অর্থনীতি
আরও ১১৫ মিলিয়ন ডলার কিনলো বাংলাদেশ ব্যাংক
তিনটি বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে রবিবার অতিরিক্ত ১১ কোটি ৫০ লাখ (১১৫ মিলিয়ন) মার্কিন ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) মূল্যমানের বিপরীতে প্রতি ডলার ১২২ টাকা ৩০ পয়সা বিনিময় হারে এ ডলার কেনা হয়েছে। এক্ষেত্রে কাট–অফ হারও ছিল ১২২ টাকা ৩০ পয়সা।
রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক এসব তথ্য জানায়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, সর্বশেষ এই ক্রয়ের ফলে শুধু ডিসেম্বর মাসেই মোট ডলার কেনার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯২ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার। আর চলতি ২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই–ডিসেম্বর) মোট ক্রয়ের পরিমাণ হয়েছে ৩০৪ কোটি ৬৫ লাখ মার্কিন ডলার, যা প্রায় তিন বিলিয়ন ডলারের সমান।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, রোববার তিনটি বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে আগামীকাল সোমবারের মূল্যমানের বিপরীতে প্রতি ডলার ১২২ টাকা ৩০ পয়সা হারে মোট ১১ কোটি ৫০ লাখ ডলার কেনা হয়েছে। এতে ডিসেম্বর ও চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে ডলার ক্রয়ের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
অর্থনীতি
পোশাক-বস্ত্র খাতে অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ: বিটিএমএ সভাপতি
দেশের পোশাক ও বস্ত্র খাতে অন্তর্বর্তী সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল।
তিনি বলেন, ওনারা (সরকার) তো ফ্যাক্টরির জন্ম দিতে পারেনি, বন্ধ করতে পেরেছে। ২৫০টা গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়েছে, পঞ্চাশের অধিক টেক্সটাইল বন্ধ হয়েছে। আর অর্ধ বন্ধ হিসেবে আছে অর্ধেকের বেশি। এগুলাকে যদি বন্ধের হিসাবে আনেন তাহলে ১০০-এর ওপর স্পিনিং মিল বন্ধ আছে। তো ওনাদের কী সফলতা গত এক বছরে? আমি মনে করি টোটালটাই ব্যর্থতা। এত ক্ষতি, এত বোঝা আর নিতে পারছি না।
রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশান ক্লাবে বিটিএমএ আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় শওকত আজিজ রাসেল এসব কথা বলেন। সুতা উৎপাদন খাতে দীর্ঘদিন যাবত বিদ্যমান বহুবিধ সমস্যা ও তা থেকে উত্তরণে সরকারের করণীয় সম্পর্কে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য এ সভা হয়। এতে আরও বক্তব্য দেন বিটিএমএর সাবেক সভাপতি এ মতিন চৌধুরী ও মোহাম্মদ আলী খোকন, সাবেক পরিচালক রাজীব হায়দার প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে শওকত আজিজ রাসেল বলেন, ‘বাণিজ্য উপদেষ্টা যথেষ্ট চেষ্টা করছেন। কিন্তু উনি এককভাবে সবকিছু করতে পারেন না। প্রথমে দেখেন আত্মঘাতী একটা সিদ্ধান্ত হয়েছিল, তুলার ওপর শুল্ক। আমরা মনে হয় ভারতীয় সুতাকে উৎসাহিত করছি তুলার ওপর শুল্ক বসিয়ে। শুল্ক দিলে আপনি সুতার ওপর দেবেন, যাতে তুলা এনে আমি এখানে সুতা উৎপাদন করতে পারি। বিষয়টি উল্টো হলো না? এটা উঠাতে আমাদের প্রচুর শ্রম দিতে হয়েছে। তারপর আসেন করপোরেট কর ১২ থেকে ৩৭ শতাংশ করে দিয়েছে। এই বাড়তি কর আমাদের বিশাল ক্ষতি করছে এবং এটি এখনো বহাল আছে। যত রকমে টাকা উপার্জন করা যায়, ওয়ান পার্সেন্ট ট্যাক্স, টার্নওভার ট্যাক্স, সব আমাদের ওপর বাড়িয়ে দিয়েছে। তারপর প্রণোদনা তো ক্রমশ কমিয়ে দিল, পোশাকের জন্য দিল, আমাদের জন্যও দিল। সেগুলো কি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হচ্ছে না?’
অর্থনীতি
স্বর্ণের দাম বাড়লো ভরিতে ১ হাজার ৫৭৫ টাকা
২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৫৭৫ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ২৯ হাজার ৪৩১ টাকা হয়েছে। দেশের বাজারে সোনার এত বেশি দাম আগে কখনো হয়নি।
স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠকে করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান ডা. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহীন সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে শনিবার ঘোষণা দিয়ে আজ (রোববার) সব থেকে ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ১ হাজার ৫৭৪ টাকা। তার আগে ২৪ ডিসেম্বর ৪ হাজার ১৯৯ টাকা, ২৩ ডিসেম্বর ৩ হাজার ৯৬৬ টাকা, ২২ ডিসেম্বর ১ হাজার ৫০ টাকা, ১৬ ডিসেম্বর ১ হাজার ৪৭০ টাকা, ১৪ ডিসেম্বর ৩ হাজার ৪৪২ টাকা এবং ১২ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ১ হাজার ৫০ টাকা।
এতে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম দাঁড়ায় ২ লাখ ২৭ হাজার ৮৫৬ টাকা। এই রেকর্ড দাম নির্ধারণের ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে এখন আবার দাম বাড়ানো হলো। ফলে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন উচ্চতায় উঠেছে সোনা।
এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৫৭৫ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ২৯ হাজার ৪৩১ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ৪৫৮ টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ ১৮ হাজার ৯৯২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ২৮৩ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৮৭ হাজার ৭৩১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ১০৮ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৫৩১ টাকা।
এর আগে গতকাল ঘোষণা দিয়ে আজ সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৫৭৪ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয় ২ লাখ ২৭ হাজার ৮৫৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ৫১৭ টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ ১৭ হাজার ৫৩৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ২৮৩ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৮৬ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ১০৮ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ৫৫ হাজার ৪২৩ টাকা। আজ রোববার এই দামে সোনা বিক্রি হয়েছে।
সোনার দাম বাড়ানো হলেও রুপার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ হাজার ৬৫ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ৫ হাজার ৭৭৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ৪ হাজার ৯৫৭ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম ৩ হাজার ৭৩২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
অর্থনীতি
২৭ দিনে রেমিট্যান্স এলো ৩৩ হাজার ৫৭৪ কোটি টাকা
ডিসেম্বরের মাসের প্রথম ২৭ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২৭৫ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) ৩৩ হাজার ৫৭৪ কোটি টাকা। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ১০ কোটি ১৯ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।
রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ডিসেম্বরের প্রথম ২৭ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২৭৫ কোটি ২০ লাখ ডলার। আর গত বছরের একই সময়ে এসেছিল ২৪০ কোটি ৮০ লাখ ডলার। অর্থাৎ বছর ব্যবধানে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে।
এছাড়া গত ২৪-২৭ ডিসেম্বর প্রবাসীরা দেশে ২২ কোটি ১০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে এসেছে ১ হাজার ৫৭৯ কোটি ১০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। বছর ব্যবধানে যা বেড়েছে ১৬ দশমিক ৬০ শতাংশ।
এর আগে গত নভেম্বরে এসেছে চলতি অর্থবছরের সর্বোচ্চ ২৮৮ কোটি ৯৫ লাখ ২০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। আর গত অক্টোবর ও সেপ্টেম্বরে দেশে এসেছিল যথাক্রমে ২৫৬ কোটি ৩৪ লাখ ৮০ হাজার ও ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর গত আগস্ট ও জুলাইয়ে যথাক্রমে দেশে এসেছিল ২৪২ কোটি ১৮ লাখ ৯০ হাজার ও ২৪৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।
অর্থনীতি
রিটার্ন জমার সময় বাড়লো আরও একমাস
দ্বিতীয় দফায় অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় একমাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রিটার্ন দাখিলের শেষ সময় ৩১ ডিসেম্বর থেকে বাড়িয়ে ৩১ জানুয়ারি করা হয়েছে।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) এনবিআরের সচিব মো. একরামুল হক সই করা আদেশ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আল আমিন শেখও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের সময় একমাস বাড়ানো হয়েছিল, যা ৩১ ডিসেম্বর শেষ হচ্ছে। আয়কর আইন অনুযায়ী ৩০ নভেম্বর আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষদিন।
এনবিআরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, নির্বাচন সামনে রেখে করদাতাদের আরো সুবিধা দিতে রিটার্ন দাখিলের সময় বাড়ানো হয়েছে। আর অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করায় করদাতাদের প্রস্তুতিরও সময় দিতে হয়। সে জন্য সময় বাড়ানো সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সম্প্রতি রিটার্ন জমার সময় বাড়বে কী না এমন প্রশ্নের জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, সময় বাড়ানোর ব্যাপারটা এখনই বলা যাবে না। এটা রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত, যেহেতু প্রথমবারের মতো আমরা অনলাইনটাকে বাধ্যতামূলক করেছি। আমি এখনই কিছু বলতে পারছি না। তবে সরকার চাইলে বাড়াতে পারে।
চলতি (২০২৫-২৬) অর্থবছর এখন পর্যন্ত ২৬ লাখের বেশি করদাতা অনলাইনে তাদের ই-রিটার্ন জমা দিয়েছেন। গত আগস্টে সব করদাতার জন্য অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করে এনবিআর।
এমকে
অর্থনীতি
৫ ব্যাংকের গ্রাহকদের বড় সুখবর দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক
একীভূত হওয়া পাঁচটি ব্যাংকের আমানতকারীদের অ্যাকাউন্ট নতুন গঠিত ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’-এ স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে রয়েছে।পাশাপাশি আমানতকারীরা তাদের নামে স্ব স্ব ব্যাংকের চেক বইয়ের মাধ্যমে টাকা তোলার সুযোগ পাবেন।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এসব তথ্য জানান।
অনিয়ম ও ঋণ খেলাপির চাপে দেশের ব্যাংকগুলো তারল্য সংকটে পড়ে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংকটে থাকা পাঁচটি ব্যাংক একত্রিত করে সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক পিএলসি গঠনের অনুমতি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকগুলো হলো—এক্সিম ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংক।
পাঁচ ব্যাংকের আমানত নবগঠিত সম্মিলিত ইসলাম ব্যাংকে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে জানিয়ে আরিফ হোসেন খান বলেন, আগামী সপ্তাহের মধ্যে কাজটি সম্পন্ন হতে পারে। সম্পন্ন হওয়ার পর আলোচিত পাঁচ ব্যাংকের গ্রাহকদের ব্যাংক হিসাবের আমানত নবগঠিত সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের হিসাবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্থানান্তরিত হবে। এর ফলে আমানতকারীরা তাদের বিদ্যমান স্ব স্ব চেক বইয়ের মাধ্যমে সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা পর্যন্ত তোলার সুযোগ পাবেন। অবশিষ্ট আমানত তাদের ব্যাংক হিসাবে সুরক্ষিত থাকবে।
অবশিষ্ট আমানতের উপর প্রচলিত হারে মুনাফা দেওয়া হবে জানিয়ে আরিফ হোসেন খান বলেন, রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংক হওয়ায় নবগঠিত এই ব্যাংকের উপর জনগণের আস্থা সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি আমানতকারীদের টাকা তোলার চাহিদা অনেকাংশে কমে আসবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, সব জটিলতা দূর করে একীভূত পাঁচ ব্যাংকের গ্রাহকদের আমানত ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া চালু হচ্ছে। তারই ধারায় আগামী সোমবার থেকে ওই পাঁচ ব্যাংকের গ্রাহক সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকে স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হবে। স্থানান্তর প্রক্রিয়া শেষে পাঁচ ব্যাংকের আমানতকারীরা তাদের নামে স্ব স্ব ব্যাংকের চেক বইয়ের মাধ্যমে টাকা তোলার সুযোগ পাবেন। স্থানান্তরের কারণে পাঁচ ব্যাংকের আমানতকারী নতুন ব্যাংকে হিসাব নম্বর সয়ংক্রিয়ভাবে হয়ে যাবে। এরই ধারাবাহিকতায় নতুন এই ব্যাংকেও তাদের নামে একাউন্ট থাকবে। যার ফলে তাদের নামে চেকইস্যুসহ ব্যাংকিং সব সুবিধা পাবে।
আরিফ হোসেন খান বলেন, প্রথমদিকে গ্রাহক দুই লাখ টাকার বেশি তুলতে পারবেন না। তবে ধাপে ধাপে এই টাকা তোলার পরিমাণ বাড়বে। তিনি আরও বলেন, যেসব গ্রাহকের একাউন্টে দুই লাখ টাকার কম আছে, তারা সব টাকা একবারেই তুলতে পারবেন। যাদের হিসাবে দুই লাখ টাকার বেশি রয়েছে, তারা চাইলে প্রতি তিন মাস অন্তর এক লাখ টাকা করে দুই বছর পর্যন্ত তুলতে পারবেন। ৬০ বছরের বেশি বয়সি গ্রাহক বা জটিল রোগে আক্রান্ত আমানতকারীদের জন্য টাকা তোলার এই সীমা শিথিল রাখা হয়েছে। প্রয়োজন তারা যেকোনো পরিমাণ টাকা তুলতে পারবেন।
সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয় রাজধানীর সেনাকল্যাণ ভবনে স্থাপন করা হয়েছে। সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকার দিচ্ছে ২০ হাজার কোটি এবং আমানতকারীদের শেয়ার থেকে আসবে ১৫ হাজার কোটি টাকা। অনুমোদিত মূলধন রাখা হয়েছে ৪০ হাজার কোটি টাকা। আলোচিত ওই পাঁচ ব্যাংকে বর্তমানে ৭৫ লাখ আমানতকারীর এক লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকা জমা রয়েছে। বিপরীতে ঋণ রয়েছে এক লাখ ৯৩ হাজার কোটি টাকা, যার বড় অংশ খেলাপি হয়ে পড়েছে। সারা দেশে এসব ব্যাংকের ৭৬০টি শাখা, ৬৯৮টি উপশাখা, ৫১১টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং ৯৭৫টি এটিএম বুথ রয়েছে।




