টেলিকম ও প্রযুক্তি
ফোন ও ল্যাপটপ রিস্টার্ট করা কেন জরুরি
প্রতিদিন আমরা ফোন ও ল্যাপটপে অসংখ্য কাজ করি সোশ্যাল মিডিয়া, অফিসের কাজ, গেমিং, অনলাইন ক্লাস বা ভিডিও দেখাসহ নানা কিছু। দীর্ঘক্ষণ ব্যবহার করতে করতে ডিভাইসগুলো ধীরে ধীরে অতিরিক্ত লোডের শিকার হয়। অনেকেই ফোন বা ল্যাপটপ একটানা দিন-দুয়েক ব্যবহার করেন, কিন্তু রিস্টার্ট করেন না। অথচ নিয়মিত রিস্টার্ট করা ডিভাইসের পারফরম্যান্স, নিরাপত্তা এবং স্থায়িত্ব বজায় রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
নিচে কেন ফোন ও ল্যাপটপ রিস্টার্ট করা প্রয়োজন তা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো।
১) র্যাম পরিষ্কার করে ডিভাইস দ্রুত করে
ফোন বা ল্যাপটপে প্রতিবার কোনো অ্যাপ খোলা হলে তা কিছু অস্থায়ী ডাটা র্যামে জমা রাখে। একটানা ব্যবহার করলে সেই ডাটাগুলো জমতে জমতে র্যাম ভারী হয়ে যায়। ফলে ডিভাইস ধীর হয়ে যায়, অ্যাপ খুলতে সময় নেয় এবং মাঝে মাঝে ফ্রিজ বা হ্যাংয়ের মতো সমস্যাও দেখা দেয়। রিস্টার্ট করলে পুরো র্যাম রিফ্রেশ হয়ে যায় এবং ডিভাইস আবার নতুনের মতো দ্রুত কাজ করতে শুরু করে।
২) ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ ও লুকানো প্রসেস বন্ধ হয়
অনেক অ্যাপ সরাসরি বন্ধ করলেও ব্যাকগ্রাউন্ডে থেকে যায়। এগুলো নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে, ব্যাটারি খরচ করে এবং ডিভাইসের প্রসেসরের ওপর চাপ বাড়ায়। দীর্ঘক্ষণ এভাবে চলতে থাকলে ডিভাইস গরম হতে শুরু করে ও পারফরম্যান্স কমে যায়। রিস্টার্ট করলে এসব লুকানো প্রসেস সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়, ফলে ডিভাইস আবার হালকা ও স্মুথ হয়ে ওঠে।
৩) ছোটখাটো বাগ ও গ্লিচ দূর হয়
হঠাৎ ওয়াই-ফাই কানেক্ট না হওয়া, ব্লুটুথ কাজ না করা, স্ক্রিন টাচে সমস্যা, অ্যাপ ক্র্যাশ হওয়া এসব সাধারণ সমস্যার কারণ থাকে সফটওয়্যারের ক্ষুদ্র বাগ। রিস্টার্ট একধরনের সিস্টেম রিফ্রেশ যা এসব ছোট বাগ স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঠিক করে। ফলে ডিভাইস আগের তুলনায় স্থিতিশীলভাবে কাজ করে।
৪) সিকিউরিটি আপডেট ও সিস্টেম প্যাচ কার্যকর হয়
নতুন সিকিউরিটি আপডেট বা সিস্টেম প্যাচ ডাউনলোড হলেও সেগুলো ডিভাইস রিস্টার্ট না করলে পুরোপুরি সক্রিয় হয় না। এতে নিরাপত্তা দুর্বল হয়ে যায় এবং সাইবার আক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। নিয়মিত রিস্টার্ট করলে আপডেটগুলো ঠিকভাবে কার্যকর হয় এবং ডিভাইস সুরক্ষিত থাকে।
৫) ক্যাশে পরিষ্কার হয়ে স্টোরেজ হালকা লাগে
অ্যাপগুলো ব্যবহার করতে করতে প্রচুর ক্যাশে জমা হয়, যা সিস্টেমকে ধীর করে দেয়। রিস্টার্টের ফলে অনেক অস্থায়ী ক্যাশ নিজে থেকেই মুছে যায়। ফলে ফোন বা ল্যাপটপ কিছুটা হালকা হয় এবং স্টোরেজ ব্যবহারে স্বস্তি আসে।
৬) প্রসেসরকে রিফ্রেশ করে
ডিভাইস একটানা চালু থাকলে প্রসেসর সবসময় কাজ করে, যা তাকে অতিরিক্ত গরম করে এবং শক্তি খরচ বাড়ায়। এতে ব্যাটারি দ্রুত নষ্ট হয় এবং প্রসেসরের আয়ু কমতে থাকে। একটি রিস্টার্ট প্রসেসরকে বিরতি দেয়, তাপমাত্রা ঠিক রাখে এবং ডিভাইসকে দীর্ঘস্থায়ী করে।
৭) নেটওয়ার্ক সমস্যা সমাধান করে
মোবাইল ডেটা ধীর হয়ে যাওয়া, ওয়াই-ফাই সিগন্যাল দুর্বল হওয়া বা কানেকশন ড্রপের মতো সমস্যার মূল কারণ হয় সাময়িক নেটওয়ার্ক গ্লিচ। রিস্টার্ট নেটওয়ার্ক সেটিংস রিফ্রেশ করে এবং ফোন বা ল্যাপটপকে আবার স্থিতিশীল নেটওয়ার্কে ফিরিয়ে আনে।
৮) অ্যাপ ক্র্যাশ বা ফ্রিজ হওয়া কমায়
কিছু অ্যাপ ব্যাকগ্রাউন্ডে আটকে থাকে অথবা সিস্টেমের সঙ্গে সংঘর্ষ তৈরি করে, তখন অ্যাপ বারবার ক্র্যাশ করতে থাকে। রিস্টার্ট করলে সেসব আটকে থাকা প্রসেস মুছে যায়। ফলে অ্যাপগুলো নতুনভাবে লোড হয়ে ঠিকভাবে কাজ করতে পারে।
৯) ডিভাইসের আয়ু বাড়ায়
নিয়মিত রিস্টার্ট করার মাধ্যমে প্রসেসরের চাপ কমে, মেমোরি পরিষ্কার হয়, ব্যাটারি হিটিং কমে এবং সফটওয়্যার ফাইলগুলো সঠিকভাবে কাজ করে। ফলে ফোন বা ল্যাপটপ দীর্ঘদিন ধরে স্থিতিশীল থাকে এবং এর আয়ুষ্কাল প্রকৃত অর্থেই বাড়ে।
এমকে
টেলিকম ও প্রযুক্তি
হোয়াটসঅ্যাপ দিয়েই পাঠানো যাবে টাকা, জেনে নিন পদ্ধতিগুলো
মেসেজ পাঠানোর পাশাপাশি এবার টাকা পাঠানোও যাবে হোয়াটসঅ্যাপ থেকে! জনপ্রিয় এই মেসেজিং অ্যাপে যুক্ত হয়েছে নতুন সুবিধা- হোয়াটসঅ্যাপ পে।
এই ফিচারটি আপনাকে অন্য কোনো অ্যাপ ছাড়াই সরাসরি হোয়াটসঅ্যাপ থেকেই টাকা পাঠানো ও নেওয়ার সুবিধা দেবে। সহজ ভাষায় বললে, আপনার যে কোনো চেনা মানুষকে মেসেজ করার মতো করেই টাকা পাঠাতে পারবেন।
কীভাবে ব্যবহার করবেন হোয়াটসঅ্যাপ পে?
অ্যাকাউন্ট সেটআপ করুন
– প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপে ঢুকে ‘Payments’ অপশনে যান
– আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ইউপিআই (UPI) সিস্টেমের মাধ্যমে লিংক করুন
– ইউপিআই আইডি ও পিন সেট করুন
টাকা পাঠানো
– যার কাছে টাকা পাঠাতে চান, তার সঙ্গে চ্যাট খুলুন
– Payment অপশনটি চাপুন
– টাকার পরিমাণ লিখে ইউপিআই পিন দিয়ে কনফার্ম করুন
টাকা গ্রহণ করা
– যিনি টাকা পাবেন, তাকেও হোয়াটসঅ্যাপ পে অ্যাকাউন্ট সেটআপ করে রাখতে হবে
– টাকা সরাসরি তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হয়ে যাবে
নিরাপত্তা কেমন?
হোয়াটসঅ্যাপ পে ব্যবহার করে ইউপিআই পিন, যা শুধু আপনি জানেন। এ ছাড়া পুরো লেনদেনটি এন্ড-টু-এন্ড (End to End) এনক্রিপশন দিয়ে সুরক্ষিত থাকে, যেমনটা আপনার মেসেজে থাকে।
হোয়াটসঅ্যাপের এই সহজ ফিচারটি আপনার দৈনন্দিন লেনদেনকে অনেক মসৃণ করে তুলতে পারে, তাও আবার আপনার সবচেয়ে ব্যবহৃত চ্যাট অ্যাপ থেকেই!
এই সুবিধাটি প্রথম চালু হয়েছিল পরীক্ষামূলকভাবে। আর এই সময়ের মধ্যেই এটি ভারতের ১০ কোটিরও বেশি মানুষ ব্যবহার করেছেন। সম্প্রতি ভারতের ন্যাশনাল পেমেন্ট করপোরেশন (NPCI) হোয়াটসঅ্যাপ পে-র ওপর থাকা সীমাবদ্ধতাগুলো তুলে নিয়েছে, ফলে এখন এটি আরও বেশি মানুষের জন্য উন্মুক্ত হয়েছে।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য জরুরি সতর্কবার্তা
পৃথিবীজুড়ে প্রায় ৩৫০ কোটি হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর ফোন নম্বর ও প্রোফাইল ছবি ফাঁসের ঘটনা সামনে এসেছে। অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয় ও এসবিএ রিসার্চের সাইবার নিরাপত্তা গবেষকেরা বিষয়টি সামনে আনেন। তারা জানান, অ্যাপটির নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বড় ধরনের দুর্বলতার কারণে ব্যবহারকারীদের প্রোফাইল সংক্রান্ত তথ্য গোপনে সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে। এতে হোয়াটসঅ্যাপের সব ব্যবহারকারীই ব্যক্তিগত তথ্য ঝুঁকির মুখে ছিলেন। খবরটি প্রকাশ করে ডেইলি মেইল।
গবেষকদের দাবি, ফোন নম্বর ও প্রোফাইল ছবি সংগ্রহ করে নেওয়া সম্ভব হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপের নিরাপত্তা ব্যবস্থার একটি ফাঁক কিংবা মেটা প্ল্যাটফরমের গোলযোগের কারণে।
একটি উৎস থেকে এত বিপুলসংখ্যক অনুরোধ স্বাভাবিক নয় বলে জানিয়েছেন ওই গবেষণা দলের প্রধান গ্যাব্রিয়েল গেগেনহুবার। তিনি বলেন, ‘এই অস্বাভাবিক আচরণই আমাদের ত্রুটিটি শনাক্ত করতে সাহায্য করেছে, যা প্রায় অসীম অনুরোধ পাঠানোর সুযোগ তৈরি করেছিল।
দলের সদস্য আলইওশা ইউডমায়ার বলেন, ‘অ্যান্ড-টু-অ্যান্ড এনক্রিপশন বার্তার বিষয়বস্তু সুরক্ষিত রাখলেও মেটাডেটা সুরক্ষিত থাকে না। বিপুল মেটাডেটা বিশ্লেষণ করলে ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা ঝুঁকিতে পড়ে।’
নিরাপত্তা ব্যবস্থার ত্রুটির বিষয়টি শেষমেষ স্বীকার করেছে মেটা। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ত্রুটি ছিল, তবে তা ঠিক করা হয়েছে।
ভবিষ্যতে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের ফোন নম্বর ও প্রোফাইল ছবি অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে সীমা আরোপ করা হবে এবং এর জন্য নির্দিষ্ট খরচও রাখা হবে। হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের ফোন নম্বর ও প্রোফাইল ছবি প্রকাশ্য থাকে—তাই এটিকে ‘ফাঁস’ বলা যাবে না।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রকাশ্য তথ্য হলেও অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যক্তি বা তৃতীয় পক্ষের কাছে এগুলো চলে যাওয়া বড় ঝুঁকি।
হোয়াটসঅ্যাপের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহসভাপতি নীতীন গুপ্ত বলেন, ‘গবেষকরা বাগ বাউন্টি প্রগ্রামের মাধ্যমে দায়িত্বশীলভাবে আমাদের সহায়তা করেছেন। তাদের দেখানো নতুন পদ্ধতিতে কিছু তথ্য স্ক্র্যাপ করা সম্ভব হয়েছে, তবে বার্তার অ্যান্ড-টু-অ্যান্ড এনক্রিপশন ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
গবেষকদের তথ্যমতে, হোয়াটসঅ্যাপের ওয়েব ইন্টারফেস ব্যবহার করে তারা প্রতি ঘণ্টায় কয়েক কোটি ফোন নম্বর সংগ্রহ করেছেন। এতে প্রায় ৫৭ শতাংশ ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট শনাক্ত করা এবং তাদের প্রোফাইল ছবি পাওয়া গেছে। এমনকি ২৯ শতাংশ ব্যবহারকারীর চ্যাটও দেখা সম্ভব হয়েছে বলে দাবি গবেষকদের। তবু মেটা বলছে—তথ্য ফাঁস হয়নি।
এমকে
টেলিকম ও প্রযুক্তি
যে তিন কারণে ভূমিকম্প হয়
রাজধানীতে ভয়াবহ ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির খবর আসেনি। তবে কেন হয় ভূকম্প? ভূমিকম্প হচ্ছে ভূমির কম্পন। ভূ-অভ্যন্তরে যখন একটি শিলা অন্য একটি শিলার ওপরে উঠে আসে, তখন ভূমি কেঁপে হয়। পৃথিবীপৃষ্ঠের অংশবিশেষের হঠাৎ এই অবস্থান পরিবর্তন বা আন্দোলনই ভূমিকম্প।
ভূমিকম্প কেন হয়
ভূ-অভ্যন্তরে স্থিত গ্যাস যখন ভূ-পৃষ্ঠের ফাটল বা আগ্নেয়গিরির মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসে তখন সেই গ্যাসের অবস্থানটি ফাঁকা হয়ে পড়ে আর পৃথিবীর উপরের তলের চাপ ওই ফাঁকা স্থানে দেবে গিয়ে ভারসাম্য বজায় রাখে। তখনই ভূ-পৃষ্ঠে প্রবল কম্পনের অনুভব হয়, যা ভূমিকম্প নামে পরিচিত।
সাধারণত তিনটি প্রধান কারণে ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়ে থাকে—
ভূ-পৃষ্ঠের হঠাৎ পরিবর্তন জনিত কারণে
আগ্নেয়গিরি সংঘটিত হওয়ার কারণে
শিলাচ্যুতিজনিত কারণে
ভূমিকম্পের স্থায়িত্ব সাধারণত কয়েক সেকেন্ড হয়ে থাকে। কিন্তু এই কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে হয়ে যেতে পারে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ। ভূমিকম্পের মাত্রা অনুযায়ী ব্যাপক প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকে। ভূমিকম্পের মাত্রা নির্ণয়ের জন্য যে যন্ত্র ব্যবহৃত হয় তার নাম রিখটার স্কেল।
রিখটার স্কেলে এককের সীমা ১ থেকে ১০ পর্যন্ত। এই স্কেলে মাত্রা ৫-এর বেশি হওয়া মানেই ভয়াবহ দুর্যোগের আশঙ্কা। ভূমিকম্প এক ডিগ্রি বৃদ্ধি পেলে এর মাত্রা ১০ থেকে ৩২ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা—৫ – ৫.৯৯ মাঝারি, ৬ – ৬.৯৯ তীব্র, ৭ – ৭.৯৯ ভয়াবহ এবং ৮-এর ওপর অত্যন্ত ভয়াবহ।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
ল্যাপটপ অতিরিক্ত গরম হয়ে গেলে শরীরের যেসব ক্ষতি হয়
আজকাল অনেকেই অফিস, ক্লাস বা ব্যক্তিগত কাজের জন্য প্রতিদিন দীর্ঘসময় ধরে ল্যাপটপ ব্যবহার করেন। তবে আপনি জানেন কি, ল্যাপটপ অতিরিক্ত গরম হয়ে গেলে শুধু যন্ত্রপাতির নয়, আপনার শরীরেরও বেশকিছু ক্ষতি হতে পারে?
চলুন জেনে নিই, ল্যাপটপ অতিরিক্ত গরম হয়ে গেলে শরীরে কী ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং কীভাবে নিরাপদ থাকা যায়।
শরীরের যেসব ক্ষতি হতে পারে
– ত্বকে ফুসকুড়ি বা দাগ
– গরম ল্যাপটপ কোলে রেখে ব্যবহারে ত্বকে লালচে দাগ বা ফুসকুড়ি হতে পারে। একে Toasted Skin Syndrome বলা হয়।
– পায়ের চামড়া পুড়ে যেতে পারে
– অতিরিক্ত তাপ থেকে চামড়ায় জ্বালা বা সাময়িক পোড়াভাবও দেখা দিতে পারে।
– মেরুদণ্ড, ঘাড় ও পিঠে ব্যথা
– সোফায় বা বিছানায় কাত হয়ে ল্যাপটপ ব্যবহার করলে শারীরিক ভঙ্গি খারাপ হয়, ফলে ঘাড় ও কোমরের ব্যথা দেখা দেয়।
– পুরুষদের ক্ষেত্রে প্রজননক্ষমতা হ্রাসের ঝুঁকি (গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘসময় কোলে গরম ল্যাপটপ রাখলে স্পার্ম কাউন্টে প্রভাব পড়তে পারে।)
কীভাবে নিরাপদ থাকবেন
– ল্যাপটপ সবসময় টেবিলে ব্যবহার করুন
– সম্ভব হলে একটি ছোট ল্যাপটপ ডেস্ক বা কুলিং টেবিল ব্যবহার করুন।
– তাপরোধী কুশন ব্যবহার করুন
– কোলে রাখলে নিচে একটি কুশন বা তাপনিরোধক প্যাড রাখুন।
– কুলিং প্যাড ব্যবহার করুন
– অতিরিক্ত তাপ নিয়ন্ত্রণে কুলিং প্যাড অনেক উপকারী।
– শীতলকরণ ব্যবস্থা পরিষ্কার রাখুন
– ল্যাপটপের ভেন্ট বা ফ্যানের ছিদ্রগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করুন যেন বাতাস চলাচলে বাধা না হয়।
– অতিরিক্ত চার্জে ল্যাপটপ চালাবেন না
– প্রয়োজনের চেয়ে বেশি চার্জ দিয়ে ল্যাপটপ চালালে ব্যাটারি গরম হয়ে যায়।
– অতিরিক্ত গরম হলে বন্ধ করে দিন কিছুক্ষণ
– ল্যাপটপ খুব বেশি গরম হয়ে গেলে একটু বিরতি নিন।
মনে রাখবেন, ল্যাপটপের যত্ন যেমন জরুরি, তেমনি আপনার নিজের স্বাস্থ্যও। তাই ব্যবহারে সাবধানতা অবলম্বন করুন। শরীরের আরাম ও ল্যাপটপের আয়ু—দুটোই বাড়বে সঠিক ব্যবহার ও সচেতনতায়।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
টেলিকম ও প্রযুক্তি
মোবাইলে ইউটিউব দেখার সময় ডেটা খরচ কমানোর ৫ কায়দা
বর্তমানে অনেক মানুষের অবসর কাটানোর প্রধান সঙ্গী তার স্মার্টফোনের ইউটিউব অ্যাপটি। কিন্তু নিয়মিত ভিডিও দেখার ফলে অনেকের মোবাইল ডেটা দ্রুত ফুরিয়ে যায়। বিশেষ করে যারা সীমিত ইন্টারনেট প্যাকেজ ব্যবহার করেন, তাদের জন্য এটি বড় সমস্যা।
তবে কিছু ছোট্ট সেটিংস বদল করলেই ইউটিউবে ভিডিও উপভোগ করতে পারেন কম ডেটা খরচে ও বিনা চিন্তায়।
১. ভিডিও মান কমিয়ে দেখুন
ইউটিউব অ্যাপের মধ্যে থাকা ভিডিওর কোয়ালিটি অপশন থেকেই ডেটা খরচ কমানো সম্ভব। ভিডিওর নিচে থাকা গিয়ার বা সেটিংস চিহ্নে যান, এরপর ‘কোয়ালিটি’ -তে যান। ‘ডেটা সেভার’ বা ১৪৪পি বা ২৪০পি বা ৩৬০পি বেছে নিন। এতে ভিডিও কিছুটা কম স্পষ্ট দেখাবে, কিন্তু ডেটা খরচ হবে অনেক কম।
২. ‘ডেটা সেভার মোড’ চালু রাখুন
ইউটিউবের ‘ডেটা সেভার মোড’ চালু করলে অ্যাপ নিজে থেকেই ভিডিওর মান সীমিত রাখে।
এরজন্য ইউটিউব অ্যাপে গিয়ে ‘সেটিংস → ডেটা সেভিং’ এ যান। ‘ডেটা সেভার’ অপশনটি অন করুন। এভাবে প্রতিটি ভিডিওর মান আলাদা করে না পাল্টেও ডেটা বাঁচাতে পারবেন।
৩. ওয়াই–ফাই ছাড়া ভিডিও ডাউনলোড করবেন না
অনেক সময় ভিডিও অফলাইন রাখার জন্য আমরা ‘ডাউনলোড’ বাটনে চাপ দিই, কিন্তু মোবাইল ডেটা চালু থাকলে এতে প্রচুর ডেটা খরচ হয়। তাই শুধু তখনই ভিডিও ডাউনলোড করুন, যখন আপনি ওয়াই–ফাইতে সংযুক্ত আছেন।
মোবাইলে ইউটিউব দেখার সময় ডেটা খরচ কমানোর ৫ কায়দা
৪. ‘অটো–প্লে’ বন্ধ রাখুন
ইউটিউবের ‘অটো–প্লে’ ফিচার চালু থাকলে একটি ভিডিও শেষ হলেই পরেরটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয়। এতে অজান্তেই ডেটা খরচ হয়। তাই ইউটিউবের হোম স্ক্রিনে গিয়ে ‘অটো–প্লে’ বাটনটি বন্ধ করে দিন।
৫. ব্যাকগ্রাউন্ড ডেটা বন্ধ রাখুন
ইউটিউব অ্যাপ অনেক সময় ব্যাকগ্রাউন্ডে থেকেও কিছু ডেটা ব্যবহার করে। এটি বন্ধ করতে অ্যান্ড্রয়েড সেটিংসে গিয়ে – সেটিংস → অ্যাপস → ইউটিউব → মোবাইল ডেটা অ্যান্ড ওয়াই–ফাই → ব্যাকগ্রাউন্ড ডেটা অফ – করলেই এই অপচয় বন্ধ হবে।
ডেটা সাশ্রয় মানেই লো-কোয়ালিটি ভিডিও নয়, বরং বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার। ভিডিওর রেজোলিউশন একটু কমিয়ে বা সঠিক সময়ে ডাউনলোড করে ডেটা ও ব্যাটারি দুটোই বাঁচানো যায়।
সূত্র: গুগল সাপোর্ট (২০২৪), ইউটিউব হেল্প সেন্টার, টেকরাডার



