রাজনীতি
হাশরের ময়দানে থাকবে কেবল দাঁড়িপাল্লা: জামায়াত নেতা
জেলা জামায়াতের আমীর ও লক্ষ্মীপুর–২ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী রুহুল আমীন ভূইয়া বলেছেন, হাশরের ময়দানে কোনো মার্কা থাকবে না, থাকবে শুধু দাঁড়িপাল্লা। মানুষের ন্যায়বিচারের প্রতীক এই দাঁড়িপাল্লায় ভোট দিলে দেশে ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হবে।
রবিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের কেরোয়া ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে দাঁড়িপাল্লার জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জামায়াত ক্ষমতায় এলে লক্ষ্মীপুরে রেললাইন স্থাপন হবে। একবার সুযোগ দিলে দেশের চেহারা বদলে যাবে। তিনি দাবি করেন, অতীতে জামায়াতের যেসব নেতা-মন্ত্রী ছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ছিল না।
রুহুল আমীন ভূইয়ার অভিযোগ, একদল ক্ষমতাহীন হওয়ার পর আরেক দল ক্ষমতায় আসার আগেই বিভিন্ন স্থাপনা দখল করে নিচ্ছে। তিনি বলেন, দেশে মাদকের জায়গা নেই এবং জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য ‘হ্যাঁ’ ভোট দিতে হবে, পাশাপাশি দাঁড়িপাল্লায়ও ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন, রাজনীতি একসময় পবিত্র জায়গা ছিল, কিন্তু অনেকেই এটিকে ব্যবসায় পরিণত করেছে। ভারতের কথা না শোনার কারণে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে ফাঁসিতে ঝুলানো হলেও জামায়াতকে থামানো যায়নি, বরং জনপ্রিয়তা বেড়েছে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন কেরোয়া ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর হাফেজ দেলোয়ার হোসেন। সভা সঞ্চালনা করেন ইউনিয়ন জামায়াতের শূরা ও কর্ম-পরিষদ সদস্য মো. হারুনুর রশীদ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা জামায়াতের আমীর সাইয়েদ মাওলানা নাজমুল হুদা, সেক্রেটারি এডভোকেট আব্দুল আউয়াল রাছেল, ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি ও চেয়ারম্যান প্রার্থী মুহাম্মদ ইউনুস, নায়েবে আমীর মাওলানা আনোয়ার হোসাইন, এডভোকেট জহির আলম, জয়নাল আবেদীন, আহসান উল্লাহসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা।
এমকে
রাজনীতি
মুক্তিযুদ্ধ ও ধর্মের কার্ড খেলে আর রাজনীতি চলবে না: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
মুক্তিযুদ্ধ ও ধর্মের কার্ড খেলে আর রাজনীতি চলবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর শাহবাগে আবু সাঈদ কনভেনশন হলে জাতীয় যুবশক্তির প্রতিনিধি সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন।
এ সময় নাসীরুদ্দীন বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ ও ধর্মের কার্ড খেলে আর রাজনীতি চলবে না। আগামীর রাজনীতি হবে সংস্কারের। আগামী নির্বাচনে শক্ত লড়াই হবে।’
জাতীয় সরকার গঠন করতে পারলে চ্যাম্পিয়ন দুর্নীতিবাজের পাল্লায় পড়তে হতো না উল্লেখ করে এই নেতা বলেন, ‘জামায়াত মুখে মুখে বিপ্লবের কথা বলে, অন্তরে তাদের অন্য কিছু। বিএনপির ব্যর্থতা হাসিনার রেজিম তৈরি হতে সহযোগিতা করেছিল। এখন নতুন একটি দল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিক্রি করতে শুরু করেছে। অথচ তাদের মুখে মুক্তিযুদ্ধের মূল ভিত্তি সাম্যের কথা শুনি না।’
এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘আরেকটি দল ধর্মের নামে রাজনীতি করতে চাইছে। ডাকসুর নেতা নির্বাচিত হয়ে জামায়াতের পক্ষে ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছে। আমরা যদি ক্ষমতায় আসি চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড যারা করেছে, তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
জামায়াত মুখে মুখে বিপ্লবী বলে, অন্তরে আওয়ামী লীগ ধারণ করে উল্লেখ করে পাটওয়ারী বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচনের পর তাদের মুখোশ খুলে গেছে। ২০০১-০৬ এর শাসনামলের ব্যর্থতার জন্য বিএনপি দায়ী। জামায়াতও দুর্নীতির জন্য সমান দোষে দোষী। বাংলাদেশে চেতনা দিয়ে রাজনীতি হয় না।’
নাসীরুদ্দীন বলেন, ‘একদল লন্ডন থেকে ভয় দেখায়। অনলাইনে ভয় দেখিয়ে যুবশক্তিকে দমানো যাবে না। আরেকদল ইসলামের নামে রাজনীতি করছে। ধর্ম ব্যবসা করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার পাঁয়তারা করছে জামায়াত। জামায়াতের ভণ্ডামি বন্ধ করতে হবে।’
এমকে
রাজনীতি
গণঅভ্যুত্থানের বিজয়কে সুসংহত করতে হবে: মির্জা ফখরুল
গণঅভ্যুত্থানের বিজয়কে সুসংহত করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ ও তার স্ত্রী সালমা আলো প্রণীত গ্রন্থসমূহের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য স্বাভাবিক। তবে মতপার্থক্য থাকলেও চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের ত্যাগ যাতে বৃথা না যায়, সেজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, গণঅভ্যুত্থানে অর্জিত বিজয়কে সুসংহত করতে হবে।
লেখক ও চিন্তাবিদ ড. মাহবুব উল্লাহ বিএনপির ভিশন-২০৩০ প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন জানিয়ে দলের এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, জাতির সামনে উপস্থাপিত ওই রাষ্ট্রগঠনের রূপরেখার মূল কাঠামো নির্ধারণের দায়িত্বে ছিলেন মাহবুব উল্লাহ এবং পুরো প্রক্রিয়ায় তার অবদান ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এমকে
রাজনীতি
দুর্নীতি দমনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে বিএনপি: তারেক রহমান
অন্য কেউ নয়, দুর্নীতি দমনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে বিএনপি- এমন মন্তব্য করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বিএনপি আয়োজিত ‘বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, দেশ এবং জনগণকে পক্ষে নিতে না পারলে দেশের অস্তিত্ব নিয়ে ভবিষ্যতে প্রশ্ন দেখা দেবে। বিভাজন ও বিভক্তি রেখে দেশ গড়া সম্ভব নয়।
যেকোনো মূল্যে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, আইনের মাধ্যমে বিচার করা হবে। দুর্নীতি দমনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে বিএনপি। সরকার গঠনে সক্ষম হলে স্বাবলম্বী মা এবং স্বাবলম্বী পরিবার গড়ে তুলা হবে।
শিক্ষা খাতের পরিকল্পনার বিষয়ে তারেক রহমান বলেন, স্কুলে কয়েকটি ভাষা শেখা বাধ্যতামূলক করা হবে। বাচ্চারা নিজেরাই ঠিক করবে কোন ভাষা শিখবে। ইংরেজির পাশাপাশি আরো একটি ভাষা শিখতে হবে।
তরুণদের জন্য প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে বিদেশে পাঠানোর পরিকল্পনাও ব্যক্ত করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
তারেক রহমান বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে চার কোটি পরিবারকে ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হবে। রাষ্ট্রের সুযোগ সুবিধা যেভাবে জনগণের কাছে নেওয়া যায় তাই করা হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রায় ৩ লাখের মতো মসজিদ আছে। মসজিদগুলোতে যে ইমাম-মুয়াজ্জিন সাহেবরা আছেন, তাদের সামাজিক স্বীকৃতি দেওয়া প্রয়োজন।
অনেকেই অনেক কথা বলছে, কিন্তু ক্ষমতায় গেলে কীভাবে দেশ পরিচালনা করবে তা বিএনপির মতো বিস্তারিত কেউ তুলে ধরেনি বলেও মন্তব্য করেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
এমকে
রাজনীতি
ভারতের কনসার্ন নিয়ে ক্ষমতায় যেতে চাই না: হাসনাত
মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করার মধ্য দিয়ে, ব্যুরোক্রেসিকে নিয়ন্ত্রণ করার মধ্য দিয়ে, মিলিটারিকে নিয়ন্ত্রণ করার মধ্য দিয়ে, পাশের দেশ ভারতের কনসার্ন নিয়ে আমরা কোনো ক্ষমতায় যেতে চাই না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) গত বছরের গণঅভ্যুত্থানে প্রথম শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলায় সাক্ষীর জবানবন্দি দেওয়ার পর ট্রাইব্যুনালের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ক্ষমতায় যেতে চাই। আমরা জনগণকে নিয়ে ক্ষমতায় যেতে চাই। কোন আনহোলি নেক্সাসকে, ম্যানেজ করে আমরা কোনো কন্ট্রোলডভাবে ক্ষমতায় যেতে চাই না।
তিনি আরও বলেন, আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে জনগণ যদি আমাদেরকে ম্যান্ডেট দেয়, জনগণকে যদি মনে করে আমরা ক্ষমতায় যাওয়ার উপযোগী, আমরা যেতে চাই।
এমকে
রাজনীতি
বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইসলামী আন্দোলন থেকে স্থায়ী বহিষ্কার মুফতি হাবিব
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত পটুয়াখালী জেলা শাখার প্রধান উপদেষ্টা ও পটুয়াখালী–১ (পটুয়াখালী সদর–মির্জাগঞ্জ–দুমকি) আসনের মনোনীত প্রার্থী মুফতি হাবিবুর রহমান হাওলাদার দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাহার করে পটুয়াখালী-৪ আসন থেকে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন। এতে দল থেকে তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে বাতিল করা হয়েছে তার প্রার্থিতাও।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ পটুয়াখালী জেলা কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান জেলা সভাপতি হাওলাদার মো. সেলিম মিয়া।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দলের আমীর ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীমের নির্দেশে এবং জেলা আমেলার জরুরি বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মুফতি হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে স্থায়ী বহিষ্কারাদেশ কার্যকর করা হয়েছে। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং পটুয়াখালী-৪ আসনে কেন্দ্র ঘোষিত প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও নিজেকে সেই আসনে প্রার্থী ঘোষণা দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে এ কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
একইসাথে মুফতি হাবিবুর রহমানের পরিবর্তে পটুয়াখালী জেলা শাখার সদস্য মাওলানা আবুল হাসান বোখারীকে পটুয়াখালী–১ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নতুন সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় কলাপাড়া প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মুফতি হাবিবুর রহমান পটুয়াখালী–৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন। অথচ ওই আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আগেই সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমানকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করেছিল।
দলীয় অনুমোদন ছাড়াই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ায় মুফতি হাবিবুর রহমানকে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী উপজেলাজুড়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা ও বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন ধরনের ইতিবাচক ও নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।




