জাতীয়
মোদির ব্যক্তিগত চিঠি তারেক রহমানের কাছে পৌঁছে দিয়েছি: জয়শঙ্কর
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়ার দর্শন ও মূল্যবোধ আমাদের অংশীদারিত্বের উন্নয়নে দিকনির্দেশ করবে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে ফেসবুকে এক পোস্টে এ কথা বলেন জয়শঙ্কর।
জয়শঙ্কর ফেসবুকে লিখেছেন, ঢাকা পৌঁছানোর পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সন্তান তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি ব্যক্তিগত চিঠি তার কাছে পৌঁছে দিয়েছি। ভারত সরকার এবং জনগণের পক্ষ থেকে গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছি।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও লিখেছেন, আমার বিশ্বাস বেগম খালেদা জিয়ার দর্শন ও মূল্যবোধ আমাদের অংশীদারিত্বের উন্নয়নে দিকনির্দেশ করবে।
খালেদা জিয়াকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে কয়েক ঘণ্টার সংক্ষিপ্ত সফরে আজ দুপুরে ঢাকায় আসেন জয়শঙ্কর। তিনি বিকালে ঢাকা ত্যাগ করার কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জয়শঙ্করই প্রথম ভারতীয় মন্ত্রী, যিনি ঢাকায় এলেন।
এমকে
জাতীয়
নতুন বছরে সাম্য ও ন্যায়ভিত্তিক বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তুলব: প্রধান উপদেষ্টা
ইংরেজি নববর্ষ ২০২৬ উপলক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস দেশে ও বিদেশে বসবাসরত সকল বাংলাদেশিসহ সমগ্র বিশ্ববাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
‘ইংরেজি নববর্ষ’ উপলক্ষে বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ শুভেচ্ছা জানান।
ড. ইউনূস বলেন, নতুন বছরে আরও জোরদার হোক সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন। নতুন বছর সকলের জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি। সবাইকে শুভ নববর্ষ।
তিনি বলেন, নববর্ষ মানেই নতুন স্বপ্ন, নতুন আশা ও নতুন সম্ভাবনার সূচনা। নতুনের এ আগমনি বার্তা আমাদের উদ্বেলিত করে। সব গ্লানি ভুলে সুন্দর আগামীর পথচলার জন্য যোগায় নবোদ্যম ও অনুপ্রেরণা।
একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে আমরা সবাই দেশকে ভালোবেসে মানুষের কল্যাণে সর্বশক্তি নিয়োগ করবো এমন আশা প্রকাশ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নতুন বছরে সকল চ্যালেঞ্জ একসাথে মোকাবিলা করে একটি সাম্য ও ন্যায়ভিত্তিক বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তুলব।
তিনি বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে নতুন বছর আমাদের জাতীয় জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ত্রুটিপূর্ণ রাষ্ট্রব্যবস্থাকে মেরামত করে গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে যে যাত্রা আমরা শুরু করেছি, নতুন বছরে একটি জাতীয় নির্বাচন ও জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের ওপর গণভোট আয়োজনের মধ্য দিয়ে তা পূর্ণতা পাবে বলে আমরা আশা করছি।
বাণীতে তিনি আরও বলেন, সকল ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করে এ নির্বাচন ও গণভোট আমাদের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে আরও বেগবান করবে-নতুন বছরে এটিই আমাদের সবচেয়ে বড় প্রত্যাশা।
এমকে
জাতীয়
খালেদা জিয়ার জানাজায় ৩২ দেশের কূটনীতিকদের উপস্থিতি
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় ৩২ দেশের কূটনৈতিক প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। বিএনপির মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিএনপির মিডিয়া সেল জানায়, রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত জানাজায় বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার ও কূটনৈতিক মিশনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। তারা বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন।
বুধবার দুপুর ৩টার পরপরই জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় খালেদা জিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররমের খতিব। তার আগে শুধু মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ নয়, আশ পাশের কয়েক কিলোমিটারজুড়ে মানুষ অবস্থান নেয় জানাজায় অংশ নিতে। জায়গা না পেয়ে মেট্রোরেল স্টেশন, আশপাশের বাসা-বাড়ির ছাদ থেকেও জানাজায় অংশ নিতে দেখা যায় অনেককে।
এমকে
জাতীয়
সন্ধ্যা ৭টা থেকে মেট্রোরেলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন বন্ধ
র্টি ফার্স্ট নাইটের আগে বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা থেকে মেট্রোরেলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন বন্ধ থাকবে।
মেট্রোরেল পরিচালনাকারী সংস্থা ডিএমটিসিএল জানায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুরোধে আজ ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টা থেকে আজকের মেট্রোরেল অপারেশনের অবশিষ্ট সময় পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেট্রোরেল স্টেশন বন্ধ থাকবে।
এমকে
জাতীয়
খালেদা জিয়ার কফিন কাঁধে তুলে নিলেন আজহারি
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। জানাজায় লাখ লাখ মানুষ অংশ নেন।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজা শেষে খালেদা জিয়ার কফিন কাঁধে তুলে নিতে দেখা যায় জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারিকে।
জানাজা পড়ান জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেক। জানাজায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী, তিন বাহিনীর প্রধান, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা, বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূতরা, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও শীর্ষ নেতারা এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের আশপাশ, বিজয় সরণি, খামার বাড়ি, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, শাহবাগ, মোহাম্মদপুর পর্যন্ত লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে। যে যেখানে পারেন সেখানেই দাঁড়িয়ে জানাজায় যোগ দিয়েছেন। জানাজার আগে বেগম জিয়ার দীর্ঘ জীবন নিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
এর আগে, বুধবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়ার মরদেহ জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় নেওয়া হয়। তাকে বহন করা হয়েছে লাল-সবুজ রঙের জাতীয় পতাকায় মোড়ানো একটি ফ্রিজার ভ্যানে। সেনাবাহিনী হিউম্যান চেইন তৈরি করে রাষ্ট্রীয় প্রোটোকলে তার মরদেহ সেখানে আনা হয়।
এমকে
জাতীয়
রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জিয়াউর রহমানের পাশে সমাহিত খালেদা জিয়া
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ বুধবার বিকেলে জানাজা শেষে তাকে রাজধানীর জিয়া উদ্যানে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও তার স্বামী জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়।
খালেদা জিয়ার কবরে সবার আগে নামেন তার বড় ছেলে ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। নিজ হাতে তিনি তার মাকে কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত করেন। এদিন বিকেল সোয়া ৪টার জিয়া উদ্যানে প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে খালেদা জিয়াকে শায়িত করার কাজ শুরু হয়। এসময় তারেক রহমানকে কবরে নেমে যেতে দেখা যায়। মাকে কবরে শায়িত করে সাড়ে ৪টার কিছুক্ষণ পর তিনি উঠে আসেন।
এর আগে বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা, বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, কূটনীতিক, বিশিষ্ট ব্যক্তিসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেন।
জানাজা শেষে মরদেহ দাফনের জন্য নেওয়া হয় জিয়া উদ্যানে। এ সময় সড়কের দুপাশে অসংখ্য মানুষ দাঁড়িয়ে প্রিয় নেত্রীকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। সেসময় পুরো এলাকাজুড়ে শোক ও নীরবতার আবহ বিরাজ করে।
দাফন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবীরা দায়িত্ব পালন করেন। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এলাকায় নেওয়া হয় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে খালেদা জিয়া দেশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তার দাফনের মধ্য দিয়ে এক বর্ণাঢ্য ও ঘটনাবহুল রাজনৈতিক অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি ঘটলো।




