জাতীয়
অপবাদ থেকে মুক্ত হতে চাই, দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ সবার সুযোগ নেই: সিইসি
সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিষয়ে আগের সব অপবাদ থেকে মুক্ত হতে চাই বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
সিইসি বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে আমাদের ওপর যে অপবাদ দেওয়া হচ্ছে, তা থেকে আমরা মুক্তি চাই। আমরা প্রমাণ করতে চাই যে একটি সঠিক ও সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে পারি। আর এটি সম্ভব কেবল আইনের শাসনের কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে। দেশের ক্রান্তিলগ্নে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হবার সুযোগ নেই।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে ডিসি-এসপি, বিভাগীয় কমিশনার ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক ব্রিফিং অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সিইসি।
সভার শুরুতে সিইসি সম্প্রতি প্রয়াত ওসমান হাদির রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। অনুষ্ঠানে অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার এবং মাঠ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নাসির উদ্দিন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, আইনের শাসন কাকে বলে আমরা তা দেখিয়ে দিতে চাই। আইনের শাসন মানে আইন হবে অন্ধ। ‘ল’ (Law) সবার জন্য সমানভাবে প্রয়োগ করবেন। আপনাদের ওপর গুরুদায়িত্ব অর্পিত হয়েছে। এই ক্রান্তিলগ্নে আমরা যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হই, তবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে আমরা দায়ী থাকব।
বিগত নির্বাচনগুলো নিয়ে সমালোচনার কথা উল্লেখ করে সিইসি বলেন, সামষ্টিকভাবে আমাদের ওপর দোষারোপ করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, আমরা নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছি বা ম্যানেজড ইলেকশন করছি। এই অপবাদ থেকে আমরা মুক্তি চাই। মাঠ পর্যায়ে আপনারা যারা সরকারকে সচল রাখেন, সিস্টেমটাকে ধরে রাখার দায়িত্ব আপনাদের।
মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাহস জুগিয়ে নাসির উদ্দিন বলেন, আপনারা বুক ফুলিয়ে যখন আমাকে সাহস দেবেন, আমিও তখন সাহসী হব। আপনাদের অঙ্গীকার আমাকে সাহসী করে তোলে। আপনারা যখনই আইনের প্রতিষ্ঠার জন্য সাহসী পদক্ষেপ নেবেন, বিধি-বিধানের আলোকে কাজ করবেন— ইনশাআল্লাহ নির্বাচন কমিশন আপনাদের পাশে থাকবে।
তিনি বলেন, আমাকে খুশি করার দরকার নেই। আপনারা আপনাদের অধীনস্থদের আইনের মাধ্যমে পরিচালনা করবেন। সিস্টেম যাতে ঠিকমতো ডেলিভারি দিতে পারে, সেই ব্যবস্থা আপনাদেরই করতে হবে। কোনো ধরনের বিচ্যুতি যেন না ঘটে, সেদিকে কঠোর নজর রাখতে হবে।
জাতীয়
শাহজালালে ২৪ ঘণ্টা যাত্রী ছাড়া বাকীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
আগামীকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ছয়টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানযাত্রী ছাড়া সহযাত্রীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক এক বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে বিমানবন্দর দিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তনের কথা রয়েছে।
বার্তায় বিমানবন্দর জানায়, ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ২৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিমানবন্দর এলাকায় যাত্রী ব্যতীত সব ধরনের সহযাত্রী ও ভিজিটর প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
যাত্রীসেবা, নিরাপত্তা এবং অপারেশনাল শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে বিশেষ অপারেশনাল ও নিরাপত্তাজনিত কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, উল্লিখিত সময়ের মধ্যে শুধুমাত্র বৈধ টিকিটধারী যাত্রীদের বিমানবন্দর এলাকায় প্রবেশের অনুমতি থাকবে।
বৃহস্পতিবার সকালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২৫ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) দেশে ফিরবেন। তার দীর্ঘদিনের প্রবাস জীবন শেষে প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে দলের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোও বিমানবন্দর ও আশপাশের এলাকায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
জাতীয়
ফের ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে আবারও তলব করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়াম ভারতীয় দূতকে তলব করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আসেন ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। তিনি পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়ামের দপ্তরে যান। আসা-যাওয়া মিলিয়ে পাঁচ মিনেটের কম সময়ের মধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে বেরিয়ে যান প্রণয় ভার্মা।
ঢাকার একটি কূটনৈতিক সূত্র বলছে, দিল্লি, কলকাতাসহ ভারতের বিভিন্ন স্থানে থাকা বাংলাদেশি মিশন এবং কূটনীতিকের নিরাপত্তা ইস্যুতে ভারতের হাইকমিশনারকে তলব করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এর আগে, গত ১৪ ডিসেম্বর প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছিল। সেদিন ভারতে অবস্থানরত ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অব্যাহত উসকানিমূলক বক্তব্যে সরকারের উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছে। পাশাপাশি ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের ভারতে পালিয়ে যাওয়া প্রতিরোধে দেশটির সহযোগিতা কামনা করা হয়।
সেদিন ভারতীয় দূতকে তলবের পরে এক প্রেস নোটে দিল্লি দাবি করে, দেশটির ভূখণ্ড কখনো বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী কার্যক্রমে ব্যবহার করা হয়নি। প্রেস নোটে আরও বলা হয়েছিল, আমরা সবসময় বলে আসছি যে, বাংলাদেশে মুক্ত, ন্যায্য, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হওয়া উচিত। এই নির্বাচন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আশা করি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করবে এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
পরে অবশ্য পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন নির্বাচন নিয়ে ভারতকে নসিয়ত না করার পরামর্শ দেন।
অন্যদিকে ১৭ ডিসেম্বর নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাল্টা তলব করা হয়।
জাতীয়
সরাসরি নিয়োগে সর্বোচ্চ বয়সসীমা নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ
সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নন-ফাইন্যানসিয়াল কর্পোরেশনসহ স্ব-শাসিত সংস্থায় সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা নির্ধারণ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের মুদ্রণ ও প্রকাশনা শাখা গতকাল সোমবার অধ্যাদেশটি জারি করে।
অধ্যাদেশে বলা হয়, সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নন-ফাইন্যানসিয়াল কর্পোরেশনসহ স্ব-শাসিত সংস্থাসমূহে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা নির্ধারণ অধ্যাদেশ, ২০২৪ সংশোধনের লক্ষ্যে এ অধ্যাদেশ প্রণয়ন করা হয়েছে।
এ অধ্যাদেশের নাম হবে ‘সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নন-ফাইন্যানসিয়াল কর্পোরেশনসহ স্ব-শাসিত সংস্থাসমূহে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা নির্ধারণ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’। এটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এতে বলা হয়, ২০২৪ সালের ১১ নং অধ্যাদেশের পূর্ণাঙ্গ শিরোনাম সংশোধন করা হয়েছে। সংশোধনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ শিরোনাম, প্রস্তাবনা, ধারা ১-এর উপ-ধারা (১) এবং ধারা ৩-এর দফা (গ) থেকে ‘আধা-স্বায়ত্তশাসিত’ শব্দটি ও সংশ্লিষ্ট চিহ্নসমূহ বিলুপ্ত করা হয়েছে। এছাড়া, ২০২৪ সালের ১১ নং অধ্যাদেশে নতুন ধারা ৩ক সংযোজন করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, ধারা ৩-এ যা কিছুই থাকুক না কেন, যেসব সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নন-ফাইন্যানসিয়াল কর্পোরেশনসহ স্ব-শাসিত সংস্থার নিজ নিজ নিয়োগ বিধিমালা বা ক্ষেত্রমত প্রবিধানমালায় কোনো পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ (বত্রিশ) বছরের বেশি নির্ধারিত রয়েছে, এমন সব ক্ষেত্রে ওই নির্ধারিত বয়সসীমা অপরিবর্তিত ও বহাল থাকবে।
জাতীয়
বিভাগীয় কমিশনার, ডিসি-এসপিদের সঙ্গে ইসির বৈঠক আজ
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিষয়ে বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপারসহ (এসপি) মাঠ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) ব্রিফিং করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপসচিব (নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখা) মোহাম্মদ মনির হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার (২২ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার, উপমহাপুলিশ পরিদর্শক, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং সিনিয়র জেলা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন ব্যবস্থাপনা বিষয়ক ব্রিফিং মঙ্গলবার সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে।
ব্রিফিংটি নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অডিটরিয়ামে (বেইজমেন্ট-২) অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিবের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ ব্রিফিংয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। এছাড়া নির্বাচন কমিশনারগণ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
এ ব্রিফিংয়ে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এবং মহাপুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি)।
ইসি সূত্র জানায়, নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, প্রশাসনিক সমন্বয়, ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করতে মাঠ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর করণীয় বিষয়ে এ ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত নির্দেশনা দেওয়া হবে।
জাতীয়
সড়ক পরিবহন বিভাগের নতুন সচিব জিয়াউল হক
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের নতুন সচিব নিয়োগ পেয়েছেন একই মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ জিয়াউল হক।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) জিয়াউল হককে সচিব পদে পদোন্নতির পর এ নিয়োগ দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
চুক্তিতে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব হিসেবে দায়িত্ব চালিয়ে আসা মো. এহছানুল হককে গত ১২ অক্টোবর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়। প্রায় আড়াই মাস পর নিয়মিত সচিব পেল সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।
জিয়াউল হক সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিবের রুটিন দায়িত্ব চালিয়ে আসছিলেন।




