জাতীয়
ট্রাইব্যুনালে আজ সাক্ষ্য দেবেন হাসনাত
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলায় আজ মঙ্গলবার রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি পেশ করবেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে সাক্ষ্য দেবেন হাসনাত আবদুল্লাহ। প্যানেলের অন্য দুই সদস্য হলেন- অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদ এবং জেলা ও দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন থেকে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৩ নভেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধের এ মামলায় ২০ নম্বর সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন শিক্ষার্থী সাজু রায়।
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা মামলায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক ভিসি হাসিবুর রশীদসহ ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন ছয়জন। তারা হলেন- এএসআই আমির হোসেন, বেরোবির সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী, রাফিউল হাসান রাসেল ও আনোয়ার পারভেজ। বাকি ২৪ আসামি, যাদের মধ্যে বেরোবির সাবেক ভিসিও আছেন, তারা এখন পলাতক।
জাতীয়
চার নারীর হাতে বেগম রোকেয়া পদক তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা
প্রতিবারের মতো এবারও নারীশিক্ষা, নারী অধিকার, মানবাধিকার ও নারী জাগরণে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে চার বিশিষ্ট নারীকে রোকেয়া পদক তুলে দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার (০৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে চার জনের হাতে রোকেয়া পদক তুলে দেন তিনি।
এবার যারা পদক পেলেন তারা হলেন-নারীশিক্ষা শ্রেণিতে (গবেষণা) রুভানা রাকিব, নারী অধিকার শ্রেণিতে (শ্রম অধিকার) কল্পনা আক্তার, মানবাধিকার শ্রেণিতে নাবিলা ইদ্রিস ও নারী জাগরণ শ্রেণিতে (ক্রীড়া) ঋতুপর্ণা চাকমা।
আজ ৯ ডিসেম্বর বেগম রোকেয়া দিবস। খ্যাতিমান বাঙালি সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক এবং নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী আজ।
দিবসটি উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করছে। প্রতিবারের মতো এবারও নারীশিক্ষা, নারী অধিকার, মানবাধিকার ও নারী জাগরণে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে চার বিশিষ্ট নারীকে রোকেয়া পদক দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত: খ্যাতিমান বাঙালি সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক এবং নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর রংপুরের পায়রাবন্দ গ্রামের এক জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ১৯৩২ সালের একই দিনে মারা যান এই মহীয়সী। দিনটি প্রতি বছর বেগম রোকেয়া দিবস হিসেবে পালিত হয়। সমাজকে অন্ধকার থেকে আলোয় ফেরাতে তার অবদান আজও প্রাসঙ্গিক এবং দিকনির্দেশক।
এ মহীয়সী নারী উপলব্ধি করেছিলেন, নারীর ক্ষমতায়নের জন্য শিক্ষা কতটা জরুরি। তার অবিস্মরণীয় সাহিত্যকর্ম, যেমন ‘সুলতানার স্বপ্ন’ এবং ‘অবরোধবাসিনী’, সমাজের কুসংস্কারের বিরুদ্ধে ছিল বলিষ্ঠ প্রতিবাদ। তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল, যা হাজারো বালিকাকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করেছে।
জাতীয়
এডিসি হলেন ৩১ কর্মকর্তা
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) নিয়োগ পেয়েছেন ৩১ জন সিনিয়র সহকারী সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা। তাদের এই নিয়োগ দিয়ে সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে বদলি করা কর্মকর্তাদের তাদের নিজ অধিক্ষেত্রে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য ‘দ্য কোড অব ক্রিমিন্যাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮’ এর ১০(২) ধারার বিধান অনুযায়ী অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা অর্পণ করা হলো।
নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তারা আগামী ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে বদলি করা কর্মস্থলে যোগদান করবেন, অন্যথায় আগামী ১১ ডিসেম্বর বিকেলে বর্তমান কর্মস্থল (প্রশিক্ষণ/কর্মস্থল) থেকে তাৎক্ষণিক অবমুক্ত (স্ট্যান্ড রিলিজ) বলে গণ্য হবেন।
বদলি করা কর্মকর্তার দপ্তর/কর্মস্থল এরই মধ্যে পরিবর্তন হলে কর্মরত দপ্তরের নাম/ঠিকানা উল্লেখ করে তিনি যোগদানপত্র দাখিল করবেন বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের তালিকা।
জাতীয়
বেগম রোকেয়া দিবস আজ
আজ ৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রোকেয়া দিবস। নারী জাগরণ ও নারী অধিকার আন্দোলনের অগ্রদূত রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের ১৪৫তম জন্ম ও ৯৩তম মৃত্যুবার্ষিকী।
১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর রংপুরের পায়রাবন্দে রোকেয়ার জন্ম। ১৯৩২ সালের একই দিনে তিনি কলকাতায় মারা যান। ক্ষণজন্মা মহীয়সী এই নারীর জন্ম ও মৃত্যুদিন ঘিরে প্রতিবছর পালন করা হয় রোকেয়া দিবস।
রোকেয়া দিবস উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, নারীমুক্তি ও মানবাধিকার নিয়ে ব্যাপক সামাজিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে নারীসমাজকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে এসেছিলেন বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন।
নারীর সমানাধিকার আদায়ের দাবি রোকেয়ার সাহিত্যে জোরালোভাবে উঠে এসেছে। নারীকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে তাঁর উপলব্ধি, দর্শন ও আদর্শের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এবারও দিবসটি সরকারি-বেসরকারিভাবে পালন করা হবে।
‘আমরা সমাজেরই অর্ধাঙ্গ। আমরা পড়িয়া থাকিলে সমাজ উঠিবে কি রূপে?’ নারী–পুরুষের সমতা ও সম–অধিকারের ভিত্তিতে সমাজ প্রতিষ্ঠার এই তাগিদ দিয়ে মহীয়সী রোকেয়া লড়েছেন নারীর জন্য।
রোকেয়া দিবস উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে রোকেয়া পদক প্রদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এবার রোকেয়া পদক ২০২৫ পাচ্ছেন চারজন নারী। তাঁরা হলেন নারীশিক্ষায় (গবেষণা) রুভানা রাকিব, নারী অধিকারে (শ্রম অধিকার) কল্পনা আক্তার, মানবাধিকারে নাবিলা ইদ্রিস ও নারী জাগরণে (ক্রীড়া) অবদান রাখায় ঋতুপর্ণা চাকমা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। সভাপতিত্ব করবেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ।
জাতীয়
বুধবার সিইসির ভাষণ রেকর্ড, বিটিভি ও বেতারকে ইসির চিঠি
আগামী বুধবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের ভাষণ রেকর্ড করার জন্য বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ও বাংলাদেশ বেতারকে প্রস্তুতি নিতে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
আগামী ১০ ডিসেম্বর ভাষণ রেকর্ড করার জন্য প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। বিটিভি ও বেতারে সিইসির ভাষণের মধ্য দিয়েই মূলত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়।
রোববার নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, সোমবার বিটিভি ও বেতারকে চিঠি পাঠানো হবে। দুপুরে ইসি সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ১০ ডিসেম্বর সিইসির ভাষণ রেকর্ড করার জন্য বিটিভি ও বেতারকে প্রস্তুতি নিয়ে আসার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে।
সূত্র জানায় বিটিভি ও বাংলাদেশ বেতারকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, সিইসি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। এ জন্য প্রস্তুত থাকার জন্য নির্দেশ দিয়েছে কমিশন, যাতে তাৎক্ষণিকভাবে ভাষণ রেকর্ড করে প্রচার করা যায়।
এমকে
জাতীয়
পাঁচ বছরের জন্য ইসির নিবন্ধন পেল ৮১ পর্যবেক্ষক সংস্থা
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চূড়ান্তভাবে ৮১টি দেশীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষককে নিবন্ধন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ শাখা থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য ৭৩টি স্থানীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রাথমিক তালিকা নির্ধারণপূর্বক গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এই সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে যেকোনো দাবি, আপত্তি বা অভিযোগ ২০ অক্টোবরের মধ্যে নির্বাচন কমিশন সচিবের কাছে লিখিতভাবে জমা দিতে বলা হয় এবং অভিযোগের স্বপক্ষে সহায়ক প্রমাণও জমা দিতে হবে বলে জানায় সংস্থাটি।
দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তি শেষে প্রথম ধাপে ৬৬ দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থাকে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে ইসি। এই ৬৬ পর্যবেক্ষক সংস্থাকে চলতি বছরের ৬ নভেম্বর থেকে ২০৩০ সালের ৫ নভেম্বর পর্যন্ত ইসির নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, দ্বিতীয় ধাপে যাচাই-বাছাই করে ১৫ পর্যবেক্ষক সংস্থাকে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এই ১৫ সংস্থাকে চলতি বছরের ৪ ডিসেম্বর থেকে ২০৩০ সালের ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট পাঁচ বছরের জন্য নিবন্ধন দেওয়া হলো।
ইসি জানায়, বিগত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে নিবন্ধিত ৯৬টি স্থানীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন ‘নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা ২০২৫’-এর ধারা ১৬ মোতাবেক স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে পর্যবেক্ষক নিবন্ধন প্রথা শুরু করে ইসি। সেই সময় ১৩৮টি সংস্থা নিবন্ধন পেয়েছিল। ওই নির্বাচনে দেশি পর্যবেক্ষক ছিল এক লাখ ৫৯ হাজার ১১৩ জন। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ২০১৪ সালে ৩৫টি সংস্থার ৮ হাজার ৮৭৪ জন পর্যবেক্ষক ভোট দেখেছেন।
২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১১৮টি নিবন্ধিত সংস্থার মধ্যে ৮১টি দেশি সংস্থার ২৫ হাজার ৯০০ জন পর্যবেক্ষক ভোট পর্যবেক্ষণ করেন। সর্বশেষ ২০২৪ সালের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ৯৬টি নিবন্ধিত সংস্থার মধ্যে ৮০টির মতো সংস্থার ২০ হাজার ২৫৬ জন ভোট আয়োজন দেখেছেন।
এমকে




