জাতীয়
হাসিনা-কামালকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দিতে যাচ্ছে সরকার
২০২৪ সালের গণ অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের প্রত্যাবর্তনের জন্য আমরা চিঠি দিচ্ছি। যেহেতু উনারা এখন সাজাপ্রাপ্ত, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কাজেই আমরা মনে করি ভারতের এখন বাড়তি দায়িত্ব রয়েছে তাদের ফেরত দেওয়ার জন্য।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের বিচারের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করার জন্য ভারত যেন আমাদের সঙ্গে প্রত্যাবর্তন চুক্তি অনুযায়ী তার বাধ্যবাধকতা পালন করে। সেটা স্মরণ করিয়ে আমরা ভারতকে চিঠি দিচ্ছি।
আসিফ নজরুল আরও বলেন, একই সঙ্গে এই সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের দেশের ফেরানোর জন্য আন্তর্জাতিক যে অপরাধ আদালত রয়েছে সেখানে আমরা কোনো রকম অ্যাপ্রোচ করতে পারি কিনা, সেটা বিচার বিবেচনা করার জন্য আমরা অচিরেই বসে সিদ্ধান্ত নেব।
ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
জাতীয়
নাশকতাকারীদের ঢাকা মহানগরে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে: ডিএমপি কমিশনার
আইন অনুযায়ী নাশকতাকারীদের ঢাকা মহানগরীতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত ডিএমপির মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ডিএমপি কমিশনার এ কথা বলেন।
শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, আইন অনুযায়ী নাশকতাকারীদের ঢাকা মহানগরীতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে। যারা পরিকল্পিতভাবে ককটেল বিস্ফোরণ ও যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা করছে, তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য কাজ করছে পুলিশ। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুলিশকে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ থেকে জনগণের স্বার্থে কাজ করতে হবে। কোনো রাজনৈতিক দল, আদর্শ কিংবা ব্যক্তির প্রতি দুর্বলতা বা পক্ষপাত প্রদর্শন করা যাবে না।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানের জন্য পুলিশ আইন অনুযায়ী দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ বল প্রয়োগ করতেও দ্বিধাবোধ করবে না। থানা এলাকায় অপরাধ প্রতিরোধে টহল কার্যক্রম আরও জোরদার করতে হবে।
সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) মো. সরওয়ার বলেন, পুলিশ সদস্যদের সরকারি নীতিমালা অনুসরণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া দৈনন্দিন কার্যক্রমে ডি-নথির ব্যবহার বাড়াতে হবে।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, মামলা রুজুর পর দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, যাতে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা যায়।
তিনি গুরুত্ব দিয়ে বলেন, আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে সর্বোচ্চ পেশাগত নৈতিক মানদণ্ড প্রদর্শন করে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলার রায় ঘিরে কেউ যেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিনষ্ট করতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
এমকে
জাতীয়
তিন ধরনের মোবাইল ফোন বন্ধ করবে সরকার
অবৈধ মোবাইল ফোন বিক্রি নিয়ে কঠোর হচ্ছে সরকার। দেশে আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে নিবন্ধনবিহীন সব হ্যান্ডসেট স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হচ্ছে। তবে বর্তমানে ব্যবহৃত কিংবা ১৬ ডিসেম্বরের আগে কেনা অবৈধ ফোনগুলো বন্ধ হবে না।
মূলত ক্লোন করা, অবৈধভাবে আমদানিকৃত ও চোরাচালানকৃত ফোন বন্ধ করতে যাচ্ছে সরকার।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব গতকাল এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, আমরা ক্লোন করা, অবৈধভাবে আমদানিকৃত ও চোরাচালানকৃত ফোন বন্ধ করব ইনশাআল্লাহ। এখানে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, রেজিস্ট্রেশন, ডি-রেজিস্ট্রেশন এবং রি-রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি সমূহ কিভাবে সাধারণ নাগরিকদের জন্য সহজ করা যায়, সে বিষয়ে সরকার কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, আপনার ব্যবহার করা সিমটা নিজের নামে থাকলে রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি খুব সহজ। প্রবাসীরা বাইরে থেকে নিয়ম মেনে একটি বা দুটি ফোন ফ্রি আনবেন, নিয়ম মেনে রেজিস্ট্রেশন করবেন। কোনো ঝামেলা হবে না। দুটির বেশি ফোনের ক্ষেত্রে এনবিআরের আলাদা নিয়ম রয়েছে, একটা ফি দিতে হয়, এটা পুরনো নিয়ম।
গ্রাহকদের দিক বিবেচনা করে, বৈধ মোবাইল ফোনের দাম কমাতে যা যা করা দরকার সরকারের পক্ষ থেকে সবকিছু করা হবে বলেও ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেন তিনি।
আইন-আদালত
তত্ত্বাবধায়কব্যবস্থা পুনর্বহালে গণতন্ত্রের মহাসড়কে হাঁটবে দেশ: অ্যাটর্নি জেনারেল
বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার সহায়ক ব্যবস্থা বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালে দেশ গণতন্ত্রের মহাসড়কে হাঁটবে। এখন থেকে আর দিনের ভোট রাতে হবে না কিংবা মৃত মানুষ এসে ভোট দিয়ে যাবে না।
তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলোপ করে যে নির্বাচন হয়েছিল, তাতে দেশের গণতন্ত্রের কবর রচিত হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের পর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সুপ্রিম কোর্টে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান। ত্রয়োদশ সংশোধনী মামলার রায়ের বিষয়ে জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে আনা ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে ১৪ বছর আগে দেওয়া রায় পুরোটাই বাতিল করেছেন আপিল বিভাগ। ওই রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল মঞ্জুর ও এ-সংক্রান্ত রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদন নিষ্পত্তি করে আজ রায় দেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। রায়ে বলা হয়, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার-সম্পর্কিত বিধানাবলি এই রায়ের মাধ্যমে পুনরুজ্জীবিত ও সক্রিয় করা হলো। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারসংক্রান্ত বিধানাবলি ভবিষ্যৎ প্রয়োগ যোগ্যতার ভিত্তিতেই কার্যকর হবে বলে রায়ে এসেছে।
দেশের বিচারব্যবস্থা রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট রায় দেয় কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, তিনি সেটি মনে করেন না। কোন রায় রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট, আর কোন রায় আইনি ব্যাখ্যায় দেশের মানুষের স্বার্থ রক্ষা করবে, গণতন্ত্র রক্ষা করবে, মানুষের ভোটাধিকার রক্ষা করবে, আইনের শাসন রক্ষা করবে, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুনর্বহাল করবে, তা জাতি বিবেচনা করবে।
আসাদুজ্জামান বলেন, আজকের রায়ে আগের তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল হলো। এটা কার্যকর হবে পরবর্তী সংসদ ভাঙার পরের ১৫ দিনের মধ্যে।
মো. আসাদুজ্জামান বলেন, পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশের পর জানা যাবে, পরবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা কে হবেন। জানা যাবে, পূর্বের ব্যবস্থা অনুযায়ী হবে নাকি জুলাই সনদ অনুসারে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরেছে। তবে এর গঠন কী হবে, তা ঠিক করবে পরবর্তী সংসদ।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংবিধানে ১৯৯৬ সালে ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে আনা হয়েছিল। সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক না বলে তা সাংবিধানিক হিসেবেই রায়ে ঘোষিত হলো। তত্ত্বাবধায়কব্যবস্থা বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য একটি সহায়ক ব্যবস্থা হিসেবে ফুল জাজমেন্টে আসবে বলে মনে করেন তিনি।
জুলাই সনদে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার যে রূপরেখা আছে, তার পরিবর্তন সম্ভব হবে কি না, জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘পার্লামেন্টের কিছু ডিসকাশন থাকবে। ২০ বছর পরে জনগণ যদি মনে করে এই ব্যবস্থা পচে গলে গেছে, এর থেকেও ভালো কোনো ব্যবস্থা গণতন্ত্র সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজন, তাহলে অবশ্যই পার্লামেন্টের ডিসকাশন থাকবে।’
এমকে
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, বিকেল ৪টায় রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হবে। আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল ব্রিফিংয়ে উপস্থিত থাকবেন।
জাতীয়
‘সৎ-নিরপেক্ষ-দক্ষ’ ওসি খুঁজছে পুলিশ সদরদপ্তর
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পদের জন্য সৎ, নিরপেক্ষ ও দক্ষ পরিদর্শক খুঁজছে পুলিশ সদরদপ্তর। এর অংশ হিসেবে তাদের নাম জমা দিতে বলা হয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার, বিশেষ শাখার অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক ও অপরাধ তদন্ত বিভাগের কাছে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সদরদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (প্রশাসন) আওলাদ হোসেনের সই করা চিঠিতে বলা হয়েছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে পরিচালনার স্বার্থে প্রতিটি থানায় যোগ্য ও নিরপেক্ষ অফিসার ইনচার্জ নিয়োগ দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা এবং নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ যথাযথভাবে পালনের জন্য থানা প্রধানের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকালীন দায়িত্ব পালনের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন রেঞ্জের জেলার থানায় অফিসার ইনচার্জ হিসেবে পদায়নের জন্য বিভিন্ন ইউনিটে কর্মরত সৎ, নিরপেক্ষ ও প্রশাসনিক কাজে দক্ষ গুণসম্পন্ন পুলিশ পরিদর্শকদের তালিকা প্রস্তুত করে পারসোনেল ম্যানেজমেন্ট-২ শাখায় পাঠানোর জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে চিঠিতে।



