জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদে গণভোট অধ্যাদেশ অনুমোদন
গণভোট অধ্যাদেশ অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠকে অংশ নেওয়া একজন উপদেষ্টা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বৈঠকের বিষয়ে বিকেল ৪টায় রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানাবেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
প্রধান উপদেষ্টা গত ১৩ নভেম্বর জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে জানান, আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে অনুষ্ঠিত হবে গণভোট। এতে জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ-২০২৫ এবং জুলাই জাতীয় সনদে লিপিবদ্ধ সংবিধান সংস্কার সম্পর্কিত চারটি প্রস্তাবের ওপর একটি প্রশ্নে ‘হ্যাঁ’ অথবা ‘না’ ভোট দিতে হবে ভোটারদের।
গণভোট ও নির্বাচন আয়োজন করার জন্য সম্প্রতি সরকার নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। গত ২২ নভেম্বর নির্বাচনবিষয়ক এক কর্মশালায় তিনি বলেছিলেন, এ সংক্রান্ত আইন হয়ে গেলে গণভোটের প্রস্তুতি শুরু করবে কমিশন।
এদিকে, জাতীয় নির্বাচন এবং গণভোট একই দিনে আয়োজনের বিরোধিতা করছে জামায়াতসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল।
এমকে
জাতীয়
ভিন্ন রঙের ব্যালটে হবে গণভোট: আসিফ নজরুল
গণভোট কীভাবে গ্রহণ করা হবে, সে প্রক্রিয়ার বিস্তারিত উল্লেখ করে গণভোট অধ্যাদেশ চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত হয়েছে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। আজ বা আগামীকালের মধ্যে এটা গেজেট নোটিফিকেশন হবে বলেও জানান তিনি।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান আইন উপদেষ্টা।
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ অনুযায়ী আগামী ফেব্রুয়ারিতে সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে একইদিনে অনুষ্ঠিত হবে গণভোট।
আইন উপদেষ্টা বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট থেকে গণভোটের ব্যালট আলাদা হবে। গণভোটের ব্যালট রঙিন হবে যেন ভোটার বিভ্রান্ত না হয়। সাধারণত সংসদ নির্বাচনের ব্যালট হয় সাদাকালো।
গণভোটে একটি মাত্র প্রশ্ন থাকবে। প্রশ্নটি হলো— জুলাই জাতীয় সনদ আদেশ ও সংবিধান সম্পর্কিত সংস্কার প্রস্তাবে ভোটারের সম্মতি আছে কি না। সেখানে ‘হ্যাঁ’ ও ‘না’ দুটি বাক্স থাকবে। সম্মতি জানালে ‘হ্যাঁ’ ভোট, অসম্মত হলে ‘না’ ভোট দিতে হবে।
আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, সংসদ নির্বাচনের জন্য কমিশনের নিয়োগকৃত রিটার্নিং, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, প্রিসাইডিং অফিসার বা পোলিং অফিসাররাই গণভোটে রিটার্নিং অফিসার, পোলিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
গণভোটের ক্ষেত্রেও পোস্টাল ব্যালটের সুযোগ থাকবে বলেও জানান আসিফ নজরুল।
এমকে
জাতীয়
বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটে বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন: প্রেস সচিব
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে (পণ্য রাখার স্থান) আগুন লেগেছিল। সেই অগ্নিকাণ্ডের তদন্তের রিপোর্ট আজকে পেশ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। তদন্ত প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে বলে তিনি জানান।
প্রেস সচিব বলেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে গত মাসের ১৮ তারিখে একটা ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড হয়েছিল, সেই অগ্নিকাণ্ডের তদন্তের রিপোর্ট আজকে পেশ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, তদন্ত কমিটি পেয়েছে যে, বিভিন্ন কুরিয়ার এজেন্সির জন্য নির্ধারিত ৪৮টি ছোট ছোট লোহার খাঁচার অফিস ছিল কুরিয়ার শেডের ভেতরে। অফিস এলাকায় ফায়ার অ্যালার্ম, স্মোক ডিটেক্টর ও স্প্রিংলার ছিল না। আপনি জানেন, স্প্রিংলার দিয়ে পানি দেওয়া হয়। কোনো অগ্নিনির্বাপক হাইড্রেন্ট ছিল না। কোনো ধরনের নিয়মের তোয়াক্কা ও সতর্কতা ছাড়াই পলিথিনে মোড়ানো কাপড়ের রোল, রাসায়নিক পদার্থ, সংকুচিত বোতলের পারফিউম এবং বডি স্প্রে, ইলেকট্রনিক জিনিসপত্র, ব্যাটারি, ওষুধজাত পণ্যের কাঁচামালের মতো দাহ্য পণ্য সেখানে স্তূপ করে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেদনে ৯৭ জন সাক্ষীর মৌখিক ও লিখিত সাক্ষ্য জমা দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, এটা কোনো নাশকতা ছিল না। বৈদ্যুতিক আর্কিং এবং শর্ট সার্কিটের কারণে এই আগুনটা লাগে। শর্ট সার্কিটের কারণে কুরিয়ার শেডের বর্ধিত অংশের উত্তর-পশ্চিম কোণের পাশাপাশি অবস্থিত কয়েকটি কুরিয়ার খাঁচার মধ্যবর্তী স্থানে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। তুরস্ক হতে আগত বিশেষজ্ঞ দল, বুয়েট বিশেষজ্ঞ, অগ্নিনির্বাপক বিশেষজ্ঞ এবং সিআইডি ফরেনসিকের প্রতিবেদনে উল্লেখিত অগ্নিকাণ্ডের কারণ নিশ্চিত করা হয়েছে।
এমকে
জাতীয়
অনলাইনে রিচার্জ করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড
ঢাকায় মেট্রোরেলে যাতায়াতের জন্য যাত্রীদের ব্যবহৃত স্থায়ী কার্ড রিচার্জ করার জন্য স্টেশনে যেতে হবে এমন নয়, এখন থেকে ওই কার্ড অনলাইনেই রিচার্জ করা যাবে।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁও মেট্রো স্টেশনে এই সেবার উদ্বোধন করা হয়। এর ফলে স্টেশনের লাইনে না দাঁড়িয়েই ঘরে বসে বা যে কোনো জায়গা থেকেই র্যাপিড পাস বা এমআরটি পাস রিচার্জ করা যাবে। তবে আগের মত স্টেশন থেকেও কার্ড রিচার্জ করার ব্যবস্থা থাকছে।
‘লাইন নয়, অনলাইন-রিচার্জ এখন হাতের মুঠোয়!’ স্লোগান সামনে রেখে এ সেবার উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন। ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) এই সেবা বাস্তবায়ন করেছে।
ডিটিসিএর নতুন এই ব্যবস্থায় ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড, বিকাশ, নগদ, রকেটসহ যে কোনো অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে রিচার্জ করা যাবে।
ডিটিসিএর নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতার বলেন, অনেকেই আমাদের কাছে অভিযোগ দিচ্ছিল, যে লাইনে ধরে টিকিট কাটা, অনেক ভিড় থাকে এবং অনেক ধরনের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। এখন সেখান থেকে তাদের জন্য আরও অত্যাধুনিক, প্রযুক্তিনির্ভর সেবা দেওয়ার প্রচেষ্টায় ছিলাম।
কার্ড রিচার্জ করার জন্য ডিটিসিএর ওয়েবসাইট বা মোবাইল অ্যাপে নিবন্ধন করে লগইন করতে হবে। এরপর র্যাপিড পাস বা এমআরটি পাস নির্বাচন করে পেমেন্ট সম্পন্ন করতে হবে। কার্ডে ১০০ থেকে ৫ হাজার পর্যন্ত রিচার্জ করা যাবে।
তবে অনলাইন পেমেন্ট সফল হলেও স্টেশনে স্থাপিত নতুন এভিএম যন্ত্রে কার্ড স্পর্শ না করা পর্যন্ত রিচার্জ কার্যকর হবে না।
এভিএম যন্ত্রে স্পর্শের আগে কেউ চাইলে তার রিচার্জটি সাতদিনের মধ্যে বাতিল করতে পারবে; সেক্ষেত্রে পাঁচ শতাংশ সার্ভিস চার্জ কেটে রাখা হবে।
কোনো গ্রাহক রিচার্জের পর তিন মাসের মধ্যে এভিএম যন্ত্রে স্পর্শ না করলে সেক্ষেত্রেও রিচার্জের অর্থ গ্রাহকের একাউন্টে ফেরত চলে যাবে। এক্ষেত্রেও পাঁচ শতাংশ সার্ভিস চার্জ কাটা হবে।
অনলাইন রিচার্জ কার্যক্রম চালুর অংশ হিসেবে সোমবার থেকে ১৬টি স্টেশনে মোট ৩২টি এভিএম যন্ত্র স্থাপনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত প্রতিটি স্টেশনে দুটি করে যন্ত্র বসানো হবে।
বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে সাড়ে চার লাখ ব্যবহারকারী মেট্রোরেল ব্যবহার করছে। এবং ১৬ লাখ স্মার্ট কার্ড ব্যবহারকারীদের কাছে রয়েছে। দৈনিক যেসকল যাত্রী মেট্রোসেবা নিচ্ছেন তাদের ৬৫ শতাংশ স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করছেন বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।
এমকে
জাতীয়
দুদককে চাপ প্রয়োগ করলে তালিকা প্রকাশ করা হবে: দুদক চেয়ারম্যান
দুর্নীতির তদন্ত বা অনুসন্ধান বাধাগ্রস্ত করতে আগামীতে কেউ চাপ প্রয়োগ করলে তাদের নাম প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) দুদকের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সেগুনবাগিচায় দুদকের সম্মেলন কক্ষে এক মতবিনিময় সভায় এমন মন্তব্য করেন।
দুদকে অযাচিত চাপ প্রয়োগ করা হয় কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান বলেন, দুদকে যারা অযাচিত চাপ প্রয়োগ করলে আগামীতে তাদের নাম প্রকাশ করে দেবো।
মতবিনিময় সভায় দুদকের কমিশনার মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাফিজ আহ্সান ফরিদ ও সচিব মোহাম্মদ খালেদ রহীম এসময় উপস্থিত ছিলেন।
এমকে
জাতীয়
পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে ৩০ হাজার প্রবাসীর নিবন্ধন
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন দেশ থেকে ভোট দেওয়ার জন্য ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপে প্রবাসীদের নিবন্ধন সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩০ হাজার ৬১৪ জনে। নির্ধারিত সময় শেষে সংশ্লিষ্ট প্রবাসীদের ঠিকানায় ডাকযোগে ব্যালট পেপার পাঠাবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর মধ্যে পুরুষ ২৬ হাজার ৭৭৮ জন এবং নারী ৩ হাজার ৮৬২ জন।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সকালে ইসির ওয়েবসাইটের তথ্য থেকে বিষয়টি জানা গেছে।
গত ১৯ নভেম্বর থেকে পূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ আমেরিকা এবং আফ্রিকায় বসবাসরত বাংলাদেশিদের নিবন্ধন শুরু হয়েছে, চলবে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত। আর ২৩ নভেম্বর রাত ১২টার পর (২৪ নভেম্বর) থেকে শুরু হয়েছে উত্তর আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে বসবাসরত বাংলাদেশিদের নিবন্ধন, চলবে একই সময় পর্যন্ত।
এই সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ৮ হাজার ৩৭৮ জন, জাপান থেকে ৫ হাজার ৬২৪ জন, আমেরিকা থেকে ৪ হাজার ৪০ জন, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ৩ হাজার ৪৯২ জন, কানাডা থেকে ২ হাজার ৪৯৪ জন আবেদন করেছে।
যে দেশগুলোতে নিবন্ধন চলছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, দক্ষিণ আফ্রিকা, চীন, মিশর, মোজাম্বিক, লিবিয়া, মরিশাস, হংকং, ব্রাজিল, উগান্ডা, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো, ইথিওপিয়া, নাইজেরিয়া, লাইবেরিয়া, বতসোয়ানা, কেনিয়া, রুয়ান্ডা, আলজেরিয়া, অ্যাঙ্গোলা, তানজানিয়া, সোমালিয়া, ঘানা, গিনি, মরক্কো, দক্ষিণ সুদান, চিলি, সিয়েরা লিওন, ইকুয়েডর, তাইওয়ান, আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, গাম্বিয়া, পেরু, জিম্বাবুয়ে ও যুক্তরাষ্ট্র। এসব দেশ থেকে মোট নিবন্ধন করেছেন সকাল পৌনে দশটা পর্যন্ত ২৯ হাজার ১০০ প্রবাসী।
সৌদি আরবের প্রবাসীরা ৪ থেকে ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে নিবন্ধন করতে পারবেন। দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশিরা ৯ থেকে ১৩ ডিসেম্বর, মধ্যপ্রাচ্যের (সৌদি বাদে) অন্যান্য দেশের প্রবাসীরা ১৪ থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধন করতে পারবেন। বাংলাদেশে অবস্থানরত (ভোটের দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তি, সরকারি চাকরিজীবী, কয়েদি ও অন্যান্য দেশে বসবাসরত ভোটাররা) ১৯ থেকে ২৩ ডিসেম্বরের মধ্যে নিবন্ধন করতে পারবেন।



