রাজধানী
যেসব এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করল ডিএমপি
সুপ্রিম কোর্ট এলাকাজুড়ে সব ধরনের সভা-সমাবেশ, মিছিল, মানববন্ধন ও গণজমায়েত নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) জনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিএমপি।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স ১৯৭৬ (অর্ডিন্যান্স নং III/৭৬)–এর ২৯ ধারার ক্ষমতাবলে এ নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী, এনডিসি স্বাক্ষরিত গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবন, বিচারপতি ভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান গেট, মাজার গেট, জামে মসজিদ গেট, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ ও ২ এর প্রবেশ গেট, এবং বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট ভবনের সামনে কোনও ধরনের সভা, সমাবেশ বা আন্দোলনমূলক কর্মসূচি করা যাবে না।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, বিভিন্ন দাবি-দাওয়া বা প্রতিবাদ কর্মসূচির নামে যখন-তখন সড়ক অবরোধ করে যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি না করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে পুনরায় অনুরোধ করা হচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা জানান, সাম্প্রতিক কিছু ঘটনায় সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
ডিএমপি জানিয়েছে, জনস্বার্থ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হবে।
এমকে
রাজধানী
আইজিপির শাস্তির দাবিতে শাহবাগ অবরোধ
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমকে অপসারণ এবং শাস্তির দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছে শহীদ পিন্টু স্মৃতি সংসদ। অবরোধের কারণে শাহবাগে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে ৩টার দিকে সড়ক অবরোধ করা হয়। এসময় ওয়ারী, গেন্ডারিয়া, পুরান ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকার সহস্রাধিক মানুষ সেখানে জড়ো হয়।
শহীদ পিন্টু স্মৃতি সংসদের সভাপতি রফিক আহমেদ ডলার বলেন, শহীদ পিন্টু হত্যার বিচারের দাবিতে আমরা আজ শাহবাগ অবরোধ করেছি। আমরা এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই। আমরা চাই দ্রুত আইজিপিকে তার পদ থেকে অপসারণ করতে হবে। এরপর তার বিষয়ে সরকার যেন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, বর্তমানে শাহবাগ ব্লকড। পিন্টু সাহেবের হত্যার বিচারের দাবিতে পিন্টু স্মৃতি সংসদের ব্যানারে লোকজন শাহবাগ অবরোধ করে আন্দোলন করছে। আপাতত যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি।
এর আগে রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে শহীদ পিন্টু স্মৃতি সংসদ আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ পিন্টুর মৃত্যুকে ‘পরিকল্পিতভাবে হত্যা’ করা হয়েছে বলে দাবি করেন তার সহধর্মিণী সাবেক মহিলা কাউন্সিলর নাসিমা আক্তার কল্পনা।
এ ছাড়া পিলখানা হত্যাকাণ্ড ও ৫৭ সেনা কর্মকর্তার নির্মম হত্যা মামলায় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের নাম প্রকাশের পর তিনি আইজিপি বাহারুল আলমকে অবিলম্বে অপসারণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
প্রতিবাদ সভায় নাসিমা আক্তার কল্পনা আরও বলেন, আমি বহুবার বলেছি– আমার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে। স্বাধীন তদন্ত কমিশন এখন প্রমাণ করেছে যে এটি ছিল পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। হাইকোর্টের চিকিৎসার নির্দেশ অমান্য করে তাকে রাজশাহী কারাগারে পাঠানো হয়। রিমান্ড ও নির্যাতনের কারণে তার চোখ নষ্ট হয়ে যায়। থেরাপির জন্য আদালতের আদেশ থাকলেও তা পালন করা হয়নি।
এমকে
রাজধানী
রাজধানীতে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা, গৃহকর্মী পলাতক
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডে এক বাসায় মা ও মেয়েকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। নিহতরা হলেন, মালাইলা আফরোজ (৪৮) ও তার মেয়ে নাফিসা বিনতে আজিজ (১৫)। বাসার গৃহকর্মীই তাদের হত্যা করে পালিয়ে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। নিহত নাফিসা মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে খবর পেয়ে ভবনের ৭ম তলায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি জানান, মা ও মেয়েকে গলা কাটা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে এবং গৃহপরিচারিকাকে সন্দেহ করা হলেও তার পরিচয় এখনো নিশ্চিত নয়।
পুলিশ জানায়, সকালে গৃহকর্তা আজিজুল ইসলাম কাজের জন্য বের হন। দুপুর ১২টার দিকে বাসায় ফিরে তিনি স্ত্রী ও মেয়েকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। নাফিসাকে জীবিত অবস্থায় পেলেও হাসপাতালে নেওয়ার পর সে মারা যায়।
পুলিশ সূত্র আরও জানায়, সন্দেহভাজন গৃহকর্মীর নাম আয়েশা। ধারণা করা হচ্ছে, হত্যার উদ্দেশ্যেই সে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়ে পালিয়ে যায়। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে এবং বাথরুমের বালতি থেকে দুটি ধারালো ছুরিও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এমকে
রাজধানী
মোহাম্মদপুরে মা ও মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা, গৃহকর্মী পলাতক
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে একটি বাসায় মা ও মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহতরা হলেন মালাইলা আফরোজ (৪৮) এবং তার কন্যা নাফিসা বিনতে আজিজ (১৫)। পুলিশের ধারণা, এই হত্যাকাণ্ড ঘটাতে গৃহকর্মীই দায়ী এবং তিনি ঘটনাস্থল ত্যাগ করে পলাতক।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ খবর পেয়ে শাহজাহান রোডের একটি ৭ তলা বাসায় পৌঁছায়। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করছে।
তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নিহত মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজন গৃহকর্মীর খোঁজ চালানো হচ্ছে।
পুলিশ বলছে, হত্যাকাণ্ডের পর গৃহকর্মী পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও প্রতিবেশীরা শোকাহত এবং আতঙ্কিত। স্থানীয়রা জানান, পরিবারটি শান্ত ও অভিজ্ঞ নাগরিকদের মধ্যে পড়ে এবং আগে কখনও এ ধরনের সহিংসতার সঙ্গে জড়িত ছিল না।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, নিহত মা ও মেয়ে সাধারণত সকালের সময় বাসায় ছিলেন। গৃহকর্মীকে তারা নিয়মিত দায়িত্বে রাখতেন। তদন্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাসার সিসিটিভি ফুটেজ এবং প্রতিবেশীদের বিবরণ সংগ্রহ করা হচ্ছে। তাছাড়া, হামলার সময় কী ঘটেছিল তা খতিয়ে দেখার জন্য পুলিশ বাসার অভ্যন্তরীণ পরিদর্শন করছে।
পুলিশ জানিয়েছে, হত্যার পেছনে আর্থিক বা ব্যক্তিগত বিরোধ থাকতে পারে। তবে হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ উদঘাটনের জন্য আরও তদন্ত প্রয়োজন। তদন্ত কমিটি প্রাথমিকভাবে বাসার অন্যান্য কক্ষ, প্রবেশদ্বার ও আশপাশের এলাকা থেকে প্রমাণ সংগ্রহ করছে।
স্থানীয়দের মতে, এমন হত্যাকাণ্ড শহরের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। পুলিশের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, অপরাধীকে দ্রুত শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হবে। তারা উল্লেখ করেছেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত যেকোনো ব্যক্তি তথ্য দিতে পুলিশের হেল্পলাইন নম্বরে যোগাযোগ করতে পারবেন।
এদিকে, নিহত মা ও মেয়ের জন্য স্থানীয় কমিউনিটি সদস্যরা দোয়া ও শোক প্রকাশ করেছেন। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, পুলিশ এ ঘটনার সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছে এবং অপরাধীকে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মোহাম্মদপুরের এই হত্যাকাণ্ড পুনরায় প্রমাণ করল যে, গৃহকর্মীর সঙ্গে পরিবারগুলোর সম্পর্ক নিয়ন্ত্রণ করা এবং নিরাপত্তা বজায় রাখা কতটা জরুরি। পুলিশ এবং স্থানীয় প্রশাসন একযোগে কাজ করে অপরাধীকে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে।
রাজধানী
ঢাকার বাতাস আজ খুবই অস্বাস্থ্যকর
বায়ুদূষণের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে আজ ইরাকের বাগদাদ নগরী। অন্যদিকে, দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি আর ঢাকা রয়েছে তৃতীয় অবস্থানে। শনিবার (৬ ডিসেম্বর)) সকাল ৯টা ৯ মিনিটে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক থেকে জানা গেছে এসব তথ্য।
তালিকার শীর্ষে অবস্থান করা বাগদাদের দূষণ স্কোর ২৮৫ অর্থাৎ সেখানকার বায়ু খুবই অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। দিল্লির বায়ুর মানের স্কোর ২৬৪ এর অর্থ দাঁড়ায় সেখানকার বায়ুর মানও খুবই অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। তৃতীয় অবস্থানে থাকা ঢাকার দূষণ স্কোর ২৫৪ অর্থাৎ এখানকার বাতাসও খুবই অস্বাস্থ্যকর। এরপর রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর।
স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর।
অন্যদিকে, ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।
এমকে
রাজধানী
ঢাকায় গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, একই পরিবারের দগ্ধ ৬
ঢাকার আগারগাঁওয়ে একটি বাসায় গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে একই পরিবারের ছয় জন দগ্ধ হয়েছেন।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) ভোরে আগারগাঁওয়ের পাকা মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করেছে।
দগ্ধরা হলেন- মো. জলিল মিয়া (৫০), আনেজা বেগম (৪০), আসিফ মিয়া (১৯), সাকিব মিয়া (১৬), মনিরা আক্তার (১৭) ও ইভা (৬)।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ৮টার দিকে দগ্ধ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে এনে ভর্তি করা হয়।
তাদের জাতীয় বার্নে নিয়ে আসা আরফান মিয়া জানান, ভোরের দিকে আগারগাঁওয়ের পাকা মার্কেট ইসলামি ফাউন্ডেশনের পাশে ২০৪/এফ নম্বর বাসায় গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে আগুন লেগে যায়। পরে আমরা সবাইকে উদ্ধার করে জাতীয় বার্নে নিয়ে আসি।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান জানান, আগারগাঁও থেকে নারী ও শিশুসহ ৬জন দগ্ধ হয়ে আমাদের এখানে এসেছেন। তাদের ড্রেসিংয়ের কাজ চলছে। এখনো বলা যাচ্ছে না তাদের কত শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। বিস্তারিত আমরা একটু পরে জানাচ্ছি।
এমকে




