জাতীয়
বিমানবাহিনীর জন্য ‘ইউরোফাইটার টাইফুন’ যুদ্ধবিমান কিনছে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ বিমানবাহিনীকে ইউরোফাইটার টাইফুন যুদ্ধবিমান সরবরাহ করবে ইতালি। এ বিষয়ে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ও লিওনার্দো এসপিএ ইতালির মধ্যে লেটার অব ইনটেন্ট (সম্মতিপত্র) স্বাক্ষর হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আইএসপিআর জানিয়েছে, মঙ্গলবার বিমানবাহিনী সদরদপ্তরে বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন ও বাংলাদেশে নিযুক্ত ইতালির রাষ্ট্রদূত আন্তোনিও আলেসান্দ্রোর উপস্থিতিতে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী এবং লিওনার্দো এসপিএ ইতালির মধ্যে লেটার অব ইনটেন্ট সই হয়।
অনুষ্ঠানে প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ এবং ইতালির সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আইএসপিআর আরও জানায়, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সম্মুখসারিতে যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী অত্যাধুনিক মাল্টি-রোল কমব্যাট এয়ারক্রাফটের অংশ হিসেবে ইউরোফাইটার টাইফুন যুদ্ধবিমান সরবরাহ করবে লিওনার্দো এসপিএ।
এমকে
জাতীয়
মানবাধিকারকে বিশ্বাসের একটি অংশ হিসেবে প্রচার করা উচিত: প্রধান উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, মানবাধিকারকে বিশ্বাসের একটি অংশ হিসেবে প্রচার করা উচিত, যাতে প্রতিটি মানুষের জীবনের মূল্য মর্যাদার সঙ্গে এবং কোনো বৈষম্য ছাড়াই প্রতিষ্ঠিত হয়।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) ‘মানবাধিকার দিবস-২০২৫’ উপলক্ষে মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমরা আমাদের জাতীয় মানবাধিকার ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে আমাদের আন্তর্জাতিক অংশীদার এবং জাতিসংঘের সঙ্গে দৃঢ়ভাবে কাজ করার এবং বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে সব আন্তর্জাতিক অংশীদারের সঙ্গে নিবিড়ভাবে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছি।
তিনি আরও বলেন, মানবাধিকার দিবস-২০২৫ উপলক্ষে আমি বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের পক্ষ থেকে মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্র ও জাতিসংঘ সনদে সন্নিবেশিত সব মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা রক্ষায় আমাদের দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছি। এ বছর ‘মানবাধিকার, আমাদের নিত্যদিনের অপরিহার্য’-প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে তরুণদের নেতৃত্বে পরিচালিত ঐতিহাসিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রায় দেড় বছর পর আমরা এবারের মানবাধিকার দিবস উদ্যাপন করছি। চব্বিশের জুলাইয়ে এ দেশের সর্বস্তরের জনগণ নিপীড়ন ও স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে ফ্যাসিবাদী শাসনকে পরাজিত করে নিশ্চিত হয় জনগণের অধিকার ও মর্যাদা।
অশান্ত পরিস্থিতির মধ্য দিয়েই একটি ‘নতুন বাংলাদেশ’ আত্মপ্রকাশ করে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা এখন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে একটি গণতান্ত্রিক, অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছি, যাতে ন্যায়ভিত্তিক ও সমতাপূর্ণ সমাজ গঠন এবং আমাদের গণতন্ত্রকে আরও শক্তিশালী করার পথ নির্ধারণ করা যায়। ইতোমধ্যে জনগণের বিপুল সমর্থনের ভিত্তিতে, সম্প্রতি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, বাংলাদেশের রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচারের প্রতি আমাদের অঙ্গীকার আরও সুদৃঢ় করেছি, যেখানে পতিত স্বৈরাচারী সরকারের সদস্যদের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
ড. ইউনূস বলেন, আজ আমরা গর্বের সঙ্গে এমন একটি জাতি হিসেবে দাঁড়িয়ে আছি যারা মানবাধিকারসংক্রান্ত জাতিসংঘের নয়টি মূল আন্তর্জাতিক চুক্তির সবগুলোতে যোগ দিয়েছে, যার সর্বশেষটি হলো গুম বিষয়ক আন্তর্জাতিক কনভেনশন ‘ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন ফর দ্য প্রোটেকশন অব অল পারসন্স ফ্রম এনফোর্সড ডিসেপিয়ারেন্স’। আমরা একইসঙ্গে নির্যাতনবিরোধী কনভেনশনের ঐচ্ছিক প্রোটোকল এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সব মূল কনভেনশনেও সই করেছি, যা আমাদের শ্রমিকদের অধিকার ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।
তিনি বলেন, জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের সদস্য হিসেবে বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার সমুন্নত রাখতেও আমরা সক্রিয় অবদান রেখে যাচ্ছি। সংঘাত, মানবিক সংকট, জলবায়ু পরিবর্তন ও জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির মতো ঘটনা যা মানবাধিকার সুরক্ষার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে এসব বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে আমরা একযোগে কাজ করছি।
মিয়ানমারে জাতিগত নিপীড়নের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের অধিকার সুরক্ষায় আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক যে, আট বছর পরও মিয়ানমার এখন পর্যন্ত একজন রোহিঙ্গাকেও ফেরত নেয়নি। দ্রুততম সময়ে নিরাপদ প্রত্যাবাসন কার্যকর করার মধ্য দিয়ে রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধানের বিষয়ে আমি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করছি। গত ৩০ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের উচ্চ-পর্যায়ের সম্মেলনেও আমি রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমাদের এই অবস্থান জানিয়েছি।
তিনি বলেন, একইভাবে গাজাসহ বিশ্বের যেকোনো স্থানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে আমরা সোচ্চার রয়েছি এবং একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতি আমাদের অকুণ্ঠ সমর্থন অব্যাহত রেখেছি, স্বাধীনতার জন্য ফিলিস্তিনের জনগণের ন্যায্য সংগ্রামে তাদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছি।
এমকে
জাতীয়
বুধবার জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
সমসাময়িক বিষয় নিয়ে কথা বলতে বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে বিকেল ৩টায় এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের এক কর্মসূচিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কি বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করবেন সেটি কর্মসূচিতে উল্লেখ করা না হলেও উপদেষ্টা সমসাময়িক বিষয় নিয়ে কথা বলবেন বলে এতে জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি আসিফ মাহমুদ কোন দল থেকে নির্বাচনে অংশ নেবেন এবং নির্বাচনে প্রার্থিতা ঘোষণার আগে উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগের বিষয়টি বেশ আলোচিত হচ্ছিল। আসিফ মাহমুদ বুধবার এ বিষয়ে কথা বলতে পারেন বলে উপদেষ্টার দপ্তর সূত্রে জানা গেছে।
এমকে
জাতীয়
পুলিশে বড় রদবদল, ঊর্ধ্বতন ১৫ কর্মকর্তাকে বদলি
বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে কর্মরত অতিরিক্ত ও সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ১৫ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আমলের সই করা একাধিক প্রজ্ঞাপনে এ বদলি করা হয়েছে।
বদলির আদেশ পাওয়া কর্মকর্তারা হলেন- খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) শিহাব করিমকে পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) সহকারী পুলিশ সুপার, চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. আবুল কালামকে নৌ পুলিশ, র্যাবের সহকারী পুলিশ সুপার মো. মাজহারুল হক ও মো. মিজানুর রহমানকে এপিবিএনে বদলি করা হয়েছে।
অপর এক প্রজ্ঞাপনে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামানকে সিরাজগঞ্জ, সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন সরকারকে সুনামগঞ্জ, পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মোসফেকুর রহমানকে ঝিনাইদহ, খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ বিল্লাল হোসেনকে ঝিনাইদহ, সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসাইনকে সিলেট, সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. খায়রুল আমিনকে হবিগঞ্জ, খুলনা সি-সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবির সিদ্দিকী শুভ্রকে খুলনা সদরে, নওগাঁ ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলমাকে নওগাঁ ও রেলওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজওয়ান দীপুকে ফরিদপুর ভাঙ্গা সার্কেলে বদলি করা হয়েছে।
এছাড়া সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শাহাদাৎকে খাগড়াছড়ি ও পুলিশ সদর দফতরের সহকারী পুলিশ সুপার ও বর্তমানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত মো. সালাউদ্দিনকে খুলনা সি-সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে বদলি করা হয়েছে।
বদলির আদেশ পাওয়া কর্মকর্তাদের আগামী ১৩ ডিসেম্বর শনিবারের মধ্যে বদলি করা কর্মস্থলে যোগদানে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এমকে
জাতীয়
ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পেল ‘টাঙ্গাইল শাড়ি’
টাঙ্গাইল শাড়ি বুনন শিল্পকে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) ভারতের নয়াদিল্লিতে ইউনেস্কো ২০০৩ কনভেনশনের চলমান ২০তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এই কনভেনশনের আওতায় এটি বাংলাদেশের ষষ্ঠ একক নিবন্ধন। এর আগে পাওয়া অন্য পাঁচটি স্বীকৃতি হলো- বাউল সংগীত (২০০৮), জামদানি বুনন (২০১৩), পহেলা বৈশাখে মঙ্গল শোভাযাত্রা (২০১৬), শীতল পাটি (২০১৭) এবং রিকশা পেইন্টিং (২০২৩)।
চলমান এই সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের দলনেতা এবং ইউনেস্কো সাধারণ পরিষদের সভাপতি বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম তালহা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এই স্বীকৃতি বাংলাদেশের জন্য একটি অসামান্য গৌরবের বিষয়। দীর্ঘ দুই শতকের অধিক সময় ধরে টাঙ্গাইলের তাঁতিদের অনবদ্য শিল্পকর্মের বৈশ্বিক স্বীকৃতি এটি। টাঙ্গাইল শাড়ি বাংলাদেশের সকল নারীর নিত্য পরিধেয়, যা এই শাড়ি বুনন শিল্পের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনের পেছনে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে।
রাষ্ট্রদূত এই অর্জন বাংলাদেশের সকল তাঁতি এবং নারীদের প্রতি উৎসর্গ করেছেন। তিনি বলেন, ঐতিহ্য হিসেবে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি অর্জনের মতো বাংলাদেশের বহু অপরিমেয় সাংস্কৃতিক উপাদান রয়েছে। নথি প্রস্তুত করার সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং কনভেনশন সংক্রান্ত অভিজ্ঞ জনবল তৈরি করার মাধ্যমে এই রকম আরও অনেক ঐতিহ্যের ইউনেস্কো-স্বীকৃতি অর্জনের সুযোগ রয়েছে।
এর আগে গত ৭ ডিসেম্বর আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের চলমান ২০তম সভা উদ্বোধন করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর। অনুষ্ঠানে ইউনেস্কোর নবনিযুক্ত মহাপরিচালক খালেদ এল এনানি যোগ দেন।
এমকে
জাতীয়
উপদেষ্টা পদে থেকে কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না: ইসি আনোয়ারুল
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো উপদেষ্টা পদে থেকে বা সরকারের অন্য যেকোনো পদে থেকে কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না৷ এমনকি ভোটের প্রচারেও অংশ নিতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।
এই নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্য অনুযায়ী অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের মধ্যে কেউ ভোটে অংশ নিতে পারবেন না।
তিনি বলেন, আমাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন। তফসিল ঘোষণা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। তফসিল ঘোষণা জন্য যে প্রস্তুতি প্রয়োজন সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করে রেখেছে ইসি। আসন বিন্যাস, আইন অনুযাযী রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার যারা থাকবেন তাদেন প্রজ্ঞাপন, বিভিন্ন বিষয়ে ২০টির মতো পরিপত্র জারি হবে। সেখানে মোবাইল কোর্ট, ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ, ইলেকটোরাল ইনকোয়ারি কমিটি নিয়োগ, বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ, মনিটরিং সেল গঠন, আইন শৃঙ্খলার সেল গঠন এগুলোর ফরমেটগুলো রেডি রযেছে। তফসিল ঘোষণার পরপর সেগুলো ধারাবাহিকভাবে আমরা জারি করবো।
ইসি আনোয়ারুল বলেন, নির্বাচনী আচরণ বিধি অনুযায়ী সরকারের পদে থেকে নির্বাচনী প্রচার করা যাবে না। প্রচার করা না গেলে তো প্রার্থীও হতে পারবেন না। কাজেই সরকারের কোনো পদে থেকে কেউ প্রার্থী হতে পারবেন না।
এদিকে, নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রাহমানেল মাছউদ বলেছেন, তফসিল ঘোষণার পূর্বে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ইসির দায়িত্ব নয়। আনুষ্ঠানিকভাবে সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টির দায়িত্ব আসবে তফসিল ঘোষণার পর। চূড়ান্ত পোস্টাল ব্যালটে নিষিদ্ধ বা স্থগিত কোনো দলের প্রতীক থাকবে না।
তিনি আরও বলেন, তফসিল ঘোষণায় ভাষণের সবকিছু চূড়ান্ত। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রপতির সাথে সাক্ষাত শেষে সন্ধ্যায় অথবা বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) তফসিল ঘোষণা হবে। এতে রাজনৈতিক দলসহ সকলের সহযোগিতার বিষয়ে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হবে। আগামীকাল দুপুরে রাষ্ট্রপতির সাথে সাক্ষাৎ করতে যাবে নির্বাচন কমিশন।
এমকে




