কর্পোরেট সংবাদ
মৌলভীবাজারে ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ’ কার্যক্রমবিষয়ক সেমিনার
দেশে ক্যাশলেস লেনদেনের সম্প্রসারণ ও গ্রাহক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে মৌলভীবাজারে অনুষ্ঠিত হলো ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ উদ্যোগ’ কর্মসূচি। লিড ব্যাংক হিসেবে এই কর্মসূচির আয়োজন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
গতকাল সোমবার (৮ ডিসেম্বর) মৌলভীবাজার শিল্পকলা একাডেমিতে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়। কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন ব্যবসায়ী, গ্রাহক, ব্যাংক কর্মকর্তা, এমএফএস কর্মকর্তা, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ।
দিনব্যাপী এই কর্মসূচিতে সেমিনার, আলোচনা, প্রদর্শনী ও প্রচারণার মাধ্যমে বিশেষ করে বাংলা কিউআর-এর ব্যবহার ও অন্যান্য ডিজিটাল লেনদেনের সুবিধা তুলে ধরা হয়, যা ক্যাশ-টু-ডিজিটাল ইকোসিস্টেম গঠনের মাধ্যমে ক্যাশলেস বাংলাদেশ কার্যক্রম সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী পরিচালক মো. আরিফ হোসেন খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংক সিলেট অফিসের নির্বাহী পরিচালক খালেদ আহমদ এবং ব্র্যাক ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব এসএমই ব্যাংকিং সৈয়দ আব্দুল মোমেন।
আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের পরিচালক রাফেজা আক্তার কান্তা। এছাড়াও, উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক ব্যাংকের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এই কর্মসূচিতে ডিজিটাল লেনদেনের নানান দিক নিয়ে সেশন পরিচালনার পাশাপাশি গ্রাহক সচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রচার- প্রচারণা, ক্যাম্পেইন ও রোড-শো অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজনে বাংলা কিউআরের সুযোগ-সুবিধা এবং গ্রাহকদের জন্য দ্রুত ও সুবিধাজনক ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করার মাধ্যমে দেশের আর্থিক অন্তর্ভুক্তির বিকাশে ক্যাশলেস লেনদেনের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা বাংলাদেশ ব্যাংকের এমন উদ্যোগের প্রশংসা জানিয়ে ভবিষ্যতেও এ ধরনের কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। এই উদ্যোগে লিড ব্যাংক হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংকের অংশগ্রহণ দেশে ডিজিটাল ট্রানজ্যাকশন ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তির বিকাশে ব্যাংকটির প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
কর্পোরেট সংবাদ
প্রবীণদের মানসিক সুস্থতা ও সম্পৃক্ততায় জেসিআই ঢাকা ওয়েস্টের ব্যতিক্রমী আয়োজন
জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) ঢাকা ওয়েস্ট কর্তৃক আয়োজিত মানবিক উদ্যোগ “প্রবীণের তরে নবীন” প্রজেক্টটির সমাপনী সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। প্রজেক্টটির আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য কেবল প্রবীণদের মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি নয় বরং পারিবারিক সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির মাধ্যমে তাঁদের জীবনে এবং সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া এই প্রকল্পে ৩০ জন প্রবীণ এবং ১০ জন কেয়ারগিভার (যত্নদাতা) সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন।
‘প্রিয়জন’ (এল্ডারলি কেয়ার হোম) এবং ‘ওয়েলনেস্ট’ (মেন্টাল হেলথ সাপোর্ট প্রোভাইডার্স) এর যৌথ সহযোগিতায় এই প্রকল্পে মোট চারটি ইন্টারঅ্যাকটিভ সেশন অনুষ্ঠিত হয়। উল্লিখিত সেশনগুলোয় ভালো থাকার পরামর্শের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক পরিবেশের আয়োজন করা হয়।
পারিবারিক অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রবীণরা হয়ে ওঠেন উচ্ছল, সজীব ও প্রাণবন্ত। প্রবীণ ও তাঁদের কেয়ারগিভারদের জন্য আয়োজিত এই সেশনে অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের অনুভূতি, গল্প ও তাদের জীবনে প্রতিকূলতার দিকগুলো খোলামেলাভাবে ব্যক্ত করেন। ফলে ‘প্রিয়জন’ নিবাসের পরিবেশ ভরে ওঠে আবেগঘন, ভালোবাসা ও সহমর্মিতায় পূর্ণ।
জেসিআই ঢাকা ওয়েস্টের লোকাল প্রেসিডেন্ট সুজাউর রহমান ইমনের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং সার্বিক সহযোগীতায় প্রকল্পের সকল কার্যক্রম পরিচালিত এবং সম্পন্ন হয়। তিনি বলেন, জেসিআই ঢাকা ওয়েস্টের এই উদ্যোগ শুধুমাত্র একটি সামাজিক কার্যক্রম নয়; বরংএটি একটি সহানুভূতির যাত্রা, যা প্রবীণদের মানসিক স্বাস্থা নিয়ে প্রচলিত ধারণা ভেঙে নতুন আলোচনার সূচনা করেছে। প্রকল্পটির মাধ্যমে জেসিআই ঢাকা ওয়েস্ট প্রমাণ করেছে- মানসিক সুস্থতা ও যত্নের বিষয়টি শুধু ব্যক্তিগত নয়, এটি সামাজিক দায়িত্বের অংশ।
‘প্রবীণের তরে নবীন’ প্রজেক্ট ডিরেক্টর এবং জেসিআই ঢাকা ওয়েস্টোর লোকাল ভাইস প্রেসিডেন্ট অদ্রিকা এষণা পূর্বাশা বলেন, বাংলাদেশে প্রবীণদের শারীরিক স্বাস্থ্য নিয়ে বেশ কিছু কার্যক্রম থাকলেও মানসিক স্বাস্থ্যের দিকটি অবহেলিত থেকে যায়, সেই জন্য এই প্রজেক্টের মূল লক্ষ্য প্রবীণদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা। সেই সঙ্গে কেয়ারগিভারদের মানসিক স্বাস্থ্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ তারা ভালো থাকলে প্রবীণদের আরও বেশি ভালোমতো যত্ন নিতে পারবেন।
“প্রবীণের তরে নবীন” প্রজেক্ট লিড হিসেবে আহনাফ আহমেদ এবং প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর হিসেবে আহমেদ ওয়াজেদুল হক খান, প্রজেক্টের সদস্য হিসেবে ফারাহ্ ছাঈদ আব্দুল বারী এবং জোবায়ের আহমেদ সাকিব দ্বায়িত্ব পালন করেন।
উল্লেখ্য, জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সী উদ্যমী তরুণদের একটি সংগঠন। জেসিআই সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরির সেন্ট লুইসে অবস্থিত। ১২০টিরও বেশি দেশে এর কার্যক্রম রয়েছে এবং সারা বিশ্বে এর সদস্য সংখ্যা ২ লাখের বেশি। বাংলাদেশে বর্তমানে জেসিআই এর প্রায় ৪০ টির অধিক লোকাল চ্যাপ্টার কাজ করছে। এরমধ্যে জেসিআই ঢাকা ওয়েস্ট প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী বৃহৎ লোকাল অর্গানাইজেশন।
এমকে
কর্পোরেট সংবাদ
বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে ভিন্নধর্মী উদ্যোগ জেসিআই ঢাকা ওয়েস্টের
জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) ঢাকা ওয়েস্ট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাপোর্ট ফর স্টুডেন্ট উইথ ডিজেবিলিটিসের যৌথ উদ্দ্যোগে সমাজে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তিকরণের উদ্দ্যেশ্যে আয়োজিত হলো চার দিন ব্যাপী ভিন্নধর্মী কর্মশালা প্রজেক্ট থার্ড আই ২.০।
গত ১৮ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনে কর্মশালার সমাপণী অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। এই কর্মশালায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বমোট ২৫ জন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী এবং শারীরিক বিশেষভাবে সক্ষম এবং চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
প্রজেক্ট থার্ড আই ২.০ কর্মসূচির মাধ্যমে বিশেষভাবে সক্ষম (প্রতিবন্ধী) তরুণদের পেশাগত দক্ষতা অর্জন এবং সমাজে যোগ্য ও বলিষ্ঠ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা এবং ক্ষমতায়নে আলোকপাত করা হয়। এর মূল লক্ষ্য বিশেষভাবে সক্ষম এবং চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি করা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নিয়োগ প্রক্রিয়াকে উৎসাহিত এবং ত্বরান্বিত করা, যার মাধ্যমে সমাজে প্রচলিত স্টেরিও টাইপ এবং গতানুগতিক ভ্রান্ত ধারণা দূর করা যায়।

কর্মশালায় উপস্থিত সকল প্রশিক্ষণার্থীদের সার্টিফিকেট এবং আয়োজনের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করেন জেসিআই বাংলাদেশের ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদ আলতামিশ নাবিল।
তিনি বলেন, জেসিআই বাংলাদেশ বিশ্বাস করে, প্রজেক্ট থার্ড আই ২.০ শুধু একটি স্থানীয় উদ্যোগ নয়- এটি জাতিসংঘের বৈশ্বিক টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের প্রতি আমাদের আন্তরিক অঙ্গীকার এবং উন্নত বিশ্বের পথে একটি সক্রিয় পদক্ষেপ। জেসিআই ঢাকা ওয়েস্টের এই অভিনব উদ্যোগকে আমরা নিঃসন্দেহে স্বাগত এবং সাধুবাদ জানাই।
জেসিআই ঢাকা ওয়েস্ট লোকাল প্রেসিডেন্ট সুজাউর রহমান ইমনের সহযোগীতা এবং পৃষ্ঠপোষকতায় সার্বিক প্রকল্পের সকল কার্যক্রম পরিচালিত এবং সম্পন্ন হয়।
তিনি বলেন, আমরা জেসিআই ঢাকা ওয়েস্ট মনে করি, মানবতার মধ্যেই নিহিত রয়েছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ঐশ্বর্য। ‘প্রজেক্ট থার্ড আই ২.০’ শুধুমাত্র একটি প্রশিক্ষণ বা কর্মশালা নয়; এটি বিশেষভাবে সক্ষম তরুণদের অদম্য আত্মবিশ্বাস ও সুপ্ত সম্ভাবনাকে জাগিয়ে তোলার এক প্রয়াস। তাদের অর্জিত এই দক্ষতা নিশ্চিতভাবে তাদের কর্মজীবনকে আলোকিত করবে এবং একটি সমতাপূর্ণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের পথে জেসিআই ঢাকা ওয়েস্টের পক্ষ থেকে একটি জোরালো পদক্ষেপ।
প্রজেক্ট থার্ড আই ২.০ এর প্রজেক্ট ডিরেক্টর আহমেদ ওয়াজেদুল হক খান বলেন, এই প্রজেক্ট থার্ড আই ২.০ শুধু একটি কর্মশালা বা প্রকল্প নয়, এটি একটি বাংলাদেশের কর্পোরেট সংস্কৃতিতে এক অত্যাবশ্যকীয় মুভমেন্ট। আমরা বিশ্বাস করি, শারীরিক বা যে কোন সীমাবদ্ধতা কখনো স্বপ্নের সীমারেখা হতে পারে না। এই তরুণরা এখন তাদের মেধা ও প্রতিভার ভিত্তিতে যোগ্য নেতৃত্ব প্রদানে প্রস্তুত।
এছাড়া জেসিআই ঢাকা ওয়েস্টের লোকাল ভাইস প্রেসিডেন্ট অদ্রিকা এষণা পূর্বাশা এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে প্রজেক্ট থার্ড আই ২.০- এর প্রজেক্ট ডিরেক্টর আহমেদ ওয়াজেদুল হক খান এবং প্রজেক্ট লিড জোবায়ের আহমেদ সাকিব দ্বায়িত্ব পালন করেন।
ইয়ুথ আপস্কিল নেটওয়ার্ক, গিয়ারলঞ্চ, গ্লোবাল ট্রাভেলস, নেক্সটজেন, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি স্কিল ডেভেলপমেন্ট ফোরাম, সেভোরি এবং ইগনাইট গ্লোবাল ফাউন্ডেশনের সার্বিক সহযোগিতায় এবং পৃষ্ঠপোষকতায় উক্ত প্রজেক্ট এবং প্রশিক্ষণ কর্মশালা সফলভাবে সম্পন্ন হয়।
উল্লেখ্য, জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সী উদ্যমী তরুণদের একটি সংগঠন। জেসিআই সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরির সেন্ট লুইসে অবস্থিত। ১২০টিরও বেশি দেশে এর কার্যক্রম রয়েছে এবং সারা বিশ্বে এর সদস্য সংখ্যা ২ লাখের বেশি। বাংলাদেশে বর্তমানে জেসিআই এর প্রায় ৪০ টির অধিক লোকাল চ্যাপ্টার কাজ করছে। এরমধ্যে জেসিআই ঢাকা ওয়েস্ট প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী বৃহৎ লোকাল অর্গানাইজেশন।
এমকে
কর্পোরেট সংবাদ
বিকাশ অ্যাপে সাজানো হলো ‘আমার বিকাশ’ আইকন
প্রত্যেক গ্রাহকের ব্যবহারের ধরণ আর প্রয়োজন অনুযায়ী সম্প্রতি বিকাশ অ্যাপের ইন্টারফেসকে আরও বেশি সহজ ও কার্যকরী করে উপস্থাপন করা হয়েছে। ‘আমার বিকাশ’ আইকনের নতুন উপস্থাপন এখন গ্রাহককে এক ঝলকেই তার দৈনন্দিন আর্থিক লেনদেনের একটা চিত্র দেখাচ্ছে। সমস্ত লেনদেনের তথ্য কাস্টমাইজ করে এক জায়গাতে সন্নিবেশিত করার ফলে গ্রাহকের সার্বিক আর্থিক ব্যবস্থাপনাও আরও সহজ ও কার্যকর হয়েছে।
পাশাপাশি, ‘আমার বিকাশ’, ‘মাই অফারস’ এর বদলে যাওয়া ইন্টারফেস আরও পরিছন্নরূপে উপস্থাপন করা হয়েছে। নতুন থিম যুক্ত করে বহুল ব্যবহৃত এই অ্যাপটির সার্বিক সজ্জাতেও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনা হয়েছে। এছাড়া মাই অফারস-এ বোনাস পয়েন্ট, অ্যাপ থেকে ইনস্যুরেন্স পলিসি কেনা, কুপন, রিওয়ার্ড সহ নানা ধরনের সুবিধা যুক্ত হয়েছে বিকাশ অ্যাপের নতুন এই সংস্করণে।
আমার বিকাশ বিকাশ অ্যাপের সাথে গ্রাহকের যাত্রা কতো বছরের তা বিকাশ অ্যাপের ‘মাই বিকাশ’ ইন্টারফেসে ঢুকে সবার আগে চোখে পড়ছে গ্রাহকের। প্রতিদিনের জীবনের অংশ হয়ে ওঠা বিকাশ অ্যাপের সাথে গ্রাহকের সম্পর্কের সময়ের হিসাব, তৈরি করছে বাড়তি ভালো লাগা।
হোম স্ক্রিনের নেভিগেশন বারে যুক্ত হয়েছে ‘আমার বিকাশ’ আইকন, যা ট্যাপ করেই গ্রাহক তার বিকাশ লেনদেন জগতে ঢুকে যেতে পারছেন সহজে, স্বাচ্ছন্দ্যে। রিওয়ার্ড পয়েন্ট, প্রিয় নাম্বার, প্রিয় এজেন্ট, সেভ করা বিলার, কার্ড ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, সেভিংস বা লোন নেয়ার তথ্য, অটো-পে, সাবস্ক্রিপশন সহ গ্রাহকের প্রয়োজনীয় সব সেবাই এক স্ক্রিনে দেখতে পাচ্ছেন গ্রাহক। ফলে শুধু দ্রুত সেবা নেয়া ই নয়, গ্রাহকদের আর্থিক ব্যবস্থাপনা হয়েছে আরও স্মার্ট এবং সময় সাশ্রয়ী। বিকাশ অ্যাপ থেকে সাবস্ক্রাইব বা লিংক করা অন্য অ্যাপের তালিকাও একই স্ক্রিনেই পেয়ে যাচ্ছেন গ্রাহক।
মাই অফারস ডিজিটাল লেনদেনে অভ্যস্ততা বাড়াতে সারাবছরই সব ধরনের গ্রাহকদের জন্য নানা ধরনের অফার সংযুক্ত থাকে বিকাশ অ্যাপে। কোন লেনদেন করলে কতো ছাড়, কোথায় মিলবে ডিসকাউন্ট, বিশেষ কী অফার রয়েছে তার তালিকা পাওয়া যাবে হোম স্ক্রিনের মাই অফার আইকন থেকেই। চাহিদা ও লেনদেনের ধরন বিবেচনায় রেখে আরও সুযোগ ও স্বাচ্ছন্দ্য দিতে গ্রাহককে কাস্টমাইজড ‘মাই অফারস’ দিয়ে থাকে বিকাশ। ‘মাই অফারস’-এ ট্যাপ করলে গ্রাহক তার জন্য দেয়া অফারের বিস্তারিত তালিকা (যেমন – ব্যাংক টু বিকাশ, কার্ড টু বিকাশ, পেমেন্ট, রেমিট্যান্স, বিকাশ টু ব্যাংক ইত্যাদি) থেকে নিজের পছন্দমতো অফার উপভোগ করতে পারবেন আর সাথে পাবেন রিওয়ার্ড পয়েন্টও। কোনো অফার না থাকলেও এই সেকশনে একবার ট্যাপ করলেই গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে যুক্ত হতে পারে বোনাস পয়েন্ট। এদিকে, প্রতিটি অফারের পাশে এর বিস্তারিত বিবরণ এবং মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ উল্লেখ থাকে, যা গ্রাহকের বিকাশ লেনদেন করবে আরও সাশ্রয়ী।
হোম স্ক্রিনের ইন্টারফেস পরিবর্তন বাংলার প্রকৃতির সাথে মিলিয়ে নবযাত্রা, প্রশান্তি আর গোধূলি তিন ধরনের থিম এসেছে বিকাশ অ্যাপের হোম স্ক্রিনের জন্য। অ্যানিমেটেড এই থিমগুলো হোম স্ক্রিনকে আরও প্রাঞ্জল ও সজীব করে তুলেছে। গ্রাহক নিজের পছন্দমতো থিম নির্বাচন করে পরিবর্তনও করে নিতে পারছেন। হোম স্ক্রিনের আইকনগুলোকে আরও পরিচ্ছন্ন ও নিবিড় করে তোলা হয়েছে গ্রাহকের ব্যবহার সুবিধার্থে। এমনকি গ্রাহকরা শুধু আইকন দেখেই আরও সহজে সেবা নির্বাচন করতে পারছেন নতুন এই পরিবর্তনে।
ইন্স্যুরেন্স পলিসি কেনা গ্রাহকরা এখন বিকাশ অ্যাপ থেকেই তাদের পছন্দানুযায়ী হেলথ ও লাইফ ইনস্যুরেন্স পলিসি কিনতে পারছেন। অ্যাপের হোম স্ক্রিনে থাকা ইনস্যুরেন্স আইকনে যেয়ে ‘নতুন পলিসি কিনুন’ অপশনে ট্যাপ করে প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে হবে। এরপর পছন্দানুযায়ী হেলথ বা লাইফ ইনস্যুরেন্স সিলেক্ট করে বয়সের ঘর পূরণ করলে বিভিন্ন ইনস্যুরেন্স কভারেজ অপশন দেখা যাবে। এখান থেকে পছন্দানুযায়ী কভারেজটি সিলেক্ট করে সম্মতি দিলেই ইনস্যুরেন্স পলিসি চালু হয়ে যাবে। এছাড়া, বিকাশ অ্যাপ থেকেই ইনস্যুরেন্সের প্রিমিয়াম জমা দেয়া সহ ডকুমেন্ট ও রিসিপ্ট ডাউনলোড করা যাবে। আরও আকর্ষণীয় গেস্ট মোড অ্যাপ লগইন বা রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই বিভিন্ন সেবা ব্রাউজ করার সুযোগ দেয় বিকাশ অ্যাপের গেস্ট মোড। যারা এখনো বিকাশ অ্যাকাউন্ট খোলেননি অথবা অ্যাকাউন্ট খুলতে আগ্রহী, তাঁরা অ্যাপটির সেবা ও অফার সম্বন্ধে বিস্তারিত দেখতে পারবেন বিকাশ অ্যাপের গেস্ট মোড থেকেই।
সর্বশেষ যুক্ত এই সেবা ও ফিচারগুলোর পাশাপাশি এই মুহূর্তে বিকাশ গ্রাহকরা সেন্ড মানি, মোবাইল রিচার্জ, ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউট, মার্চেন্ট পেমেন্ট, অ্যাড মানি, ইউটিলিটি বিল পেমেন্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ফি পরিশোধ, ই-টিকেটিং, ডোনেশন, বিদেশ থেকে রেমিটেন্স গ্রহণ, ইন্স্যুরেন্স ও মাইক্রোফাইন্যান্স এর পেমেন্ট, ডিজিটাল লোন ও সেভিংস সহ নানান সেবা ব্যবহার করছেন। গ্রাহক-বান্ধব সেবার মাধ্যমে একটি পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল লাইফস্টাইল অ্যাপে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে নিরন্তর উদ্ভাবন অব্যাহত রেখেছে বিকাশ।
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংকের পর্ষদ সভা
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান।
সভায় এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান, স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবদুল জলিল, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন, শরী’আহ সুপারভাইজরি কাউন্সলিরে সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মো. হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এসএম
কর্পোরেট সংবাদ
জামাল ভূঁইয়ার কাছ থেকে আইফোন উপহার নিলেন বরিশালের সানি বেপারী
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার কাছ থেকে বরিশালের সানি বেপারী আইফোন ১৭ প্রো উপহার হিসেবে পেলেন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) তিনি এটি জিতেছেন নগদে লেনদেন বা নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার ক্যাম্পেইনে অংশ নিয়ে।
এই ক্যাম্পেইনে সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত প্রতি মিনিটের প্রথম লেনদেনকারী গ্রাহককে ক্যাশব্যাক দেওয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ১১,২০০-এর বেশি গ্রাহক ৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক পেয়েছেন। এ ছাড়া, সারপ্রাইজ রিচার্জ অফারে অংশ নিয়ে এক হাজারের বেশি গ্রাহক বোনাস রিচার্জও পেয়েছেন।
সানি বেপারী বলেছেন, ‘আমি কল্পনাও করতে পারিনি যে জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়কের কাছ থেকে এমন একটি পুরস্কার পাব। আমি সত্যিই খুব খুশি।’
নগদের ক্যাম্পেইন ২৬ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে। যারা আগে নিয়মিত নগদ ব্যবহার করতেন না বা নতুন অ্যাকাউন্ট খুলে লেনদেন করছেন, তাদের জন্য প্রতিদিন ক্যাশব্যাকসহ রয়েল এনফিল্ড মোটরসাইকেল, আইফোন এবং আরও অনেক পুরস্কার জেতার সুযোগ রয়েছে।




