রাজনীতি
খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় যুক্তরাজ্যের চিকিৎসক টিম আসছে আগামীকাল
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় সহায়তার জন্য যুক্তরাজ্য এবং চীন থেকে পৃথক দুইটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল ঢাকায় আসছেন।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. জাহিদ হোসেনের উদ্ধৃতি দিয়ে আজ মঙ্গলবার রাতে বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া বর্তমানে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডকে আরও সহায়তা দিতে বিদেশি দুটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক টিমের আগামীকাল বুধবার ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
তিনি আরও জানান, যুক্তরাজ্য ও চীনের বিশেষজ্ঞরা খালেদা জিয়ার চিকিৎসা মূল্যায়নে মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবেন।
গত ২৩ নভেম্বরের থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি আছেন খালেদা জিয়া। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার ফুসফুসে ইনফেকশন ধরা পড়ায় তার অবস্থা সংকটময় বলে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়।
গতকাল রোববার রাতে শারীরিক অবস্থার হঠাৎ অবনতি হওয়ায় তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার চিকিৎসায় সহায়তার জন্য চীনের ৫ সদস্যের একটি চিকিৎসক দল গতকাল ঢাকায় এসেছে।
রাজনীতি
বিএনপি ও এনসিপির মধ্যে ঐক্য প্রয়োজন: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
বিএনপি ও এনসিপি গণতান্ত্রিক জাতীয়তাবাদী ধারার দুই শক্তি হিসেবে উল্লেখ করে দুই দলের মধ্যে ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। মঙ্গলবার (০২ ডিসেম্বর) ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক ঐক্যের জন্য কিছু শর্তও তুলে ধরেছেন।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী লিখেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকটকে আমরা বহুদিন ধরে ব্যক্তি ও দলের সংকট হিসেবে দেখার ভুল করেছি। এই সংকট বেগম জিয়া বা তারেক জিয়ার নয়, এটি এক গভীরতর রাষ্ট্রগত সংকট, যা ব্যক্তিনির্ভর ব্যাখ্যার ঊর্ধ্বে। পরিবারতন্ত্রের যে দুর্বলতা দীর্ঘদিন বিএনপিকে জর্জরিত করেছে, সেই জায়গায় সংস্কারের পথ আমরা ইতোমধ্যে স্পষ্ট করেছি। ফলে বিএনপি যখন জনগণের কাছে তার ঐতিহাসিক আবেদন হারিয়েছে, তখন তারা অবলম্বন খুঁজেছে প্রতিষ্ঠানের ছায়ায়। তবুও আশা থাকে, নতুন প্রজন্ম যদি সত্যিই জেগে ওঠে, তারা পরিবারতন্ত্রের গণ্ডি ভেঙে আবারও জনপদের রাজনীতিতে ফিরতে পারে। ভারতের কংগ্রেসও আজ একই পথ খুঁজছে : পরিবারতন্ত্রের শেকল ভেঙে পুনর্গঠিত হওয়ার পথ।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রকৃত সংকট কোনো দল নয়, দুই ধারার আধিপত্যবাদ : মুজিববাদ ও মওদূদীবাদ। গত পাঁচ দশক ধরে ভারত–পাকিস্তানের রাজনৈতিক প্রক্সি যুদ্ধের এক দীর্ঘ ক্ষেত্র ছিল বাংলাদেশ, যার নিয়ন্ত্রণে ছিল কখনো মুজিববাদ, কখনো মওদুদীবাদ। এই দ্বৈত আধিপত্যের ফলে আমাদের রাষ্ট্র, সংস্কৃতি, অর্থনীতি ও প্রশাসনিক কাঠামো ক্রমেই ভেঙে পড়েছে।’
নাসীরুদ্দিন পাটওয়ারী লিখেন, ‘২০২৪-এর গণ অভ্যুত্থানের পর আমাদের লক্ষ্য ছিল এই প্রক্সি রাজনীতির দাসত্ব থেকে বের হয়ে সাম্য, মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে নতুন রাষ্ট্রীয় কাঠামো নির্মাণ। কিন্তু দুঃখজনকভাবে শিবির তার কিছু কল্যাণমূলক কাজের আড়ালে ছাত্রসমাজকে জামায়াতের হাতে তুলে দিল, কিছু পদ-পদবি ও আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে। ফলে দেশ আবারও পুরোনো প্রক্সি রাজনীতির ঘূর্ণিপাকে ঠেলে দেওয়া হলো। আজ দেশপ্রেমিক শক্তির সামনে একসাথে দুটি যুদ্ধ : ১. মুজিববাদ ও মওদুদীবাদের কর্তৃত্ববাদী রাজনীতির বিরুদ্ধে সংগ্রাম ২. একটি নতুন, ন্যায়ভিত্তিক, আধুনিক রাষ্ট্র গঠনের দায়ভার
তিনি বলেন, এই দুই যুদ্ধ একা কোনো দল লড়তে পারবে না। বিএনপি ও এনসিপি—গণতান্ত্রিক জাতীয়তাবাদী ধারার দুই শক্তির মধ্যে একটি দায়িত্বশীল ঐক্য প্রয়োজন। তবে এ ঐক্যের শর্ত রয়েছে: বিএনপিকে তার পুরনো সীমাবদ্ধতা ও পরিবারতন্ত্রের ছায়া থেকে বের হতে হবে। বাংলাদেশ বিনির্মাণে সংস্কারের পথে হাঁটতে হবে। আর যারা ভারতের প্রভাব-রাজনীতির দিকে ঝুঁকে আছে, তাদেরও বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের মূলধারায় ফিরে আসতে হবে। এনসিপি কোনো অবস্থাতেই এই দায়িত্ব থেকে পিছু হটবে না। আমাদের চারটি প্রশ্নে আপোষ নেই— * বাংলাদেশের পুনর্গঠন * সার্বভৌম মর্যাদা * ধর্মীয় ও নৈতিক মূল্যবোধ * নাগরিক অধিকার, স্বাধীনতা ও সম্মান ঐক্য আসুক বা না-আসুক, এনসিপি জনগণের সঙ্গে নিয়ে এই আদর্শিক লড়াই চালিয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের পথ আটকে আছে দুই ফ্যাসিবাদী প্রক্সির হাতে, মুজিববাদ ও মওদূদীবাদের আধিপত্যে। এই প্রক্সির শাসন কাঠামো ভেঙে আমরা যদি একটি ন্যায়ভিত্তিক, সৎ, জাতীয় রাষ্ট্র গড়তে চাই, তবে প্রতিটি নাগরিককে এই ঐতিহাসিক পুনর্গঠনের কাজে শামিল হতে হবে। এ লড়াই কেবল নির্বাচন বা ক্ষমতার লড়াই নয়, এটি বাংলাদেশের আত্মাকে পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম। বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে প্রথমেই বাঁচাতে হবে তার রাজনীতিকে—প্রক্সির ছায়া থেকে।
রাজনীতি
অর্থপাচার না হলে দেশ সিঙ্গাপুরের চেয়েও উন্নত হতো: এটিএম আজাহার
বাংলাদেশে সম্পদের ঘাটতি নেই। সম্পদের ঘাটতি থাকলে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হলো কীভাবে? এই অর্থ যদি দেশেই ব্যবহার হতো, তবে বাংলাদেশ কয়েকটি সিঙ্গাপুরের চেয়েও উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হতে পারত বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির এটিএম আজাহারুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার আমিরাবাদ গ্রামে প্রয়াত জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লার কবর জিয়ারত শেষে আয়োজিত এক গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এটিএম আজাহারুল ইসলাম বলেন, জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় এলে সবার আগে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে। দেশকে শোষণমুক্ত ও ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতা শুধু নির্বাচনের দাবিতে জীবন দেয়নি; তারা স্বৈরশাসকের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করে সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জীবন উৎসর্গ করেছে। নির্বাচন সেই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার একটি অংশমাত্র।
কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও জেলা আমির মুহাম্মদ বদরুদ্দীনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অঞ্চল সহকারী, ফরিদপুর অঞ্চল মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন, ফরিদপুর-৪ (সদরপুর-ভাঙ্গা-চরভদ্রসন) আসনের জামায়াত সমর্থিত এমপি প্রার্থী মো. সরোয়ার হোসাইন প্রমুখ।
রাজনীতি
ইসলামপন্থিদের একবার সংসদে পাঠান, দেশে অনিয়ম-দুর্নীতি থাকবে না: চরমোনাই পীর
এক বারের জন্য ইসলামপন্থিদের সংসদে পাঠান তাহলে দেশে অনিয়ম, দুর্নীতি থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করিম।
আজ মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বরিশালে ইসলাম ও সমমনা ৮ দলের সমাবেশে এ মন্তব্য বরেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, চাঁদাবাজদের জায়গা বাংলাদেশে আর হবে না।
একটি দলকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আপনাদের পায়ের নিচের মাটি সরে গেছে। বাংলার মানুষ আপনাদের উৎখাত করবে।
সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, উন্নয়নের কথা বলে বিদেশে বেগম পাড়া গড়েছেন। আর ছিনিমিনি খেলতে দেয়া হবে না।
সভাপতি জামায়াতের নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান বলেন, আট দল আগামীতে আরও বড় হবে।
রাজনীতি
চিকিৎসা নিতে পারছেন খালেদা জিয়া: ডা. জাহিদ
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারছেন বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। একইসঙ্গে তিনি খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে গুজবে কান না দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) রাজধানীর বসুন্ধরায় এভারকেয়ার হাসপাতালের মূল ফটকের সামনে খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসা নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
গত ২৩ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চিকিৎসাধীন। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ফুসফুসে ইনফেকশন ধরা পড়ে। পরে তার অবস্থা সংকটময় বলে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়। এরপর গত বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) থেকে খালেদা জিয়াকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) নিয়ে চিকিৎসকরা নিবিড়ভাবে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে খালেদা জিয়া চিকিৎসা চলছে।
এদিকে, গত রাত থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। হাসপাতালের মূল ফটকের সামনে দুই দিকে ব্যারিকেড বসানো হয়েছে, নিরাপত্তার স্বার্থে রয়েছে পুলিশের উপস্থিতি। সংশ্লিষ্ট লোকজন ছাড়া অন্যদের ভিড় করতে দেওয়া হচ্ছে না।
উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত রাত ২টার দিকে হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে পুলিশ ব্যারিকেড দেয়। পাশাপাশি আশপাশে কাউকে ভিড় করতে দেওয়া হচ্ছে না।
হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, রোগী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নির্বিঘ্নে চলাচল নিশ্চিত করতে, হাসপাতালের আশপাশে ভিড় ঠেকাতে ও খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা জোরদার করতে পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
এমকে
রাজনীতি
এভারকেয়ার হাসপাতালে বাড়তি নিরাপত্তা, বসেছে ব্যারিকেড
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ অবস্থায় গত রাত থেকে হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সকালে এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে দেখা গেছে, মূল ফটকের দুই দিকে ব্যারিকেড বসানো হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে রয়েছে পুলিশের উপস্থিতি। সংশ্লিষ্ট লোকজন ছাড়া অন্যদের ভিড় করতে দেওয়া হচ্ছে না।
উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত রাত ২টার দিকে হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে পুলিশ ব্যারিকেড দেয়। পাশাপাশি আশপাশে কাউকে ভিড় করতে দেওয়া হচ্ছে না।
হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, রোগী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নির্বিঘ্নে চলাচল নিশ্চিত করতে, হাসপাতালের আশপাশে ভিড় ঠেকাতে ও খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা জোরদার করতে পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে, রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে গভীর রাতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাতে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে তিনি হাসপাতালে যান। সেখানে তারা মেডিকেল টিমের সঙ্গে সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা করেন। তবে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি মির্জা ফখরুল।
এমকে



