোরো সংগ্রহ কর্মসূচিতে ৩ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধান, ১৪ লাখ মেট্রিক টন সেদ্ধ চাল এবং ৫০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে সরকার।
অর্থনীতি
৪৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ, ফারইস্টের ১৪ পরিচালকের বিরুদ্ধে মামলা

ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ৪৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নতুন একটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ মামলায় কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের ১৪ জন পরিচালককে আসামি করা হয়। দুদকের উপপরিচালক সৈয়দ আতাউল কবির গত ৩১ জুলাই ঢাকার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলা করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৩ সালের ৩ মার্চ অনুষ্ঠিত ফারইস্ট ইসলামী লাইফের ১৭৫তম পর্ষদ সভায়, ৩৬ তোপখানা রোডের ৩৩.৫৬ শতাংশ জমি ও একটি ভবন ২২৯ কোটি ১৩ লাখ ৯৫ হাজার টাকায় কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন কোম্পানির ১৪ জন পরিচালক ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা।
দুদক জানায়, জমি ও ভবনের মূল্য অযাচিতভাবে অনেক বেশি ধরা হয়, যা আত্মসাতের উদ্দেশ্যেই করা হয়েছে।
এই ১৪ পরিচালক হলেন, বিমা কোম্পানিটির চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, যিনি প্রাইম পলিমার ও ফারইস্ট ইসলামী প্রোপার্টিজেরও চেয়ারম্যান। এছাড়া আমানত শাহ গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মো. হেলাল মিয়া, পিএফআই প্রোপার্টিজ ও নর্দার্ন জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের পরিচালক শাহরিয়ার খালেদ, মোশারফ গ্রুপের পরিচালক ও মোশারফ কম্পোজিট টেক্সটাইলের চেয়ারম্যান নাজনীন হোসেন, মেডিনোভা মেডিকেল সার্ভিসের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ডা. মো. মনোয়ার হোসেন, গেটকো টেলিকমিউনিকেশন ও গেটকো এগ্রো ভিশনের চেয়ারম্যান কে এম খালেদ, প্রাইম ব্যাংক ও প্রাইম ফাউন্ডেশনের উদ্যোক্তা এবং ম্যাক ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টি এম এ খালেক, টারটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান ড. ইফফাৎ জাহান।
এ তালিকায় আরও আছেন, ফারইস্ট ইসলামী লাইফের পরিচালক খন্দকার মোস্তাক মাহমুদ, ফারইস্ট ইসলামী লাইফের পরিচালক মো. মিজানুর রহমান, মেডিনোভা মেডিকেল সার্ভিসের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন, ফারইস্ট ইসলামী লাইফের শেয়ারহোল্ডার পরিচালক রাবেয়া বেগম, স্বতন্ত্র পরিচালক ও আইডিআরএ’র সাবেক চেয়ারম্যান ড. এম মোশাররফ হোসেন এবং স্বতন্ত্র পরিচালক ও পিএফআই সিকিউরিটিজের সাবেক এমডি কাজী ফরিদ উদ্দীন আহমেদ। কোম্পানিটির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হেমায়েত উল্যাহ-কেও দুদকের মামলার আসামি করা হয়।
এর আগে ফারইস্ট ইসলামী লাইফের আত্মসাতের ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের তিন মামলার মধ্যে ৭০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আসামি করা হয় ৯ জনকে। যাদের মধ্যে পরিচালক ছিলেন ৭ জন। তারা হলেন, নজরুল ইসলাম, কে এম খালেদ, শাহরিয়ার খালেদ, এম এ খালেক, মিজানুর রহমান, ফরিদউদ্দিন এফসিএ ও আসাদ খান।
এছাড়া ১১৫ কোটি আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে দুদকের মামলায় আসামি করা হয় ৮ জনকে। কোম্পানিটির সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী তাসলিমা ইসলাম, তাসলিমা ইসলামের ভাই সেলিম মাহমুদ, কোম্পানির সাবেক মুখ্য কর্মকর্তা হেমায়েত উল্যাহ, সাবেক ইভিপি ও প্রজেক্ট ইনচার্জ ইঞ্জিনিয়ার আমির ইব্রাহিম, টিপু সুলতান, ফুয়াদ আশফাকুর রহমান এবং মোহাম্মদ আলম খান।
জমি কেনার বিষয়ে বোর্ডসভায় যেসব সিদ্ধান্ত হয়
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ৩ মার্চ ফারইস্ট ইসলামী লাইফের ১৭৫তম পর্ষদ সভায় জমি কেনার সিদ্ধান্ত হয়। এই সভা হয় ফারইস্ট ইসলামী লাইফের প্রধান কার্যালয়ে। সভায় উপস্থিত কোম্পানিটির ১৪ জন পরিচালক ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এই জমি ক্রয়ের অনুমোদন করেন। সভায় ৩৬, তোপখানা রোডের ৩৩.৫৬ শতাংশ জমি ও ভবনের মূল্য, রেজিস্ট্রেশন খরচ ও অন্যান্য খরচসহ মোট ব্যয় ধরা হয় ২২৯ কোটি ১৩ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। এর মধ্যে জমির মূল্য নির্ধারণ করা হয় ২০০ কোটি ৩৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা ও বিল্ডিংয়ের মূল্য ধরা হয় ৭ কোটি টাকা।
এছাড়াও ট্যাক্স, ফি, রেজিস্ট্রেশন খরচ বাবদ আরও ২০ কোটি ৭৩ লাখ ৯৯ হাজার টাকা এবং রেজিস্ট্রেশন ও বিবিধ খরচ বাবদ- ১ কোটি ৩ লাখ ৬৯ হাজার টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় ওই সভায়। এর মধ্যে বায়না বাবদ ৭৫ কোটি টাকা অগ্রিম দেওয়া হয়। বাকি ১৩২ কোটি ৩৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা ৪ মাসের মধ্যে পরিশোধ করে দলিল রেজিস্ট্রির সিদ্ধান্ত হয়। পরে ২০১৪ সালের ১৬ মার্চ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেমায়েত উল্লাহ দলিল গ্রহীতা হিসেবে এবং জমির মালিক আজহার খান ও সোহেল খান দলিল দাতা হিসেবে ঢাকা জেলার সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে জমি রেজিস্ট্রি হয়। দলিল নং-১৮৮১।
যেভাবে পরিশোধ করা হয় জমির মূল্য
ফারইস্ট ইসলামী লাইফের কাছে জমি বিক্রি করেন আজাহার খান এবং সোহেল খান। তবে জমির মূল্য বাবদ ১৮১ কোটি ৫০ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয় আজাহার খানের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান মিথিলা টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিজের নামে পরিচালিত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। যার মধ্যে জমি ক্রয়ের অগ্রিম বাবদ ৪ মার্চ ২০১৪ সালে পরিশোধ করা হয় ৭৫ কোটি টাকা। জমি রেজিস্ট্রির দিন (১৬ মার্চ ২০১৪) পরিশোধ করা হয় ১০৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এর মধ্যে মিথিলা টেক্সটাইলের ইউনিয়ন ব্যাংক গুলশান শাখায় জমা হয় ১৬৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা। আর এনসিসি ব্যাংক উত্তরা শাখার অ্যাকাউন্টে জমা হয় ১৩ কোটি টাকা।
এছাড়াও ফারইস্ট ইসলামী লাইফের নামে পরিচালিত দুটি ব্যাংক থেকে চেক দিয়ে নগদ তোলা হয় মোট ২১ কোটি ৬১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। এর মধ্যে ইসলামী ব্যাংক কারওয়ানবাজার শাখা থেকে তোলা হয় ৯ কোটি ৭৫ লাখ টাকা এবং শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক কারওয়ানবাজার থেকে তোলা হয় ১১ কোটি ৮৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা। এছাড়া সোনালী ব্যাংক বরাবর একটি পে-অর্ডার দিয়ে ২০ কোটি টাকা তোলা হয় ফারইস্ট ইসলামী লাইফের ইউনিয়ন ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে। এই টাকা তোলা হয় জমি রেজিস্ট্রি, স্ট্যাম্প ও অন্যান্য খরচ বাবদ।
জমি ক্রয়-বিক্রয়ে, নজরুল-খালেক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা কে কত নেন?
ফারইস্ট ইসলামী লাইফের জমি ক্রয়ের ক্ষেত্রে কোম্পানিটির সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী তাসলিমা ইসলাম এবং সাবেক পরিচালক এম এ খালেক ও তার স্ত্রী সাবিহা খালেক ও মেয়ে সারওয়াৎ খালেদ সিমিন মোট ৪৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। এর মধ্যে নজরুল ইসলাম আত্মসাৎ করেন ৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা এবং তার স্ত্রী তাসলীমা ইসলাম আত্মসাৎ করেন ১০ কোটি টাকা। আর এম এ খালেক নেন ১৫ কোটি টাকা, তার স্ত্রী সাবিহা খালেক ২ কোটি ৬২ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং কন্যা সারওয়াৎ খালেদ সিমিন নেন ৭ কোটি ৮৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
তথ্য ছাড়াই এফডিআর করে আত্মসাৎ ২০ কোটি টাকা
মিথিলা টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিজের ইউনিয়ন ব্যাংক গুলশান শাখায় জমির মূল্য পরিশোধ বাবদ মোট জমা হয় ১৬৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ওই টাকা থেকে ২০ কোটি টাকা জমা হয় সাউথ ইস্ট ব্যাংকের কামরাঙ্গির চর শাখায়। এই ২০ কোটি টাকার চেক দেন আজাহার খান। আজাহার খান সাউথ ইস্ট ব্যাংক কামরাঙ্গির চর শাখার নামে চেকটি দেন ২০১৪ সালের ১৬ মার্চ। এর তিন দিন পর (১৯ মার্চ) বিকাশের মাধ্যমে ব্যাংকটির সানড্রি ক্রেডিটর হিসাব নম্বরে এই টাকা জমা হয়।
এর পরদিন (২০ মার্চ) ব্যাংকটির ম্যানেজার এস এম মোর্শেদ ৬ জন ব্যক্তির নামে ৩ মাস মেয়াদি ৬টি এফডিআর করেন। এর মধ্যে এনায়েত হোসেনের নামে ৪ কোটি টাকা, শাহাদত হোসেন মল্লিকের নামে ৩ কোটি টাকা, আহমেদ করিম খানের নামে ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা, দেলোয়ার হোসেনের নামে ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা, সাইদুল ইসলামের নামে ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা এবং কামাল উদ্দিনের নামে ৩ কোটি টাকার এফডিআর হিসাব খোলা হয়। যার মধ্যে এনায়েত হোসেন, শাহাদত হোসেন মল্লিক ও আহমেদ করিম খানের নামে করা এফডিআর নগদায়ন করে সুদসহ মোট ১০ কোটি ৩৩ লাখ ৫৯ হাজার ২১৮ টাকা নেন এম এ খালেক। ২০১৪ সালের ২৪ জুন এই টাকা এম এ খালেকের সাউথ-ইস্ট ব্যাংক কামরাঙ্গির চর শাখায় তার নামে পরিচালিত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হয়।
এছাড়া দেলোয়ার হোসেন, সাইদুল ইসলাম ও কামাল উদ্দিনের এফডিআর নগদায়ন করে সুদসহ মোট ১১ কোটি ৩২ লাখ ৮৬ হাজার ৬০৩ টাকা নেন ফারইস্ট ইসলামী লাইফের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের স্ত্রী তসলিমা ইসলাম। ওয়ান ব্যাংকের দিলকুশা বাণিজ্যিক শাখায় তসলিমার ব্যাকং অ্যাকাউন্টে এই টাকা জমা হয় তিনটি পে-অর্ডারের মাধ্যমে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, এই ছয়জন গ্রাহকের হিসাব খোলার ফর্মগুলো সঠিকভাবে পূরণ করা হয়নি। ৬টি হিসাবের কোনোটিতেই সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের ছবি নেই। এ ছয়টি হিসাব খোলার ফরমে ইনট্রোডিউসার’র কোনো তথ্য নেই, কেওয়াইসি ফরম সম্পূর্ণ ফাঁকা বা কোনো তথ্য নেই। ফরম ফর রিপোর্টিং এসবিএস-২ এবং এসবিএস-৩ রিটার্ণ সম্পূর্ণ ফাঁকা। অর্থের উৎস সম্পর্কে কোনো তথ্য নেই। শুধু গ্রাহকের এনআইডি’র ফটোকপি সংযোজন করা হয়।
সাপ্লায়ার পেমেন্ট দেখিয়ে আত্মসাৎ ২৫ কোটি টাকা
মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, ২০১৫ সালের ২৪ মার্চ মিথিলা টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিজের ইউনিয়ন ব্যাংক গুলশান শাখার অ্যাকাউন্টে সাপ্লায়ার পেমেন্ট হিসেবে জমা হয় ২৫ কোটি টাকা। এই ২৫ কোটি টাকা থেকে মিথিলা টেক্সটাইলের চেয়ারম্যান আহাজার খান ওই দিনই দু’টি পে-অর্ডারের মাধ্যমে এম এ খালেককে দেন ৫ কোটি টাকা। এই টাকা জমা হয় এম এ খালেকের সাউথ-ইস্ট ব্যাংক গুলশান শাখার দু’টি অ্যাকাউন্টে।
এছাড়াও একই তারিখে আরও দুটি পে-অর্ডারের মাধ্যমে এম এ খালেকের স্ত্রী সাবিহা খালেককে ২ কোটি ৬২ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং মেয়ে সারওয়াৎ খালেদ সিমিনকে ৭ কোটি ৮৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেন আহাজার খান। সাবিহা খালেক এবং সারওয়াৎ খালেদ সিমিনের টাকা জমা হয় প্রাইম ব্যাংকের এলিফ্যান্ট রোড শাখায় তাদের নিজ নিজ অ্যাকাউন্টে।
অপরদিকে, মিথিলা টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিজের অ্যাকাউন্টে সাপ্লায়ার পেমেন্ট হিসেবে জমা হওয়া ওই ২৫ কোটি টাকা থেকে নজরুল ইসলাম ও তার স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে দেওয়া হয় মোট ৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এর মধ্যে- ২০১৫ সালের ২৪ মার্চ পে-অর্ডারের মাধ্যমে ৩ কোটি ২০ লাখ টাকা নজরুল ইসলামের ওয়ান ব্যাংকে প্রধান শাখায় তার অ্যাকাউন্টে দেন আজাহার খান। মিথিলা টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিজের একই অ্যাকাউন্ট থেকে একই দিনে নজরুল ইসলামের স্ত্রী তাসলিমা ইসলামের ওয়ান ব্যাংক মতিঝিল শাখার অ্যাকাউন্ট পে-অর্ডারের মাধ্যমে দেওয়া হয় ৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
দুদকের মামলায় আরও যারা আসামি
নজরুল ইসলাম ও এম এ খালেকের পরিবারের সদস্য ছাড়াও ফারইস্ট ইসলামী লাইফের ১৩ পরিচালককে আসামি করার পাশাপাশি মিথিলা টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিজ, সাউথ-ইস্ট ব্যাংক কামরাঙ্গীর চর শাখা এবং বিমা কোম্পানিটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আসামি করা হয় দুদকের এ মামলায়। তারা হলেন, ফারইস্ট ইসলামী লাইফের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেমায়েত উল্লাহ, কোম্পানি সেক্রেটারি সৈয়দ আব্দুল আজিজ, রিয়েল এস্টেট ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্টের ইনচার্জ ইঞ্জিনিয়ার আমির মো. ইব্রাহিম, সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের স্ত্রী তাসলিমা ইসলাম, এম এ খালেকের স্ত্রী সাবিহা খালেক ও মেয়ে সারওয়াহ খালেদ সিমিন।
এছাড়াও মিথিলা টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান আজহার খান ও প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক সোহেল খান, সাউথ-ইস্ট ব্যাংক কামরাঙ্গীরচর শাখার সাবেক এক্সিকিউটিভ অফিসার গোলাম কিবরিয়া এবং ব্যাংকটির একই শাখার সাবেক ম্যানেজার এস এম মোর্শেদকে এই মামলায় আসামি করা হয়।
পরিচালকদের আসামি করার বিষয়ে যা বলা হয়েছে আইনে
বিমা আইন ২০১০ এর ১৩৬(২) ধারা অনুযায়ী, কোনো বিমাকারীর অর্থ বা সম্পত্তি অবৈধভাবে আত্মসাৎ হলে পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরাও দায়ী হবেন, যদি না তারা প্রমাণ করতে পারেন যে, অর্থ বা সম্পত্তি রক্ষায় তারা সব ধরনের যৌক্তিক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। এছাড়া ১৩৫ ধারা অনুযায়ী, কোনো পরিচালক বা কর্মকর্তা অন্যায়ভাবে কোম্পানির সম্পদ অর্জন বা দখলে রাখলে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড এবং সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। এই আইনি ধারাগুলোর ওপর ভিত্তি করেই মামলাটি করা হয়েছে।
লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির লাইফ ফান্ডের অর্থ অবৈধভাবে দখলে রাখা, তছরুপ করা কিংবা অন্য কোনো উপায়ে হস্তগত করা হলে অর্থ আত্মসাতের সময়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরাও অভিযুক্ত হবেন বলে উল্লেখ করা হয় বিমা আইনে।