রাজনীতি
নতুন ষড়যন্ত্রে নির্বাচন বর্জনকারীরা: কাদের

নির্বাচন বর্জনকারীরা এখনো পিছু হটেননি, তারা নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে নতুন মন্ত্রিপরিষদের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি৷
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন বর্জনকারীরা এখনো কিছু হটেননি। আজকে তারা নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন। এ সরকার যেন থাকতে না পারে। তারা আশা করছেন কম্বোডিয়ার মতো নিষেধাজ্ঞা দেশে আসবে। কিন্তু শেখ হাসিনা ভিসা বিধি নিষেধের কোনো পরোয়া করেন না।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ রাজনীতিকে রাজনীতি দিয়েই মোকাবিলা করতে চায়। কিন্তু বিরোধীরা রাজনীতিতে সহিংসতা ও সন্ত্রাসের উপাদান যুক্ত করলে যা করণীয় সবই করা হবে।

রাজনীতি
জুলাই সনদ সই অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে আমন্ত্রণ

জাতীয় জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানাতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের নেতারা রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। বুধবার (১৬ অক্টোবর) রাত ৮টা থেকে ৮টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত এই সাক্ষাৎ হয়।
কমিশনের পক্ষ থেকে সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার ও মনির হায়দার চৌধুরী বিএনপি চেয়ারপারসনের হাতে আমন্ত্রণপত্র তুলে দেন। তারা কমিশনের সভাপতি ও সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষ থেকে এই আমন্ত্রণ জানান।
এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. এ জেড এম জাহিদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাৎ শেষে ড. বদিউল আলম মজুমদার সাংবাদিকদের বলেন, ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়ার কাছে আমন্ত্রণ জানাতে এসেছি। তিনি তার শারীরিক সুস্থতা কামনা করেছেন। খালেদা জিয়া এ দাওয়াতে আনন্দিত হয়েছেন। শুক্রবারের জাতীয় জুলাই সনদ স্বাক্ষর বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট।
মনির হায়দার চৌধুরী বলেন, আমরা আশা করি সব রাজনৈতিক দলই এতে অংশ নেবে। খালেদা জিয়া অংশগ্রহণ করুক বা না করুক, তাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ড. ইউনূস বিশেষ নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি এ সনদ স্বাক্ষরের সাফল্য কামনা করেন। কমিশন এখনই কোনো নেতিবাচক চিন্তা করতে চায় না।
তিনি আরও জানান, বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বর্তমানে দেশের বাইরে থাকায় তার আমন্ত্রণপত্র চেয়ারপারসনের একান্ত সচিবের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
রাজনীতি
সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে এনসিপি

জুলাই সনদসহ সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর বাংলামোটরের অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হবে।
এনসিপির মিডিয়া সেলের সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্য সচিব আখতার হোসেনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত থাকবেন।
রাজনীতি
জুলাই সনদ ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে চাঁদাবাজি বন্ধ হবে: ড. হেলাল

জুলাই সনদের ভিত্তিতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে দেশে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস ও দুর্নীতির পথ বন্ধ হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা–৮ আসনের মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন।
তিনি বলেন, একটি দল জানে, পিআর পদ্ধতির নির্বাচন হলে তাদের অবৈধ রাজনীতি টিকবে না- তাই তারা গণভোট এড়াতে নানানভাবে ষড়যন্ত্র করছে।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে ঢাকা–৮ সংসদীয় এলাকার ট্রেড ও সমিতির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, জাতীয় স্বার্থে নভেম্বরে জুলাই সনদের গণভোট এবং আগামী ফেব্রুয়ারিতে পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা জরুরি। যদি সরকার নভেম্বরের মধ্যে গণভোট না দিয়ে নির্বাচনের দিনেই তা আয়োজন করে, তবে প্রমাণিত হবে সরকার একটি দলের নিয়ন্ত্রণে আছে।
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নেওয়া হবে। কোনো এমপি বা মন্ত্রী সরকারি প্লট, ফ্ল্যাট বা ট্যাক্সবিহীন গাড়ি নেবে না। উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা এমপিদের হাতে যাবে না- বরং কাজ শেষে জনগণের সামনে হিসাব দিতে হবে।
ড. হেলাল উদ্দিন ব্যবসায়ী সমাজের উদ্দেশ্যে বলেন, জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে কোনো ব্যবসায়ীকে এক টাকাও চাঁদা দিতে হবে না। ঘুষ-দুর্নীতি মুক্ত প্রশাসন, যাকাতভিত্তিক অর্থনীতি ও সুদমুক্ত সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। শ্রমিকদের ন্যায্য বেতন ও মর্যাদা নিশ্চিত করা হবে। কেউ আর অধিকার আদায়ে রাজপথে নামতে বাধ্য হবে না।
তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গঠনে আল্লাহভীরু, সৎ ও নৈতিক নেতৃত্ব ছাড়া বিকল্প নেই। তাই দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ রাজনীতিবিদদের বয়কট করে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বকে ক্ষমতায় আনতে হবে।
ঢাকা–৮ আসনের জনগণ তাকে সুযোগ দিলে এই অঞ্চলকে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও মাদকমুক্ত শান্তির নগরী হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি এবং ঢাকা–৮ আসনে নির্বাচন পরিচালক মুহাম্মদ শামছুর রহমান। পরিচালনা করেন পল্টন থানা আমীর ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব শাহীন আহমেদ খান।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য ও শাহজাহানপুর পূর্ব থানা আমীর মাওলানা শরিফুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার খন্দকার আব্দুর বর এবং বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি সোহেল রানা মিঠু।
অনুষ্ঠানে ঢাকা–৮ আসনের জামায়াতে ইসলামীর সব সাংগঠনিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
রাজনীতি
জোটের বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি: সারজিস আলম

আগামী নির্বাচনে এনসিপি এককভাবে অথবা জোটগতভাবে অংশ্রগহণ করতে পারে বলে জানিয়েছেন দলটির উত্তরাঞ্চলের মূখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তবে জোটগতভাবে অংশ নিলেও শাপলা প্রতীকে নির্বাচনে করার আশা করেন তিনি।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে জামালপুর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এনসিপির জেলা ও উপজেলা কমিটির সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।
শাপলা প্রতীক দিতে আইনগত বাধা না থাকার কথা জানিয়ে সারজিস আলম বলেন, প্রতীকটি তালিকাভুক্ত করার কাজ ছিল নির্বাচন কমিশনের। কমিশন চাইলে আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তালিকা সংশোধন করতে পারে বলে জানান সারজিস। এছাড়া এনসিপি উচ্চ কক্ষে পিআর-এর পক্ষে থাকলেও নিম্নকক্ষে পিআর-এর পক্ষে নয় বলেও জানান তিনি।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আইনগত ভিত্তি, বাস্তবতা ও ডিসেম্বরের মধ্যে গণহত্যার বিচার পেলে আগামী নির্বাচনে কোনো বাধা নেই বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি। এরপরও ভারত বা অন্য কোনো এজেন্ট নির্বাচনে বাধা দিলে তা কাজে আসবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন সারিজস আলম।
এনসিপিকে কিংস পার্টি বলার প্রতিবাদে বিএনপির প্রতিষ্ঠা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সারজিস আলম। এছাড়া চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশি কোম্পানির কাছে রক্ষণাবেক্ষণের দ্বায়িত্ব দেওয়ার প্রাসঙ্গিতা আছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন সিন্ডিকেটের কারণে যে প্রতিষ্ঠান থেকে যতটুকু প্রাপ্তি আসার কথা তা আসছে না। সেই জায়গা থেকে দেশের স্বার্থে এমন সিদ্ধান্ত সবার নেওয়ার স্বাধীনতা থাকবে বলে জানান তিনি।
এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব ও জামালপুর জেলার প্রধান সমন্বয়ক লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে এনসিপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (ময়মনসিংহ) আশিকিন আলমসহ দলীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও সমন্বয় সভায় জামালপুর জেলার ৭ উপজেলা থেকে নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
এসময় বক্তারা বলেন- বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে এনসিপি একটি শক্তিশালী বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। তৃণমূল থেকে শুরু করে কেন্দ্র পর্যন্ত সংগঠনকে আরও ঐক্যবদ্ধ ও গতিশীল করে তুলতে হবে।
রাজনীতি
জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে এক বছরেই দেশ ঘুরে দাঁড়াবে: ড. হেলাল উদ্দিন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর, ঢাকা-৮ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে এক বছরেই দেশ ঘুরে দাঁড়াবে। জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজ দমনের মাধ্যমে দেশেকে সমৃদ্ধশালী করে তোলা হবে। আমীরে জামায়াত ইতোমধ্যে জাতির সামনে ঘোষণা দিয়েছেন জনগণ জামায়াতে ইসলামীকে সরকার গঠনের সুযোগ দিলে জামায়াতের দলীয় কোনো এমপি-কোনো মন্ত্রী ট্যাক্স ফ্রি গাড়ি নেবে না, কোনো এমপি-কোনো মন্ত্রী সরকারি প্লট বা ফ্ল্যাট নেবে না, কোনো এমপি-কোনো মন্ত্রী নিজ হাতে রাষ্ট্রীয় টাকা চালাচালি করবে না। কোনো উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য যেই বরাদ্দ দেওয়া হবে কাজ শেষে বরাদ্দকৃত টাকার হিসাব জনগণের সামনে তুলে ধরবে। জনগণের হিসাব জনগণ বুঝিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে জামায়াতে ইসলামী জবাবদিহি মূলক সরকার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা জবাবদিহি মূলক সরকার কখনো ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠতে পারে না। জামায়াতে ইসলামী বৈষ্যম্যহীন সুখি-সমৃদ্ধ একটি কল্যাণ ও মানবিক রাষ্ট্র জাতিকে উপহার দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
শনিবার (১১ অক্টোবর) ঢাকা-৮ সংসদীয় এলাকার রমনা থানার আলেমেদ্বীন, মসজিদের খতিব ও ইমামদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি ঢাকা-৮ সংসদীয় এলাকা থেকে দুর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ মুক্ত করে এই এলাকাকে শান্তির নীড় হিসেবে গড়ে তুলতে স্থানীয়দের ঐক্যবদ্ধ করতে আলেমসমাজের সহযোগিতা ও সমর্থন কামনা করেন। আলেমদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসনামলে আলেমগণ কুরআন ও হাদীসের কথা বলতে পারেনি। তাদের কন্ঠরোধ করা হয়েছে। জুলুম-নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। ছাত্র-জনতার মাধ্যমে আল্লাহ ফ্যাসিবাদের পতনের মাধ্যমে কথা বলার স্বাধীনতা ও পরিবেশ সৃষ্টি করে দিয়েছেন। কিন্তু একটি দল সেই স্বাধীনতা ও পরিবেশ নষ্ট করছে। ৫ আগস্ট পরবর্তী ঐ দলের নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগের ভূমিকা আর্বিভূত হয়েছে। তারা আলেমদের কন্ঠরোধ করতে চায়, আলেমদের মসজিদ থেকে বের করে দিতে চায়। এরা ক্ষমতায় বসলে আওয়ামী লীগের চেয়েও ভয়াবহ পরিস্থিত সৃষ্টি করবে।
ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, জুলাই সনদ মানুষের মুক্তির সনদ, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের সনদ। তাই জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির বিকল্প নেই। পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পিআর পদ্ধতি হচ্ছে প্রতিটি ভোটের মূল্যায়ন করার উত্তম পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে ভোট হলে লাখ-লাখ ভোট পঁচে চাওয়ার সুযোগ নেই। প্রতিটি ভোটের যথাযথ হিসাব হবে। যেখানে চলমান পদ্ধতিতে একজন প্রার্থী ১ লাখ ভোট পেলে তার প্রতিদ্বন্দ্বী অপর প্রার্থী যদি ১ লাখ ১ ভোট পায়। তাহলে মাত্র ১ ভোট বেশি পাওয়া প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। অপর দিকে ১ লাখ ভোটারের মতামতের কোনো মূল্যায়ন হয় না। ঐ ১ লাখ ভোট বাতিল হয়ে যায়। এই ব্যবস্থায় কখনো জনগণের সরকার গঠিত হয়নি, হতে পারে না। পিআর পদ্ধতির মাধ্যমেই জনগণের সরকার গঠিত হয়, হওয়া সম্ভব। তাই জুলাই সনদে পিআর পদ্ধতির প্রস্তাব রেখে গণভোটের আয়োজনের দাবি জানান ড. হেলাল উদ্দিন। তিনি বলেন, গণভোটে জনগণ যেই রায় দিবে জামায়াতে ইসলামী সেই রায় মেনে নেবে।
তিনি আরও বলেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সকলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চতকরণ’, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা’, এবং ‘স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ’ করা না হলে আবারও ফ্যাসিবাদে উত্থান ঘটবে। জামায়াতে ইসলামীর উত্থাপিত ৫ দফা দাবি বাস্তবায়ন হলে জনগণের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জাতিকে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিবে বলে জাতি বিশ্বাস করে। ঐ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ গড়তে ইনসাফ ও ন্যায়ের প্রতীক দাঁড়িপাল্লায় সমর্থন দিতে তিনি ঢাকা-৮ সংসদীয় এলাকার আলেম-ওলামাদের প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রমনা থানা আমীর মো. আতিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বিশেষ আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন মতিঝিল মিসবাহুল উমুল কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ ড. মহিউদ্দিন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য ও ওলামা বিভাগের সভাপতি অধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী প্রচার সম্পাদক ও ঢাকা সিটি করর্পোরেশনের ১৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুস সাত্তার সুমন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ফরচুন মার্কেট জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা সোহায়ল জামিল, হাফেজ মাওলানা সাইদুর রহমান, মুসলিম উদ্দিন মাদরাসার পরিচালক মুফতি আবু সুফিয়ান সিরাজী, সবজি বাগান জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা নজরুল ইসলাম প্রমুখ।