কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংকের শরী’আহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরী’আহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের শরী’আহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
সভায় ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন এবং শরী’আহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদসহ কাউন্সিলের অন্যান্য সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
কর্পোরেট সংবাদ
সর্বত্র ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দিচ্ছে ব্র্যাক ব্যাংকের ‘আস্থা’ অ্যাপ
আস্থা, উদ্ভাবন ও অন্তর্ভুক্তি— এই তিন ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের ‘আস্থা’ অ্যাপ হয়ে উঠেছে মানুষের দৈনন্দিন ব্যাংকিং প্রয়োজন পূরণের এক অনন্য প্ল্যাটফর্ম। সবার কাছে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে অ্যাপটি পেয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা।
এগার লাখেরও বেশি ব্যবহারকারী এবং মাসে ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেনের মাধ্যমে আস্থা অ্যাপ ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দিয়েছে বাংলাদেশের প্রতিটি প্রান্তের গ্রাহকের কাছে। অ্যাপটি ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে, যা সহজ, দ্রুত ও ঝামেলাহীন ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিতের পাশাপাশি নিশ্চিত করছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা।
‘আস্থা’ ডিজাইন করা হয়েছে সবার জন্য। কিউআরের মাধ্যমে পেমেন্ট নেওয়া ছোট শহরের মাইক্রো-মার্চেন্ট থেকে শুরু করে আর্থিক বিষয় নিয়ে কাজ করা ব্যস্ত পেশাজীবী— সবাই নিজ নিজ প্রয়োজনে সেবা নিতে পারেন ‘আস্থা’ অ্যাপ থেকে। আন্তঃব্যাংক ফান্ড ট্রান্সফার, ডিপিএস ও টার্ম ডিপোজিট ওপেনিং, ইনস্যুরেন্স পেমেন্ট, কার্ডবিহীন এটিএম উত্তোলন, কনজ্যুমার লোন, বাংলা কিউআর, ভিসা কার্ড ট্রান্সফার ও বিকাশ ইন্টিগ্রেশনসহ ১২০টিরও বেশি ফিচার ও সেবার সমন্বয়ে ‘আস্থা’ হয়ে উঠেছে প্রায় সব ধরনের আর্থিক প্রয়োজন পূরণের একক ও সুবিন্যস্ত পয়েন্ট। এই ব্যবহারবান্ধব ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম দেশে ক্যাশলেস অর্থনীতির দ্রুত প্রসার ঘটাচ্ছে।
এই পরিবর্তনের প্রমাণ মিলছে ‘আস্থা’ ব্যবহারের পরিসংখ্যানে। বর্তমানে ব্র্যাক ব্যাংকের মোট লেনদেনের প্রায় ৭১ শতাংশই সম্পন্ন হচ্ছে আস্থা অ্যাপের মাধ্যমে, যা ব্যাংকটির প্রতি গ্রাহক আস্থার সুস্পষ্ট প্রতিফলন। ‘আস্থা’র শক্তি কোনো একক ফিচারে নয়, বরং এর পুরো ইকোসিস্টেমই ‘আস্থা’র সক্ষমতাকে তুলে ধরে, যা জটিলতা দূর করে গ্রাহকদের জন্য ব্যাংকিং অভিজ্ঞতাকে করে তুলেছে সহজ ও উপভোগ্য। সাধারণ ফান্ড ট্রান্সফার থেকে শুরু করে দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক পরিকল্পনা— সব সেবাই পাওয়া যায় এই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে। দ্রুত, সহজ ও ঝামেলাহীন হওয়ায় ব্যাংকিংও হয়ে উঠেছে আরও স্মার্ট।
পেপারলেস প্রক্রিয়ায় আর্থিক অন্তর্ভুক্তির বিকাশেও ‘আস্থা’ ভূমিকা রাখছে। বর্তমানে নতুন খোলা রিটেইল অ্যাকাউন্টের ৯০ শতাংশই ই-কেওয়াইসির মাধ্যমে সম্পন্ন হচ্ছে। সকল রিটেইল গ্রাহক ও কার্ডহোল্ডার পাচ্ছেন ই-স্টেটমেন্ট, যেখানে দরকার হচ্ছে না প্রিন্টেড কপির। সকল কার্ড অ্যাক্টিভেশন সম্পন্ন হচ্ছে গ্রিন পিন ব্যবস্থার মাধ্যমে। ফলে, পুরোপুরি বন্ধ হয়েছে ফিজিক্যাল মেইলার। এই আধুনিক সেবার প্রভাবও কিন্তু লক্ষণীয়। ‘আস্থা’ ব্যবহারের মাধ্যমে প্রতিদিন ২ লাখেরও বেশি অ্যাকটিভ ইউজার আনুমানিক ৭.৫ থেকে ১০ লাখ মিনিটের ম্যানুয়াল সেবার সময় সাশ্রয় করছেন।
বিশ্বাস ও উদ্ভাবনই ‘আস্থা’র সিকিউরিটি ইনফ্রাস্ট্রাকচারের মূল চালিকাশক্তি। এনক্রিপ্টেড কানেকশন, বিহ্যাভিওরাল ফ্রড ডিটেকশন, ডিভাইস বাইন্ডিং এবং ২৪/৭ মনিটরিং ব্যবস্থা লাখো ব্যবহারকারীর জন্য নিশ্চিত করছে নিরাপদ ও সুরক্ষিত ব্যাংকিং সেবা। ডিজিটাল রিসিট, ইন-অ্যাপ কনফার্মেশন ও ই-স্টেটমেন্ট স্বচ্ছ অডিট ট্রেইল তৈরি করে, যা গ্রাহক সুবিধা নিশ্চিতের পাশাপাশি নির্ভরযোগ্যতাও নিশ্চিত করে।
দায়িত্বশীল ডিজিটাল ব্যবহারের বিষয়ে গ্রাহকদের সচেতন করতেও ব্র্যাক ব্যাংক নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করছে। ফলে, ‘আস্থা’ গ্রাহকদের পুরো ব্যাংকিং অভিজ্ঞতাকে দিচ্ছে এক নতুন রূপ।
ভবিষ্যৎ ব্যাংকিংয়ের বিষয়টি মাথায় রেখে ব্র্যাক ব্যাংক ‘আস্থা’কে করে তুলছে আরও বেশি ইন্টেলিজেন্ট, ব্যক্তিকেন্দ্রিক ও বহুমুখী প্ল্যাটফর্মবান্ধব। নতুন নতুন থার্ড-পার্টি ইন্টিগ্রেশন যুক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ‘আস্থা’ বিকশিত হচ্ছে একটি পূর্ণাঙ্গ ফাইন্যান্সিয়াল ও লাইফস্টাইল প্ল্যাটফর্ম হিসেবে। দেশে স্মার্ট, সহজ ও নিরাপদ ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি গ্রাহকদের নির্ভরতার প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে ‘আস্থা’ এগিয়ে যাচ্ছে।
‘আস্থা’ নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও তারেক রেফাত উল্লাহ খান বলেন, “আস্থার এই যাত্রা শুধু উদ্ভাবনের ফল নয়— এটি আরও স্মার্ট ব্যাংকিং সেবা উপভোগ করতে চাওয়া গ্রাহকদের পছন্দেরও প্রতিফলন। ম্যানুয়াল সেবার জন্য আগে যেখানে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো, এই ডিজিটাল সেবার প্রসার ঘটায় এখন আর লাইনে দাঁড়িয়ে সময় নষ্ট করতে হচ্ছে না। এই সুবিধা সময় বাঁচায়, কার্বন নিঃসরণ কমায়, কাগজের অপচয় রোধ করে এবং মানুষকে তাঁদের সময়কে আরও অর্থবহভাবে ব্যবহারের সুযোগ করে দেয়। ‘আস্থা’ ব্যবহারের মাধ্যমে গ্রাহকরা শুধু সুবিধাই পাচ্ছেন না, তাঁরা আরও দক্ষ, টেকসই ও ভবিষ্যৎ-প্রস্তুত বাংলাদেশ গঠনেও অবদান রাখছেন।
প্রযুক্তি, গ্রাহক আস্থা ও অন্তর্ভুক্তির সমন্বয়ে ‘আস্থা’ অ্যাপ শুধু সকলের কাছে ব্র্যাক ব্যাংকের সেবা পৌঁছেই দিচ্ছে না, বরং এটি সারাদেশে লাখো মানুষের জন্য আধুনিক ব্যাংকিংয়ের এক নতুন দিগন্তেরও উন্মোচন করছে।
কর্পোরেট সংবাদ
পূবালী ব্যাংকের ঢাকা অঞ্চলের শাখা ব্যবস্থাপক সম্মেলন
সেবার মান বৃদ্ধির মাধ্যমে ব্যাংকের ব্যবসা সম্প্রসারণে ব্যবস্থাপকদের উৎসাহিত করার লক্ষ্যে পূবালী ব্যাংক পিএলসির ঢাকা কেন্দ্রীয় অঞ্চলের ‘৫ম শাখা ব্যবস্থাপক সম্মেলন- ২০২৫’ সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পূবালী ব্যাংকের ঢাকা কেন্দ্রীয় অঞ্চলাধীন শাখাসমূহের ব্যবস্থাপকবৃন্দের অংশগ্রহণে সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন পূবালী ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ আলী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্যাংকের অফশোর ব্যাংকিং বিভাগ প্রধান ও উপ-মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আল মামুন। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা কেন্দ্রীয় অঞ্চল প্রধান ও মহাব্যবস্থাপক আবু লাইছ মো. শামসুজ্জামান।
২০২৫ সালে ব্যাংকের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের বিভিন্ন কৌশল ও দিক নিয়ে সম্মেলনে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
কর্পোরেট সংবাদ
এনআরবিসি ব্যাংকে আমদানি-রপ্তানির অনলাইন মনিটরিং সিস্টেমে রিপোর্টিং বিষয়ক কর্মশালা
বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক প্রবর্তিত আমদানি ও রপ্তানির অনলাইন মনিটরিং সিস্টেমে রিপোর্টিং বিষয়ে কর্মশালার আয়োজন করে এনআরবিসি ব্যাংক।
রবিবার (২১ ডিসেম্বর) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে হিউম্যান রিসোর্স অ্যান্ড ট্রেনিং ডেভেলপমেন্ট সেন্টারে (এইচআরটিডিসি) এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. তৌহিদুল আলম খান।
বৈদেশিক মুর্দ্রা লেনদেনে ঝুঁকি হ্রাসে যথাযথভাবে রিপোর্ট করা, নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশনা পরিপালন, কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতকরণ এবং গ্রাহক সেবার মান উন্নয়নে আধুনিক প্রযুক্তির কার্যকর ব্যবহার বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক তাসফিয়া তানজিম সিগ্ধা এবং উপপরিচালক লায়লা আক্তার।
কর্মশালায় ব্যাংকের ইন্টারনাশনাল ডিডিশনের প্রধান হাসনাত রেজা মহিব্বুল আলম, ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং আমদানিকারক ও রপ্তানিকারক গ্রাহকবৃন্দ অংশ নেন।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি এনআরবিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. তৌহিদুল আলম খান বলেন, অনলাইন আমদানি-রপ্তানি মনিটরিং সিস্টেমে যথাযথ রিপোটিংয়ের মাধ্যমে পণ্য আমদানির ব্যয় এবং সময়মত রপ্তানি আয় প্রত্যাবাসন সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। ওভার ইনভয়েসিং এবং অ্যান্ডার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে অর্থপাচার রোধ করে বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেনকে আরও স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক করা সম্ভব হয়।
এছাড়া আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে অভিভাবক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংকের যেসব নীতিমালা ও সার্কুলার জারি করেছে তা সঠিকভাবে পরিপালন করতে ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং আমদানি-রপ্তানিকারকদের নিদের্শনা প্রদান করেন তিনি।
কর্পোরেট সংবাদ
এনআরবিসি ব্যাংকের বার্ষিক ঝুঁকি সম্মেলন
এনআরবিসি ব্যাংক পিএলসির ‘বার্ষিক ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা সম্মেলন ২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে হাইব্রিড পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের স্বতন্ত্র পরিচালক ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান মো. নুরুল হক। অনুষ্ঠানে এনআরবিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. তৌহিদুল আলম খান, বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল হাই ও আহমেদ জোবায়ের মাহবুব, এনআরবিসি ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল কাইয়ুম খান, চিফ রিস্ক অফিসার (সিআরও) সিরাজুল আমিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ঝুঁকি সম্মেলনে বিভাগীয় প্রধান, অঞ্চল প্রধান, শাখা প্রধান, ম্যানেজার অপারেশন, ক্রেডিট ইনচার্জ, উপশাখা ইনচার্জসহ প্রধান কার্যালয় ও শাখা-উপশাখার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা স্বশরীরে ও অনলাইন প্লাটফর্ম জুমে অংশ নেন।
দিনব্যাপী এই সম্মেলনে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময়, সুশাসন, জবাবদিহিতা, আধুনিক ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে টেকসই অগ্রগতি, ঝুঁকি প্রশমন কৌশল এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী রিস্ক ফ্রেমওয়ার্ক উন্নয়নের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয়। এসময় প্রধানত ক্রেডিট রিস্ক, মার্কেট রিস্ক, অপারেশনাল রিস্ক ও কমপ্লায়েন্স রিস্কের কার্যকর ব্যবস্থাপনা, ঝুঁকির পূর্বাভাস এবং প্রযুক্তিনির্ভর সেবা ও সাইবার সিকিউরিটির বিষয়গুলো পর্যালোচনা করা হয়।
প্রধান অতিথি বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমানত সংগ্রহ, ঋণ বিতরণ, বিনিয়োগসহ সকল ব্যাংকিং কার্যক্রমে ঝুঁকি রয়েছে। ব্যাংকের স্থিতিশীলতা, গ্রাহকের আস্থা এবং দেশের আর্থিক খাতের টেকসই অগ্রগতির জন্য ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। ঝুঁকি প্রশমন কৌশলগুলো আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী বাস্তবায়ন করা হলে ব্যাংকগুলো শুধু আর্থিক ঝুঁকি কমাতে সক্ষম হবে না, বরং কার্যকর শাসন, স্বচ্ছতা এবং সুশাসন নিশ্চিত করে গ্রাহক ও বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি করতে পারে। তিনি রিস্ক বেইজড সুপারভিশন (আরবিএস) -এর উপর গুরুত্বপূর্ণ দিকসমূহ সম্পর্কে ব্যাপক আলোকপাত করেন।
বিশেষ অতিথি এনআরবিসি ব্যাংকের স্বতন্ত্র পরিচালক ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান মো. নুরুল হক বলেন, একটি সুসংহত ও শক্তিশালী রিস্ক গভর্ন্যান্স কাঠামো ব্যতীত টেকসই, স্থিতিশীল ও দায়িত্বশীল ব্যাংকিং ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। এ প্রেক্ষিতে আমাদের কমিটি ঝুঁকি শনাক্তকরণ, মূল্যায়ন এবং প্রশমন প্রক্রিয়াকে সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে তদারকি ও পর্যালোচনা করে যাচ্ছে। ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় নীতিনির্ধারণী স্তর থেকে শুরু করে বাস্তবায়ন পর্যায় পর্যন্ত সমন্বিত, কাঠামোবদ্ধ ও ধারাবাহিক উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমেই ব্যাংকের আর্থিক স্থিতিশীলতা, সুশাসন এবং দীর্ঘমেয়াদী টেকসই অগ্রগতি নিশ্চিত করা সম্ভব।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. তৌহিদুল আলম খান বলেন, কার্যকর ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ছাড়া টেকসই ব্যাংকিং ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, এনআরবিসি ব্যাংকে প্রধান সাতটি ঝুঁকির বিষয়ে আন্তর্জাতিক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী ইতিমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। খেলাপি ঋণ কমাতে আদায়ের জন্য শাখা পর্যায়ে প্রধান কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের মাধ্যমে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এনআরবিসি ব্যাংক একটি ঝুঁকি সচেতন, স্বচ্ছ ও দায়িত্বশীল ব্যাংকিং সংস্কৃতি গড়ে তুলতে দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এমকে
কর্পোরেট সংবাদ
জেসিআই ঢাকা ওয়েস্টের নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা
জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) ঢাকা ওয়েস্টের ২০২৬ সালের জন্য নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে লোকাল প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন সুবাহ আফরিন এবং সেক্রেটারি জেনারেল মো. তানভীর হাসান।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানে জেসিআই ঢাকা ওয়েস্টের বার্ষিক সাধারণ পরিষদে ২০২৬ সালের জন্য কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়।
কার্যনির্বাহী কমিটিতে রয়েছেন- ইমিডিয়েট পাস্ট লোকাল প্রেসিডেন্ট সুজাউর রহমান ইমন, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. সাদ্দাম হোসেন ও অদ্রিকা এষণা পূর্বাশা, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. সামিন রহমান, ট্রেজারার মাসুদ এবং জেনারেল লিগ্যাল কাউন্সেল ইব্রাহীম খলিল ফয়সাল।
কমিটিতে আরও রয়েছেন- ট্রেইনিং কমিশনার আহমেদ ওয়াজেদুল হক খান, পিআর অ্যান্ড মিডিয়া চেয়ারপার্সন আসিয়া বিনতে আমানত সুমি, ডিজিটাল কমিটি চেয়ারপার্সন জোবায়ের আহমেদ সাকিব, ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স চেয়ারপার্সন মো. তানভীর হোসাইন, ডিরেক্টর আব্দুর রহমান খান বাপ্পি, তানভীর সোহান, ইয়াসির শাহরিয়ার, আহনাফ আহমেদ, কমিটি চেয়ার শেখ মাহমুদা সুলতানা সারা, মিনহাতুল জান্নাত, রাইয়ান ইসলাম সরদার ও এস এম শফিউল আলম সাকিব।
নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জেসিআই বাংলাদেশের ন্যাশনাল ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ২০২৪ সালের জেসিআই ঢাকা ওয়েস্টের লোকাল প্রেসিডেন্ট এস এম বেলাল উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেসিআই বাংলাদেশের ২০২৬ সালের নবনির্বাচিত ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট আরেফিন রাফি আহমেদ, ২০২৫ সালের ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট কাজী ফাহাদ, বোর্ডের অন্যান্য সদস্য ও বিভিন্ন চ্যাপ্টারের একাধিক লোকাল প্রেসিডেন্ট।
উল্লেখ্য, জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সী উদ্যমী তরুণদের একটি সংগঠন। জেসিআই সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরির সেন্ট লুইসে অবস্থিত। ১২০টিরও বেশি দেশে এর কার্যক্রম রয়েছে এবং সারা বিশ্বে এর সদস্য সংখ্যা ২ লাখের বেশি। তরুণদের দক্ষতা, জ্ঞান ও বুদ্ধির বিকাশের মাধ্যমে ব্যক্তিগত উন্নয়ন নিয়ে কাজ করে এ সংগঠন। বাংলাদেশে বর্তমানে জেসিআই এর প্রায় ৪০ টির অধিক লোকাল চ্যাপ্টার কাজ করছে। এর মধ্যে জেসিআই ঢাকা ওয়েস্ট প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী বৃহৎ লোকাল অর্গানাইজেশন।
এমকে




