জাতীয়
বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের শোক
তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতীক ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এই শোক বার্তা দেয়া হয়। বার্তায় বলা হয়, ‘বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আমরা বাংলাদেশের জনগণের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’
মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বেগম খালেদা জিয়া। বিএনপির মিডিয়া সেল থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
এর আগে, গত ২৩ নভেম্বর ফুসফুসের সংক্রমণ থেকে শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বেগম জিয়া। এরপর দেখা দেয় নিউমোনিয়া, সঙ্গে কিডনি, লিভার, আর্থ্রাইটিস ও ডায়াবেটিসের পুরোনো সমস্যা। এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তির পর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিউ) রাখা হয়েছিল তাকে।
এমকে
জাতীয়
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে অর্থ উপদেষ্টার শোক
সাবেক প্রধানমন্ত্রী, প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ইন্তেকালে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন অর্থ মন্ত্রণালয় এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক শোকবার্তায় তিনি এই সমবেদনা জানান।
উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের এক দীর্ঘকালীন ও প্রভাবশালী নেতৃত্বের প্রতীক। রাষ্ট্র পরিচালনার বিভিন্ন পর্যায়ে তিনি গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। রাজনৈতিক প্রতিকূলতা ও চ্যালেঞ্জের মধ্যেও তাঁর নেতৃত্ব ও অবস্থান দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি স্বতন্ত্র ও স্মরণীয় অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকবে।
রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনে বেগম খালেদা জিয়ার ভূমিকার কথা স্মরণ করে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে বেগম খালেদা জিয়া সততা, দৃঢ়তা ও দায়িত্ববোধের পরিচয় দিয়েছেন। জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তার সিদ্ধান্ত ও অবস্থান দেশের রাজনৈতিক অগ্রযাত্রায় একটি তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব রেখে গেছে।
উপদেষ্টা তার শোকবার্তায় উল্লেখ করেন, বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এক অপূরণীয় শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে। তিনি মরহুমার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, বিএনপি নেতাকর্মী ও তাঁর অসংখ্য অনুসারীর প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন রাজনীতিতে ‘আপসহীন নেত্রী’ হিসেবে পরিচিত বেগম খালেদা জিয়া। দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসারত অবস্থায় দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসনের এই প্রয়াণে দেশের রাজনীতিতে নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া। বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যু শুধু একটি রাজনৈতিক অধ্যায়ের সমাপ্তি নয়, বরং একটি যুগের অবসান। গণতন্ত্র, জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও জনগণের অধিকার রক্ষার সংগ্রামে তিনি ছিলেন দৃঢ় ও আপসহীন এক নেত্রী। এই রাজনীতিকের চলে যাওয়ায় রাজনীতির ময়দান হারালো এক শক্তিশালী ও প্রভাবশালী কণ্ঠস্বর।
জাতীয়
পোস্টাল ভোটে নিবন্ধনের সময় বাড়লো
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপে নিবন্ধনের সময়সীমা বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত এ অ্যাপে নিবন্ধন করা যাবে।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার পর এক প্রেসব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। তিনি বলেন, প্রবাসী ভোটার এবং দেশের অভ্যন্তরের নির্ধারিত তিন ক্যাটাগরির অনেক ভোটার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারছেন না।
আখতার আহমেদ বলেন, ‘৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যে সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল, তার মধ্যে অনেকেই নিবন্ধন শেষ করতে পারেননি। এ কারণে বিভিন্ন দিক থেকে সময় বাড়ানোর অনুরোধ আসছিল। বিষয়টি বিবেচনা করে কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে আগামী ৫ জানুয়ারি মধ্যরাত পর্যন্ত নিবন্ধনের সুযোগ রাখা হবে। এরপর আর সময় বাড়ানোর সুযোগ থাকবে না।’
এর আগে পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপে নিবন্ধনের সময়সীমা প্রথমে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছিল। পরে তা বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর করা হয়। এবার দ্বিতীয় দফায় সময় বাড়িয়ে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত করা হলো।
জাতীয়
খালেদা জিয়ার জানাজা: ঢাকায় আসছেন ভারত-পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপি চেয়ারপার্সন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় যোগ দিতে আগামীকাল বুধবার ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। এছাড়াও বিএনপি চেয়ারপার্সনের শ্রদ্ধা জানাতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও ঢাকায় আসছেন।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশন ও ভারতীয় হাইকমিশনের পৃথক সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এছাড়া ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং মালদ্বীপ সরকারের উচ্চ পর্যায়ে প্রতিনিধির আসবেন বলেও জানা গেছে।
এরআগে বাংলাদেশের বৃহত্তর রাজনৈতিক দল বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ এবং প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি।
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট করেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। পোস্টে বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে খালেদা জিয়ার অবদানের কথা উল্লেখের পাশাপাশি ২০১৫ সালে তার সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়েও স্মরণ করেছেন তিনি।
এদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামীকাল (বুধবার) দুপুর ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তাকে দাফন করা হবে স্বামী শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের ঠিক পাশে।
উল্লেখ্য, তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরেই জটিল রোগে আক্রান্ত ছিলেন। এক মাসের বেশি সময় ধরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দিন কাটছিল তাঁর। অবশেষে সব প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে আজ মঙ্গলবার ভোর ৬টায় তিনি শেখ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
জাতীয়
এমন নিখাদ দেশপ্রেমিক নেত্রীর শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়: প্রধান উপদেষ্টা
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে তিনি বলেন, এমন একজন নিখাদ দেশপ্রেমিক নেত্রীর শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়।
মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ও তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। ২৩ নভেম্বর থেকেই রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
তার মৃত্যু উপলক্ষে মঙ্গলবার দুপুরে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তার মৃত্যুতে জাতির পক্ষ থেকে আমি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি। খালেদা জিয়া ছিলেন বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক মহিমান্বিত ব্যক্তিত্ব। দেশ ও জাতির প্রতি তার সমুজ্জল অবদান জাতি চিরদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।
তিনি আরও বলেন, এমন একজন নিখাদ দেশপ্রেমিক নেত্রীর শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়। শোকের এই সময়ে কেউ যেন অস্থিতিশীলতা ও নাশকতার অপচেষ্টা চালাতে না পারে। প্রিয় দেশবাসী, খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আমি তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক এবং আগামীকাল তার জানাজার দিনে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করছি।
এমকে
জাতীয়
খালেদা জিয়ার মৃত্যুর পেছনে শেখ হাসিনার দায় আছে: আসিফ নজরুল
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, ওনাকে জেলখানায় বিভিন্ন সময় যেভাবে নির্যাতন করা হয়েছিল, ওনাকে আমরা হয়তো এত তাড়াতাড়ি হারাতাম না। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, বেগম জিয়ার এই মৃত্যুর পেছনে ফ্যাসিস্ট যে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শেখ হাসিনা এবং ওনার যে সরকার ছিল, অবশ্যই তার দায় রয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এসব কথা বলেন।
আসিফ নজরুল বলেন, ওনাকে একটা প্রহসনমূলক রায়ে জেলখানায় পাঠিয়ে অকথ্য নির্যাতন করা হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়াকে যেই মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে, এটা যে প্রহসনের একটা রায় ছিল, এটা যে একটা সম্পূর্ণ সাজানো রায় ছিল, এটা আমাদের সর্বোচ্চ আদালতের আপিল এবং রিভিউ এর মধ্যে দিয়ে প্রমাণিত। সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিলের ডিভিশনের রায়ের মধ্যে বারবার বলা হয়েছে যে, বেগম জিয়াকে যেই মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে, সেটা সম্পূর্ণ ভুলভাবে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে জিজ্ঞাংসাপ্রসূতভাবে ওনাকে সাজা দেওয়া হয়েছিল।
তিনি বলেন, আমরা আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে আপনারা সবাই লক্ষ্য করেছেন— আমাদের যা করার ছিল, প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মোহম্মদ ইউনুস— উনি ব্যক্তিগতভাবে সব সময় খোঁজখবর রেখেছেন, যা দরকার ছিল। ওনার যদি আবার বিদেশে পাঠানোর মতো অবস্থা থাকতো, অবশ্যই আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হতো। উনি ব্যক্তিগতভাবে এই জিনিসগুলো খোঁজখবর নিয়েছেন। আমাদের দুর্ভাগ্য আমরা হয়তো বেগম খালেদা জিয়াকে বছরখানেক বা বছর দুয়েক আগে যদি আমরা যদি পেতাম, হয়তো আমাদের পক্ষে কিছু একটা করা সম্ভব ছিল। আল্লাহর ইচ্ছা উনি চলে গেছেন। তবে আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় আনন্দের ব্যাপার হচ্ছে উনি সারাদেশের মানুষের সম্মান, শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা নিয়ে বিদায় নিয়েছেন।
এসময় উপদেষ্টা জানান, খালেদা জিয়ার জানাজা এবং দাফন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিরাপত্তা নিয়ে বৈঠক হবে। তিনি বলেন, আমরা চাই, এই আগামীকালের যে জানাজা এবং দাফন এটা যেন সুশৃঙ্খলভাবে অনুষ্ঠিত হয়। আপনারা সবাই সহযোগিতা করবেন। আপনারা গণমাধ্যম এই সৈরাচারী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর যেভাবে সরকারকে বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা করছেন, আমরা সত্যি কৃতজ্ঞ।
এমকে




