অর্থনীতি
ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ উদযাপন করছে এনবিআর
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আগামী ১০ ডিসেম্বর ভ্যাট দিবস এবং ১০-১৫ ডিসেম্বর ভ্যাট সপ্তাহ-২০২৫ পালন করছে। প্রতি বছরের মতো এবারও নানা কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করা হবে। ভ্যাট নিবন্ধনকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে এ বছরের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে- ‘সময়মত নিবন্ধন নেব, সঠিকভাবে ভ্যাট দিব’।
এ প্রতিপাদ্যের আলোকে ১০ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে বিশেষ নিবন্ধন ক্যাম্পেইন পরিচালনা করবে এনবিআর। এবারের লক্ষ্য- ১ লাখ নতুন ভ্যাট নিবন্ধন। বর্তমানে দেশে ভ্যাট নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৬ লাখ ৪৪ হাজার।
এনবিআর সূত্র জানায়, গত অর্থবছরে মোট রাজস্ব আদায়ের ৩৮ শতাংশ এসেছে ভ্যাট থেকে। চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে ভ্যাট আদায় বেড়েছে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২২ শতাংশ। ভ্যাট ব্যবস্থাপনা জোরদার করতে পারলে রাজস্ব আদায় আরও বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছে এনবিআর।
জনগণের পরিশোধিত রাজস্ব দিয়ে বার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নসহ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সড়ক-রেল অবকাঠামো নির্মাণ, ঋণ পরিশোধ, সামাজিক সুরক্ষা, কৃষি, বিদ্যুৎ ও শিল্পে ভর্তুকি প্রদানসহ বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক খাতে ব্যয় করা হয়।
তবে ভ্যাট আদায় ব্যবস্থায় এখনও বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ রয়েছে। অনিবন্ধিত ব্যবসা, পূর্ণাঙ্গ অটোমেশনের ঘাটতি, রেয়াত-শৃঙ্খল অকার্যকর, অতিরিক্ত অব্যাহতি, ম্যানুয়াল অডিট পদ্ধতি, ই-কমার্স ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম থেকে ভ্যাট সংগ্রহের সীমাবদ্ধতা ইত্যাদি।
এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এনবিআর ইতোমধ্যে অনলাইন নিবন্ধন, অনলাইন রিটার্ন দাখিল, ই-সহগ, অনলাইন পেমেন্ট, ই-রিফান্ড, ই-অডিট, ভ্যাট স্মার্ট চালান, এবং ভ্যাট ফাঁকি রোধে ‘রিস্ক-বেসড অডিট সিস্টেম’ চালুসহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
এনবিআর মনে করে, স্বেচ্ছায় কর প্রদানের সংস্কৃতি গড়ে তোলা এবং কর ফাঁকি কমানোই টেকসই রাজস্ব ব্যবস্থার মূল চাবিকাঠি। উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে শক্তিশালী ও আধুনিক ভ্যাট ব্যবস্থা অপরিহার্য এ লক্ষ্যে ভোক্তা, ব্যবসায়ী, শিল্প মালিক ও গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করেছে সংস্থাটি।
অন্যান্য
অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের আশাব্যঞ্জক লক্ষণ দেখা দিয়েছে: জিইডি
২০২৫ অর্থবছরের শেষ ছয় মাসে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে পুনরুদ্ধারের আশাব্যঞ্জক লক্ষণ দেখা গেছে।
পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগে (জিইডি) প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ স্টেট অব দ্য ইকোনমি ২০২৫’ প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে সোমবার (৮ ডিসেম্বর) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিভিন্ন পূর্বাভাসে প্রবৃদ্ধি শ্লথ হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করা হলেও বর্তমানে প্রধান সূচকগুলো ধীরে ধীরে পুনরুদ্ধারের দিকেই ইঙ্গিত করছে।
জিইডির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি আগের বছরের তুলনায় কম থাকবে বলে বড় উন্নয়ন সহযোগীরা ধারণা করছে।
বিশ্বব্যাংক ৩.৩ শতাংশ থেকে ৪.১ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে, আর এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) পূর্বাভাস দিয়েছে ৩.৯ শতাংশ। তবে ২০২৬ অর্থবছরে অর্থনীতি গতি সঞ্চার করবে এবং প্রবৃদ্ধি ৫.১ শতাংশ থেকে ৫.৩ শতাংশে উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনটিতে বাংলাদেশের বহিঃখাতের উল্লেখযোগ্য স্থিতিশীলতার কথা বলা হয়েছে। শক্তিশালী রেমিট্যান্স প্রবাহ, আমদানি স্থিতিশীলতা এবং মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানির পুনরুদ্ধার অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধির পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
রপ্তানি আয়ও শক্তিশালী রয়েছে, যা তৈরি পোশাক (আরএমজি) খাতের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বৃদ্ধি, নীতি মেনে চলা এবং বাজার বহুমুখীকরণের মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তিন মাসের বেশি আমদানি ব্যয় মেটাতে সক্ষম অবস্থায় স্থিতিশীল রয়েছে, যা বিচক্ষণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার প্রতিফলন।
প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দুই বিভাগে ভাগ করার সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে এনবিআর কর্মকর্তাদের কর্মবিরতির কারণে জুন মাসে রাজস্ব সংগ্রহ মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হয়। পরে কর্মসূচি প্রত্যাহারের ফলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় এবং রাজস্ব আদায় পুনরায় শুরু হয়।
জিইডি জোর দিয়ে বলেছে, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধার এবং আর্থিক খাত স্থিতিশীল করা ২০২৫-২৬ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর জন্য অপরিহার্য। যদিও অনেক পূর্বাভাস পুনরুদ্ধারের ইঙ্গিত দিচ্ছে, তবে প্রবৃদ্ধি কতটা কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দারিদ্র্য হ্রাস এবং জীবনমান উন্নয়নে রূপান্তরিত হবে তা কার্যকর নীতি, শক্তিশালী আর্থিক খাতের শাসন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন কৌশলের ওপর নির্ভর করবে।
প্রতিবেদনটিতে দুর্বল বেসরকারি বিনিয়োগ ও শিল্প কার্যক্রমকে প্রবৃদ্ধির বড় বাধা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বিপরীতে, রেমিট্যান্স প্রবাহ, রপ্তানি কার্যকারিতা এবং উৎপাদন খাতের আউটপুট-বিশেষ করে তৈরি পোশাক শিল্প-প্রবৃদ্ধির প্রধান চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করছে ও ২০২৬ অর্থবছরেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তবে বাংলাদেশকে সীমিত রিজার্ভ, বিনিয়োগকারীদের আস্থার সংকট, ক্রেতাদের পরিবর্তিত পছন্দ এবং বৈশ্বিক বাণিজ্য উত্তেজনা ও ভূরাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মতো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।
প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। বৃহৎ ও ক্রমবর্ধমান শ্রমবাজারের চাহিদা মোকাবিলা, উৎপাদনশীলতা বাড়ানো-বিশেষত পোশাক ও এসএমই খাতে রেমিট্যান্স বৃদ্ধি এবং মানবসম্পদ উন্নয়নে বিনিয়োগকে জাতীয় অগ্রাধিকার দিতে হবে।
উদীয়মান দুর্বলতাগুলো- বিশেষ করে মূল্যস্ফীতি, আর্থিক খাতের অস্থিরতা, দুর্বল বিনিয়োগ পরিবেশ, সুশাসন সংকট এবং বৈদেশিক ঝুঁকি সমাধান করতে ব্যর্থ হলে প্রবৃদ্ধি মন্থর হতে পারে, জীবনমান খারাপ হতে পারে, দারিদ্র্য বাড়তে পারে এবং বৈষম্য দেখা দিতে পারে।
অন্যদিকে, সময়োপযোগী ও সমন্বিত নীতি সংস্কার, শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান এবং স্পষ্ট নীতিগত বার্তা প্রদান নিশ্চিত করতে পারলে বাংলাদেশ পুনরায় গতি ফিরে পাবে এবং আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি অর্জনের সুযোগ তৈরি হবে।
জিইডি উপসংহারে বলেছে, কাঠামোগত সংস্কার ও উদ্ভাবন-নির্ভর অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি দ্বারা সমর্থিত একটি সুপরিকল্পিত জাতীয় টেকসই উন্নয়ন কৌশল ভবিষ্যৎ উন্নয়ন পরিকল্পনাকে পরিচালিত করবে, যা স্থিতিস্থাপকতা ও দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক শক্তি বাড়াবে।
অর্থনীতি
একীভূত পাঁচ ব্যাংকের গ্রাহকদের টাকা আগামী সপ্তাহে দেওয়া শুরু হতে পারে: গভর্নর
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, একীভূত হওয়া সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহকদের টাকা আগামী সপ্তাহের মধ্যে ফেরত দেওয়া শুরু হতে পারে।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য মাত্রা অর্জনে বাংলাদেশের অগ্রগতি’ শীর্ষক প্রতিবেদন উপস্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
গভর্নর বলেন, পাঁচ ব্যাংকের সংযুক্তি চলছে। ডিপোজিট গ্যারান্টি ১ লাখ থেকে ২ লাখে বাড়ানো হয়েছে। চলতি সপ্তাহ বা আগামী সপ্তাহ থেকে অর্থ বিতরণ শুরু হতে পারে।
তিনি বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার বাজার স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত ডলারের দাম আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের পরামর্শ অনুযায়ী বাজারভিত্তিক করার পথে বাংলাদেশ এগোয়নি। সেটা হলে মুদ্রার দাম শ্রীলঙ্কা বা পাকিস্তানের মতো দ্রুত ঊর্ধ্বমুখী হতে পারতো। বর্তমানে হয়ত ১৯০-২০০ টাকায় পৌঁছাত। আমরা সব ক্ষেত্রে তাদের কথা শুনিনি। অনেকেই এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন। তবে আজ আমাদের মুদ্রার বিনিময় হার নিয়ন্ত্রণে আছে।
তিনি আরও বলেন, আগে সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলার বিদেশি দায় পরিশোধে জোর দেয়া হয়েছিল। কারণ এ দায়ের জন্য এলসি খোলার গ্যারান্টির সুবিধা কম ছিল। মুদ্রাবাজার স্থিতিশীলতা ছিল প্রয়োজন, যাতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে থাকে। যখন দায়িত্ব নিয়েছিলাম, ডলার দর ছিল ১২০ টাকা; এখন প্রায় ১২২ টাকা। রিজার্ভও বেড়েছে।’
গভর্নর বলেন, সুদহার কমানোর বিষয়ে সরকারের ভেতর বাইরে আলোচনা হচ্ছে। তবে সুদহার বাড়ানোর ফলে মূল্যস্ফীতি কমেছে। বর্তমানে মুদ্রাবাজারে কোনো হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে না। আমানত হার বেড়েছে, বাজেট সহায়তার জন্য টাকা ছাপানো বন্ধ করা হয়েছে এবং ডলার বেচা বন্ধ হয়েছে। এনবিআর রাজস্ব বাড়ালে সরকারের ঋণের চাপ কমবে এবং আমানত আরও বাড়বে।
এমকে
অর্থনীতি
ঋণের ফাঁদে পড়ে গেছি আমরা: এনবিআর চেয়ারম্যান
আমরা ঋণের ফাঁদের পড়ে গেছি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে এ মন্তব্য করেন তিনি।
‘বাংলাদেশ স্টেট অব দ্য ইকোনমি ২০২৫’ ও ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) অগ্রগতি প্রতিবেদন ২০২৫’ প্রকাশ ও উপস্থাপন উপলক্ষে এ সেমিনার আয়োজন করে বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি)।
সেমিনারে দেশের ঋণ পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নীতিনির্ধারক ও বিশেষজ্ঞরা।
এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, আমরা ইতোমধ্যেই ঋণের ফাঁদে পড়েছি; এ সত্য স্বীকার না করলে সামনে এগোনো সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, কয়েক বছর আগেও আমাদের কর-জিডিপি অনুপাত ১০ শতাংশের বেশি ছিল, এখন তা ৭ শতাংশের ঘরে ঘোরাফেরা করছে। সমস্যাটি কোথায়, তা স্পষ্টভাবে চিহ্নিত করতে হবে। কর-জিডিপি অনুপাত কমার একটি বড় কারণ হলো, জিডিপির সব খাত থেকে রাজস্ব সংগ্রহ সম্ভব হচ্ছে না।
অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেই এনবিআর দুই ভাগ হয়ে দুজন সচিবের নেতৃত্বে কাজ শুরু করবে বলে জানান আবদুর রহমান খান।
সেমিনারে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরও। তিনি জানান, সমস্যাগ্রস্ত পাঁচটি ব্যাংকের সংযুক্তির প্রক্রিয়া দ্রুত এগোচ্ছে। ডিপোজিট গ্যারান্টি ১ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ লাখ করা হয়েছে। এক-দুই সপ্তাহের মধ্যে আমানতকারীদের মধ্যে অর্থ বিতরণ শুরু হতে পারে।
সরকারের এ উদ্যোগের ফলে পাঁচ ব্যাংকের গ্রাহকসহ ৭৬ লাখ পরিবার আমানত ফেরত পাবেন বলে জনান গভর্নর। এছাড়া, নতুন ব্যাংকটি প্রথম বা দ্বিতীয় বছরেই মুনাফার মুখ দেখতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সিপিডির ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঋণের ফাঁদে পড়া আমাদের দেশের জন্য ভালো হবে না। তখন ঋণ নিয়ে আবার ঋণ পরিশোধ করতে হবে। ইতিমধ্যে রাজস্ব বাজেটে ব্যয়ের প্রধান খাতের মধ্যে ছিল সরকারি কর্মচারীদের বেতন ও পেনশন। এরপর দ্বিতীয় স্থানে ছিল কৃষি ও শিক্ষা। কিন্তু, কৃষি ও শিক্ষার মতো খাত পেছনে ফেলে এখন জায়গা এখন নিয়েছে ঋণের সুদ পরিশোধ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার অর্থবিষয়ক বিশেষ সহকারী আনিসুজ্জামান চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম প্রমুখ।
এমকে
অর্থনীতি
ডিসেম্বরের ৬ দিনে রেমিট্যান্স এলো ৬৩ কোটি ২০ লাখ ডলার
চলতি ডিসেম্বরের প্রথম ৬ দিনে দেশে এসেছে ৬৩ কোটি ২৪ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ১০ কোটি ৫৪ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়, চলতি ডিসেম্বরের প্রথম ৬ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৬৩ কোটি ২৩ লাখ ৮০ হাজার ডলার। এর মধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৮ কোটি ৫৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার।
এ ছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৮ কোটি ১৭ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ৪৬ কোটি ৩০ লাখ ১০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৭ লাখ ৯০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।
এর আগে গত নভেম্বরে এসেছে চলতি অর্থবছরের সর্বোচ্চ ২৮৮ কোটি ৯৫ লাখ ২০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। আর গত অক্টোবর ও সেপ্টেম্বরে দেশে এসেছিল যথাক্রমে ২৫৬ কোটি ৩৪ লাখ ৮০ হাজার ও ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর গত আগস্ট ও জুলাইয়ে যথাক্রমে দেশে এসেছিল ২৪২ কোটি ১৮ লাখ ৯০ হাজার ও ২৪৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।
এদিকে, গত ২০২৪-২৫ অর্থবছর জুড়ে দেশে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ৩০ দশমিক ৩২ বিলিয়ন বা ৩ হাজার ৩২ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স, যা দেশের ইতিহাসে কোনো নির্দিষ্ট অর্থবছরে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয়ের রেকর্ড।
এমকে
অর্থনীতি
ভারত থেকে এলো ৬০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ
ভারত থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ৬০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ বাংলাদেশে এসেছে। রোববার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সোনামসজিদ উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপপরিচালক সমীর চন্দ্র ঘোষ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের পেঁয়াজ ব্যাবসায়ী কালু শেখ বলেন, গতকাল শনিবার পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১১০ টাকা কেজি এবং খুচরা বাজারে বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকায়। পেঁয়াজ আমদানির কথা শুনে আজকে রোববার পেঁয়াজের দাম কমেছে। আজ ৮০ টাকা দরে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে এবং খুচরা বাজারে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। ভারতীয় পেঁয়াজ আরও আমদানি হলে বাজারে পেঁয়াজের দাম আরও কমবে বলে আশা করি।
সোনামসজিদ স্থলবন্দর পরিচালনাকারী পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের ম্যানেজার মাইনুল ইসলাম জানান, সন্ধ্যায় দুটি ট্রাকে মোট ৬০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ এসেছে। বাংলাদেশ সরকার সীমিত আকারে পেঁয়াজ আমদানি অনুমতি দেওয়ার পরই আজকে এই বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হলো। আগামীকাল সোমবার আরও পেঁয়াজবাহী ট্রাক আসতে পারে।
সোনামসজিদ উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক সমীর চন্দ্র ঘোষ জনান, এই বন্দর দিয়ে ৩০ জন ব্যবসায়ীর বিপরীতে ত্রিশটি আইপি ইস্যু হয়েছে এবং ৯০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত দুইজন আমদানিকারক ৬০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি করেছে। উল্লেখ্য যে গত এই বছরের ০৯ সেপ্টেম্বর সর্বশেষ পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছিল।
এমকে




