জাতীয়
পূর্বাচল সড়কের আবর্জনা অপসারণ করছে সিটি কর্পোরেশন
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে বিশাল সংবর্ধনা দিয়েছে দলটি। এ উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর পূর্বাচলে জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়ে (৩০০ ফিট), ১০০ ফিট সড়ক, কুড়িল ও বিমানবন্দর সড়কে কয়েক লাখ মানুষের সমাগম হয়।
এদিন সন্ধ্যায় বিএনপির কর্মী-সমর্থকরা চলে যাওয়ার পর দৃষ্টিনন্দন সড়কগুলোতে ভিন্ন চিত্র দেখা যায়। এসব সড়ক ও সড়কের ফুটপাতে ময়লা, আবর্জনা যত্রতত্র পড়ে থাকতে দেখা যায়।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে বিএনপির মিডিয়া সেলের এক পোস্টে জানানো হয়, শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল থেকে পুরো পথের আবর্জনা পরিষ্কার করা হবে।
পোস্টে বলা হয়, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ‘ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন’ উপলক্ষে জনসমাবেশে রাজধানীর ‘জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়ে’ (৩০০ ফুট মহাসড়ক), এয়ারপোর্ট রোড ও সংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট সব বর্জ্য ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি স্বেচ্ছাশ্রমে শুক্রবার সকাল থেকে অপসারণ কার্যক্রম শুরু করবে।’
আজ শুক্রবার সকাল থেকে এসব সড়কে পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু করেছে উত্তর সিটি করপোরেশন।
পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এসব সড়ক পরিষ্কার করতে উত্তরা, গুলশান, বনানীসহ আশপাশের এলাকার পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের আনা হয়েছে। অর্ধশতাধিক পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে দেখা যায় ১০০ ফিট সড়কে।
তবে সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত কুড়িল, বিশ্বরোড, ১০০ ফিট সড়কে বিএনপি নেতাকর্মীদের দেখা যায়নি। এসব সড়কের দুই পাশ ও ফুটপাত যত্রতত্র খাবারের প্যাকেট, ব্যানার, লিফলেট পড়ে থাকতে দেখা গেছে। সড়ক বিভাজনের ওপর ফেস্টুন দেখা গেছে, ১০০ ফিট সড়ক সংলগ্ন লেক ও রেললাইনে ময়লা-আবর্জনা দেখা গেছে।
কুর্মিটোলা, বিমানবন্দর সড়কে আবর্জনা দেখা গেছে। নিকুঞ্জ-১ এর সামনে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের ঝাড়ু দিতে দেখা যায়। ১০০ ফিট সড়ক ও ফুটপাতে সিটি করপোরেশনের কর্মীদের ময়লা অপরসারণ করতে দেখা যায়।
পরিচ্ছন্নতাকর্মী আলেয়া জানান, প্রতিদিনই সড়ক ও এর দুই পাশের ফুটপাত পরিষ্কার করেন সিটি করপোরেশনের কর্মীরা। তবে গতকালের আয়োজনের পর আজ আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে অতিরিক্ত পরিচ্ছন্নতাকর্মী আনা হয়েছে। তারা জানিয়েছেন, বেলা ১১টার মধ্যে সড়ক পরিষ্কার করা সম্ভব হবে।
জাতীয়
১২ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন নিয়ে আর সংশয় নেই: শফিকুল আলম
মৌসুমের সবচেয়ে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ উপেক্ষা করে রাজধানীর ৩০০ ফিট এলাকায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে রেকর্ড সংখ্যক মানুষের সমাগম দেশের মানুষের নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতির এক স্পষ্ট প্রমাণ বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তার ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ অভিমত জানান।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, সাধারণ নির্বাচন ও গণভোট এখন আর মাত্র সাত সপ্তাহ দূরে- ৪৯ দিন। নির্বাচন সময়মতো অনুষ্ঠিত হবে কি না, সে বিষয়ে আমার কখনোই সংশয় ছিল না; যদিও কিছু সময়ে আমাকে নিজের উচ্ছ্বাস সংযত করতে হয়েছে। তবে, গতকালের ঘটনাবলি সমালোচকদের মনে থাকা শেষ সন্দেহটুকুও দূর করে দিয়েছে- ১২ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন নির্ধারিত সময়েই হবে কি না, সে প্রশ্ন আর নেই।
প্রেস সচিব স্ট্যাটাসে আরও লেখেন, এক-দুদিনের মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হবে। এরপর হাজার হাজার প্রার্থী নিজ নিজ এলাকায় ফিরে যাবেন। ছাপাখানাগুলো পুরোদমে চালু হবে। টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে শুরু হবে নির্বাচনকেন্দ্রিক বিতর্ক, যার প্রতিধ্বনি পৌঁছে যাবে গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত।
শেষে তিনি লেখেন, বাংলাদেশ গভীর ক্ষত বহন করছে। একটি ক্রমেই প্রশস্ত হয়ে চলা বিভাজন, যা নিরাময় করতে পারে একমাত্র একটি সত্যিকার অর্থে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন ।
জাতীয়
কারাবন্দিরা ভোট দেবেন যেভাবে
ভোটার তালিকায় থাকা ব্যক্তিরা কারাগার বা আইনি হেফাজতে থাকলেও পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন। এসব ভোটারদের ভোট দেওয়ার জন্য নির্দেশিকা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ইসির উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন স্বাক্ষরিত এ নির্দেশিকা কারা মহাপরিদর্শকের কাছে পাঠানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা অনুযায়ী ‘ইন-কান্ট্রি পোস্টাল ভোটিং’ (আইসিপিভি) পদ্ধতির মাধ্যমে জেলখানা বা আইনি হেফাজতে আটক থাকা ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।
ইসির নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, জেলখানা বা আইনি হেফাজতে আটক ভোটারের তালিকাভুক্তি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে অনুমোদন হবে। এ ধরনের ভোটারদের নিবন্ধনের জন্য একটি বিশেষ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম (https://prisoner.ocv.gov.bd/login) ব্যবহার হবে। জেলখানা বা আইনি হেফাজত কর্তৃপক্ষ ভোটারদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য দুজন করে প্রতিনিধি মনোনয়ন দেবেন যারা নিবন্ধনের কাজ পরিচালনা করবেন।
এতে বলা হয়, আগ্রহী ভোটারদের নিবন্ধন শেষে জেলখানা বা আইনি হেফাজত কর্তৃপক্ষ মুদ্রিত তালিকা সিল ও স্বাক্ষরসহ নির্বাচন কমিশনে পাঠাবেন। একইসঙ্গে মনোনীত প্রতিনিধিরা নির্ধারিত পোর্টালে ভোটারদের প্রয়োজনীয় তথ্য (.xls/.csv ফরম্যাট) আপলোড করবেন। নিবন্ধিত ভোটাররা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পোস্টাল ব্যালটের খাম পাবেন। নির্বাচন কমিশন হতে প্রাপ্ত এই খামে থাকবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের জন্য দুটি আলাদা ব্যালট পেপার, ভোট প্রদানের নির্দেশাবলি ও একটি ঘোষণাপত্র এবং রিটার্নিং অফিসারের ঠিকানা সংবলিত একটি ফেরত খাম।
এতে জানানো হয়, জেলখানা বা আইনি হেফাজত কর্তৃপক্ষ ভোটারদের ভোটদানের জন্য ভোটকক্ষ বা গোপন কক্ষ প্রস্তুত করে ভোটের উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করবেন। পোস্টাল ব্যালট পেপারে কোনো প্রার্থীর নাম থাকবে না, শুধু বরাদ্দকৃত প্রতীক ও প্রতীকের পাশে ফাঁকা ঘর থাকবে। এ কারণে কর্তৃপক্ষ ভোটারদের কাছে নিজ নিজ সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের নাম ও প্রতীক-সংবলিত চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা সরবরাহ করবে।
সংসদ নির্বাচনের পোস্টাল ব্যালট পেপারে ভোটাররা মুদ্রিত প্রতীকের পাশে ফাঁকা ঘরে টিক (√) চিহ্ন বা ক্রস (x) চিহ্ন দিয়ে ভোটদান করবেন। একইভাবে গণভোটের পোস্টাল ব্যালট পেপারে হ্যাঁ/না-এর পাশে ফাঁকা ঘরে টিক (√) চিহ্ন বা ক্রস (x) চিহ্ন দিয়ে ভোটদান করবেন। ভোট দেওয়ার আগে ঘোষণাপত্রে নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্র লিখে স্বাক্ষর করতে হবে। যদি কোনো ভোটার স্বাক্ষর করতে অক্ষম হন, তবে অন্য একজন ভোটার তা সত্যায়ন করবেন।
ভোটার পোস্টাল ব্যালট পেপারে ভোট দেওয়ার পর ব্যালট পেপার দু’টি ছোট খামে রেখে খামটি বন্ধ করবেন। ব্যালট পেপার-সংবলিত খাম এবং স্বাক্ষরিত ঘোষণাপত্র রিটার্নিং অফিসারের ঠিকানা মুদ্রিত হলুদ খামে প্রবেশ করার পর খামটি বন্ধ করে তা সংশ্লিষ্ট জেলখানা বা আইনি হেফাজত কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত স্থানে বা বাক্সে জমা দিতে হবে।
ভোটদান প্রক্রিয়া সমাপ্তির পর সংশ্লিষ্ট জেলখানা বা আইনি হেফাজত কর্তৃপক্ষ পোস্টাল ব্যালটের সকল খাম সুরক্ষিতভাবে সংরক্ষণ করবেন এবং যতদ্রুত সম্ভব পোস্টাল ব্যালট-সংবলিত সকল খাম নিকটস্থ ডাক বিভাগের কাছে প্রেরণ/হস্তান্তর করবেন। ডাক বিভাগের সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধি পোস্টাল ব্যালট-সংবলিত খামগুলো দ্রুততার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের ঠিকানায় পাঠানোর ব্যবস্থা নেবেন। এই খাম পাঠানোর জন্য কোনো ডাক মাশুল প্রদান করতে হবে না। এটি সরকার পরিশোধ করবে।
জাতীয়
শুক্রবার ১৮ ঘণ্টা চাপ কম থাকবে তিতাস গ্যাসের
এলএনজি সরবরাহ হ্রাস পাওয়ায় আগামীকাল (শুক্রবার) তিতাস গ্যাসের আওতাধীন এলাকায় ১৮ ঘণ্টা গ্যাসের চাপ কম থাকবে। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) এক বার্তায় তিতাস গ্যাস এই তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, এলএনজি টার্মিনালে জরুরি রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য এলএনজি হতে প্রাপ্ত গ্যাস সরবরাহ হ্রাস পেয়েছে। এ কারণে ২৬ ডিসেম্বর (শুক্রবার) সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত তিতাস গ্যাস অধিভুক্ত এলাকার সব শ্রেণির গ্রাহক প্রান্তে গ্যাসের স্বল্পচাপ বিরাজ করবে।
গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক না থাকায় গ্রাহকদের সাময়িক এই অসুবিধার জন্য তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।
এমকে
জাতীয়
পে স্কেল নিয়ে নতুন সিদ্ধান্তে সরকারি কর্মচারীরা
নতুন বেতনকাঠামো বা নবম পে স্কেল নিয়ে দীর্ঘদিনের অনিশ্চয়তা ও সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজমান। ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে শ্রদ্ধা জানানো এবং রাষ্ট্রীয় পরিস্থিতি বিবেচনায় পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি সাময়িকভাবে স্থগিত করেছিলেন সরকারি কর্মচারীরা।
বিভিন্ন আলটিমেটাম দেওয়ার পরও পে কমিশন এখনো নবম পে স্কেল সংক্রান্ত সুপারিশ দাখিল না করায় এবার কর্মসূচিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্মচারী সংগঠনগুলো।
এ প্রেক্ষাপটে আগামীকাল শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন সরকারি কর্মচারীরা।
সংগঠনগুলো জানায়, নতুন বছরের শুরুতেই ধারাবাহিক কর্মসূচি আসতে পারে। সম্ভাব্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে প্রতীকী অনশন, সমাবেশ, মহাসমাবেশ এবং দৈনিক এক থেকে দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি। কর্মসূচির ধরন ও নির্দিষ্ট তারিখ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানানো হবে।
এর আগে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ জানায়, সরকারি চাকরিজীবী বিধিমালা ও শৃঙ্খলার বাইরে গিয়ে কোনো কর্মসূচি দেওয়া হবে না।
সংগঠনের এক নেতা বলেন, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে তারা ইচ্ছেমতো কর্মসূচি দিতে পারেন না। চাকরির বিধিমালা ও শৃঙ্খলার মধ্যেই সব কর্মসূচি পালন করা হবে এবং বিধিমালাবহির্ভূত কোনো কর্মসূচি দেওয়া হবে না।
উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিজীবীদের বৈষম্য নিরসন ও সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে গত জুলাই মাসে অন্তর্বর্তী সরকার পে কমিশন গঠন করে। ছয় মাসের মধ্যে সুপারিশ দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রেখে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়। পরে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এই সরকারের সময়েই নবম পে স্কেল বাস্তবায়নের ইঙ্গিত দেন।
তবে নভেম্বর মাসে অর্থ উপদেষ্টা জানান, সরকারি কর্মচারীদের নতুন পে কমিশনের সিদ্ধান্ত নেবে আগামী সরকার। এ বক্তব্যের পর থেকেই সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ ও ক্ষোভ বাড়তে থাকে।
এমকে
জাতীয়
তারেক রহমানের আগমনে রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে: প্রেস সচিব
৬ হাজার ৩১৪ দিন পর দেশের মাটি স্পর্শ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার এই আগমনে দেশে রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বড়দিন উপলক্ষে খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছাবিনিময় করতে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় গিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে আজ বাংলাদেশে ফিরেছেন তারেক রহমান। তাদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে সিলেটে আসে সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটে। সিলেটে যাত্রাবিরতি শেষে ফ্লাইটটি বেলা ১১টা ৩৯ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে স্বাগত জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, তারেক রহমান বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দলের নেতা। তার দেশে আসার প্রভাব হবে খুবই ইতিবাচক।
সামনে বড় নির্বাচন-এ কথা উল্লেখ করে শফিকুল আলম বলেন, দেশ একটা ‘ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনে’ (গণতান্ত্রিক উত্তরণে) আছে। তারেক রহমানের দেশে আসার পর এই ট্রানজিশন আরও স্মুথ হবে।
তারেক রহমানের নিরাপত্তাসংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, তার নিরাপত্তা বিএনপি দেখছে। বিএনপি যে ধরনের সহযোগিতা সরকারের কাছে চাচ্ছে, সব সহযোগিতাই করা হচ্ছে।
এসময় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) খোদা বকশ চৌধুরী কেন পদত্যাগ করলেন-এ প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, এটা গতকাল রাত ১২টার দিকের ঘটনা। তিনি এখনো কারণ জানতে পারেননি।
বড়দিনের শুভেচ্ছাবিনিময়
তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় এসে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সঙ্গে বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন শফিকুল আলম। তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। তারা চান, সব সম্প্রদায়ের সবাই যেন নিজ নিজ ধর্ম, আচার, অনুষ্ঠান নির্ভয়ে-আনন্দে পালন করতে পারেন। এটা সত্যিকার গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য।




